মেদুসা (Medusa) - গ্রীক মিথলজির এক ভয়ঙ্কর দানবী
মেদুসা- গ্রীক মিথলজীর সবচেয়ে রূপসী এবং সবচেয়ে কুৎসিত ও ভয়ঙ্কর নারী।
অনেক অনেক আগে গ্রীসের এ্যাথেন্স শহরে বাস করতো এক অপরূপ রূপসী, যার নাম ছিল মেদুসা।
মেদুসা, ওহ মেদুসা। সৌন্দর্যের দেবী, রূপের অপ্সরী মেদুসা। যে রাস্তা দিয়ে হেটে যেত, সেখানে পুরুষদের ভীড় জমে যেত। তার চোখ ছিল চাঁদের মতো উজ্জল, গায়ের রং ছিল যেন সোনা গলিয়ে বানানো। সবচেয়ে আকর্ষনীয় ছিল তার চুল। লম্বা, উজ্জল আর মসৃন।
নিজের রুপ নিয়ে প্রচন্ড অহংকার ছিল মেদুসার। আর এই অহংকারই হলো মেদুসার কাল।
কে এই মেদুসা: মেদুসা ছিল ফোরকি এবং কেটোর মেয়ে (গ্রীক মিথলজির ক্যাথনিক মনস্টার)। তিন বোন স্থেনা এবং ইউরায়েল এবং মেদুসা। দুই বোন স্থেনা এবং ইউরায়েল ছিল অমর কিন্তু মেদুসা অমর ছিলনা।
মেদুসা সূর্য থেকে অনেক অনেক দূরে উত্তরে বাস করতো। সে কখনও সূর্য দেখেনি শুধু শুনেছিল সূর্যের কথা। একবার তার প্রচন্ড ইচ্ছা হলো সূর্যকে দেখার। তখন সে গডেস এথেনার কাছে দক্ষিনে যেয়ে সূর্য দেখার অনুমতি চাইল। কিন্তু এথেনা তাকে অনুমতি দিল না সূর্য দেখার। এতে মেদুসা প্রচন্ড ক্ষুদ্ধ হয়ে পড়ে এবং বলল, এথেনা তাকে সূর্য দেখার অনুমতি দিলনা কারন এথেনা তার রূপের কারনে তাকে হিংসা করে। এই কথায় এথেনা রেগে গেল। এথেনা তার চুলগুলোকে সাপে রূপান্তিত করলো এবং প্রচন্ড কুৎসিত বানিয়ে ফেলল এবং অভিশাপ দিল যদি কেউ কখনও মেদুসার চোখের দিকে তাকায় তাহলে সে পাথরে রূপান্তিত হবে।
নিজের রূপ হারানোর পর প্রচন্ড অত্যাচারী হয়ে পড়ে মেদুসা। তার চোখের কারনে কেউ তাকে পরাস্ত করতে পারতোনা। যেই তার সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হতো, মেদুসা তাকে তার চোখের শক্তি দিয়ে পাথরে রূপান্তিত করতো।
মেদুসা চরম ভুলটা করে জিউসের স্ত্রী ড্যানীকে বন্দী করে। জিউস তার ছেলে পারসিউসকে পাঠায় তার মাকে উদ্ধার করে আনার জন্য। এ যুদ্ধে পারসিউস কে সাহায্য করে দেবী এ্যাথেনা এবং দেবতা হারমেস। তারা পারসিউসকে একটা আয়না আর একটা তলোয়ার দেয় মেদুসাকে পরাস্ত করার জন্য।
আবশেষে সংঘঠিত হয় এক প্রচন্ড যুদ্ধ। যুদ্ধে পারসিউস সরাসরি মেদুসার দিকে না তাকিয়ে আয়নার মাধ্যমে মেদুসাকে টার্গেট করে এবং একসময় মেদুসার মাথা ধর থেকে আলাদা করে ফেলে তার শক্তিশালী তলোয়ারের মাধ্যমে এবং উদ্ধার করে নিজের মা ড্যানীকে।
মেদুসা নিয়ে অনেক কাহিনী প্রচলিত আছে গ্রীক মিথলজীতে। তবে সব মিথলজিকাল ইতিহাস একটা কথায় একমত, মেদুসার অহংকারই তার পতনের একমাত্র কারন।
অনেক অনেক আগে গ্রীসের এ্যাথেন্স শহরে বাস করতো এক অপরূপ রূপসী, যার নাম ছিল মেদুসা।
মেদুসা, ওহ মেদুসা। সৌন্দর্যের দেবী, রূপের অপ্সরী মেদুসা। যে রাস্তা দিয়ে হেটে যেত, সেখানে পুরুষদের ভীড় জমে যেত। তার চোখ ছিল চাঁদের মতো উজ্জল, গায়ের রং ছিল যেন সোনা গলিয়ে বানানো। সবচেয়ে আকর্ষনীয় ছিল তার চুল। লম্বা, উজ্জল আর মসৃন।
নিজের রুপ নিয়ে প্রচন্ড অহংকার ছিল মেদুসার। আর এই অহংকারই হলো মেদুসার কাল।
কে এই মেদুসা: মেদুসা ছিল ফোরকি এবং কেটোর মেয়ে (গ্রীক মিথলজির ক্যাথনিক মনস্টার)। তিন বোন স্থেনা এবং ইউরায়েল এবং মেদুসা। দুই বোন স্থেনা এবং ইউরায়েল ছিল অমর কিন্তু মেদুসা অমর ছিলনা।
মেদুসা সূর্য থেকে অনেক অনেক দূরে উত্তরে বাস করতো। সে কখনও সূর্য দেখেনি শুধু শুনেছিল সূর্যের কথা। একবার তার প্রচন্ড ইচ্ছা হলো সূর্যকে দেখার। তখন সে গডেস এথেনার কাছে দক্ষিনে যেয়ে সূর্য দেখার অনুমতি চাইল। কিন্তু এথেনা তাকে অনুমতি দিল না সূর্য দেখার। এতে মেদুসা প্রচন্ড ক্ষুদ্ধ হয়ে পড়ে এবং বলল, এথেনা তাকে সূর্য দেখার অনুমতি দিলনা কারন এথেনা তার রূপের কারনে তাকে হিংসা করে। এই কথায় এথেনা রেগে গেল। এথেনা তার চুলগুলোকে সাপে রূপান্তিত করলো এবং প্রচন্ড কুৎসিত বানিয়ে ফেলল এবং অভিশাপ দিল যদি কেউ কখনও মেদুসার চোখের দিকে তাকায় তাহলে সে পাথরে রূপান্তিত হবে।
নিজের রূপ হারানোর পর প্রচন্ড অত্যাচারী হয়ে পড়ে মেদুসা। তার চোখের কারনে কেউ তাকে পরাস্ত করতে পারতোনা। যেই তার সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হতো, মেদুসা তাকে তার চোখের শক্তি দিয়ে পাথরে রূপান্তিত করতো।
মেদুসা চরম ভুলটা করে জিউসের স্ত্রী ড্যানীকে বন্দী করে। জিউস তার ছেলে পারসিউসকে পাঠায় তার মাকে উদ্ধার করে আনার জন্য। এ যুদ্ধে পারসিউস কে সাহায্য করে দেবী এ্যাথেনা এবং দেবতা হারমেস। তারা পারসিউসকে একটা আয়না আর একটা তলোয়ার দেয় মেদুসাকে পরাস্ত করার জন্য।
আবশেষে সংঘঠিত হয় এক প্রচন্ড যুদ্ধ। যুদ্ধে পারসিউস সরাসরি মেদুসার দিকে না তাকিয়ে আয়নার মাধ্যমে মেদুসাকে টার্গেট করে এবং একসময় মেদুসার মাথা ধর থেকে আলাদা করে ফেলে তার শক্তিশালী তলোয়ারের মাধ্যমে এবং উদ্ধার করে নিজের মা ড্যানীকে।
মেদুসা নিয়ে অনেক কাহিনী প্রচলিত আছে গ্রীক মিথলজীতে। তবে সব মিথলজিকাল ইতিহাস একটা কথায় একমত, মেদুসার অহংকারই তার পতনের একমাত্র কারন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
Înšigniã Āvî ১৫/১১/২০১৩
জানতে পারার একটা বিগ থ্যাংক্স