বেটি পর্ব ৩
৩
শহরের মেয়ে জ্যোৎস্নাকে প্রেম করে শাঁখা সিঁদুর পরিয়ে ঘরে এনেছিল । মেয়েটিকে ভালো রকম পরিশ্রম করতেও হয়েছিল তার নতুন জীবন যাত্রার সাথে । এদিকে চাকরী চলে গিয়ে প্রথম যখন গ্রামে জগা আসে তখন আসন্ন প্রসব অবস্থা দেখে কিছুই বলে উঠতে পারে নি । শুধু জিজ্ঞাসা করলেই বলত , “ বাহ রে আমার বুঝি দেখতে ইচ্ছা করে না !”
তারপরেই এক সকালে হঠাৎ জ্যোৎস্না পা পিছলে পুকুর পাড়ে পরে যায় । বেকার জগা জমানো টাকা, জমি বন্ধক দিয়েও তিন দিনে যমের সাথে লড়াই করেও বাঁচাতে পারে নি ।
গ্রামীন হাসপাতালে তিন দিনের দিন দুপুর বেলা ছ’মাসের গর্ভবতী জ্যোৎস্নার নিথর দেহ জগাকে একটা পাথরে পরিণত করে ফেলেছিল । জীবনের দুর্বিপাকে হারিয়েছিল এক ধার দিয়ে – স্ত্রী , আসন্ন সন্তান , চাকরী ! কোন এক কাল গ্রহের ফেরে তছনছ হয়ে যায় ওর জীবন । এক সময়ের প্রাণবন্ত যুবকের মধ্যে শুরু হয় মানসিক বিকার । মাঝে মধ্যেই জ্বরে পড়ত । আর ঠিক তখনই আমোদ আর লতা জগার প্রতি সহানুভুতির হাত বাড়িয়ে দেয় । নিজে ‘বাঁজা’ বলে লতা এ সব ঘটনা জানলেও আগ বাড়িয়ে যায় নি । কিন্তু একটা মানুষ যখন শেষ হয়ে যাচ্ছে তখন গ্রামের তথাকথিত শৃঙ্খলা ভঙ্গ করতে লতা বা আমোদ দ্বিধা বোধও করে নি । হয়ত , পিতৃত্বের এক চাপা জ্বালা আমোদের কাছাকাছি নিয়ে আসে জগাকে ।
কিছুদিন যাবৎ আবার ধুম জ্বরে পরেছিল । আজও সকালে গ্রামের ডাক্তার দেখে খুব একটা খুশী হয় নি । আর এখন জগা নেই ! জীবনে সময়ের ইতিহাসটা বড্ড দ্রুত লয়ে চলে । ধরতে পারাটাই খুবই মুশকিল !
যতদিন কাজ ছিল জ্যোৎস্নার পাশে সকলেই ছিল । জগার বেকারত্বের জীবনের কাহিনী যখন বাজারে নানা আকারে বার হতে লাগল তখন আসন্ন প্রসবা জ্যোৎস্না আর জগার জীবনে বন্ধ্যা জমির মত আত্মীয় পরিজনও ক্রমান্বয়ে দূরত্ব বাড়াতে থাকে । জ্যোৎস্নার মৃত্যুর পর জীবন প্রবাহে আকস্মিক যে খরা শুরু হয়েছিল আজ সেখানে পড়ল দীর্ঘ এক ইতি । শুধু শোকের জন্য শোক প্রদর্শন মানুষের এক বিচিত্র স্বভাব ! তাই জগার ইতির পরেও ওঠে কান্নার মিথ্যার রব ।
( আগামীকাল অন্তিম পর্ব )
শহরের মেয়ে জ্যোৎস্নাকে প্রেম করে শাঁখা সিঁদুর পরিয়ে ঘরে এনেছিল । মেয়েটিকে ভালো রকম পরিশ্রম করতেও হয়েছিল তার নতুন জীবন যাত্রার সাথে । এদিকে চাকরী চলে গিয়ে প্রথম যখন গ্রামে জগা আসে তখন আসন্ন প্রসব অবস্থা দেখে কিছুই বলে উঠতে পারে নি । শুধু জিজ্ঞাসা করলেই বলত , “ বাহ রে আমার বুঝি দেখতে ইচ্ছা করে না !”
তারপরেই এক সকালে হঠাৎ জ্যোৎস্না পা পিছলে পুকুর পাড়ে পরে যায় । বেকার জগা জমানো টাকা, জমি বন্ধক দিয়েও তিন দিনে যমের সাথে লড়াই করেও বাঁচাতে পারে নি ।
গ্রামীন হাসপাতালে তিন দিনের দিন দুপুর বেলা ছ’মাসের গর্ভবতী জ্যোৎস্নার নিথর দেহ জগাকে একটা পাথরে পরিণত করে ফেলেছিল । জীবনের দুর্বিপাকে হারিয়েছিল এক ধার দিয়ে – স্ত্রী , আসন্ন সন্তান , চাকরী ! কোন এক কাল গ্রহের ফেরে তছনছ হয়ে যায় ওর জীবন । এক সময়ের প্রাণবন্ত যুবকের মধ্যে শুরু হয় মানসিক বিকার । মাঝে মধ্যেই জ্বরে পড়ত । আর ঠিক তখনই আমোদ আর লতা জগার প্রতি সহানুভুতির হাত বাড়িয়ে দেয় । নিজে ‘বাঁজা’ বলে লতা এ সব ঘটনা জানলেও আগ বাড়িয়ে যায় নি । কিন্তু একটা মানুষ যখন শেষ হয়ে যাচ্ছে তখন গ্রামের তথাকথিত শৃঙ্খলা ভঙ্গ করতে লতা বা আমোদ দ্বিধা বোধও করে নি । হয়ত , পিতৃত্বের এক চাপা জ্বালা আমোদের কাছাকাছি নিয়ে আসে জগাকে ।
কিছুদিন যাবৎ আবার ধুম জ্বরে পরেছিল । আজও সকালে গ্রামের ডাক্তার দেখে খুব একটা খুশী হয় নি । আর এখন জগা নেই ! জীবনে সময়ের ইতিহাসটা বড্ড দ্রুত লয়ে চলে । ধরতে পারাটাই খুবই মুশকিল !
যতদিন কাজ ছিল জ্যোৎস্নার পাশে সকলেই ছিল । জগার বেকারত্বের জীবনের কাহিনী যখন বাজারে নানা আকারে বার হতে লাগল তখন আসন্ন প্রসবা জ্যোৎস্না আর জগার জীবনে বন্ধ্যা জমির মত আত্মীয় পরিজনও ক্রমান্বয়ে দূরত্ব বাড়াতে থাকে । জ্যোৎস্নার মৃত্যুর পর জীবন প্রবাহে আকস্মিক যে খরা শুরু হয়েছিল আজ সেখানে পড়ল দীর্ঘ এক ইতি । শুধু শোকের জন্য শোক প্রদর্শন মানুষের এক বিচিত্র স্বভাব ! তাই জগার ইতির পরেও ওঠে কান্নার মিথ্যার রব ।
( আগামীকাল অন্তিম পর্ব )
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোহন দাস (বিষাক্ত কবি) ১০/০২/২০২০ভালো লেখা
-
দীপঙ্কর রায় ০৬/০৭/২০১৮সুন্দর
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৮/০৬/২০১৮ভালো।