ঋতু নীল এবং পত্রাবলী পর্ব -১
১
আমি চিনি না ওকে । এ অন্য রকম । জীবনের গতিপথে যে নানা খেলা , বৈচিত্র চলে তার থেকে আলাদা । আমি জানি না এর কি মানে হয় ! এত খামখেয়ালিপনা ! কিন্তু কেন ঋতু’দা ! উত্তর পেতে বা চাইতে গিয়ে বিষম খেলাম । আলো আধাঁরি ঘরে চুপচাপ বসে আছি । ঠিক কোণায় বোবার মত লাইটটা অনেকক্ষণ আলো দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে গেছে । “তুমি বলবে কি ঋতু’দা”, গলাটা একটু সাহস এনে জিজ্ঞাসা করলাম ।
চিরাচরিত ভাবে ঘড়ের ঢাউস খাটের পর বসে ছিল । একটা অদ্ভুত শান্ত ভাব । এ ঠিক সেই শান্ত ভাব না ,যা আমরা বুঝে থাকি । আর যখন তার অর্থ বোঝার চেষ্টা করি তখন দেখি সময় গেছে চলে ! নীল’দার ( সৌরনীল , জীবনের সুচনা লগ্নের নাম , আমার কাছে নীল’দা ভাল ) কথায় , “ সম্পর্কের দূরত্ব বাড়ালেই বাড়বে , ওটাকে বাড়তে দিস না...”।
“হ্যা” শব্দটা অনেকেই বলতে পারেন “না”-এর যুগে । মজাটা ওখানেই ! মুখোশ পরা “ হ্যা নিশ্চয়”, “হ্যা হ্যা”, “হ্যা আসবে”, “হ্যা নিশ্চয় দেখব” –এরা কিন্তু বহাল তবিয়তে ঘড় সংসার পেতে দিব্যি আছে । আমি সত্তরের উদ্যাম দশকের একদম অন্তিম লগ্নের মানুষ । নীল’দা সাউথ পয়েন্ট স্কুলের ’৭৬ –এর প্রথম মাধ্যমিকের ব্যাচ । দশক গত চিন্তা ধারার অনেক অমিলের মাঝে মিলটা কোথাও যে রয়েছে পরে সেটা অনুভব করি ।
শব্দ জালের সুতো বা বুনোট দিয়ে জীবনের আবেগগুলোকে মারার সেই উন্নাসিক নৃত্য তুলনামূলক ভাবে কমই ছিল – কথাটার সাথে সহমত হয়েছিলাম , বুঝেছিলাম মিল খাওয়ার লয়টা এখানেই হয়ত লুকিয়ে ছিল । Photogenic Brain নীল’দাও , তার প্রাথমিক Shabby জীবনযাত্রায় সাদা ও কালোর মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে তা , বোধগম্য করার নিরেট বুধ্যিটা কম করেই রেখেছিলো । না হলে এত সুন্দর ভাবে বৃষ্টির জলে মুছে যাওয়া রেজাল্ট কার্ডের পাশে অনায়াসে পেন দিয়ে ৫ এর আগে ৭ বসিয়ে দিতে পারত না ! খেলা ভাঙার খেলা বরাবরের অভ্যাস ।
নীল’দাকে নিয়ে লেখার শক্তি যে নেই তা নয় । কোন দিকটা নিয়ে লিখব সেটাই বড্ড জটিল লাগে এখন ! ওর সম্পর্কে কিছু লেখার আবেদন আগেও এসেছে । কিন্তু তা এতকাল পরম স্নেহে এড়িয়ে গেছি । যদিও আমি সমালোচক, সমাজ সচেতক , অন্ধ-ভক্ত এইসব ভারী শব্দ ভান্ডারকে আমার কাঁধে বোঝা হিসাবে চাপাতে চাইও না , যা হয়ত বুঝেছিল নীল’দা । চাওয়া পাওয়া সবার জীবনের এক আদিম প্রবৃত্তি । কিন্তু সেই প্রবৃত্তি যে তার পেশাদারী জীবনে প্রভাব ফেলবে না , সেটা কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছিল । তাই হয়ত তার জীবনে দু-তিন দিন সময় পেয়েছিলাম ।
এতসব কেন লিখছি তার কোন উদ্দেশ্য আছে কিনা জানি না ! তবে এটা ঠিক , নীল’দার থুড়ি “ঋতু” নাম চালিয়ে বর্তমানে যখন কীংম্ভূতমার্কা তথাকথিত চলচিত্র বা নাটকের পোষ্টার - হলের দেওয়াল, সোশ্যাল মিডিয়ার গ্রুপ থেকে শুরু করে টয়লেটের ফাটা দেওয়ালের গায়ে দেখি তখন একটাই কথা মাথায় ঘোরে – “ঋতু”দা হয়তো কয়েকটি গোষ্ঠীর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়ে পড়েছে !
“ঋতু”-র পরিচালিত একুশ বছরের সিনেমা জীবন হয়ত অনেকের গতিপথকে একটু হলেও সুগম করেছে কিন্তু তা বলে এতটা –ভাবা যায় না ! এ শুধুমাত্র আমার ভাবনা না । অনেক রাত ধরে যখন নীল’দার ছোট্ট বেলার বন্ধুদের সাথে আড্ডা মেরে গেছি তারাও একই আক্ষেপটাই করে গেছে এবং এখন করে যায়ও ।
আমি চিনি না ওকে । এ অন্য রকম । জীবনের গতিপথে যে নানা খেলা , বৈচিত্র চলে তার থেকে আলাদা । আমি জানি না এর কি মানে হয় ! এত খামখেয়ালিপনা ! কিন্তু কেন ঋতু’দা ! উত্তর পেতে বা চাইতে গিয়ে বিষম খেলাম । আলো আধাঁরি ঘরে চুপচাপ বসে আছি । ঠিক কোণায় বোবার মত লাইটটা অনেকক্ষণ আলো দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে গেছে । “তুমি বলবে কি ঋতু’দা”, গলাটা একটু সাহস এনে জিজ্ঞাসা করলাম ।
চিরাচরিত ভাবে ঘড়ের ঢাউস খাটের পর বসে ছিল । একটা অদ্ভুত শান্ত ভাব । এ ঠিক সেই শান্ত ভাব না ,যা আমরা বুঝে থাকি । আর যখন তার অর্থ বোঝার চেষ্টা করি তখন দেখি সময় গেছে চলে ! নীল’দার ( সৌরনীল , জীবনের সুচনা লগ্নের নাম , আমার কাছে নীল’দা ভাল ) কথায় , “ সম্পর্কের দূরত্ব বাড়ালেই বাড়বে , ওটাকে বাড়তে দিস না...”।
“হ্যা” শব্দটা অনেকেই বলতে পারেন “না”-এর যুগে । মজাটা ওখানেই ! মুখোশ পরা “ হ্যা নিশ্চয়”, “হ্যা হ্যা”, “হ্যা আসবে”, “হ্যা নিশ্চয় দেখব” –এরা কিন্তু বহাল তবিয়তে ঘড় সংসার পেতে দিব্যি আছে । আমি সত্তরের উদ্যাম দশকের একদম অন্তিম লগ্নের মানুষ । নীল’দা সাউথ পয়েন্ট স্কুলের ’৭৬ –এর প্রথম মাধ্যমিকের ব্যাচ । দশক গত চিন্তা ধারার অনেক অমিলের মাঝে মিলটা কোথাও যে রয়েছে পরে সেটা অনুভব করি ।
শব্দ জালের সুতো বা বুনোট দিয়ে জীবনের আবেগগুলোকে মারার সেই উন্নাসিক নৃত্য তুলনামূলক ভাবে কমই ছিল – কথাটার সাথে সহমত হয়েছিলাম , বুঝেছিলাম মিল খাওয়ার লয়টা এখানেই হয়ত লুকিয়ে ছিল । Photogenic Brain নীল’দাও , তার প্রাথমিক Shabby জীবনযাত্রায় সাদা ও কালোর মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে তা , বোধগম্য করার নিরেট বুধ্যিটা কম করেই রেখেছিলো । না হলে এত সুন্দর ভাবে বৃষ্টির জলে মুছে যাওয়া রেজাল্ট কার্ডের পাশে অনায়াসে পেন দিয়ে ৫ এর আগে ৭ বসিয়ে দিতে পারত না ! খেলা ভাঙার খেলা বরাবরের অভ্যাস ।
নীল’দাকে নিয়ে লেখার শক্তি যে নেই তা নয় । কোন দিকটা নিয়ে লিখব সেটাই বড্ড জটিল লাগে এখন ! ওর সম্পর্কে কিছু লেখার আবেদন আগেও এসেছে । কিন্তু তা এতকাল পরম স্নেহে এড়িয়ে গেছি । যদিও আমি সমালোচক, সমাজ সচেতক , অন্ধ-ভক্ত এইসব ভারী শব্দ ভান্ডারকে আমার কাঁধে বোঝা হিসাবে চাপাতে চাইও না , যা হয়ত বুঝেছিল নীল’দা । চাওয়া পাওয়া সবার জীবনের এক আদিম প্রবৃত্তি । কিন্তু সেই প্রবৃত্তি যে তার পেশাদারী জীবনে প্রভাব ফেলবে না , সেটা কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছিল । তাই হয়ত তার জীবনে দু-তিন দিন সময় পেয়েছিলাম ।
এতসব কেন লিখছি তার কোন উদ্দেশ্য আছে কিনা জানি না ! তবে এটা ঠিক , নীল’দার থুড়ি “ঋতু” নাম চালিয়ে বর্তমানে যখন কীংম্ভূতমার্কা তথাকথিত চলচিত্র বা নাটকের পোষ্টার - হলের দেওয়াল, সোশ্যাল মিডিয়ার গ্রুপ থেকে শুরু করে টয়লেটের ফাটা দেওয়ালের গায়ে দেখি তখন একটাই কথা মাথায় ঘোরে – “ঋতু”দা হয়তো কয়েকটি গোষ্ঠীর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়ে পড়েছে !
“ঋতু”-র পরিচালিত একুশ বছরের সিনেমা জীবন হয়ত অনেকের গতিপথকে একটু হলেও সুগম করেছে কিন্তু তা বলে এতটা –ভাবা যায় না ! এ শুধুমাত্র আমার ভাবনা না । অনেক রাত ধরে যখন নীল’দার ছোট্ট বেলার বন্ধুদের সাথে আড্ডা মেরে গেছি তারাও একই আক্ষেপটাই করে গেছে এবং এখন করে যায়ও ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
রবিউল হাসান ০৯/০৬/২০১৮খুব সুন্দর।ঋতু'দা,নীল'দা চির অমর হোক।