www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

বিজ্ঞান ও দর্শনের আলোয় প্রেম ও জীবন - অন্তিম পর্ব


আমরা অনেক সময় আত্মসম্মানে আঘাত খাই নানা কারনে । কখন কষ্ট পাই ভুল বার্তা থেকে মনের অন্দর মহলে আত্মবোধে লাগে সংঘাত । ফলে , আমাদের হয় ব্যবহারিক রূপান্তর । অধিকাংশ মস্তিষ্কসম্পন্ন মানুষই এটা করে থাকেন । ব্যাখ্যা করলে দেখা যায় , এরকম হওয়ার পিছনে “ মানুষ X ” যত না কাজ করে তার থেকেও বেশী কাজ করে “ X ”-মানুষটির Subconscious mind – এর NEGETIVITY+EGO । ফলে , যদি “ X ” মানুস্টি তার কাছে Satisfy না হয়ে থাকে আর তার থেকে যদি সেই কাজের ব্যাপারে সামান্যতম কোথা বলা হয় তখন “ X ”-এর Unsatisfied মনোভাব নাড়া দেয় “ X ”-এর Subconscious –কে । আর মজার ঘটনা ঘটে তখনই , অবচেতন মনের মনের আস্তিন থেকে বেড়িয়ে পরে UNSATISFECTION জনিত মনের অধিবাস্তব জগতের NEGETIVITY আর EGOISM ; ফলে UNSATISFECTION+ NEGETIVITY+EGO = ANGER . আর তার প্রতিফলন ঘটে বিভিন্ন ভাবে তথা রূপে ।
২০১১ সালের ৬ মার্চ , দুপুরটা আজ ভুলি নি । আমরা অনাবশ্যক বলে যা বা যাদের উড়ি্যে দিয়ে থাকি , ঠিক তেমনই এক ডাকাবুকো লোকের সাথে বসে ছিলাম ( এখানে নাম বা স্থানের নাম উল্লেখ করলাম না ) । টেনশনে ছিলাম , সামলাতে পারব কি না ! তবে , ওই দিন এক চরম শিক্ষা বা উপলব্ধি পেয়েছিলাম । শিখলাম , “ সমালোচনা ” শব্দটা কী আর তা কীভাবেই বা আমাদের সঙ্গে যুক্ত । বুঝলাম , নিজের সমালোচনা নিজেরই আগে করা দরকার । আমরা অন্যের মেরুদন্ড দেখি, নিজেরটা কী একবারও দেখতে পাই ! চেষ্টাও করি না । অন্যায় সমালোচনা প্রশংসারই ছদ্মরূপ । এর দ্বারা বোঝা যায় তুমি বা আমি অন্যের মনে ঈর্ষা সৃষ্টি করছ বা করছি । আমি মনে করি অনুপযুক্ত ও অকৃতী লোকের সমালোচনা করে সেই সময়ের অপব্যবহার করে না । আর একটা কোথা , নিরপেক্ষ , সদিচ্ছা – প্রণোদিত সমালচনাকে স্বাগত করাটাই শ্রেয় ।

আমি চতুর্থ পরিছেদে বলেছিলাম সুযোগ হলে ভালবাসা কী তা আমি জানি না ! তবে ভালোবাসাকে অস্বীকার কোনমতেই করতে পারি না । এও লিখেছিলাম প্রেম সম্পর্কে কিছু লিখব বা বলব না , সত্যই কী বলা বা লেখা যেতে পারে প্রেম কী !! হয়ত আমার বিচক্ষণতার অভাব রয়েছে এ বিষয়ে । তবুও , লেখা শেষ করার আগের মুহূর্তে মনে হল একটু কিছু না লিখলেই নয় । “ প্রেম ” অনন্ত ঐশ্বর্যের অধিকারী হয়েও আমাদের জীবনে সুখ-দুঃখের পরপারে নির্বাসন করে দেন নি । নামটা মনে পড়ছে না , কোন এক ইংরেজ কবি বলেছিলেন – “ Too far from the sphere of our sorrow ”। প্রেম সব কিছুকেই ভুলিয়ে দেয় , যে প্রেমে ভেদবুদ্ধি থাকে না , যা নিজেকে সম্পূর্ণ ভাবে ভুলিয়ে দিয়ে চরিতার্থতা লাভ করে , সেটা হল “ ভক্তি ”-“ উৎসর্গ ”।
প্রেমের অপর নাম নিঃস্বার্থ ভক্তি । আশ্চর্যের কথা হল , রক্তমাংসের সংস্রবহীন যে প্রেম , তার দৃষ্টান্ত পৃথিবীতে বিরল । দেহের তৃপ্তির সম্বন্ধ যেখানে আছে , সেখানে প্রেম হয় না , প্রেম সমুদ্রগামী নদীর ন্যায় । উৎপত্তি থেকে মোহনায় আসা পর্যন্ত পরিবর্তিত হতে থাকে গতিপথ , তটভূমি, খাত । কিন্তু যখন সেই স্রোতস্বিনী অসীম সাগরের সাথে মিলিত হয় ঠিক সেই সন্ধিক্ষণে ভুলে যায় তার ফেলে আসা অতীতকে , সামনে শুধুই দুর্ভেদ্য প্রহেলিকার মত অনন্তের প্রতীকরূপ “ মহাসমুদ্র ”।
কলমকে আপাতত ভাবে থামানোর আগে বলি , আমরা ভালোবাসা রূপ সীমার মধ্য দিয়ে প্রচেষ্টা করি প্রেম রূপ অসীমে মিলিত হওয়ার । কবি ও অপরাধ মনোবিদ মি. সালজ বার্গারের কয়েকটি কথার বঙ্গানুবাদ দিয়ে শেষ করলাম –
“ পথের দিশারী করুণা ঘণ
আলোকচ্ছটা হে আমার –
নিজ পদ নির্ভর রেখ মোরে ।
বহুদূরে আছে যা , দূরেই থাক তা ,
এক পদ দূরের দৃশ্য যথেষ্ট
আমার কাছে...।।”
( শেষ )
বিষয়শ্রেণী: প্রবন্ধ
ব্লগটি ৬৬৫ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০৩/০৬/২০১৮

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast