বিজ্ঞান ও দর্শনের আলোয় প্রেম ও জীবন - পর্ব ২
৪
আপাতত প্রেমকে খুবই সন্তর্পণে ভালবাসা থেকে পৃথক করেছি । “ প্রেম ” অতি পবিত্র ও দুষ্কর । “ বৈষ্ণব পদাবলী ”-র বৈষ্ণব শাস্ত্রকারেরা প্রেমের যে বর্ণনা দিয়েছেন তা অতি তাৎপর্যবাহী ও গুরুত্বপূর্ণ ; যা আমি একান্তভাবে বিশ্বাস করি । “ ভালবাসা ” বরং অতি সহজ প্রেমের তুলনায় । এর কিঞ্চিত বিশ্লেষণ পরে করা হবে ।
দীর্ঘ বছর ছাত্র ছাত্রী তথা নানা কাজ করার দৌলতে
বিভিন্ন পরিবেশ-মানুষের আত্মার সংস্পর্শে এসে একটা জিনিষ বারংবার উপলব্ধি করি –
ন-দশ মাস গর্ভে ধারণ করার পর মা তার শিশুটিকে পৃথিবীর আলোর সাথে পরিচয় ঘটায় । মাতৃ-জঠরের নির্নিমেষ আঁধার থেকে প্রথম সূর্যালোক যখন সেই ছোট্ট শিশুটির নিষ্পাপ দেহে স্পর্শ দেয় , তখন সেই শিশুটি তার মুঠো করা করপল্লবের মথ্যে প্রথম আলোর বদলে পৃথিবীর সমগ্র সুখকে আহরণ করতে চায় অবচেতন ভাবে । যেন বলতে চায় –
“ এ আমার পৃথিবী , আমার জগত
সুখ এস হে আমার হৃদ মাঝে ।”
শৈশব থেকে সে যখন মাতৃ-জঠর ঠেকে নির্গত রক্তের লালিমা বিধৌত করে ধীরে ধীরে অভিজ্ঞতার ঞ্জানবোধি হয়ে বার্ধক্যের দিকে এগিয়ে চলে । তখন শৈশবের মুঠো করা কর অলক্ষ্যে কখন খুলে যায় তার হয়ত খেয়ালই থাকে না । বৃদ্ধ পাড়ি দেয় কোন এক “ ঈশ্বরকণা ”র খোঁজে । যাকে আমি বলি প্রত্যাগমন । এক সময় চ্যালেঞ্জ সে জানিয়েছিল – হে ধরিত্রী তোমার সকল “ সুখ ” থাকবে হাতের মুঠোয় ! কিন্তু হায় , মুঠি আজ খলা, শিথিল । উন্মুক্ত দ্বারের মত কথায় যেন এসেও চলে গেছে “ সুখ ” পাখি । সুখ এসেছিল, আবার মনের অবচেতনেই আঙুলের ফাঁক দিয়ে গলেও গেছে ।
বস্তুত , “ সুখ ” নামক বস্তুটি আসে সকলের কাছে ধরা দিতে কিন্তু , মজার বিষয় হল , আমরা তা অনুমান বা অনুধাবন করতে না পেরে “ সুখী হলাম না ” বলে অনুশোচনা জীবনভর করে যাই ।
রামায়নের একটি ইংরাজি অনুবাদের এক জায়গায় পড়েছিলাম – Once Sri Hanuman told Sri Rama ( As per Hindu Mythology), “ When I think I’m an individual – when I’m in the ‘ BODY CONSCIOUSNESS ’, I’m a part of YOU ( RAMA )…. And I’m in the ‘ BEING CONCIOUSNESS ’ – when I’m my SELF – then I’m YOU . There is no difference between YOU and ME”.
৫
লক্ষ্যনীয় , “ তুমি-আমি ”, “ সত্য-মিথ্যা ”, “ হ্যা-না ” ছাড়া জগতের অস্ত্বিতই নেই । আমাদের ছড়ানো ছিটানো মনোভাবকে কিঞ্চিৎ উপলব্ধি করেই বিশ্লেষিত করলাম । আসলে , “ বাস্তব ” বা Practical হওয়ার কোথা আমরা প্রায়ই শুনে থাকি ; চিন্তা করলাম “ অবাস্তব ” বা Impractical – এর সংগাটাই বা কী ? আমরা জানি অঙ্কে step jump করলে নম্বর কাটা যায় । ঠিক তেমনই , আমাদের মনের মধ্যে তিনটি স্তর আছে – “ বাস্তববাদ ”( practical stage ), “ অধিবাস্তববাদ ” ( Surrealistic Stage ) এবং “ অবাস্তববাদ ” ( Impractical Stage ); ঠিক যেন ট্রেনের একটি বগির সঙ্গে আর একটি যুক্ত । একটি বাদ দিয়ে অন্যটিতে চলে গেলে যেমন অঙ্কের step jump-এর মত ভুল হয়ে যায় , ঠিক তেমনই মনের স্তরগুলিকে সম্মান না জানিয়ে যদি লাফ দিয়ে ফেলি তাহলে জীবনের খাতায় হয়ে যায় গরমিল । তাই যুক্তিগত ভাবে অবাস্তবকেও হেয় করা কাম্য না । গভীরভাবে অনুধাবন করলে দেখা যায় অবাস্তবের সাথে বাস্তবও যুক্ত আছে । উদাহরণ হিসেবে , একটি বাইক যেমন চলে পেট্রলে ( শুধু কি পেট্রল ?) সঙ্গে থাকে EMOTION নামক MOBIL ( For mobilize the vehicle ) । এখন সুত্রগুলি যদি মালার মত গাঁথা যায় তাহলে দেখব, পেট্রল ( Practical )+মোবিল ( Emotion )= IMPRACTICAL…. Without Impractical you or we can’t able to reach your or our Practical stage as well as field. বিজ্ঞানের সূত্রপাত হয়েছিল কল্পবিজ্ঞান থেকেই , অর্থাৎ , IMPRACTICAL থেকেই উল্টোপূরাণের জয়যাত্রা ।
( চলবে )
আপাতত প্রেমকে খুবই সন্তর্পণে ভালবাসা থেকে পৃথক করেছি । “ প্রেম ” অতি পবিত্র ও দুষ্কর । “ বৈষ্ণব পদাবলী ”-র বৈষ্ণব শাস্ত্রকারেরা প্রেমের যে বর্ণনা দিয়েছেন তা অতি তাৎপর্যবাহী ও গুরুত্বপূর্ণ ; যা আমি একান্তভাবে বিশ্বাস করি । “ ভালবাসা ” বরং অতি সহজ প্রেমের তুলনায় । এর কিঞ্চিত বিশ্লেষণ পরে করা হবে ।
দীর্ঘ বছর ছাত্র ছাত্রী তথা নানা কাজ করার দৌলতে
বিভিন্ন পরিবেশ-মানুষের আত্মার সংস্পর্শে এসে একটা জিনিষ বারংবার উপলব্ধি করি –
ন-দশ মাস গর্ভে ধারণ করার পর মা তার শিশুটিকে পৃথিবীর আলোর সাথে পরিচয় ঘটায় । মাতৃ-জঠরের নির্নিমেষ আঁধার থেকে প্রথম সূর্যালোক যখন সেই ছোট্ট শিশুটির নিষ্পাপ দেহে স্পর্শ দেয় , তখন সেই শিশুটি তার মুঠো করা করপল্লবের মথ্যে প্রথম আলোর বদলে পৃথিবীর সমগ্র সুখকে আহরণ করতে চায় অবচেতন ভাবে । যেন বলতে চায় –
“ এ আমার পৃথিবী , আমার জগত
সুখ এস হে আমার হৃদ মাঝে ।”
শৈশব থেকে সে যখন মাতৃ-জঠর ঠেকে নির্গত রক্তের লালিমা বিধৌত করে ধীরে ধীরে অভিজ্ঞতার ঞ্জানবোধি হয়ে বার্ধক্যের দিকে এগিয়ে চলে । তখন শৈশবের মুঠো করা কর অলক্ষ্যে কখন খুলে যায় তার হয়ত খেয়ালই থাকে না । বৃদ্ধ পাড়ি দেয় কোন এক “ ঈশ্বরকণা ”র খোঁজে । যাকে আমি বলি প্রত্যাগমন । এক সময় চ্যালেঞ্জ সে জানিয়েছিল – হে ধরিত্রী তোমার সকল “ সুখ ” থাকবে হাতের মুঠোয় ! কিন্তু হায় , মুঠি আজ খলা, শিথিল । উন্মুক্ত দ্বারের মত কথায় যেন এসেও চলে গেছে “ সুখ ” পাখি । সুখ এসেছিল, আবার মনের অবচেতনেই আঙুলের ফাঁক দিয়ে গলেও গেছে ।
বস্তুত , “ সুখ ” নামক বস্তুটি আসে সকলের কাছে ধরা দিতে কিন্তু , মজার বিষয় হল , আমরা তা অনুমান বা অনুধাবন করতে না পেরে “ সুখী হলাম না ” বলে অনুশোচনা জীবনভর করে যাই ।
রামায়নের একটি ইংরাজি অনুবাদের এক জায়গায় পড়েছিলাম – Once Sri Hanuman told Sri Rama ( As per Hindu Mythology), “ When I think I’m an individual – when I’m in the ‘ BODY CONSCIOUSNESS ’, I’m a part of YOU ( RAMA )…. And I’m in the ‘ BEING CONCIOUSNESS ’ – when I’m my SELF – then I’m YOU . There is no difference between YOU and ME”.
৫
লক্ষ্যনীয় , “ তুমি-আমি ”, “ সত্য-মিথ্যা ”, “ হ্যা-না ” ছাড়া জগতের অস্ত্বিতই নেই । আমাদের ছড়ানো ছিটানো মনোভাবকে কিঞ্চিৎ উপলব্ধি করেই বিশ্লেষিত করলাম । আসলে , “ বাস্তব ” বা Practical হওয়ার কোথা আমরা প্রায়ই শুনে থাকি ; চিন্তা করলাম “ অবাস্তব ” বা Impractical – এর সংগাটাই বা কী ? আমরা জানি অঙ্কে step jump করলে নম্বর কাটা যায় । ঠিক তেমনই , আমাদের মনের মধ্যে তিনটি স্তর আছে – “ বাস্তববাদ ”( practical stage ), “ অধিবাস্তববাদ ” ( Surrealistic Stage ) এবং “ অবাস্তববাদ ” ( Impractical Stage ); ঠিক যেন ট্রেনের একটি বগির সঙ্গে আর একটি যুক্ত । একটি বাদ দিয়ে অন্যটিতে চলে গেলে যেমন অঙ্কের step jump-এর মত ভুল হয়ে যায় , ঠিক তেমনই মনের স্তরগুলিকে সম্মান না জানিয়ে যদি লাফ দিয়ে ফেলি তাহলে জীবনের খাতায় হয়ে যায় গরমিল । তাই যুক্তিগত ভাবে অবাস্তবকেও হেয় করা কাম্য না । গভীরভাবে অনুধাবন করলে দেখা যায় অবাস্তবের সাথে বাস্তবও যুক্ত আছে । উদাহরণ হিসেবে , একটি বাইক যেমন চলে পেট্রলে ( শুধু কি পেট্রল ?) সঙ্গে থাকে EMOTION নামক MOBIL ( For mobilize the vehicle ) । এখন সুত্রগুলি যদি মালার মত গাঁথা যায় তাহলে দেখব, পেট্রল ( Practical )+মোবিল ( Emotion )= IMPRACTICAL…. Without Impractical you or we can’t able to reach your or our Practical stage as well as field. বিজ্ঞানের সূত্রপাত হয়েছিল কল্পবিজ্ঞান থেকেই , অর্থাৎ , IMPRACTICAL থেকেই উল্টোপূরাণের জয়যাত্রা ।
( চলবে )
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ০২/০৬/২০১৮
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ০২/০৬/২০১৮দা...
চমৎকার, ঐতিহাসিক গবেষণামূলক প্রবন্ধ
শিখছি ও অনেক।