www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

বিজ্ঞান ও দর্শনের আলোয় প্রেম ও জীবন - ১ ম পর্ব

কিছু কথা লিখতে বসলেই, আমার জীবনযাত্রার নানা বাধার মতোই আমার সঙ্গী কলমটিও আজকাল যায় থেমে ; বুঝতে পারি না কোথা থেকে এর শুরু করব আর এর শেষই বা হবে কোথায় ! এতটুকু বুঝি আমাকে লিখতে গেলে বিগত দিনের হলদেটে পাতাগুলো উন্মোচিত করতেই হবে । তবে এটা ভেবে না বসাই ভাল , জীর্ণ কথাগুলোকে কবর থেকে তুলে নিয়ে আসব । কিন্তু কোথা প্রসঙ্গে যদি চলেই আসে তাই প্রারম্ভিক ভাবে যাত্রারম্ভে গৌরচন্দ্রিকা সেরে নিলাম ।
আমাদের অনেক সময় অভিযোগ থাকে যে আমি আমার “মহানত্বকে” প্রকাশ করি ; বাস্তবিকভাবে চিন্তা করে দেখেছি আমার মহানত্ব বা সোজা কোথায় জাহির করাটায় কোন ক্ষতি নেই কাররই । আমিই “ঈশ্বর” , আমিই আবার “মান-হুঁশ” । আমি ব্যাক্তিগত ভাবে বিশ্বাস করি আমার ঈশ্বরত্বকে । বিশেষত , ঈশ্বর বলতে আমি এর মানে কখন খুজে পাই আবার কোন সুদূরে হারিয়ে যাই, আমার ঈশ্বরত্ব তথা মহানত্বকে খোঁজার তাগিদে । অলক্ষ্যে দেখি – ‘ আমিই , তুমিই ’ , সেই “ঈশ্বর” বা GOD । GOD শব্দটা বিন্যাস করলে দেখা যায় যে , GOD stands for Generator , Operator and Destroyer . The present moment has generated, the present moment is operating, and the present moment destroyed the “Past”. So, I’m GOD and GOD is in me.

সাধারণত কোথা বলের সম্য আমি, “আমি” বা “আমার” শব্দটা খুবই ব্যবহার করি । মূলত, “আমি ( I ) কি” বা “আমি কে ?”( WHO AM I ) – এ সকলের উত্তর খোঁজার নিরন্তর প্রচেষ্টা করেছি মাত্র । উত্তর আজ পাই নি । তবে এটা স্বীকার্য যে , If , I consider I’m just the body , it’s not possible , because, the body has its limitations . If I think I’m just the mind, that’s also not possible, because the mind is another layer, and has its limitations. Now, if I know that I’m SILENCE, or that I’m SPACE, then it’s possible, for GOD is also SPACE. SPACE is GOD (I already define the word GOD). যা লিখলাম, তা আমার উষ্ণমস্তিষ্ক প্রসূত নয় , ঠাণ্ডা মাথায় আমার যৌক্তিকতার মৌলিক দৃষ্টির প্রকাশ করেছি মাত্র । আমার যুক্তি সঙ্গে তোমার যুক্তির মিল নাও থাকতে পারে । বা , আমার মহানত্ব , ঈশ্বরত্ব শুধুই আমার নয় , সকলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতেও পারে ।
অন্যদিক দিক দিয়ে আমাদের জীবনধারাকে বিচার করলে খুঁজে পাই “ ঈশ্বরকণা ”র মত আবিষ্কৃত ফিজিক্সকে আমাদের মধ্যে । living from the depth of life , not getting stressed in any situation or circumstance , being able to influence circumstances and enlightment . Enlightment is not an achievement because our very nature is enlightment! Rather, getting rid of ignorance is an achievement – getting rid of all stress and tensions. As an example, you consider the skin of an orange as being human, the inside pulp as being Devine and the packaging in which it comes, as being stress, tension or ego .
Animals are blissful. They have no problems. The Devine has no problems either! It’s in the human, in between, who has all the problems – sometimes this or that. This is the nature of the human mind… । একটু গভীর ভাবে খেয়াল করলে আমরা দেখি, দশটা ভালো আর একটা ছোট্ট মন্দ যদি আমাদের গতিপথে করে থাকি, মজার বিষয় সব ভুলে গিয়ে ওই একটিমাত্র মন্দ হাজার ভালর মাঝেও উজ্জ্বল হয়ে থাকে ।
আমাদের EGO বা আত্ম-অহং (নেতিবাচক অর্থে ) আর ANGER বা ক্রোধ কি ? এক বিসেস জায়গায় পড়েছিলাম , Anger is meaningless because it is always about something that has already happened , mean past . সত্যই রাগ হল অতীত , যেমন , একজন ব্যাক্তি কাঁচের গ্লাস ভেঙে ফেলল, আমরা মাথা গরম করে , রেগে বলে ফেলি, “ কি ! দেখে কাজ করতে পার না ...। কিন্তু ভাবি না যা ঘটার তা ঘটে গেছে , সুতরাং, এটা শেষ, এখন রাগ সম্পূর্ণ অর্থহীন ।

“ শ্রীমদ্ভাগবতগীতা ” –র দু’টি শ্লোক আলচনা প্রসঙ্গে আমি উল্লেখ করব । কারণ এই শ্লোক দ্বয়’কে কথাক্রমানুসারে যুক্তিযুক্ত বলে মনে করি । “ গীতা “-তে কৃষ্ণ অর্জুন’কে বলছেন –
“ যতঃ প্রবৃত্তিভূর্তানাং যেন সর্বমিদং ততম ।
স্বকর্মণা তমভ্যচ্য সিদ্ধিং বিন্দতি মানবঃ ।।”
- অর্থাৎ , বরফ যেমন জলের মধ্যে পরিব্যপ্ত , তেমনই সমস্ত জগত সচ্চিদানন্দ ( সৎ+ চিদ+ আনন্দ= প্রেম) পরমাত্মাতেও ( GOD = As I told ) পরিব্যপ্ত আছে । অর্থাৎ , জগত সত্য প্রেমের দ্বারা সমাদৃত ও আচ্ছন্ন ।
প্রেমের ( ভালবাসা নয় ) প্রসঙ্গে “ গীতা”-য় আছে –
“ শ্রেয়ান স্বধর্ম বিগুণঃ পরধর্মাৎ স্বনুস্থিতাৎ ।
স্বভাবনিয়াৎ কর্ম কুর্বন্নাপ্নোতি কিল্বিষম ।”
অনেক সময় অন্যের ‘ মহান ’ করার লক্ষণকে আমরা চোখ খুলে খোঁজার চেষ্টা করি , সমালোচিতও হই ; একটাই কথা এ ক্ষেত্রে বলা যেতে পারে , স্বভাব নির্দিষ্ট স্বধর্মরূপ কাজে মানুষের ‘ পাপ ’ হয় না । ভাবতে পারো , এতে প্রেমের কী সম্পর্ক রহিত আছে আর মহানত্ব নিজগুণে উদ্ভাসিত হবে , স্ব-মুখে জাহির করার প্রয়োজনীয়তা কী ? সঠিক চিন্তা । তবে পূর্বে বরনিত অংশগুলিকে একের পর এক যোগসূত্রে বাঁধলে আমার এই অনুচ্ছেদের কিছুটা অনুধাবন করা যেতে পারে । রবীন্দ্রনাথের একটি গানের অংশ এই আত্ম-বিশ্লেষণের জন্য প্রণিধানযোগ্য –
“ যদি তোর ডাক শুনে কেই না আসে
তবে একলা চলো রে ।”
( চলবে )
বিষয়শ্রেণী: প্রবন্ধ
ব্লগটি ৬২৭ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০১/০৬/২০১৮

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast