www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

নীলকুঠি ও নীল আন্দোলনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস- ষষ্ঠ পর্ব

নীলকর শিবনাথঃ নায়ক, না খলনায়ক?

খুলনা জেলার ইলাইপুর তালুক পত্তনি নিয়ে রেনি নীলের কারবার শুরু করেন। তিনি ছিলেন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর প্রাক্তন একজন সৈনিক। এই রেনি তার ভয়ঙ্কর অত্যাচারের কারণে দ্রুত কুখ্যাত হয়ে ওঠেন। তার পেয়াদা বাহিনির ভয়ে কুঠির সামনে দিয়ে দিনের বেলায়ও লোক চলাচল করত না। খুলনায় এমন প্রবাদও প্রচলিত ছিল,
শ্বশুর বাড়ি যাবার আগে
রেনি সায়েবের গাঁতা পাবে,
খড় কাটিতে হবে মাঠে
জাল হাতে দাঁড়াও ঘাটে।
রেনি এভাবে পথচারীদের ধরে কুঠির কাজ করিয়ে নিত, আর এই 'কাজ করিয়ে নেবার' সময়কাল কখনও কখনও সাত-আট দিন স্থায়ী হত। তার অত্যাচারে আশেপাশের গ্রামের রায়েতরা পালিয়ে যায়। রেনির কুঠির পাশে আরেক নব্য দেশি নীলকর শিবনাথ কুঠি স্থাপন করেন। ইনিও একজন অত্যাচারী নীলকর ছিলেন। রেনি প্রতিযোগিতা পছন্দ করতেন না, তিনি তার পাইক পেয়াদা বাহিনী পাঠিয়ে দেন শিবনাথের কুঠি পুড়িয়ে দিতে। শিবনাথ তার নিজের পাইকদের নিয়ে সে আক্রমণ প্রতিহত করেন। শুরু হয় দুপক্ষের মাঝে মারামারি।
রেনির পক্ষে ছিল প্রাক্তন 'গোরা' সৈনিক এবং দেশি পেয়াদা নিয়ে পাঁচ হাজারের বেশি যোদ্ধা নিয়ে গঠিত বাহিনী। আর শিবনাথকে মানুষ প্রথমে সমর্থন করেনি, কিন্তু সময়ের সাথে মন্দের ভাল হিসেবে তাকেই মানুষ সমর্থন করা শুরু করে। তার পক্ষে আসে বিখ্যাত সব লাঠিয়াল- সরদার সাদেক মোল্লা, গহরতুল্লাহ, খান মাহমুদ, ফকির মাহমুদ, আফাজুদ্দিন, তিলকের রামচন্দ্র মিত্র, বাহিরদিয়ার চন্দ্রকান্ত দত্ত, পানিঘাটের ভৈরবচন্দ্র মিত্র ও গৌরচন্দ্র ধোপা ইত্যাদি। সাধারণ চাষি ও সহায়-সম্বলহীন কৃষকেরা তাঁকে সমর্থন করতে থাকে। শিবনাথ ও রেনির মাঝে খণ্ডযুদ্ধ লেগেই থাকত। তাঁদের যুদ্ধ নিয়ে জারিগানও গাওয়া হয়-
চন্দ্র দত্ত রণে মত্ত, শিব সেনাপতি
গহরতুল্লাহ গেলে গোলা, ছুঁড়ে মারে হাতি।
সাদেক মোল্লা লাঠিয়ে গোলা রেনির দর্প করলে চুর
বাজিল শিবনাথের ডঙ্কা ধন্য বাঙালি বাহাদুর।
খান মাহমুদ সরকি চালে যেন কামানের গুলি
দিশেহারা রেনির গোরা চক্ষুভরা ধূলি।
দুই প্রতিপক্ষের কুঠিই বারবার লুণ্ঠিত হয়, কুঠি ধ্বংস করে দেওয়া হয়। রাতের বেলা রেনি শিবনাথের কুঠির গোলা ও নীলগুদাম ধ্বংস করে দিল তো পরের দিন সকালেই শিবনাথ রেনির নীলবোঝাই নৌকাবহর ডুবিয়ে দিল। এদের মারামারি থামাতে সরকার নয়াবাদ থানা ও খুলনা মহকুমা স্থাপন করে, সরকারি সেনার সংখ্যা বৃদ্ধি করে। কিন্তু দুই দলের দাঙ্গাবাজি ও লাঠিবাজির মাঝে পড়ে সরকারি বাহিনী দুই মাসও টিকতে পারেনি। ১৮৫৫ সালে শিবনাথের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এভাবেই চলতে থাকে। শিবনাথ মারা যাবার পর তার বাহিনী শেষ মরণকামড় দেয়। এই আঘাত রেনির বাহিনী ঠেকাতে পারেনি, তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। এই নিয়েও প্রবাদ চালু হয় - 'দেখিয়া শিবের ভঙ্গি, পলাইল দীনেশ সিঙ্গি।' আর সেই সাথে নীল চাষও খুলনা থেকে উঠে যায় ।
সতী আরতি দেবীঃ সতীর অভিশাপ

সাধুহাটির জমিদার মথুরানাথ আচার্য ছিলেন নীল চাষের ঘোর বিরোধী এবং এই কারণে সিন্দুরিয়া কুঠির জমিদার ম্যাকনেয়ারের পরম শত্রু। ম্যাকনেয়ার কিছুতেই আচার্যকে বাগে আনতে না পেরে তার পরিবারের ওপর শোধ তুলবার পরিকল্পনা করে। তাঁকে বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয় নি। জমিদার পুত্রবধূ আরতি দেবী স্বামী অমরনাথের সাথে জমিদারি নৌকা 'ময়ূরপঙ্খি' করে বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁদের সাথে ছিল দুই মাঝি তারিণী ও রোহিণী পাটনি এবং দুই বেহারা শম্ভু ও হাজারি সরদার। অকস্মাৎ ম্যাকনেয়ার তার বাহিনী নিয়ে তাঁদের ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ম্যাকনেয়ারের বন্দুকের গুলিতে অমরনাথ মারা যান। আরতি দেবী হুঙ্কার দিয়ে ওঠেনঃ ভয় কি শম্ভু, হাজারি? ভগবান আছেন, লাঠি চালাও! কিন্তু হাজারি একাই রুখে দাঁড়ায়, বাকিরা নদীতে ঝাঁপিয়ে প্রাণ বাঁচায়। এই অসম যুদ্ধে একসময় হাজারি পরাজিত হয়। আরতি দেবীকে ম্যাকনেয়ার ধর্ষণ করে; তার নাক, কান ও স্তন কেটে নেয়। মৃত্যুর আগে আরতি দেবী অভিশাপ দিয়ে যানঃ 'এই পাপের আগুনেই যেন সবংশে পুড়ে মরিস'। পরেরদিন ভোরবেলা আরতির মৃতদেহ ম্যাকনেয়ারের কুঠি থেকে সামান্য দূরে বটতলায় বেতবনের কোলে আবিষ্কৃত হয়। আচার্যরা সম্মান ও মর্যাদার কথা ভেবে প্রচার করেন, মৃত মহিলা তাঁদের কেউ হয় না।
এই ঘটনার পর মথুরানাথ সর্বসমক্ষে বিপ্লবীদের সাথে একাত্মতাবোধ প্রকাশ করেন ও সরাসরি নীলচাষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। তার সাথে রইস খান, জমিদার শ্রীহরি রায় সহ আরও অনেকে যোগ দেন। ছয় মাস পরে, তারা একজোট হয়ে ম্যাকনেয়ারের কুঠিতে হামলা চালান। ম্যাকনেয়ার পালিয়ে যায়, কিন্তু কুঠিতে তার একমাত্র মেয়ে ইভা আগুনে পুড়ে মারা যায়। বারো দিন পরে, বিপ্লবী দল ম্যাকনেয়ারকে ধরতে সক্ষম হয়। মথুরানাথ ম্যাকের ঘাড়ে গুলি করেন। গুরুতর আহত ম্যাক মথুরানাথের সেই 'ময়ূরপঙ্খি' নৌকায় উঠে পালাতে চেষ্টা করে। মথুরানাথের আদেশে নৌকাসহ ম্যাকনেয়ারকে পুড়িয়ে মারা হয়।
সতী আরতি দেবীর অভিশাপে এভাবেই ম্যাকনেয়ার স্ববংশে পুড়ে মরে ।
সশস্ত্র বিদ্রোহের শুরু ও কিছু ঘটনা

কৃষকেরা অসহযোগ আন্দোলনের এক পর্যায়ে নীলচাষে অস্বীকৃতি জানিয়ে হাজার হাজার চুক্তিপত্র পুড়িয়ে ফেলে ও নীলবীজ নদীতে নিক্ষেপ করে। এতে নীলকরদের কুঠিয়ালরা শক্ত অবস্থানে চলে যায়। তারা পুলিশের সাহায্যে হাজার হাজার কৃষককে গ্রেফতার করে, তাঁদের বাড়িঘর ক্রোক করে নেয়, ভিটেমাটি থেকে উৎখাত করে এবং শত শত দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা দায়ের করে। গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শরৎকাল ধরে তাঁদের ওপর অত্যাচার চালান হয়। আর এটাই ছিল নীলকরদের বড় ভুল। এই অত্যাচারে কৃষক শ্রেণী ফুঁসে ওঠে, এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে শীতের মধ্যভাগ থেকে শুরু হয় নীলকরদের ওপর সশস্ত্র পাল্টা আক্রমণ ।

[ চিত্র ৪ ]

কিন্তু সমস্যা হল, তখন না ছিল সংবাদপত্রের সংবাদ আদান প্রদানের সুব্যবস্থা, না ছিল উন্নত যোগাযোগব্যবস্থা। তাই কত শত খণ্ডযুদ্ধ হয়েছে, তার মাঝে দু একটার খবর পত্রিকায় এসেছে। আর যারা খবর ছাপতেন, তারাও শ্রেণীস্বার্থের দিকে লক্ষ্য রেখেই ছাপতেন। তাই এই বিদ্রোহের খুঁটিনাটি বর্ণনা পাওয়া সম্ভব হয় নি। তবু কতগুলো আলোচিত ঘটনার বর্ণনা দেওয়া হল [ চিত্র ৪ ]


কিছু বাক্যে বিদ্রোহের কারণসমূহ

নীল চাষ শুরু হয় এবং লুইস বোনার্ডকে প্রথম নীলকর মনে করা হয়। উনিশ শতকের প্রথম ভাগে ইংল্যান্ডে শিল্প বিপ্লবের ফলে সেখানকার বস্ত্র-শিল্পে নীলের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছি। বাংলায় ব্রিটিশ ক্ষমটা সম্প্রসারণের সাথে সাথে নীল চাষের এলাকা বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এলাকায় বিস্তৃত করে। নীলকররা কৃষকদের উৎকৃষ্ট জমিতে নীল বুনতে বাধ্য করত। নীল ছাড়া অন্য কোনো শস্য উৎপাদন করতে দিত না। দাদনের টাকা নেওয়ার সময় শর্তসাপেক্ষে চুক্তিপত্রে টিপ সই দিতে হতো আর চুক্তি অনুযায়ী কাজ না করলে চাষির ওপর চালানো হতো অকথ্য অত্যাচার। ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে সরকার এক আইন জারি করেছিল যাতে নীলকররা আরও শক্তিশালী ও আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। নীল চাষ করতে না চাইলে কৃষকদের ওপর বিভিন্নভাবে নির্যাতন চালানো হতো। যেসব কৃষক অত্যাচারের ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতেন, তাদের ভিটেমাটিতে নীল চাষ করা হত। কারও কারও গৃহ-বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হত। প্রতিটি নীলকুঠিতে ছিল কয়েদখানা। অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় নীল চাষের বিরুদ্ধে চাষীরা ঐক্যবদ্ধ হতে শুরু করে এবং চারদিকে বিদ্রোহের সুত্রপাত ঘটে। মধ্যবিত্ত সমাজ কৃষকদের আকুন্ঠ সমর্থন দিয়েছিল। হরিশ্চন্দ্র মুখোপাধ্যায়, তার সংবাদপত্র দি হিন্দু প্যাট্রিয়ট-এ গরিব কৃষকদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেন। এরপর, দীনবন্ধু মিত্র নিবন্ধ পাঠ করেন এবং নীল দর্পণ নাটকের মাধ্যমে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরেন। নাটকটি ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি করে।
বিদ্রোহ
তৎকালীন নদীয়া, বর্তমানে বাংলাদেশের যশোর জেলায় চৌগাছায় সর্বপ্রথম বিদ্রোহ দেখা দেয় বিষ্ণুচরণ বিশ্বাস ও দিগম্ভর বিশ্বাসের নেতৃত্বে। বিদ্রোহ দ্রুত বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম মুর্শিদাবাদ পাবনা ও খুলনায় ছড়িয়ে পড়ে। কিছু নীলকরের বিচার করা হয় এবং ফাঁসি দেয়া হয়। কৃষকরা বহু নীলকুঠি ভেঙে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়। নীলকরদের মাল বহনের যোগাযোগের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। সশস্ত্র কৃষকরা সরকারি অফিস, স্থানীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছারি প্রভৃতির ওপর আক্রমণ চালায়। এই বিদ্রোহে হিন্দু-মুসলমান কৃষকরা ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে যোগ দিয়েছিল। নীল বিদ্রোহ কঠোরভাবে দমন করা হয়। ব্রিটিশ সরকারের ও কিছু জমিদারের সমর্থন নিয়ে পুলিশ এবং সামরিক বাহিনীর দিয়ে কিছু কৃষকের উপর অত্যাচার করা হয়। যদিও এই বিদ্রোহ ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়, যাতে প্রায় পুরা বাংলা জড়িয়ে পড়ে। নদীয়ার বিশ্বাস ভাতৃদ্বয়,বিশ্বনাথ সর্দার, পাবনার কাদের মোল্লা, মালদার রফিক মণ্ডল জনপ্রিয় নেতা ছিলেন।


নীল সাহেবদের নানা চিঠির আদান প্রদান

এরকম হাজার হাজার ঘটনা পুরো বাংলা জুড়েই ঘটতে থাকে। কৃষকেরা রাগে ক্ষোভে পাগল হয়ে ওঠে। সারা দেশের এমন পরিস্থিতি এবং নীলকরদের বেহাল অবস্থা দেখে অবশেষে সরকারের টনক নড়ে। বড় বড় লর্ডেরা 'বাণী' দিতে থাকেন। বাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্নর জন পিটার গ্রান্ট লেখেন [ চিত্র ৫ ],
‘শত সহস্র মানুষের বিক্ষোভের এই প্রকাশ যা আমরা বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ করছি, তাঁকে কেবল একটা রং সংক্রান্ত অতি সাধারণ বাণিজ্য-প্রশ্ন না ভেবে গভীরতম সমস্যা বলেই ভাবা উচিৎ। যারা এটি করতে ব্যর্থ, তারা সময়ের ইঙ্গিত ধরতে পারছেন না বলে আমার ধারণা ।’
ব্রিটিশ জমিদার ও বণিক সমিতির সভাপতি ম্যাকিন্টশ ১৮৬০ সালের জুলাই মাসে ভারত সচিব চার্লস উডকে এক চিঠিতে লেখেন,
‘ গ্রামাঞ্চলে অবস্থা বর্তমানে সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খল। কৃষকেরা তাঁদের ঋণ ও চুক্তিপত্র অস্বীকার করেই ক্ষান্ত হচ্ছে না, মহাজন ও মালিক ইংরেজদেরকে দেশ থেকে বিতাড়ন করে হৃত সম্পত্তি পুনরুদ্ধার এবং সকল ঋণ রদ করাই তাঁদের উদ্দেশ্য।'
বড়লাট লর্ড ক্যানিং নীল বিদ্রোহের দুই মাস পরে ইংল্যান্ডে চিঠি লিখেন,
'নীল চাষিদের বর্তমান বিদ্রোহের ব্যাপারে প্রায় এক সপ্তাহকাল আমার এতই উৎকণ্ঠা হয়েছিল যে, দিল্লির ঘটনার (১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহ) সময়ও আমি এতটা চিন্তিত হই নি। আমি সব সময় চিন্তা করেছি যে যদি কোন নির্বোধ নীলকর ভয়ে বা ক্রোধে একটি গুলিও ছোঁড়ে, তাহলে সেই মুহূর্তেই দক্ষিনবঙ্গের সমস্ত কুঠিতে আগুন জ্বলে উঠবে।'

[ চিত্র ৫ ]
নিজেরা রক্ষা পেতে নীলকরেরা ১৮৬০ সালের মার্চ মাসে বাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কাছে স্মারকপত্র দেয়। সেখানে তারা জানায়,
'কৃষককুল সংগঠিতভাবে বিদ্রোহী হয়ে উঠেছে। তাঁদের দিয়ে আর নীলের আবাদ করান সম্ভবপর হচ্ছে না। আদালতে কোন মামলা দায়ের করা যাচ্ছে না, কারণ আমাদের অভিযোগ প্রমাণের জন্য কোন সাক্ষি পাওয়া যাবে না। এমনকি আমাদের কর্মচারীরাও আদালতে গিয়ে সাক্ষ্য দিতে সাহস পাচ্ছে না......রায়েতরা বর্তমানে খুবই মারমুখি। তারা ভয়ঙ্করভাবে খেপে গেছে। তারা বর্বরের মত যেকোনো দুষ্কার্য করতে এখন প্রস্তুত। প্রতিদিন তারা আমাদের কুঠি এবং বীজের গোলায় আগুন দেবার চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমাদের প্রায় সকল কর্মচারী ও চাকরেরা কুঠি ত্যাগ করে চলে গেছে। কারণ প্রজারা তাঁদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া বা খুন করার ভয় দেখাচ্ছে। যে দুই একজন আছে, তারাও খুব শীঘ্র চলে যেতে বাধ্য হবে। কারণ পার্শ্ববর্তী বাজারেও তারা খাদ্যদ্রব্য কিনতে যেতে পারছে না। সকল জেলাতেই বিপ্লব শুরু হয়ে গেছে।'
( আগামীকাল অন্তিম পর্ব )
বিষয়শ্রেণী: প্রবন্ধ
ব্লগটি ৫৫৪ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২৩/০৫/২০১৮

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast