মাডল্যান্ড ও আরো কয়েকটি
আমি বরাবর নির্বিবাদী মানুষ । ছোট থেকে বাবার হাত ধরে এতটাই সময়ে চলতে শিখেছি যে অনেকেই আমার পাশ কাটিয়ে যায় । সেদিনও হল তাই , ফ্লাইটের সময় সকাল ৭:৪৫মিনিট । নিজের মত করে সাত সকালে স্নান করে চিনার পার্কের রাস্তা ধরে হাঁটতে শুরু করলাম । সময়ে চলতে গিয়ে দেখি একটাও গাড়ী নেই যে এয়ারপোর্টে পৌঁছে দেবে । নির্ধারিত সময়ের বহু আগেই পৌঁছে গিয়ে সবে ধন সবুজ রতন ব্যাগটিকে জাহাজের ( উড়ো ) পেটেঢোকানোর ব্যবস্থা করে বেশটি করে বসলাম । বাইরে টুকটাক একটা করে উঠছে আর নামছে । আর আমি ওদের যতই দেখি ততই উড়তে চেষ্টা করি । এত উড়েছি তাই তো আজ বিপত্তি । যাইহোক ঘোষণা মত বিমানের খোলে গিয়ে বসলাম । পারদর্শী হাত চালকের । এখানে একটা কথা বলি । যতবার প্লেনে উঠেছি ততবারই এর দৌড়টা বেশ মজার লাগে । এক ঝটকায় উঠে যাওয়া , অসম্ভব সুন্দর । আর তারপর বোকার মত বসে থাকা ।
এপাশ ওপাশ কাত হতেই আমার রূপকথার মেঘগুলো ডানায় ঝাপটা মারে । কাঁচের জানলা অপরদিকে থোক থোক তুলোর মত তারা সব ছড়ানো । খানিকটা পরেই তাও দূর হল । উপরে আরও উঠতে থাকলো বিমান আর আমি ছোট্ট করে ন্যাপ নিলাম ।
৯:৩০ মিনিটে পোর্ট ব্লেয়ারের আকাশ মোটামুটি পরিষ্কার । নীচের দ্বীপগুলো ঘোলাটে সবুজ । তবে আমি বেশ হতাশ । এই নিয়ে পাঁচবার এই দ্বীপে আসছি । কিন্তু এইবারে অদ্ভুত লাগলো । বঙ্গোপসাগর তার ঢেউগুলো কী লুকিয়ে রেখেছে ? কোথায় সেই ত্রিবর্ণা রূপ !! মূলত প্লেন যখন নাক গুঁজে আন্দামানে নামে তখন সমুদ্র -ঢেউ আর দ্বীপগুলোর এক অসাধারণ রূপ দেখতে পাওয়া যায় । তুঁতে , নীল সবুজের এক অসামান্য মিশ্রণ । কী জানি এবারে কোথায় তারা !!
খানিকটা পরেই এয়ার স্ট্রিপ । তবে এবারে এটাই বুঝালাম আমার জার্নি খুব একটা রোমাঞ্চকর হবে না । মূল ভূমির মত এখানেও তথাকথিত সভ্যতা বেশ করে আঁচড় বসিয়েছে ।
এয়ারপোর্টের বাইরে অসংখ্য দোকান , হোটেল আর গাড়ী । হ্যাঁ তারা শান্ত , মূল ভূখণ্ডের মত মাতামাতি করে না । অকারণে বাজে না হর্ণ । তবুও একটা খোঁচা লেগেই থাকলো ।
খুঁজতে হবে আরেকটি দ্বীপ ।
আন্দামানে আমি বেশ কয়েকবারই এসেছি , বলা যেতে পারে অন্যান্য জায়গার তুলনায় এই নির্জন দ্বীপ আমাকে সর্বাধিক ডেকেছে । ১৯৮৩ সালে প্রথম আসি । তারপর থেকে ফাঁক পেলেই এখানে । সেলুলার জেলে ( জেল খাটতে নয় অবশ্যই ) আসলেই মনটা কেমন যেন হয়ে যায় । সুযোগ পেলেই ইঁটগুলো ধরি আর ফিসফিস করে জানতে চাই সেই ১৯০৩-৩৬ সালের অজানা কথাগুলো । ৯ সেপ্টেম্বর ঠিক ছিল না ওখানে যাবো । বিকালে চীর সখা হাফপ্যান্ট আর গেঞ্জী গায়ে মারিনা পার্কে ঘুরছিলাম । সমুদ্র বক্ষের উপর চমত্কার বসার জায়গা আছে , একাই বসেছিলাম । পরিচয় হল হ্যাভলকের এক স্থানীয় বাসিন্দার সাথে । ক্রমে ঘড়ির কাঁটা ছটা ছোঁবে । হঠাত্ জেলের দিকে পা বাড়ালাম । এসে এবারে ফ্যাসাদে পরি । সবটাই বলা যেতে পারে ক্যাশলেশ । শো দেখবো তাও ওনলাইনে টিকিট কাটতে হবে । আর আমার কাছে ওই শক্ত কার্ড নেই । টিকিট কাউন্টারের কাছে দাঁড়িয়ে আছি । ফিরে যাবো । এমন সময় এক ভদ্রলোক তার টিকিট আমার হাতে ধরিয়ে বললেন , তাদের অসুবিধা আছে ,ফিরে যাবে । আকস্মিক এই করুণায় আমি বিগলিত । কারো পৌষ মাস তো কারো সব্বোনাশ আর কী । যাইহোক একাই দেখলাম সেই সান্ধ্য অনুষ্ঠান ।
পরদিন আবার পা'কে সঙ্গী করে হাজির হলাম আন্দামান বেঙ্গলী এসোসিয়েশনে । দুর্গাপূজার প্রস্তুতি চূড়ান্ত ভাবে । অমিতাভ বাবু আপ্যায়ন করে চা খাওয়ালেন । সাথে আমার দুটি লেখাও চেয়ে নিলেন । এখানে বাঙালী থাকা একেবারেই অভাবনীয় নয় । বিষয়টি হল , এখানকার মিশ্র বাঙালী সভ্যতায় ক্লাবটির অবয়ব ।
নির্জন দ্বীপের কিছু বাঙালী আমার লেখাগুলো পড়বেন এটাই বিশাল ।
রাত ক্রমে এগিয়ে আসতে থাকে আর আমি ফিরি আমার বিছানায় ।
অন্ধকার ঘর , চোখে ঘুম । স্বপ্নের ছোঁয়ায় দেখি আমি হেঁটে চলেছি নির্জন কোন এক দ্বীপে ..একা ।
নির্জন দ্বীপপুঞ্জের নিরালায় অনেকবার এসেছি , কাটিয়েছি নানা জন জাতি ও দ্বীপে । প্রতিবারই জেনেছি নতুন নতুন করে নতুন কিছু । হ্যাঁ আমার পূর্বের পোষ্টে ছিল জারোয়া সভ্যতা ও আগ্নেয়গিরি । এখান থেকেই শুরু করি । বারাথাঙ্গ যাওয়ার জন্য মিডিল স্টেট থেকে লঞ্চ ধরতে হয় । ভেবেছিলাম , 8:15 সকাল সকাল পৌঁছে গেছি 9:30 বাস ধরে 12:30 টায় চলে আসবো । কিন্তু ভাবনা আর বাস্তবের মধ্যে ফারাক আমার মত ভবঘুরের মাথায় যে সহজে ঢোকে না । লঞ্চ নিয়ে এল এ পাড়ে , আগ্নেয়গিরির দ্বীপে । মনে মনে ভাবতে শুরু করলাম এই দ্বীপটি কি সেই সবুজ দ্বীপের রাজার মোহিনী পাথরের !! যেখানে হুস করে টেনে নিয়ে যায় ।
আপাতত ভাবনা পাশে সরিয়ে 500/- জীপ পাশ কাটিয়ে লোকাল বাসে উঠলাম । এখানকার বাসগুলো আবার ভারতের দক্ষিণ অঞ্চলের মত মুখের সিটির ভাষা বোঝে । আঁকাবাঁকা রাস্তা ফেলে অবশেষে আসলাম মাড ভলক্যানো । কিন্তু যাব কি ভাবে !! একে ওকে জিজ্ঞেস করে কাদা রাস্তা পেড়িয়ে হাজির গন্তব্যে । একটু উপরে তাকিয়ে দেখি কয়েকশ মাটি আর বাঁশ দিয়ে সিঁড়ি উপরে উঠে গেছে । হা ঈশ্বর ! বাস - লঞ্চ - বাস এরপর সিঁড়ি । জঙ্গলী পথ দুপাশে । উঠছি তো উঠছি । এক সময়ে দেখলাম জীবন্ত আগ্নেয়গিরি । বড্ড শান্ত । তবে ভিতরে কেমন যেন একাকীত্বের অভিমান । কি সেই অভিমান ! অভিমানের ভাষা কতজনই বোঝার চেষ্টা করি ।
খেয়াল করি নি আমার জন্য সময় বসে থাকবে না । হলও তাই ফেরার লঞ্চ যা করে হোক পেলাম কিন্তু বাস পেতে ও ছাড়তে ছাড়তে 12:30 । কি আর করা খাঁড়ির মানুষদের তৈরী করা চালা ঘরে শুয়ে থাকলাম । জলে কত অজানা মাছ । অদূরে সামুদ্রিক কুমির নাটুকে ঘুম দিচ্ছে ম্যানগ্রোভের আড়ালে ( আমার মোবাইল ক্যমেরা তা ধরতে অক্ষম । সুতরাং অন্ধ ভাবে বিশ্বাস করলে ভালো হয় )।
ঝট করে নেমে পড়লাম পাড়ে ( সতর্ক অবশ্যই দরকার কিন্তু ভবঘুরেদের হয়তো টান থাকে না ) । তুলে নিলাম সামুদ্রিক পাথর , অক্সিজেন গাছ আর হ্যাঁ আমার মত বোকা একটি কাঁকড়া ... । ,
এপাশ ওপাশ কাত হতেই আমার রূপকথার মেঘগুলো ডানায় ঝাপটা মারে । কাঁচের জানলা অপরদিকে থোক থোক তুলোর মত তারা সব ছড়ানো । খানিকটা পরেই তাও দূর হল । উপরে আরও উঠতে থাকলো বিমান আর আমি ছোট্ট করে ন্যাপ নিলাম ।
৯:৩০ মিনিটে পোর্ট ব্লেয়ারের আকাশ মোটামুটি পরিষ্কার । নীচের দ্বীপগুলো ঘোলাটে সবুজ । তবে আমি বেশ হতাশ । এই নিয়ে পাঁচবার এই দ্বীপে আসছি । কিন্তু এইবারে অদ্ভুত লাগলো । বঙ্গোপসাগর তার ঢেউগুলো কী লুকিয়ে রেখেছে ? কোথায় সেই ত্রিবর্ণা রূপ !! মূলত প্লেন যখন নাক গুঁজে আন্দামানে নামে তখন সমুদ্র -ঢেউ আর দ্বীপগুলোর এক অসাধারণ রূপ দেখতে পাওয়া যায় । তুঁতে , নীল সবুজের এক অসামান্য মিশ্রণ । কী জানি এবারে কোথায় তারা !!
খানিকটা পরেই এয়ার স্ট্রিপ । তবে এবারে এটাই বুঝালাম আমার জার্নি খুব একটা রোমাঞ্চকর হবে না । মূল ভূমির মত এখানেও তথাকথিত সভ্যতা বেশ করে আঁচড় বসিয়েছে ।
এয়ারপোর্টের বাইরে অসংখ্য দোকান , হোটেল আর গাড়ী । হ্যাঁ তারা শান্ত , মূল ভূখণ্ডের মত মাতামাতি করে না । অকারণে বাজে না হর্ণ । তবুও একটা খোঁচা লেগেই থাকলো ।
খুঁজতে হবে আরেকটি দ্বীপ ।
আন্দামানে আমি বেশ কয়েকবারই এসেছি , বলা যেতে পারে অন্যান্য জায়গার তুলনায় এই নির্জন দ্বীপ আমাকে সর্বাধিক ডেকেছে । ১৯৮৩ সালে প্রথম আসি । তারপর থেকে ফাঁক পেলেই এখানে । সেলুলার জেলে ( জেল খাটতে নয় অবশ্যই ) আসলেই মনটা কেমন যেন হয়ে যায় । সুযোগ পেলেই ইঁটগুলো ধরি আর ফিসফিস করে জানতে চাই সেই ১৯০৩-৩৬ সালের অজানা কথাগুলো । ৯ সেপ্টেম্বর ঠিক ছিল না ওখানে যাবো । বিকালে চীর সখা হাফপ্যান্ট আর গেঞ্জী গায়ে মারিনা পার্কে ঘুরছিলাম । সমুদ্র বক্ষের উপর চমত্কার বসার জায়গা আছে , একাই বসেছিলাম । পরিচয় হল হ্যাভলকের এক স্থানীয় বাসিন্দার সাথে । ক্রমে ঘড়ির কাঁটা ছটা ছোঁবে । হঠাত্ জেলের দিকে পা বাড়ালাম । এসে এবারে ফ্যাসাদে পরি । সবটাই বলা যেতে পারে ক্যাশলেশ । শো দেখবো তাও ওনলাইনে টিকিট কাটতে হবে । আর আমার কাছে ওই শক্ত কার্ড নেই । টিকিট কাউন্টারের কাছে দাঁড়িয়ে আছি । ফিরে যাবো । এমন সময় এক ভদ্রলোক তার টিকিট আমার হাতে ধরিয়ে বললেন , তাদের অসুবিধা আছে ,ফিরে যাবে । আকস্মিক এই করুণায় আমি বিগলিত । কারো পৌষ মাস তো কারো সব্বোনাশ আর কী । যাইহোক একাই দেখলাম সেই সান্ধ্য অনুষ্ঠান ।
পরদিন আবার পা'কে সঙ্গী করে হাজির হলাম আন্দামান বেঙ্গলী এসোসিয়েশনে । দুর্গাপূজার প্রস্তুতি চূড়ান্ত ভাবে । অমিতাভ বাবু আপ্যায়ন করে চা খাওয়ালেন । সাথে আমার দুটি লেখাও চেয়ে নিলেন । এখানে বাঙালী থাকা একেবারেই অভাবনীয় নয় । বিষয়টি হল , এখানকার মিশ্র বাঙালী সভ্যতায় ক্লাবটির অবয়ব ।
নির্জন দ্বীপের কিছু বাঙালী আমার লেখাগুলো পড়বেন এটাই বিশাল ।
রাত ক্রমে এগিয়ে আসতে থাকে আর আমি ফিরি আমার বিছানায় ।
অন্ধকার ঘর , চোখে ঘুম । স্বপ্নের ছোঁয়ায় দেখি আমি হেঁটে চলেছি নির্জন কোন এক দ্বীপে ..একা ।
নির্জন দ্বীপপুঞ্জের নিরালায় অনেকবার এসেছি , কাটিয়েছি নানা জন জাতি ও দ্বীপে । প্রতিবারই জেনেছি নতুন নতুন করে নতুন কিছু । হ্যাঁ আমার পূর্বের পোষ্টে ছিল জারোয়া সভ্যতা ও আগ্নেয়গিরি । এখান থেকেই শুরু করি । বারাথাঙ্গ যাওয়ার জন্য মিডিল স্টেট থেকে লঞ্চ ধরতে হয় । ভেবেছিলাম , 8:15 সকাল সকাল পৌঁছে গেছি 9:30 বাস ধরে 12:30 টায় চলে আসবো । কিন্তু ভাবনা আর বাস্তবের মধ্যে ফারাক আমার মত ভবঘুরের মাথায় যে সহজে ঢোকে না । লঞ্চ নিয়ে এল এ পাড়ে , আগ্নেয়গিরির দ্বীপে । মনে মনে ভাবতে শুরু করলাম এই দ্বীপটি কি সেই সবুজ দ্বীপের রাজার মোহিনী পাথরের !! যেখানে হুস করে টেনে নিয়ে যায় ।
আপাতত ভাবনা পাশে সরিয়ে 500/- জীপ পাশ কাটিয়ে লোকাল বাসে উঠলাম । এখানকার বাসগুলো আবার ভারতের দক্ষিণ অঞ্চলের মত মুখের সিটির ভাষা বোঝে । আঁকাবাঁকা রাস্তা ফেলে অবশেষে আসলাম মাড ভলক্যানো । কিন্তু যাব কি ভাবে !! একে ওকে জিজ্ঞেস করে কাদা রাস্তা পেড়িয়ে হাজির গন্তব্যে । একটু উপরে তাকিয়ে দেখি কয়েকশ মাটি আর বাঁশ দিয়ে সিঁড়ি উপরে উঠে গেছে । হা ঈশ্বর ! বাস - লঞ্চ - বাস এরপর সিঁড়ি । জঙ্গলী পথ দুপাশে । উঠছি তো উঠছি । এক সময়ে দেখলাম জীবন্ত আগ্নেয়গিরি । বড্ড শান্ত । তবে ভিতরে কেমন যেন একাকীত্বের অভিমান । কি সেই অভিমান ! অভিমানের ভাষা কতজনই বোঝার চেষ্টা করি ।
খেয়াল করি নি আমার জন্য সময় বসে থাকবে না । হলও তাই ফেরার লঞ্চ যা করে হোক পেলাম কিন্তু বাস পেতে ও ছাড়তে ছাড়তে 12:30 । কি আর করা খাঁড়ির মানুষদের তৈরী করা চালা ঘরে শুয়ে থাকলাম । জলে কত অজানা মাছ । অদূরে সামুদ্রিক কুমির নাটুকে ঘুম দিচ্ছে ম্যানগ্রোভের আড়ালে ( আমার মোবাইল ক্যমেরা তা ধরতে অক্ষম । সুতরাং অন্ধ ভাবে বিশ্বাস করলে ভালো হয় )।
ঝট করে নেমে পড়লাম পাড়ে ( সতর্ক অবশ্যই দরকার কিন্তু ভবঘুরেদের হয়তো টান থাকে না ) । তুলে নিলাম সামুদ্রিক পাথর , অক্সিজেন গাছ আর হ্যাঁ আমার মত বোকা একটি কাঁকড়া ... । ,
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
দীপঙ্কর বেরা ১৯/০৫/২০১৮ভালো লেগেছে।
-
তাহমিদ জামান ১৪/০৫/২০১৮দারুন
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ১৪/০৫/২০১৮হাহাহা শেষ কথাগুলো খুব ভাল লেগেছে।
অনেক ধন্যবাদ। -
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ১৪/০৫/২০১৮দারুণ শব্দ চয়ন আর প্রকাশ ভঙ্গি।।।