বেঁটে বামুন ও নাঙ্গা তলোয়ার
১
শেষ পর্যন্ত সন্ন্যাসীর আশীর্বাদে মনে খানিক বল পেয়ে আজন্মকালের কষ্ট ভুলে বামুন চলল হিড়িক রাজ্যে ।
জঙ্গলের পথের শেষেই রাজ্যের সীমানা । এ রাজ্যে সকলেই খুবই অলস ।
২
মহারাজা হিড়িক রাজসভা কাঁপিয়ে কোন মতে হাসি থামিয়ে বেঁটে বামুনকে বলে –
“ ওহে বেঁটে বামুন পিপীলিকা সম –
রাক্ষস নিধনে যাবে তুমি ,
মাথায় নেই তো ব্যামো ?”
বামুন কয় –
“ দেখো রাজা হাতে আছে তলোয়ার –
আছে মনে শক্তি , সাধুর আশীস ওপার ।”
৩
রাতের আকাশ কাঁপিয়ে চুক্তি অনুযায়ী রাক্ষস একটা করে মানুষ খেতে এসেছে । আজ এক বৃদ্ধের পালা । মুখের লালা ঝরিয়ে যেই না নীচু হয়ে রাক্ষস বুড়োর মুড়ো চিবোতে এসেছে , অমনি , পূর্ব পরিকল্পনা মত বৃদ্ধের জামার পকেট থেকে বামুন মন্ত্রপূত নাঙ্গা তলোয়ার ঢুকিয়ে দিল রাক্ষসের বুকে । মুহূর্তে কালো রক্তে ভাসিয়ে রাক্ষস মারা পড়ল ।
৪
অদ্ভুত ব্যাপার , বুড়োও সন্ন্যাসীতে রূপান্তরিত হল । তিনি সকলকে আশীর্বাদ করে বললেন –
“ লম্বা-বেঁটে জগতের এ সৃষ্টি –
কাওকে হেলা না করে ,
কর্মে দিও দৃষ্টি, থাকবে না অনাসৃষ্টি ।”
ওইদিন থেকে কর্মের মর্যাদা বুঝে অলস রাজ্য ক্রমশ সুন্দর হয়ে উঠলো ।।
শেষ পর্যন্ত সন্ন্যাসীর আশীর্বাদে মনে খানিক বল পেয়ে আজন্মকালের কষ্ট ভুলে বামুন চলল হিড়িক রাজ্যে ।
জঙ্গলের পথের শেষেই রাজ্যের সীমানা । এ রাজ্যে সকলেই খুবই অলস ।
২
মহারাজা হিড়িক রাজসভা কাঁপিয়ে কোন মতে হাসি থামিয়ে বেঁটে বামুনকে বলে –
“ ওহে বেঁটে বামুন পিপীলিকা সম –
রাক্ষস নিধনে যাবে তুমি ,
মাথায় নেই তো ব্যামো ?”
বামুন কয় –
“ দেখো রাজা হাতে আছে তলোয়ার –
আছে মনে শক্তি , সাধুর আশীস ওপার ।”
৩
রাতের আকাশ কাঁপিয়ে চুক্তি অনুযায়ী রাক্ষস একটা করে মানুষ খেতে এসেছে । আজ এক বৃদ্ধের পালা । মুখের লালা ঝরিয়ে যেই না নীচু হয়ে রাক্ষস বুড়োর মুড়ো চিবোতে এসেছে , অমনি , পূর্ব পরিকল্পনা মত বৃদ্ধের জামার পকেট থেকে বামুন মন্ত্রপূত নাঙ্গা তলোয়ার ঢুকিয়ে দিল রাক্ষসের বুকে । মুহূর্তে কালো রক্তে ভাসিয়ে রাক্ষস মারা পড়ল ।
৪
অদ্ভুত ব্যাপার , বুড়োও সন্ন্যাসীতে রূপান্তরিত হল । তিনি সকলকে আশীর্বাদ করে বললেন –
“ লম্বা-বেঁটে জগতের এ সৃষ্টি –
কাওকে হেলা না করে ,
কর্মে দিও দৃষ্টি, থাকবে না অনাসৃষ্টি ।”
ওইদিন থেকে কর্মের মর্যাদা বুঝে অলস রাজ্য ক্রমশ সুন্দর হয়ে উঠলো ।।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২৮/০৪/২০১৮ভালো লাগলো।
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ২৮/০৪/২০১৮অসাধারণ!!!
-
পবিত্র চক্রবর্তী ২৮/০৪/২০১৮ধন্যবাদ
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ২৮/০৪/২০১৮খুব ভালো লাগলো।