আমার কবিতা
নতুন প্রভাতের পরে
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
এ গাঁয়ের সবুজ তরুর ছায়ায় রাখাল বাজায় বাঁশি,
বাঁশের বাঁশির রাখালিয়া সুর মরমে পশিল আসি।
বাঁশবাগানের সরু গলিপথে শুনি পাখিদের কলরব.
কলসী কাঁখে জল নিতে আসে গাঁয়ের বধূরা সব।
গাঁয়ের শীতল তরুর ছায়ায় ছোট শিশুরা বসে খেলে,
সুনীল আকাশে বক উড়ে যায় সাদা দুটি পাখা মেলে।
তালদিঘির কালো ঘোলা জলে রাজহাঁসের দল ভাসে,
বিশাল সবুজ ধানের খেত দেখি এ গাঁয়ের চারপাশে।
গ্রাম সীমানায় অজয় নদীঘাটে গাঁয়ের মাঝি খেয়া বায়,
এপার ওপার দুইপারে গাঁ মাঝে অজয় নদী বয়ে যায়।
দিনের শেষে পড়ে আসে বেলা অজয় নদীর কিনারায়
সাঁঝের আঁধার নেমে আসে বাজে দূরে সাঁঝের সানাই।
চাঁদের আলো পড়ে ঝরে ছোট ছোট মাটির কুঁড়েঘরে,
সহস্র তারকা মুখ লুকায় হেথা নতুন প্রভাতের পরে।
সূর্য ডোবে পাহাড় ঘেঁষে
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
সূর্য ডোবে পাহাড় ঘেঁষে
সারা দিনের শেষে,
আকাশ ঘিরে তারার মেলা
চাঁদ উঠেছে হেসে।
নদীর চরে জোছনা ঝরে
নির্জন নদীর ঘাট,
কুলু কুলু রবে বহিছে নদী
বসেছে চাঁদের হাট।
চাঁদের আলো পড়ে ঝরে
অজয় নদীর চরে,
চাঁদের আলো খেলা করে
গাঁয়ের মাটির ঘরে।
ফুটফুটে জোছনা হাসিছে
সারা ভুবন জুড়ে,
গাছের ডালে সবুজ পাতায়
অজয় নদীর কূলে।
রজনী শেষে নিশি প্রভাতে
জোছনা হারিয়ে যায়,
সোনার বরণ অরুণ রবি ঐ
সোনার কিরণ ছড়ায়।
শেষের দিনের কবিতা
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
যাবে একদিন শ্মশান ঘাটে
হবে তোমার জীবন-অবসান,
চিতার আগুনে পুড়ে যাবে
তোমার যত মান অভিমান।
ভবের হাটে এসে তুমি মন
সব কিছু করলে বেচাকেনা,
বাড়িগাড়ি, টাকা-পয়সা সব
কোন কিছু সঙ্গে যাবে না।
নাম ভজ নাম জপ ওরে মন
সুধা মাখা নাম জপ অবিরাম,
অন্তিমকালে মরণের পরেতে
ঠাঁই পাবে তুমি শ্রী বৈকুণ্ঠধাম।
দু-দিনের তরে এসে দুনিয়ায়,
দুঃখের আগুনে পুড়ে হয় ছাই,
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী তাই লিখে যায়,
শেষের দিনের এই কবিতায়।
আজিকে জামাইষষ্ঠী
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
জ্যৈষ্ঠেতে জামাই-ষষ্ঠী ভারি ধূম পড়ে,
হাসিখুশি আনন্দেতে ঘর ওঠে ভরে।
জামাতা আসিলে ঘরে পড়ে যায় সাড়া,
জামাতার আপ্যায়নে মেতে ওঠে পাড়া।
অন্ন ব্যঞ্জনাদি রাঁধে করিয়া যতন,
পলান্ন ক্ষীর পায়েস বিবিধ ভোজন।
চিনি পাতা দই আর মিষ্টান্ন ও আম,
ইলিশের মাথা চাই হোক যত দাম।
জামাতার আপ্যায়নে ব্যস্ত লোকজন,
ভাল করে করা হয় সব আয়োজন।
জামাইবাবুরে ডাকি আসনে বসায়,
ভোজনান্তে গুঁয়াপান শ্যালিকা সাজায়,
আজিকে জামাইষষ্ঠী ভারি ধূম হয়,
খুশির জোয়ার আসে সারা পাড়াময়।
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
এ গাঁয়ের সবুজ তরুর ছায়ায় রাখাল বাজায় বাঁশি,
বাঁশের বাঁশির রাখালিয়া সুর মরমে পশিল আসি।
বাঁশবাগানের সরু গলিপথে শুনি পাখিদের কলরব.
কলসী কাঁখে জল নিতে আসে গাঁয়ের বধূরা সব।
গাঁয়ের শীতল তরুর ছায়ায় ছোট শিশুরা বসে খেলে,
সুনীল আকাশে বক উড়ে যায় সাদা দুটি পাখা মেলে।
তালদিঘির কালো ঘোলা জলে রাজহাঁসের দল ভাসে,
বিশাল সবুজ ধানের খেত দেখি এ গাঁয়ের চারপাশে।
গ্রাম সীমানায় অজয় নদীঘাটে গাঁয়ের মাঝি খেয়া বায়,
এপার ওপার দুইপারে গাঁ মাঝে অজয় নদী বয়ে যায়।
দিনের শেষে পড়ে আসে বেলা অজয় নদীর কিনারায়
সাঁঝের আঁধার নেমে আসে বাজে দূরে সাঁঝের সানাই।
চাঁদের আলো পড়ে ঝরে ছোট ছোট মাটির কুঁড়েঘরে,
সহস্র তারকা মুখ লুকায় হেথা নতুন প্রভাতের পরে।
সূর্য ডোবে পাহাড় ঘেঁষে
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
সূর্য ডোবে পাহাড় ঘেঁষে
সারা দিনের শেষে,
আকাশ ঘিরে তারার মেলা
চাঁদ উঠেছে হেসে।
নদীর চরে জোছনা ঝরে
নির্জন নদীর ঘাট,
কুলু কুলু রবে বহিছে নদী
বসেছে চাঁদের হাট।
চাঁদের আলো পড়ে ঝরে
অজয় নদীর চরে,
চাঁদের আলো খেলা করে
গাঁয়ের মাটির ঘরে।
ফুটফুটে জোছনা হাসিছে
সারা ভুবন জুড়ে,
গাছের ডালে সবুজ পাতায়
অজয় নদীর কূলে।
রজনী শেষে নিশি প্রভাতে
জোছনা হারিয়ে যায়,
সোনার বরণ অরুণ রবি ঐ
সোনার কিরণ ছড়ায়।
শেষের দিনের কবিতা
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
যাবে একদিন শ্মশান ঘাটে
হবে তোমার জীবন-অবসান,
চিতার আগুনে পুড়ে যাবে
তোমার যত মান অভিমান।
ভবের হাটে এসে তুমি মন
সব কিছু করলে বেচাকেনা,
বাড়িগাড়ি, টাকা-পয়সা সব
কোন কিছু সঙ্গে যাবে না।
নাম ভজ নাম জপ ওরে মন
সুধা মাখা নাম জপ অবিরাম,
অন্তিমকালে মরণের পরেতে
ঠাঁই পাবে তুমি শ্রী বৈকুণ্ঠধাম।
দু-দিনের তরে এসে দুনিয়ায়,
দুঃখের আগুনে পুড়ে হয় ছাই,
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী তাই লিখে যায়,
শেষের দিনের এই কবিতায়।
আজিকে জামাইষষ্ঠী
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
জ্যৈষ্ঠেতে জামাই-ষষ্ঠী ভারি ধূম পড়ে,
হাসিখুশি আনন্দেতে ঘর ওঠে ভরে।
জামাতা আসিলে ঘরে পড়ে যায় সাড়া,
জামাতার আপ্যায়নে মেতে ওঠে পাড়া।
অন্ন ব্যঞ্জনাদি রাঁধে করিয়া যতন,
পলান্ন ক্ষীর পায়েস বিবিধ ভোজন।
চিনি পাতা দই আর মিষ্টান্ন ও আম,
ইলিশের মাথা চাই হোক যত দাম।
জামাতার আপ্যায়নে ব্যস্ত লোকজন,
ভাল করে করা হয় সব আয়োজন।
জামাইবাবুরে ডাকি আসনে বসায়,
ভোজনান্তে গুঁয়াপান শ্যালিকা সাজায়,
আজিকে জামাইষষ্ঠী ভারি ধূম হয়,
খুশির জোয়ার আসে সারা পাড়াময়।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
অরণ্য আহমেদ ১৬/১২/২০১৭ভালো লাগলো
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ০২/০৫/২০১৭পল্লীর রুপময় বর্ণনা।
-
ডঃ সুজিতকুমার বিশ্বাস ০২/০৫/২০১৭অনবদ্য। অনেক শুভেচ্ছা।
-
মধু মঙ্গল সিনহা ০১/০৫/২০১৭খুব ভালো।