আমাৰ কবিতা
মৰণেৰ ডাক
জীবন খাতার পাতায় বিধি লিখেছে মরণ।
জন্ম হলেই মরতে হবে রাখিস রে স্মরণ।
ভবের হাটে সৎপথে করিস বেচা কেনা।
ভুলেও কভু কারো কাছ রাখিস নারে দেনা।
জীবনের যত হিসাব নিকাশ শেষ হবে যখন।
মরণ তোরে ডাক দেবে সেদিন আসবে রে শমন।
দুদিনেৰ এই আসা যাওয়া
শেষ হবে তোৰ চাওয়া পাওয়া,
বন্ধ হবে সব দেওয়া নেওয়া, মুদলে দুই নয়ন।
জীবন খাতাৰ পাতায় বিধি লিখেছে মৰণ।
শেষ বিচারের দিনে কেউ আসবে না তোর কাছে।
সাঙ্গ হবে ভবের খেলা, তুই ভাবিস কেন মিছে।
দুদিনেৰ এই খেলাঘৰে,
মিছেই আমাৰ আমাৰ কৰে,
সাৰা জীবন কাটিয়ে দিলি, কবে কৰবি ৰে নাম স্মৰণ।
এখনও সময় আছে, সময় থাকতে ধর শ্রীগুরুর চরণ।
সমুদ্র সৈকতে
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
সমুদ্র সৈকতে বসে আছি মোরা,
ফেনিল সাগর জলে ঊর্মিমালা ভরা।
মৃদু মন্দ বায়ু বহে হরষিত মন,
সুমধুর দৃশ্য হেরি ভুলায় নয়ন।
সারাদিন কেটে যায় সাগরের তটে,
সাগরের ঊর্মিমালা জাগে হৃদিপটে।
সূর্য অস্ত যায় শেষে সাগরের জলে,
স্মৃতি শুধু মনে রয় হৃদি অন্তস্থলে।
আকাশে তারার মালা শুভ্র চন্দ্র হাসে,
জলধির বক্ষে হেরি ঊর্মিমালা আসে।
সাগর সৈকতে হেরি বহু লোক জন,
আলোময় চতুর্দিক হরষিত মন।
অবশেষে হৃষ্টচিত্তে আসি ফিরে ঘরে,
স্মৃতি শুধু মনে রয় চিরদিন তরে।
এ গাঁয়ের পাশে অজয় নদী
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
এ গাঁয়ের পাশে অজয় নদী অবিরাম বয়ে চলে,
বৈশাখ মাসে পার হয় গাড়ি একহাঁটু নদীজলে।
গ্রামসীমানায় ফকির ডাঙায় গোরু ও বাছুর চরে,
গাঁয়ের মানুষ থাকে সবাই, এ গাঁয়ে মাটির ঘরে।
নয়নদিঘির শীতল জলে পানকৌড়িরা দেয় ডুব,
স্নানের ঘাটে পাড়ার ছেলেরা কাটে সাঁতার খুব।
গাঁয়ের বধূরা কলসী কাঁখে জল নিয়ে যায় ঘরে,
দিঘির পাড়ে ধবল বলাকা বসে ছোট মাছ ধরে।
দিনের শেষে বেলা পড়ে আসে সূর্য ডুবে যায়,
নির্জনগাঁয়ে আঁধার নামে পাখিরা ফেরে বাসায়।
মন্দিরে বাজে পূজোর ঘন্টা সাঁঝের সানাই বাজে,
ফুটে ওঠে সহস্র তারকা নীল আকাশের মাঝে।
চাঁদ তারা হাসে আকাশে জেগে রয় সারা রাত,
রাত কেটে যায় ভোর হয়ে আসে নতুন প্রভাত।
নতুন প্রভাতের পরে
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
এ গাঁয়ের সবুজ তরুর ছায়ায় রাখাল বাজায় বাঁশি,
বাঁশের বাঁশির রাখালিয়া সুর মরমে পশিল আসি।
বাঁশবাগানের সরু গলিপথে শুনি পাখিদের কলরব.
কলসী কাঁখে জল নিতে আসে গাঁয়ের বধূরা সব।
গাঁয়ের শীতল তরুর ছায়ায় ছোট শিশুরা বসে খেলে,
সুনীল আকাশে বক উড়ে যায় সাদা দুটি পাখা মেলে।
তালদিঘির কালো ঘোলা জলে রাজহাঁসের দল ভাসে,
বিশাল সবুজ ধানের খেত দেখি এ গাঁয়ের চারপাশে।
গ্রাম সীমানায় অজয় নদীঘাটে গাঁয়ের মাঝি খেয়া বায়,
এপার ওপার দুইপারে গাঁ মাঝে অজয় নদী বয়ে যায়।
দিনের শেষে পড়ে আসে বেলা অজয় নদীর কিনারায়
সাঁঝের আঁধার নেমে আসে বাজে দূরে সাঁঝের সানাই।
চাঁদের আলো পড়ে ঝরে ছোট ছোট মাটির কুঁড়েঘরে,
সহস্র তারকা মুখ লুকায় হেথা নতুন প্রভাতের পরে।
জীবন খাতার পাতায় বিধি লিখেছে মরণ।
জন্ম হলেই মরতে হবে রাখিস রে স্মরণ।
ভবের হাটে সৎপথে করিস বেচা কেনা।
ভুলেও কভু কারো কাছ রাখিস নারে দেনা।
জীবনের যত হিসাব নিকাশ শেষ হবে যখন।
মরণ তোরে ডাক দেবে সেদিন আসবে রে শমন।
দুদিনেৰ এই আসা যাওয়া
শেষ হবে তোৰ চাওয়া পাওয়া,
বন্ধ হবে সব দেওয়া নেওয়া, মুদলে দুই নয়ন।
জীবন খাতাৰ পাতায় বিধি লিখেছে মৰণ।
শেষ বিচারের দিনে কেউ আসবে না তোর কাছে।
সাঙ্গ হবে ভবের খেলা, তুই ভাবিস কেন মিছে।
দুদিনেৰ এই খেলাঘৰে,
মিছেই আমাৰ আমাৰ কৰে,
সাৰা জীবন কাটিয়ে দিলি, কবে কৰবি ৰে নাম স্মৰণ।
এখনও সময় আছে, সময় থাকতে ধর শ্রীগুরুর চরণ।
সমুদ্র সৈকতে
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
সমুদ্র সৈকতে বসে আছি মোরা,
ফেনিল সাগর জলে ঊর্মিমালা ভরা।
মৃদু মন্দ বায়ু বহে হরষিত মন,
সুমধুর দৃশ্য হেরি ভুলায় নয়ন।
সারাদিন কেটে যায় সাগরের তটে,
সাগরের ঊর্মিমালা জাগে হৃদিপটে।
সূর্য অস্ত যায় শেষে সাগরের জলে,
স্মৃতি শুধু মনে রয় হৃদি অন্তস্থলে।
আকাশে তারার মালা শুভ্র চন্দ্র হাসে,
জলধির বক্ষে হেরি ঊর্মিমালা আসে।
সাগর সৈকতে হেরি বহু লোক জন,
আলোময় চতুর্দিক হরষিত মন।
অবশেষে হৃষ্টচিত্তে আসি ফিরে ঘরে,
স্মৃতি শুধু মনে রয় চিরদিন তরে।
এ গাঁয়ের পাশে অজয় নদী
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
এ গাঁয়ের পাশে অজয় নদী অবিরাম বয়ে চলে,
বৈশাখ মাসে পার হয় গাড়ি একহাঁটু নদীজলে।
গ্রামসীমানায় ফকির ডাঙায় গোরু ও বাছুর চরে,
গাঁয়ের মানুষ থাকে সবাই, এ গাঁয়ে মাটির ঘরে।
নয়নদিঘির শীতল জলে পানকৌড়িরা দেয় ডুব,
স্নানের ঘাটে পাড়ার ছেলেরা কাটে সাঁতার খুব।
গাঁয়ের বধূরা কলসী কাঁখে জল নিয়ে যায় ঘরে,
দিঘির পাড়ে ধবল বলাকা বসে ছোট মাছ ধরে।
দিনের শেষে বেলা পড়ে আসে সূর্য ডুবে যায়,
নির্জনগাঁয়ে আঁধার নামে পাখিরা ফেরে বাসায়।
মন্দিরে বাজে পূজোর ঘন্টা সাঁঝের সানাই বাজে,
ফুটে ওঠে সহস্র তারকা নীল আকাশের মাঝে।
চাঁদ তারা হাসে আকাশে জেগে রয় সারা রাত,
রাত কেটে যায় ভোর হয়ে আসে নতুন প্রভাত।
নতুন প্রভাতের পরে
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
এ গাঁয়ের সবুজ তরুর ছায়ায় রাখাল বাজায় বাঁশি,
বাঁশের বাঁশির রাখালিয়া সুর মরমে পশিল আসি।
বাঁশবাগানের সরু গলিপথে শুনি পাখিদের কলরব.
কলসী কাঁখে জল নিতে আসে গাঁয়ের বধূরা সব।
গাঁয়ের শীতল তরুর ছায়ায় ছোট শিশুরা বসে খেলে,
সুনীল আকাশে বক উড়ে যায় সাদা দুটি পাখা মেলে।
তালদিঘির কালো ঘোলা জলে রাজহাঁসের দল ভাসে,
বিশাল সবুজ ধানের খেত দেখি এ গাঁয়ের চারপাশে।
গ্রাম সীমানায় অজয় নদীঘাটে গাঁয়ের মাঝি খেয়া বায়,
এপার ওপার দুইপারে গাঁ মাঝে অজয় নদী বয়ে যায়।
দিনের শেষে পড়ে আসে বেলা অজয় নদীর কিনারায়
সাঁঝের আঁধার নেমে আসে বাজে দূরে সাঁঝের সানাই।
চাঁদের আলো পড়ে ঝরে ছোট ছোট মাটির কুঁড়েঘরে,
সহস্র তারকা মুখ লুকায় হেথা নতুন প্রভাতের পরে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
কবি মোঃ ইকবাল ২৩/০৭/২০১৪২য় বার পড়লাম। বেশ ভালো লাগলো।