পিছাবনী
পরাধীনের মতন যাব না কখনও
পিছিয়ে পিছাবনী!
স্বপ্নে যখন জেগে উঠবে
সামনে আমারবাণী!
আকাশে যখন আকাশবাণী
রাত্রি প্রদীপ আমি!
পুরোনো যদিও ধ্বংস হয়
নতুন নতুন প্রেমী!
কল্পনা আমার আকাশছোঁয়া
অসময়ে ডাকে কোকিল!
দুঃখের আমি বৃষ্টিধোঁয়া
নদী খাল বিল!
অন্যায়ের আমি বিস্ফরণ
নবজাগরণ!
আমি ক্ষুদ্রণু বালিকণা এমন
পরমাণু গগন!
আমি সৃষ্টির সব লয়
সপ্ত সুরসাগর!
আমি মহাকাশ শূন্য সময়
প্রশ্ন তারার ঘর!
আমি পৃথিবীর মেরুদণ্ড ঐ
ধ্রুবতারা ভাই!
মানব সৃষ্টি জেটবিমান যত
ওঠানামা করাই!
আমি অম্যাবসার গভীর রাতে
সপ্ত প্রদীপ তারা!
আমি মহাকালীর কৃষ্ণ কোকিল
নবদ্বীপ গড়া!
আমি মাটির ঘরে স্বর্ণ আলো
প্রদীপ আলাদ্দীণ।
দেবালয়ের ত্রিলোক আমি
সবধর্মের জিন!
আবার আমি রাধাকৃষ্ণের
রাসপূর্ণিমা!
প্রেম সাগরে ঝিনুক রত্নের
উজ্জ্বল মহিমা!
সপ্ত বাঁশির সপ্ত ধ্বনি
আমি পিছাবনী!
সপ্ত শঁখের সপ্ত সাগর
আমি প্রতিধ্বনি!
হিংসাহীন নিন্দাহীন
প্রেমমন্ত্র বাণী!
সবযুদ্ধের শান্তি প্রেম
রাধাশ্যাম বুনি!
স্বপ্ন যদি সত্যি না হয়
আমি পিছাবনী!
প্রেমমন্ত্র ব্যর্থ হলে
ময়ূর সর্প গুনি!
রবী নজরুল এক বাঁশি
আমি পিছাবনী!
তোর মুখের মিষ্টি হাসি
আমি প্রতিধ্বনি!
আমি রজনী নতুন প্রভাত
আয়নার দৃষ্টি!
আমি গোধূলি ঐ সন্ধ্যা রাত
লক্ষ তারার সৃষ্টি!
তোর আলো ব্যর্থ হলে
আমার চোখ মেলা!
আমি আয়না পিছাবনী বলে
সব আলোয় চলা!
চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা ফুল
আমার প্রতিধ্বনি!
ব্যর্থ মনে যে কথা বলে
আমি সেই পিছাবনী!
রামধনু মন ময়ূর আকাশ
সপ্ত ফুল হাঁসি!
জ্যোৎস্না রাতের সাগরিকা হাঁস
বীণাপানী ঐ টুসি!
মিষ্টি কন্ঠে সপ্ত ময়ূর
আমি পিছাবনী!
সপ্ত পদ্ম ফুল সাগর
আমি আকাশবাণী!
পরাধীনের মতন যাব না কখনও
পিছিয়ে পিছাবনী!
স্বপ্নে যখন জেগে উঠবে
সামনে অমর বাণী!
নতুন প্রভাত আজ আমি
গগন পিছাবনী!
রাধাচূড়া ও কৃষ্ণচূড়ার
ফুল বৃষ্টি বুনি!
জনে জনে মনে মনে
আমি পিছাবনী!
নতুন সূর্য আমারই গগনে
করে আকাশবাণী!
সব মানুষের মন গগনে
আমি পিছাবনী!
নতুন সূর্য নতুন প্রভাত
প্রতিদিন আকাশবাণী!
দুঃখের সাগরে আলোর ঢেউ
আমি প্রতিধ্বনি!
আজ প্রভাতে উদয় আমি
নতুন পিছাবনী!
খালের উপর জোড়া সেতু
যেন হিন্দু মুসলমান!
স্কুলের সামনে অশোক স্তম্ভ
স্বাধীনতার প্রমান!
আছে বাড়ি অট্টালিকা
মিষ্টির দোকান!
জাতি ধর্ম বর্ণহীন ওই
এক আশমান।
দুই মন্দিরে দুই জন
সবার পিতা মাতা।
মাঝখানে আমি সেই গগন
ধরেছি আয়না ছাতা।
পুকুরে সপ্ত পদ্মফুল
ভাসবে রাজহাঁস।
আমার সরস্বতী বিলকুল
টুসির মধ্যে নিবাস।
তার গানের মিষ্টি ভাষা
আমারই এক প্রান।
রাধাশ্যামের স্বপ্ন আশা
পিছাবনী আশমান।
প্রেম সূর্য আয়না আমি
লোকনাথ নয়ন।
বিপদে পড়লে স্মরণ করো
উদ্ধার করবে এ মন।
রনে বনে জলে জঙ্গলেও
আমি প্রতিধ্বনি।
সবার মনে কথা বলি
আমি সেই পিছাবনী!
আছে একটি বিরাট পুকুর
খেলছে প্রচুর মাছ।
মন্দিরের পাশে প্রাইমারি স্কুল
সামনে আমগাছ।
আকাশছোঁয়ে উঁকি মারে সব
বড় নারকেল গাছ।
একে অপরে হাত ঘিরে যেন
পুকুরের চারপাশ।
আছে খেঁজুর শিলাকুলও
একটি বেলগাছ।
প্রাইমারি স্কুলের সামনে ছিল
ভক্তা ফুলের গাছ।
আছে আছে সমিতি
পেছনে এক টাওয়ার
পুকুর ঘাটে সোলার লাইট
অটোমেটিক পাওয়ার।
আছে ঐ অশ্বত্থ বট
পাখির ফুল বাঁসা।
বৃহস্পতিবার ও রবিবার
এখানে হাট বসা।
প্রচুর লোকের ভিড় বাড়ে
পিছাবনীর মাঠে।
কালীপুজোয় আতসবাজি
ধুনুচি মাথায় রাতে।
বেশ কয়েকদিন মেলা চলে
পিছাবনীতে।
নাগরদোলা সার্কাস বসে
হাই স্কুলের মাঠে।
দীঘা কাঁথির মধ্যে সেই
আজও পিছাবনী।
গান্ধীজির লবন সত্যাগ্রহে
সেই আকাশবাণী।
পরাধীন ভারতের স্বাধীনতা
দিয়েছিল পিছাবনী।
হিন্দু মুসলিম শিখ খ্রিস্টান সব
এক প্রতিধ্বনি।
পরাধীনের মতন যাব না কখনও
পিছিয়ে পিছাবনী।
আজ পিছাবনী সোলার লাইট
ডিজিটাল আইডিয়া।
পরাধীনের মতন যাবে না পিছিয়ে
পিছাবনী ইন্ডিয়া।
আগামী ভারত গঠনে আজ
দিলাম প্রতিধ্বনি।
যদি মোরা একসাথে চলি
ভারত বিশ্ব পিছাবনী!
পিছিয়ে পিছাবনী!
স্বপ্নে যখন জেগে উঠবে
সামনে আমারবাণী!
আকাশে যখন আকাশবাণী
রাত্রি প্রদীপ আমি!
পুরোনো যদিও ধ্বংস হয়
নতুন নতুন প্রেমী!
কল্পনা আমার আকাশছোঁয়া
অসময়ে ডাকে কোকিল!
দুঃখের আমি বৃষ্টিধোঁয়া
নদী খাল বিল!
অন্যায়ের আমি বিস্ফরণ
নবজাগরণ!
আমি ক্ষুদ্রণু বালিকণা এমন
পরমাণু গগন!
আমি সৃষ্টির সব লয়
সপ্ত সুরসাগর!
আমি মহাকাশ শূন্য সময়
প্রশ্ন তারার ঘর!
আমি পৃথিবীর মেরুদণ্ড ঐ
ধ্রুবতারা ভাই!
মানব সৃষ্টি জেটবিমান যত
ওঠানামা করাই!
আমি অম্যাবসার গভীর রাতে
সপ্ত প্রদীপ তারা!
আমি মহাকালীর কৃষ্ণ কোকিল
নবদ্বীপ গড়া!
আমি মাটির ঘরে স্বর্ণ আলো
প্রদীপ আলাদ্দীণ।
দেবালয়ের ত্রিলোক আমি
সবধর্মের জিন!
আবার আমি রাধাকৃষ্ণের
রাসপূর্ণিমা!
প্রেম সাগরে ঝিনুক রত্নের
উজ্জ্বল মহিমা!
সপ্ত বাঁশির সপ্ত ধ্বনি
আমি পিছাবনী!
সপ্ত শঁখের সপ্ত সাগর
আমি প্রতিধ্বনি!
হিংসাহীন নিন্দাহীন
প্রেমমন্ত্র বাণী!
সবযুদ্ধের শান্তি প্রেম
রাধাশ্যাম বুনি!
স্বপ্ন যদি সত্যি না হয়
আমি পিছাবনী!
প্রেমমন্ত্র ব্যর্থ হলে
ময়ূর সর্প গুনি!
রবী নজরুল এক বাঁশি
আমি পিছাবনী!
তোর মুখের মিষ্টি হাসি
আমি প্রতিধ্বনি!
আমি রজনী নতুন প্রভাত
আয়নার দৃষ্টি!
আমি গোধূলি ঐ সন্ধ্যা রাত
লক্ষ তারার সৃষ্টি!
তোর আলো ব্যর্থ হলে
আমার চোখ মেলা!
আমি আয়না পিছাবনী বলে
সব আলোয় চলা!
চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা ফুল
আমার প্রতিধ্বনি!
ব্যর্থ মনে যে কথা বলে
আমি সেই পিছাবনী!
রামধনু মন ময়ূর আকাশ
সপ্ত ফুল হাঁসি!
জ্যোৎস্না রাতের সাগরিকা হাঁস
বীণাপানী ঐ টুসি!
মিষ্টি কন্ঠে সপ্ত ময়ূর
আমি পিছাবনী!
সপ্ত পদ্ম ফুল সাগর
আমি আকাশবাণী!
পরাধীনের মতন যাব না কখনও
পিছিয়ে পিছাবনী!
স্বপ্নে যখন জেগে উঠবে
সামনে অমর বাণী!
নতুন প্রভাত আজ আমি
গগন পিছাবনী!
রাধাচূড়া ও কৃষ্ণচূড়ার
ফুল বৃষ্টি বুনি!
জনে জনে মনে মনে
আমি পিছাবনী!
নতুন সূর্য আমারই গগনে
করে আকাশবাণী!
সব মানুষের মন গগনে
আমি পিছাবনী!
নতুন সূর্য নতুন প্রভাত
প্রতিদিন আকাশবাণী!
দুঃখের সাগরে আলোর ঢেউ
আমি প্রতিধ্বনি!
আজ প্রভাতে উদয় আমি
নতুন পিছাবনী!
খালের উপর জোড়া সেতু
যেন হিন্দু মুসলমান!
স্কুলের সামনে অশোক স্তম্ভ
স্বাধীনতার প্রমান!
আছে বাড়ি অট্টালিকা
মিষ্টির দোকান!
জাতি ধর্ম বর্ণহীন ওই
এক আশমান।
দুই মন্দিরে দুই জন
সবার পিতা মাতা।
মাঝখানে আমি সেই গগন
ধরেছি আয়না ছাতা।
পুকুরে সপ্ত পদ্মফুল
ভাসবে রাজহাঁস।
আমার সরস্বতী বিলকুল
টুসির মধ্যে নিবাস।
তার গানের মিষ্টি ভাষা
আমারই এক প্রান।
রাধাশ্যামের স্বপ্ন আশা
পিছাবনী আশমান।
প্রেম সূর্য আয়না আমি
লোকনাথ নয়ন।
বিপদে পড়লে স্মরণ করো
উদ্ধার করবে এ মন।
রনে বনে জলে জঙ্গলেও
আমি প্রতিধ্বনি।
সবার মনে কথা বলি
আমি সেই পিছাবনী!
আছে একটি বিরাট পুকুর
খেলছে প্রচুর মাছ।
মন্দিরের পাশে প্রাইমারি স্কুল
সামনে আমগাছ।
আকাশছোঁয়ে উঁকি মারে সব
বড় নারকেল গাছ।
একে অপরে হাত ঘিরে যেন
পুকুরের চারপাশ।
আছে খেঁজুর শিলাকুলও
একটি বেলগাছ।
প্রাইমারি স্কুলের সামনে ছিল
ভক্তা ফুলের গাছ।
আছে আছে সমিতি
পেছনে এক টাওয়ার
পুকুর ঘাটে সোলার লাইট
অটোমেটিক পাওয়ার।
আছে ঐ অশ্বত্থ বট
পাখির ফুল বাঁসা।
বৃহস্পতিবার ও রবিবার
এখানে হাট বসা।
প্রচুর লোকের ভিড় বাড়ে
পিছাবনীর মাঠে।
কালীপুজোয় আতসবাজি
ধুনুচি মাথায় রাতে।
বেশ কয়েকদিন মেলা চলে
পিছাবনীতে।
নাগরদোলা সার্কাস বসে
হাই স্কুলের মাঠে।
দীঘা কাঁথির মধ্যে সেই
আজও পিছাবনী।
গান্ধীজির লবন সত্যাগ্রহে
সেই আকাশবাণী।
পরাধীন ভারতের স্বাধীনতা
দিয়েছিল পিছাবনী।
হিন্দু মুসলিম শিখ খ্রিস্টান সব
এক প্রতিধ্বনি।
পরাধীনের মতন যাব না কখনও
পিছিয়ে পিছাবনী।
আজ পিছাবনী সোলার লাইট
ডিজিটাল আইডিয়া।
পরাধীনের মতন যাবে না পিছিয়ে
পিছাবনী ইন্ডিয়া।
আগামী ভারত গঠনে আজ
দিলাম প্রতিধ্বনি।
যদি মোরা একসাথে চলি
ভারত বিশ্ব পিছাবনী!
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শাহারিয়ার ইমন ২৭/০৫/২০১৭সত্যি ভাল লেগেছে
-
আলম সারওয়ার ১৬/০৫/২০১৭অসাধারণ একটি কবিতার
-
ডঃ সুজিতকুমার বিশ্বাস ১৬/০৫/২০১৭খুব ভালো কথা। শুভেচ্ছা নেবেন।
-
দ্বীপ সরকার ১৫/০৫/২০১৭সেরাম
-
আলম সারওয়ার ১৫/০৫/২০১৭ভাল লাগল আপনার লেখা