ছিন্নপত্র
আজ বহুদিন পর নিজের লিখিত উপন্যাসখানা পড়িতে বসিলাম। ইহার লেখকও আমি, পাঠকও আমি। কেহর ইহাতে বিশেষ আগ্রহ পরিলক্ষিত হয় না। অতএব আমিই ইহার পাঠোদ্ধার করিতে বসিয়া পড়িলাম। আরম্ভ হইতে আরম্ভ করিলাম। কি অপূর্ব! জন্ম হইতে কৈশোর, কৈশোরের প্রেম, ঘাত-প্রত্যাঘাত, ঘৃণা-ভালোবাসা, পতন-উত্থান, আশা-নিরাশা ইত্যাদির সমাহারে ইহা যেন অপরূপ সৃষ্টি। কোথায় যেন হারাইয়া গেলাম। পড়িতে পড়িতে যখনই যৌবনের প্রত্যুষের পত্রখানায় প্রদর্পণ করিলাম তখনই এক সৃষ্টিছাড়া কান্ড পরিলক্ষিত হইল। পত্রখানা মুষিক নামক প্রজাতি কর্তৃক অতি যত্নে বিনষ্ট হইয়াছে। তাহার পরের পত্রগুলো ছিন্নপত্রে পরিণত হইয়াছে। ইহার পাঠোদ্ধার কোনোমতেই সম্ভব নহে। শেষে অতি দুঃখী হইয়া মুষককুলের বিনাশ কামনা করিয়া আবার নতুন করিয়া কলম লইয়া যখন লিখিতে বসিলাম, রবির কিরণ স্তিমিত হইয়া গৃহকোণে তখন সন্ধ্যাপ্রদীপ জ্বলিয়াছে।
(২০১৭, ২০শে মে, শনিবার)
(২০১৭, ২০শে মে, শনিবার)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।