অনুগত বান্ধবীরা
অনুগত বান্ধবীরা:-
১) গোটা নদীটি মিলিয়ে গেলে কোলে প্রসব করে বিষমুখো ঝিনুক। বিষের পরিবারে করমচা তলা রক্তে রঙিন, আসলে বুকে লাগানো পতাকা দেখে বুলবুলি ভয় পেয়ে গেছে বলে আমি চুপি সারে অন্ধকারের পরস্ত্রীকে দেখি। পরস্ত্রীকে লুকিয়ে দেখতে ভালো লাগে বর্ণমালার মতো , উচ্চস্বরে তাকে পড়া যায় না। অথচ আমার প্রেমিকা পরস্ত্রী হয়েছে আর আমি তাকে পড়তে চাই।
২) মৃত্যুর আগে কালো হরিণীর নাভিতে লেগে থাকে ঈশ্বরকণা। আমি নিভৃতে নদীর কাছে আফিম খাওয়ার আবেদন করি। পেরিয়ে যেতে হবে মৃত্যুর পরের অংশ। থেঁতলে যাওয়া মরুভূমি বুকে চিরে হস্তমৈথুনের আর্জি জানালে জলরেখার বীর্যপাত দেখি। মরুভূমি মরে যায় । উঠে আসে নাতিশীতোষ্ণ নদীর টাঙ্গাইলি আঁচল। কারো মৃত্যুতে কারো আচলের জন্ম হয় , কারো আঁচল বাঁচে ।
৩) বেবাক দুনিয়া জুড়ে উৎসব, অথচ উদোম উলঙ্গ শুয়ে আছে দুইটি চোখ। কখনো বিয়ারের কামনা, কখনো শাদা বিছানা। আসলে সারা ঘর ভরে আছে আবর্জনায় , মৃত্যুর কথা বললে সূপে মাখা ভাতের বমি। শানকীতে শিকল বেঁধে রেখে আমি মধ্যাহ্নে শরীর ধুঁতে নেমে পড়ি। তাকিয়ে থাকি দেহ বেঁচে দেয়া শালিকের দিকে। দিকে দিকে ঈগলের হুক দেখি।
বেতন পেয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যায় ঘুমন্ত কুকুর আর গুনগুন করে গায় রবীন্দ্রসঙ্গীত। আমি গাইতে থাকি উলটো “"আমি মানুষের পায়ের কাছে কুকুর হয়ে বসে থাকি তাঁর ভেতরের কুকুরটাকে দেখব বলে"
বিপ্লবের মাসিকে আমি আলোর রক্তের বাজে গন্ধে অভ্যস্ত হয়ে উঠি। প্রতিদিন উপবাস ভাঙ্গার আগে সঙ্গম করতে দেখি নিরুপায় উপবাস ও উপাসনাকে।।
দিন শেষে ক্ষুধার্ত পৃথিবী পরস্ত্রীর মতোই, তাকে পড়তে নেই, পড়তে গেলে নদী আর নারীর হিসেব পাবো না। আর যাই হোক ধাপ্পাবাজ সন্তানের বুকে আজ পতাকার গান গাইতে হয়। পিঠের মানচিত্র পাঠ করলে পুরো রাষ্ট্রকে পাঠ করা যাবে।
২৬.০৮.২০১৭
১) গোটা নদীটি মিলিয়ে গেলে কোলে প্রসব করে বিষমুখো ঝিনুক। বিষের পরিবারে করমচা তলা রক্তে রঙিন, আসলে বুকে লাগানো পতাকা দেখে বুলবুলি ভয় পেয়ে গেছে বলে আমি চুপি সারে অন্ধকারের পরস্ত্রীকে দেখি। পরস্ত্রীকে লুকিয়ে দেখতে ভালো লাগে বর্ণমালার মতো , উচ্চস্বরে তাকে পড়া যায় না। অথচ আমার প্রেমিকা পরস্ত্রী হয়েছে আর আমি তাকে পড়তে চাই।
২) মৃত্যুর আগে কালো হরিণীর নাভিতে লেগে থাকে ঈশ্বরকণা। আমি নিভৃতে নদীর কাছে আফিম খাওয়ার আবেদন করি। পেরিয়ে যেতে হবে মৃত্যুর পরের অংশ। থেঁতলে যাওয়া মরুভূমি বুকে চিরে হস্তমৈথুনের আর্জি জানালে জলরেখার বীর্যপাত দেখি। মরুভূমি মরে যায় । উঠে আসে নাতিশীতোষ্ণ নদীর টাঙ্গাইলি আঁচল। কারো মৃত্যুতে কারো আচলের জন্ম হয় , কারো আঁচল বাঁচে ।
৩) বেবাক দুনিয়া জুড়ে উৎসব, অথচ উদোম উলঙ্গ শুয়ে আছে দুইটি চোখ। কখনো বিয়ারের কামনা, কখনো শাদা বিছানা। আসলে সারা ঘর ভরে আছে আবর্জনায় , মৃত্যুর কথা বললে সূপে মাখা ভাতের বমি। শানকীতে শিকল বেঁধে রেখে আমি মধ্যাহ্নে শরীর ধুঁতে নেমে পড়ি। তাকিয়ে থাকি দেহ বেঁচে দেয়া শালিকের দিকে। দিকে দিকে ঈগলের হুক দেখি।
বেতন পেয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যায় ঘুমন্ত কুকুর আর গুনগুন করে গায় রবীন্দ্রসঙ্গীত। আমি গাইতে থাকি উলটো “"আমি মানুষের পায়ের কাছে কুকুর হয়ে বসে থাকি তাঁর ভেতরের কুকুরটাকে দেখব বলে"
বিপ্লবের মাসিকে আমি আলোর রক্তের বাজে গন্ধে অভ্যস্ত হয়ে উঠি। প্রতিদিন উপবাস ভাঙ্গার আগে সঙ্গম করতে দেখি নিরুপায় উপবাস ও উপাসনাকে।।
দিন শেষে ক্ষুধার্ত পৃথিবী পরস্ত্রীর মতোই, তাকে পড়তে নেই, পড়তে গেলে নদী আর নারীর হিসেব পাবো না। আর যাই হোক ধাপ্পাবাজ সন্তানের বুকে আজ পতাকার গান গাইতে হয়। পিঠের মানচিত্র পাঠ করলে পুরো রাষ্ট্রকে পাঠ করা যাবে।
২৬.০৮.২০১৭
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ডঃ সুজিতকুমার বিশ্বাস ২৬/০৮/২০১৭অনেক ভালোলাগা।
-
সাঁঝের তারা ২৬/০৮/২০১৭বেশ ভালো
-
সমির প্রামাণিক ২৬/০৮/২০১৭সজাসাপটা। চমৎকার।
-
মোনালিসা ২৬/০৮/২০১৭সঠিক