www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

পথিক স্বয়ং পাথর

খাদের ধারে রাস্তা
                 দু’পার অন্ধকার
                         পথিক স্বয়ং পাথর

অনেক দূরে আলো
          চাপা স্বরে ডাক
                   এবং পাথর কাতর

ঝঞ্ঝা বন্ধুলোক
        ক্ষমতা আর কত
                  অপরাধ নীলছন্দ

অতলে গাঢ় ডাক
        ঝুলন্ত কিনারায়
                 নিঃস্ব পাথর পথিক

আসে মৃত্যু হাসে
           ফের পালিয়ে যায়
                   পতনের ঢের দেরি...
বিষয়শ্রেণী: কবিতা
ব্লগটি ৯৭৯ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০৩/০২/২০১৬

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • অর্চিষ্মান ১৬/০২/২০১৬
    লজ্জা
    ---------------
    অতিরঞ্জন

    একটি মেঠোপথ, পাশে ধানক্ষেত ও পদ্মপুকুর
    কবি হাঁটে…..
    বাতাস সরিয়ে দেয় আবছা লতাডাল
    সৌরবৃত্ত থেকে মৃদু আলো এসে পড়ে জলের উপর
    স্বচ্ছ,টলমল…….

    আকাশও নেমে আসে ধুলোর মাতৃক্রোড়ে,
    প্রগাঢ় স্তব্ধতায় দূরত্বমুগ্ধ কবির চোখ দেখতে পায়
    ভাস্কর্যভঙ্গিমায় দাঁড়ানো মেঘের শরীর ঠিক যেন মোনালিসার রূপ!

    এ কী!কবির সামনে একটি বেওয়ারিশ কুকুর
    তীক্ষ্ণ চোখে বারংবার তাকায়
    মুহূর্তেই বাতাস বদলায়..
    দৃষ্টিতে ঘাতক পালিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত!

    কবি আবার হাঁটে…..
    আঁকাবাঁকা সর্পিল ছন্দে…
    পেরিয়ে যায় ধানক্ষেত…
    হঠাৎ চারিদিকে আসে পঁচা গন্ধ!

    কবি পেছনে তাকায়…
    দেখে, ধর্ষিতা এক মৃত নারীর মণ্ডুহীন লাশ
    আর ক্ষুধার জ্বালায় স্তন চুষে খাচ্ছে তারই গর্ভজাত সন্তান!
    অথচ আসল নারীঘাতক মাংস খুলে পেয়ে গেছে অমৃতের আস্বাদ
    আমাদের বিবেক পাড়ায়…….
    • অভিযান পাল ১৬/০২/২০১৬
      অনেকটাই বদলেছে প্রকাশ ভঙ্গি । পটল বটব্যালের ময়না তদন্তের রিপোর্ট"নামে একটা কবিতা আছে । এই কবিতার সঙ্গে তার বেশ মিল । অবশ্য সেখানে একটা রাজনৈতিক শ্লেষ ছিল । যারা এই কাণ্ডগুলো ঘটায় তারা একটা ছাতার নীচে নিশ্চিন্ত আশ্রয়ে থাকে । তাই জঘন্যতম অপরাধ করার পরেও পার পেয়ে যায় । এই কবিতার বাচন ভঙ্গিও সেই কবিতার অনুরূপ । ওটা একান্তই পাটলিক ভঙ্গি । এই ভঙ্গি থেকেও তোমাকে বেরিয়ে আসতে হবে । পটল বটব্যালের ভূত মাথায় চড়ে বসলে মৌলিকত্ব ক্ষুন্ন হতে পারে । তবে এই কবিতার ভাষা ও বিষয় একেবারে রাজযোটক । এই কবিতা মানুষের চেতনাকে স্পর্শ করার জন্য একেবারে মোক্ষম । তবে বহুল চর্চিত বিষয় । আমার ইচ্ছে সহজ ভাষায় এক অজ্ঞেয় বিমূর্তকে কবিতায় মূর্ত করো । যে ভাবনা কাহিনীর সুতোয় গাঁথা নয় । গাঁথা যায় না । পাঠক ভাববে । কিন্তু ভেবেও কুল-কিনারা পাবে না । এক অমোঘ টানে হাবুডুবু খাবে । পালিয়ে যেতে চাইবে । রক্তাক্ত হবে । কিন্তু কবিতার রহস্যের কাছে বারবার ফিরে আসবে । যে যন্ত্রনায় তুমি ক্ষত-বিক্ষত সেই য্ন্ত্রনায় রক্তাক্ত হবে পাঠক । তোমার ক্ষমতা আছে । সক্ষমের কাছে চাওয়াটা রীতি । আর এই দাবিটা আমি শুধু তোমার কাছেই করতে পারি ।
      আমার প্রিয় কবিকে একটি পাটলিক কবিতা উপহার :

      "আলো এসে পড়েনি পাতায়
      প্রচলিত আলো এসে পড়ল আবার
      অম্লরস
      কেটে গেল রাত্রিদুধ...

      শিকড়ে জমে থাকল
      অন্ধকার ..ঘন অন্ধকার..."

      ভালো থেকো ।
      • অর্চিষ্মান ১৬/০২/২০১৬
        আমি চেষ্টা করবো অজ্ঞেয় বিমূর্তকে মূর্ত করে তোলা,এবং তা হবে একেবারেই সহজ ভাষায় অথচ মারাত্মক রহস্যময়।আমার আত্মবিশ্বাস আছে।আমি নিশ্চয়ই পারবো।আমি বাংলা সাহিত্য বদলে দিব।এখনো প্রচুর সময় আমার হাতে আছে।আমার পটল-রূপ আত্মাটি কয়দিন এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকবেনা তা আমি জানিনা, তবে সে জেনে রাখুক তাকে একজন মনে রাখবে সারাজীবন এবং সে এটাও জেনে রাখুক বাংলা সাহিত্যকে (অর্চষ্মান) একদিন অনেকদূর নিয়ে যাবে।এটা দৃঢ় প্রত্যয়ের কথা।আমি সাতদিন বিরতী নিচ্ছি।লেখার পর ফিরে আসব।উপহার বুকে সাজিয়ে রাখলাম।দেখা হবে আগামী সপ্তাহে।শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।

        অর্চি
        ---------------
        - অর্চিষ্মান

        অর্চি।এক একটা মুহূর্ত সুতোর টানে ফিরে এসে কলঙ্কাতীত স্মৃতিচিহ্নের পাশে এনে দেয় অন্ধকার স্রোত
        গরম ভাতের কথা ভুলে গিয়ে উনুনে জ্বলতে থাকে শরবিদ্ধ আহত শব্দের ইতিহাস;জীবনের সর্বগ্রাসী সুর।
        প্রেম চলে যাচ্ছে ,কিন্তু বুকে মাংসের ক্ষোভ, প্রণয়ের পর্যটনও অতিথিশূন্য,পড়ে আছে শূন্য কলসিতে রাখা পাথর,
        দেখেছ কি?গিরিখাতে চলছে উপরে ওঠার কল্প-নির্মান,শক্তির চাপে ভোরের-রক্ত বেয়ে কাঁপুনি তোলে অতীতের-ফুল,
        রেণুগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে আপেক্ষিক বেদনায়,জন্মান্ধ-প্রেমিক যে নিয়তির ভগ্নস্তুপে শুধু খুঁজে বেড়ায় ঘ্রাণ!

        অর্চি,মূর্ছা যেওনা!কারণ জিরাফের গলায় ঝুলে উচ্চতম বৃক্ষটির পাতা ছুঁয়ে প্রেমিক জানতে চায় শেকড়ের ইতিহাস;
        পাখির কাছে বিলিয়ে দেয় বীজের দানা,আহা!অরণ্য উৎসবে শ্বাপদের উচ্ছ্বাস, হুমড়ি খেয়ে মাটিতে পড়ে ধুলোর সৈনিক।
        পরাজিত চোখে ভেসে ওঠে প্রেমিকার অপসৃয়মান মুখশ্রীর রূপ,শেষে,সময়ের দূরত্বই কেড়ে নেয়
        জন্ম-জন্মান্তরে খুঁজে পাওয়া প্রেমের সাজানো নথিপত্র……
        • অর্চিষ্মান ১৬/০২/২০১৬
          থাকবেনা<থাকবে
          অর্চষ্মান<অর্চিষ্মান
          • অভিযান পাল ১৬/০২/২০১৬
            তোমার জয় নিয়ে আমার মনে বিন্দুমাত্র সংশয় নেই । তোমার লক্ষ্য যে দিন পূরণ হবে আমার পিতৃ-সত্তা অহংকৃত হবে । তোমার জয়ে মিশে থাকবে আমার জয়ের পরিতৃপ্তি । ভালো থেকো । তোমার নব জন্মের প্রতীক্ষায় থাকলাম।
  • ভাল
  • ধ্রুব রাসেল ০৪/০২/২০১৬
    ভাল লিখেছেন। শুভেচ্ছা নিবেন।
  • প্রদীপ চৌধুরী. ০৪/০২/২০১৬
    ভালো হয়েছে
  • মাহাবুব ০৩/০২/২০১৬
    ভালো লাগলো, কবি।
  • অভিষেক মিত্র ০৩/০২/২০১৬
    ক্লাসিক!
  • হরেকৃষ্ণ দে ০৩/০২/২০১৬
    খুব সুন্দর।শুভেচ্ছো নেবেন।একটা টাইপ মিস্টেক মনে হলো দেখে নিবেন-
    'গাঢ' শব্দটা।
    • অভিযান পাল ০৩/০২/২০১৬
      ধন্যবাদ । আমার সিস্টেমে "ঢ" বিন্দু লিখতে পারছি না । এক জনকে ডেকেছি । দেখি সে কিছু করতে পারে কি না ।
 
Quantcast