ক্রিপ্টোলোজিক্যাল ভালোবাসা
দোস্ত তোর কাছে " তোমার আমার প্রেম , আমি আজো বুজিনি " গানটা আছে ?
-আছে । কেনো ?
গানটা আমাকে লিখে দে তো ।
-কি করবি ?
তা দিয়ে তুই কি করবি ? দিতে বলছি দে ।
-দাড়া দিচ্ছি ।
গান লেখা পেডের পৃষ্ঠাটা পকেটে নিয়ে বের হয়ে গেলো রাজন ।
ফাহমিদা বলেছে গানটা নাকি ওর খুব দরকার । গানটা কি জোগাড় করে না দিয়ে থাকা যায় !
ফাহমিদা কে ?
রাজনের স্বপ্ন সারথী । ৫ বছর ধরে একসাথে পড়ালেখা করছে ।মেয়েটা এতো সুন্দর কেনো ? প্রশ্নটা মনে ঘুরপাক খায় রাজনের ।
এই নে তোর গান
ফাহমিদা - থ্যাংকস দোস্ত । ওমা ,এটা কি লিখা নিচে ?
-ক্রিপ্টোলোজি বুজিস ?
ফাহমিদা - কিছুটা ।
-ক্রিপ্টোলোজি কয় ধরনের ?
ফাহমিদা - তা তো জানি না ।
-ক্রিপ্টোলোজি ৬ ধরনের । এটা ক্রিপ্টোলোজির ৬ষ্ঠ নাম্বার ধরন ।
ফাহমিদা - ও । তা এখানে কি লিখা আছে ?
-এটা আমি বলবো না । তুই যদি পারিস তাহলে বোঝ । না পারলে নাই ।
এটা বলেই চলে গেলো রাজন । ফাহমিদা সুন্দর একটা পেইজে গানটা কপি করা শুরু করলো । খেয়ালও করলো না একটা লিখা । যাতে লিখা আছে
" YBELUK "
আচ্ছা তোকে একটা বই দিবো । এটা পড়বি । ক্রিপ্টোলোজি না জানলে আমার ঐ লিখাটা বুজবি না তুই ।
ফাহমিদা - দুর ভাগ । সামনে পরীক্ষা আর উনি আসলেন ক্রিপ্টোলোজি নিয়ে ।
এভাবেই কেটে গেলো কয়েকটা মাস । SSC exam শেষ । বাড়ি পাশাপাশি হওয়ায় প্রায়ই কথা হয় রাজন আর ফাহমিদার ।
ফাহমিদা - রাজন তোকে আমার একটা গোপন কথা বলবো ।
-বল ।
ফাহমিদা - আমি একজনকে ভালোবাসি ।
-কে ?
ফাহমিদা - নিহান ।
-ও ।
ফাহমিদা - আচ্ছা তুই যে আমাকে ক্রিপ্টোলোজির মাধ্যমে একটা মেসেজ দিয়েছিলি তার অর্থটা কি ?
-সেটা তুই বের করিস ।
ফাহমিদা - আচ্ছা বাবা আমিই বের করবো । কিন্তু ৬ষ্ঠ নিয়মটা আমাকে বোঝা আগে...
- তাহলে শোন । ক্রিপ্টোলোজি হলো বিশেষ নিয়মে কোন ইংরেজি বাক্যকে জটিল করে লেখা । অবশ্য অন্য ভাষায়ও লিখা যায় । তবে ইংরেজিটাই বেশি প্রচলিত । এটার নিয়ম ৬টা । আমারটা হচ্ছে ৬ষ্ঠ নিয়মের । এই নিয়মে প্রথমে A = অন্য যেকোন একটি বর্ণ নিতে হয় । যেমনধর C = যদি M ধরিস তাহলে B = কতো হবে ?
ফাহমিদা - L
-রাইট ।
ফাহমিদা - তাহলে তুই কতো সমান কতো ধরছিস ?
- এটা তুই বের কর । ক্রিপ্টোলোজি এতো সোজা না । আর এটা বের করে তো এখন আর লাভ নেই ।
ফাহমিদা - কেনো ? কারণটা কি ?
- কারণটা হলো নিহান ।
ফাহমিদা - নিহান !!! মানে !!!
ঘরে ঢুকে রাজনের ঐ লাইনটা নিয়ে বসলো ফাহমিদা । ছাত্রী ভালো । একটু পরই বুজলো রাজন Z = J ধরেছে । তার মানে লাইনটা কি দাড়ায় ?
বাইরে বেরিয়ে এসে দেখলো রাজন নেই । থাকলেও কিছু করার ছিলো না । নিহানকে যে বড় ভালোবাসে ফাহমিদা !!!
রাজন তখন হাটছে । আর ভাবছে , " সাধারণ হিসেবে জীবন কঠিন ক্রিপ্টোলোজিও কঠিন । তবে ভালোবাসা হলো আত্মিক ব্যাপার । এখানে ক্রিপ্টোলোজি মিশানোর কি দরকার ছিলো ? "
স্বপ্ন রাজ্য থেকে বিতাড়িত এক তরুণের চিকচিক করা চোখ দেখেছিলো শুধু কিছু গাছ আর পাখি ।
পিছনে তখন মিটিমিটি হাসছে রাজনের " ক্রিপ্টোলোজিক্যাল ভালোবাসা ।"
লেখক : কামরুল পাশা
-আছে । কেনো ?
গানটা আমাকে লিখে দে তো ।
-কি করবি ?
তা দিয়ে তুই কি করবি ? দিতে বলছি দে ।
-দাড়া দিচ্ছি ।
গান লেখা পেডের পৃষ্ঠাটা পকেটে নিয়ে বের হয়ে গেলো রাজন ।
ফাহমিদা বলেছে গানটা নাকি ওর খুব দরকার । গানটা কি জোগাড় করে না দিয়ে থাকা যায় !
ফাহমিদা কে ?
রাজনের স্বপ্ন সারথী । ৫ বছর ধরে একসাথে পড়ালেখা করছে ।মেয়েটা এতো সুন্দর কেনো ? প্রশ্নটা মনে ঘুরপাক খায় রাজনের ।
এই নে তোর গান
ফাহমিদা - থ্যাংকস দোস্ত । ওমা ,এটা কি লিখা নিচে ?
-ক্রিপ্টোলোজি বুজিস ?
ফাহমিদা - কিছুটা ।
-ক্রিপ্টোলোজি কয় ধরনের ?
ফাহমিদা - তা তো জানি না ।
-ক্রিপ্টোলোজি ৬ ধরনের । এটা ক্রিপ্টোলোজির ৬ষ্ঠ নাম্বার ধরন ।
ফাহমিদা - ও । তা এখানে কি লিখা আছে ?
-এটা আমি বলবো না । তুই যদি পারিস তাহলে বোঝ । না পারলে নাই ।
এটা বলেই চলে গেলো রাজন । ফাহমিদা সুন্দর একটা পেইজে গানটা কপি করা শুরু করলো । খেয়ালও করলো না একটা লিখা । যাতে লিখা আছে
" YBELUK "
আচ্ছা তোকে একটা বই দিবো । এটা পড়বি । ক্রিপ্টোলোজি না জানলে আমার ঐ লিখাটা বুজবি না তুই ।
ফাহমিদা - দুর ভাগ । সামনে পরীক্ষা আর উনি আসলেন ক্রিপ্টোলোজি নিয়ে ।
এভাবেই কেটে গেলো কয়েকটা মাস । SSC exam শেষ । বাড়ি পাশাপাশি হওয়ায় প্রায়ই কথা হয় রাজন আর ফাহমিদার ।
ফাহমিদা - রাজন তোকে আমার একটা গোপন কথা বলবো ।
-বল ।
ফাহমিদা - আমি একজনকে ভালোবাসি ।
-কে ?
ফাহমিদা - নিহান ।
-ও ।
ফাহমিদা - আচ্ছা তুই যে আমাকে ক্রিপ্টোলোজির মাধ্যমে একটা মেসেজ দিয়েছিলি তার অর্থটা কি ?
-সেটা তুই বের করিস ।
ফাহমিদা - আচ্ছা বাবা আমিই বের করবো । কিন্তু ৬ষ্ঠ নিয়মটা আমাকে বোঝা আগে...
- তাহলে শোন । ক্রিপ্টোলোজি হলো বিশেষ নিয়মে কোন ইংরেজি বাক্যকে জটিল করে লেখা । অবশ্য অন্য ভাষায়ও লিখা যায় । তবে ইংরেজিটাই বেশি প্রচলিত । এটার নিয়ম ৬টা । আমারটা হচ্ছে ৬ষ্ঠ নিয়মের । এই নিয়মে প্রথমে A = অন্য যেকোন একটি বর্ণ নিতে হয় । যেমনধর C = যদি M ধরিস তাহলে B = কতো হবে ?
ফাহমিদা - L
-রাইট ।
ফাহমিদা - তাহলে তুই কতো সমান কতো ধরছিস ?
- এটা তুই বের কর । ক্রিপ্টোলোজি এতো সোজা না । আর এটা বের করে তো এখন আর লাভ নেই ।
ফাহমিদা - কেনো ? কারণটা কি ?
- কারণটা হলো নিহান ।
ফাহমিদা - নিহান !!! মানে !!!
ঘরে ঢুকে রাজনের ঐ লাইনটা নিয়ে বসলো ফাহমিদা । ছাত্রী ভালো । একটু পরই বুজলো রাজন Z = J ধরেছে । তার মানে লাইনটা কি দাড়ায় ?
বাইরে বেরিয়ে এসে দেখলো রাজন নেই । থাকলেও কিছু করার ছিলো না । নিহানকে যে বড় ভালোবাসে ফাহমিদা !!!
রাজন তখন হাটছে । আর ভাবছে , " সাধারণ হিসেবে জীবন কঠিন ক্রিপ্টোলোজিও কঠিন । তবে ভালোবাসা হলো আত্মিক ব্যাপার । এখানে ক্রিপ্টোলোজি মিশানোর কি দরকার ছিলো ? "
স্বপ্ন রাজ্য থেকে বিতাড়িত এক তরুণের চিকচিক করা চোখ দেখেছিলো শুধু কিছু গাছ আর পাখি ।
পিছনে তখন মিটিমিটি হাসছে রাজনের " ক্রিপ্টোলোজিক্যাল ভালোবাসা ।"
লেখক : কামরুল পাশা
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।