আর্থিক অবমূল্যায়ণে নারী
আপনি বিবাহিত কিন্তু চাকরি সুবাদে আছেন,
মেস থেকে মেসে, ঘুরেন জেলায়-জেলায়।
আপনি অফিসের চাপে অস্থির,আছেন ভীষণ জ্বালায়;
আপনার শরীরে ভীষণ ক্লান্তি,কাজ করার কোন ফুরসত নাই-
আপনার রান্না-বান্না,কাপড় কাঁচার কাজ
কোন না কোন বুয়া চালায়।
আপনি বুয়াকে মাস শেষেঅবহেলার অপর্যাপ্ত টাকা দেন
এবং এটাকে কিছুটা কাজ মনে করেন।
কিন্তু ঠিক একই কাজ যখন আপনি নিজ স্ত্রী কে দিয়ে বাড়িতে করান,
তখন এটা আপনার কোন কাজের মধ্যেই পড়ে না!
অথচ বাড়িতে শুধু আপনার একার নয়,
আপনার সন্তান-সন্ততি সহ পরিবারের সকলের
যাবতীয় অবহেলিত ও অস্বস্তিকর কাজ করে এই নারী!
আপনি তাকে মাইনেও দেন না,অধিকন্তু
ঘরকন্নার কাজ কিংবা হস্তশিল্পজাত অর্জিত
অন্যায্য মূল্য থেকেও ভাগ বসান।
নারীর থাকে না ন্যায্য আর্থিক মূল্যায়ন,না থাকে অর্থ ব্যায়ের স্বাধীনতা !
এতো গেলো পরিবারের কথা,
পরিবারে না হয় আবেগিক আবদারের বিষয় আছে-
তাই হয়তো শত শত জননী রক্ত -মাংস পানি করে,
গাধার খাটুনি খেটে সন্তানকে দেশেরগণ্যমান্য করেও
রত্নগর্ভা নামক এক অবমূল্যায়ণের উপাধি লাভ করে,
যাতে বুঝা যায় নারীর কোন অবদান নেই,
যত অবদান আছে কেবল তার গর্ভের!
শুধু পরিবারে নয়,নারী এভাবেই
নীরবে অবমূল্যায়ণের কাজ করে চলেছে,
ঘরে, বাইরে এমনকি দেশের জাতীয় অর্থনীতে!
নারীর এসকল কাজের যদি সঠিক আর্থিক মূল্যায়ণ হয়,
তবে গত ১৪-১৫ অর্থ বছরের বাজেট,
আমাদের এক ভয়াবহ রেজাল্ট দেয়-
গত আর্থিক বছরের জিডিপির মোট আকার ছিল-
তের লক্ষ পঞ্চাশ হাজার নয়শত বিশ কোটি টাকা।
উপরোক্ত আর্থিক মূল্যায়ণে যাতে নারীর অবদান-
চলতি মূল্যে দশ লক্ষ সাইত্রিশ হাজার পাঁচশত
ছয় কোটি টাকা!
শতকরায় যা মোট জিডিপির ৭৬.৮ ভাগের সমান-
সিপিডির ২৫ অক্টোবর২০১৪ এর প্রকাশিত
গবেষণা প্রতিবেদনই এর প্রমাণ,
কিন্তু হায়; বাজেটের বাইরেই রয়ে গেলো
সে মূল্যায়ণ বা অবদান!
27/10/2014
12:41
মেস থেকে মেসে, ঘুরেন জেলায়-জেলায়।
আপনি অফিসের চাপে অস্থির,আছেন ভীষণ জ্বালায়;
আপনার শরীরে ভীষণ ক্লান্তি,কাজ করার কোন ফুরসত নাই-
আপনার রান্না-বান্না,কাপড় কাঁচার কাজ
কোন না কোন বুয়া চালায়।
আপনি বুয়াকে মাস শেষেঅবহেলার অপর্যাপ্ত টাকা দেন
এবং এটাকে কিছুটা কাজ মনে করেন।
কিন্তু ঠিক একই কাজ যখন আপনি নিজ স্ত্রী কে দিয়ে বাড়িতে করান,
তখন এটা আপনার কোন কাজের মধ্যেই পড়ে না!
অথচ বাড়িতে শুধু আপনার একার নয়,
আপনার সন্তান-সন্ততি সহ পরিবারের সকলের
যাবতীয় অবহেলিত ও অস্বস্তিকর কাজ করে এই নারী!
আপনি তাকে মাইনেও দেন না,অধিকন্তু
ঘরকন্নার কাজ কিংবা হস্তশিল্পজাত অর্জিত
অন্যায্য মূল্য থেকেও ভাগ বসান।
নারীর থাকে না ন্যায্য আর্থিক মূল্যায়ন,না থাকে অর্থ ব্যায়ের স্বাধীনতা !
এতো গেলো পরিবারের কথা,
পরিবারে না হয় আবেগিক আবদারের বিষয় আছে-
তাই হয়তো শত শত জননী রক্ত -মাংস পানি করে,
গাধার খাটুনি খেটে সন্তানকে দেশেরগণ্যমান্য করেও
রত্নগর্ভা নামক এক অবমূল্যায়ণের উপাধি লাভ করে,
যাতে বুঝা যায় নারীর কোন অবদান নেই,
যত অবদান আছে কেবল তার গর্ভের!
শুধু পরিবারে নয়,নারী এভাবেই
নীরবে অবমূল্যায়ণের কাজ করে চলেছে,
ঘরে, বাইরে এমনকি দেশের জাতীয় অর্থনীতে!
নারীর এসকল কাজের যদি সঠিক আর্থিক মূল্যায়ণ হয়,
তবে গত ১৪-১৫ অর্থ বছরের বাজেট,
আমাদের এক ভয়াবহ রেজাল্ট দেয়-
গত আর্থিক বছরের জিডিপির মোট আকার ছিল-
তের লক্ষ পঞ্চাশ হাজার নয়শত বিশ কোটি টাকা।
উপরোক্ত আর্থিক মূল্যায়ণে যাতে নারীর অবদান-
চলতি মূল্যে দশ লক্ষ সাইত্রিশ হাজার পাঁচশত
ছয় কোটি টাকা!
শতকরায় যা মোট জিডিপির ৭৬.৮ ভাগের সমান-
সিপিডির ২৫ অক্টোবর২০১৪ এর প্রকাশিত
গবেষণা প্রতিবেদনই এর প্রমাণ,
কিন্তু হায়; বাজেটের বাইরেই রয়ে গেলো
সে মূল্যায়ণ বা অবদান!
27/10/2014
12:41
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আকাশ আর আমি ৩০/১০/২০১৪ভালো লাগলো..
-
পিয়ালী দত্ত ২৮/১০/২০১৪অনবদ্য
-
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. ২৮/১০/২০১৪সবার সাথে একমত হলাম।
-
মুহা, লুকমান রাকীব ২৮/১০/২০১৪কবিতা যদি এতো বড় হয়!
আপনি তো এভারেষ্ট করবেন জয়।। -
রেনেসাঁ সাহা ২৮/১০/২০১৪ভাল লাগল।
-
মনিরুজ্জামান শুভ্র ২৮/১০/২০১৪ভাই এইটা কিন্তু আমার কাছে কবিতা মনে হল না । প্রবন্ধের মত মনে হল । ভাল লাগলো।
-
অনিরুদ্ধ বুলবুল ২৮/১০/২০১৪বেশ সুন্দর তথ্যবহুল লেখা। ভাল লাগল।
-
সুরজিৎ সী ২৮/১০/২০১৪ভালো হয়েছে।