অবেলা ৩
হঠাৎ ঘরের ভেতর থেকে মোবাইলের রিংটোন বাজার শব্দে যেন সুরভীর সম্বিৎ ফিরল । তারাহুরূ করে ফোনটা হাতে নিয়ে চেনা নাম্বারটা দেখে রিসিভ করবে কি করবে না ভাবতে ভাবতে কল টাইম শেষ হয়ে গেল । শিশুরা চিৎকার করতে করতে হঠাৎ অন্যমনষ্ক হয়ে যেমন আবার কাঁদতে শুরু করে ঠিক তেমনি মোবাইলটা আবার বেজে উঠল । সুরভী ফোনটা রিসিভ করে কানের কাছে হাতটা নিতে নিতে কিছু একটা বলবে তার আগেই ওপাশ থেকে ভেষে আসলো মিষ্টি কন্ঠস্বর । এই স্বরটা তার অনেক দিনের চেনা জানা, রোজ শোনে কিন্তু তারপরেও আজকে কেন যেন আবার ভাল লাগল নতুন করে । মুখে একটা মৃদু হাসির মিষ্টি ঝিলিক ছড়িয়ে পরল, বাইড়ের দখিনা বাতাসটা দমকা না হলেও ঝির ঝির করে তার গায়ে যেন আবেশ মাখিয়ে দিয়ে গেল । নীরবে শুনছে আর মাঝে মাঝে হ্যাঁ না হুঁম্ বলছে । আহা! তুমি বুজতে চেষ্টা করছ না কেন !'-বলা শেষ করতে না করতেই সুরভী হঠাৎ দেখল তার স্বামীর কল ওয়েটিং এ রয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে আগের কলটাকে হোল্ড করে স্বামীর সঙ্গে স্বভাব সিদ্ধ ভঙ্গীতে "হ্যাঁ এক্ষুনি প্রস্তুত হয়ে চলে আসব" বলে স্বামীকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে কল এন্ড করে আগের কলে "হ্যালো, হ্যা আমার স্বামী কল করেছিল, এক্ষুণি আমাকে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে আগে থেকে এপয়েন্টমেন্ট নেওয়া আছে, এখন রাখছি" বলে লাইনটা কেটে কল লিষ্ট থেকে নাম্বারটা ডিলিট করে ঘরের দিকে ফিরে গেল ।
ঘড়িতে সময় তখন ঠিক পাঁচটা দশ, রিক্সা থেকে নেমে ভাড়াটা চুকিয়ে সোজা ডাক্তারের চেম্বারের সামনে গিয়ে তার স্বামী অনিন্দ্য কে না দেখতে পেয়ে কিছুটা অবাক হলো, ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে মোবাইলটা নিয়ে চোখের সান গ্লাসটা ব্যাগে পুরে কল করে ওপাশ থেকে 'সুইচড অফ' বার্তা শোনে চোখে মুখে একটা ভীষন প্রশ্ন চিহ্ন এঁকে দাড়িয়ে রইল কিছুক্ষণ । কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থা সুরভীর একদম ভাল লাগে না , দু একবার পায়চারী করে খেয়াল করল ঠিক হচ্ছে না, আশে পাশে অনেকই তাকে খেয়াল করছে । ডান হাতের মোবাইল ফোনটা ঘামে ভিজে গেছে, আরেক বার চেষ্টা করেও যখন লাইনটা না পেয়ে যখন ডাক্তারের চেম্বারের ভেতরে প্রবেশ করতে উদ্যত হলো ঠিক তখনী একটা পুরুষ কন্ঠ যেন আলতো করে ডাকল "সুরভী" ।
----চলবে
ঘড়িতে সময় তখন ঠিক পাঁচটা দশ, রিক্সা থেকে নেমে ভাড়াটা চুকিয়ে সোজা ডাক্তারের চেম্বারের সামনে গিয়ে তার স্বামী অনিন্দ্য কে না দেখতে পেয়ে কিছুটা অবাক হলো, ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে মোবাইলটা নিয়ে চোখের সান গ্লাসটা ব্যাগে পুরে কল করে ওপাশ থেকে 'সুইচড অফ' বার্তা শোনে চোখে মুখে একটা ভীষন প্রশ্ন চিহ্ন এঁকে দাড়িয়ে রইল কিছুক্ষণ । কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থা সুরভীর একদম ভাল লাগে না , দু একবার পায়চারী করে খেয়াল করল ঠিক হচ্ছে না, আশে পাশে অনেকই তাকে খেয়াল করছে । ডান হাতের মোবাইল ফোনটা ঘামে ভিজে গেছে, আরেক বার চেষ্টা করেও যখন লাইনটা না পেয়ে যখন ডাক্তারের চেম্বারের ভেতরে প্রবেশ করতে উদ্যত হলো ঠিক তখনী একটা পুরুষ কন্ঠ যেন আলতো করে ডাকল "সুরভী" ।
----চলবে
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ১৮/১১/২০১৪অপেক্ষার প্রহর বেশ দীর্ঘ হয়। অপেক্ষায় থাকলাম................