কেমন করে হাসি
খুব হাসতে ইচ্ছে করে।মনে হয় প্রাণ খুলে হাসি,কারণ হাসির মধ্যে নাকি ভিটামিন রয়েছে যা মানুষের শরীরের জন্য খুবই উপকারি।কিন্তু হাসতে পারি কই?
কবি বলেছেন,হাসতে নাকি জানে না কেউ,কে বলেছে ভাই,এই শোনো না কতো হাসির খবর বলে যাই।খোকন হাসে ফোঁকলা দাতে ,চাঁদ হাসে তার সাথে সাথে …. “ কবি অনেক ধরনের হাসির কথা বলেছেন।কিন্তু তারপরেও আমি হাসতে পারি না। হাসি আর আসেনা আজকাল।নিশ্চুপে অপরাধির মতো সম্মুখে অবগাহন এই ধরাধামে অবিরত।
কালেভদ্রে কমেডি নাটক দেখি-ঐ ইচ্ছা একটাই একটুখানি হাসতে চাই। নাটকে বহুজন,মানে অনেক অভিনেতা হাসাচ্ছে… তারপর হাসতে হাসতে অবশেষে চোখের কোণে আঁখিজল।কি নিদারুণ!হাসতে বাঁধা দিচ্ছে কে? শুধালাম নিজেকে-উত্তর দিতে কি আমি পারি।তবু মনে মনে বলি-রোজ ফিলিস্তিনের বুকে আগুন-জ্বলছে পুড়ছে শিশু-যুবা-বৃদ্ধ-নারী।আমি কি আর হাসতে পারি ,হাসি কি আর আসে-বুকের গহীনে হু হু করে ওঠে বেদনার বীণ,আমি নীরবে আঁখি মুছি।মানবাধিকারের কথা যারা বলে তারা শোনে নি আমার কান্না।নিরাপরাধ মানুষের রক্তে পিশাচেরা খুঁজে পায় শান্তির বারিধারা।
আমি কেমন করে হাসি!রোজ রোজ শিশুর মৃত্যু দেখে।আহ!ফিলিস্তিন তুমি যেন আমার হাজার বছরের কান্না।
মনে মনে ভাবলাম,হাসবই এবার-জোড় করে হাসব।আর ভাবব না দুনিয়ার কোনো কিছু।বিবেক কে দেব ফাঁকি। এবার ভাবলাম তাহলে একা একা ডাক্তার দেখানো যেতে পারে -কিভাবে হাসতে পারি সে বিষয়ে।সিদ্ধান্ত নিলাম ডাক্তার দেখাবো,কিন্তু পরক্ষণে মনে পড়লো সিরিয়াল দিতে হবে,তারপরে ডাক্তার সাহেব হয়তো পাচ-সাতটা টেস্ট দিতে পারেন,কেন আমার হাসি আসেনা এ কারণে।বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে এসব টেস্ট করাতে হবে।অনেক সময় এবং অর্থকড়ির দরকার পড়বে।শুধু হাসির কারণে এতসব কখন করবো-ভাবলাম এ বিস্তর দুরুহ কাজ।হাসির জন্য এত ঝক্কি নিতে পারবো না। আর তারপরেও যদি হাসি না আসে।এসব ভেবে মগজে প্যাঁচাল বেধে গেল।ভাবুন অবস্থাটা,ডাক্তার-সিরিয়াল-টেস্ট-ঔষধ-সুস্থতা-অসুস্থতা-অনিশ্চয়তা।সুতরাং হাসি কি আর আসে।
আরও চিন্তিত হয়ে পড়লাম।ডাক্তার দেখানোর সিদ্ধান্ত বাদ দিলাম।কিন্তু আমার তো একটু হাসতে হবে।সহসা ভাবলাম রাজনৈতিক নেতাদের কীর্তিকলাপ ভেবে দেখি তাহলে হয়তো হাসি পেয়েও যেতে পারে।যেমন সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর কান্ড কারখানা কিম্বা অর্থমন্ত্রীর লাগামহীন বয়ান।হাসি বুঝি এবার পেয়েই গিয়েছিল।হেসেই উঠেছিলাম-কিন্তু ওরে বাবা একটুতেই চুপ হয়ে গেলাম।আমি আর হাসতে পারলাম না।কেননা সঙ্গে সঙ্গে মনে পড়ে গেল এখন চারিদিকে চলছে গুম করার প্রক্রিয়া।আমি নিশ্চুপ হলাম-বিষণ্ণতায় মন ভরে উঠল।যদি গুমের রাজনীতি আমার মতো সাধারণ মানুষদেরও আক্রান্ত করে।কেননা এখন পর্যন্ত কোনো গুমেরই তো সুরাহা হয়নি।ভয়ে আঁতকে উঠলাম।ওরে বাবা!আমি কেমন করে হাসি!
দিন কেটে যায়।ভাবনা কি পিছু ছাড়ে।আমিও বেপরোয়া-একটু হাসি তো আমার জীবনে চাই।হাসবো কেমন করে এ নিয়ে আমার ভাবনার অন্ত নাই।নিজেকে বললাম-ধূর হাসলেই তো হয়-কিন্তু না,পারি না।রোজ রোজ রাজনৈতিক কোন্দলে মানুষ খুন,সড়ক দূর্ঘটনায় তাজা প্রাণ অকালে ঝরে যায়,ভাবনা এসে নাড়া দেয়-আমাদের কিছুই করার ক্ষমতা নাই।আমরা সবাই নীরব দর্শক।নেতা নেত্রীর আশ্বাস যেন শিশুদের কাছে রাজা-রানীর গল্প বলা।বুঝুন আমার অবস্থাটা,হাসতে কি আর পারি!
হাসি নিয়ে গণ্ডগোলে পড়ে গেলাম।যেই হাসতে চাই,অমনি মগজে টোকা মারে অচেনা ভাইরাস।ক্ষমতার দ্বন্ধে মানুষে মানুষে আজ কতো ভেদাভেদ।মানুষ নিশ্চিন্তে স্ব-জাতিকে খুন করে।আমি আঁতকে উঠি-ভয় পাই।বুকের ভেতর অজান্তেই জমে গেছে শত-সহস্র কান্না।হাসতে গেলেই আঁখি কোণ থেকে ঝরে অঝোর জলধারা।
একটু হাসির জন্য আজ কতো কান্না আমার।তবু দেখা মেলেনা সামান্যতম মুচকি হাসির।আমি হাসতে পারিনা আজ।ইরাক-ফিলিস্তিন-আফগানিস্তানের বুকে যে আগুন জ্বলে রোজ,তা যেন আমার বুকের ভেতরেও দাউ দাউ করে জ্বলে।নিরপরাধ আমজনতার খুন-আমরা নীরব দর্শক।বিশ্ব বিবেক,মানবতা,অন্ধ সবকিছু।নিজেকে অপরাধী মনে হয়-অপরাধীর প্রাণে কি আর হাসি থাকে।
আমার বাংলাদেশ।কতো স্বপ্নের সোনালী স্বদেশ;ভালোবাসা অফুরান বুকেতে জমা আমার দেশের তরে।কিন্তু কই-ভালোবাসতে পারলাম কই।দুঃখে বুক ফেটে যায়,আজ কত ভাগে বিভক্ত আমরা,শুধু নিজেদের স্বার্থের কারণে।অপরের খুনে অধিষ্ঠিত হতে চাই ক্ষমতায়,আমরা সবাই অদ্ভুত খেলায় মত্ত।হাসি কি আর আসে।আমরা খন্ড-বিখন্ড,আমাদের মাঝে একতা নাই।মগজে ভাবনার খেলাঘর,কতকিছু ভাবনা আসে নতুন-পুরানো।সবাই একমতে আসবে কবে? আমি কিন্তু হাসতে পারি না,বুকেতে কান্না।শুধু ভেবে যাচ্ছি,কেমন করে হাসি!
২৩.০৯.২০১৪
কবি বলেছেন,হাসতে নাকি জানে না কেউ,কে বলেছে ভাই,এই শোনো না কতো হাসির খবর বলে যাই।খোকন হাসে ফোঁকলা দাতে ,চাঁদ হাসে তার সাথে সাথে …. “ কবি অনেক ধরনের হাসির কথা বলেছেন।কিন্তু তারপরেও আমি হাসতে পারি না। হাসি আর আসেনা আজকাল।নিশ্চুপে অপরাধির মতো সম্মুখে অবগাহন এই ধরাধামে অবিরত।
কালেভদ্রে কমেডি নাটক দেখি-ঐ ইচ্ছা একটাই একটুখানি হাসতে চাই। নাটকে বহুজন,মানে অনেক অভিনেতা হাসাচ্ছে… তারপর হাসতে হাসতে অবশেষে চোখের কোণে আঁখিজল।কি নিদারুণ!হাসতে বাঁধা দিচ্ছে কে? শুধালাম নিজেকে-উত্তর দিতে কি আমি পারি।তবু মনে মনে বলি-রোজ ফিলিস্তিনের বুকে আগুন-জ্বলছে পুড়ছে শিশু-যুবা-বৃদ্ধ-নারী।আমি কি আর হাসতে পারি ,হাসি কি আর আসে-বুকের গহীনে হু হু করে ওঠে বেদনার বীণ,আমি নীরবে আঁখি মুছি।মানবাধিকারের কথা যারা বলে তারা শোনে নি আমার কান্না।নিরাপরাধ মানুষের রক্তে পিশাচেরা খুঁজে পায় শান্তির বারিধারা।
আমি কেমন করে হাসি!রোজ রোজ শিশুর মৃত্যু দেখে।আহ!ফিলিস্তিন তুমি যেন আমার হাজার বছরের কান্না।
মনে মনে ভাবলাম,হাসবই এবার-জোড় করে হাসব।আর ভাবব না দুনিয়ার কোনো কিছু।বিবেক কে দেব ফাঁকি। এবার ভাবলাম তাহলে একা একা ডাক্তার দেখানো যেতে পারে -কিভাবে হাসতে পারি সে বিষয়ে।সিদ্ধান্ত নিলাম ডাক্তার দেখাবো,কিন্তু পরক্ষণে মনে পড়লো সিরিয়াল দিতে হবে,তারপরে ডাক্তার সাহেব হয়তো পাচ-সাতটা টেস্ট দিতে পারেন,কেন আমার হাসি আসেনা এ কারণে।বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে এসব টেস্ট করাতে হবে।অনেক সময় এবং অর্থকড়ির দরকার পড়বে।শুধু হাসির কারণে এতসব কখন করবো-ভাবলাম এ বিস্তর দুরুহ কাজ।হাসির জন্য এত ঝক্কি নিতে পারবো না। আর তারপরেও যদি হাসি না আসে।এসব ভেবে মগজে প্যাঁচাল বেধে গেল।ভাবুন অবস্থাটা,ডাক্তার-সিরিয়াল-টেস্ট-ঔষধ-সুস্থতা-অসুস্থতা-অনিশ্চয়তা।সুতরাং হাসি কি আর আসে।
আরও চিন্তিত হয়ে পড়লাম।ডাক্তার দেখানোর সিদ্ধান্ত বাদ দিলাম।কিন্তু আমার তো একটু হাসতে হবে।সহসা ভাবলাম রাজনৈতিক নেতাদের কীর্তিকলাপ ভেবে দেখি তাহলে হয়তো হাসি পেয়েও যেতে পারে।যেমন সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর কান্ড কারখানা কিম্বা অর্থমন্ত্রীর লাগামহীন বয়ান।হাসি বুঝি এবার পেয়েই গিয়েছিল।হেসেই উঠেছিলাম-কিন্তু ওরে বাবা একটুতেই চুপ হয়ে গেলাম।আমি আর হাসতে পারলাম না।কেননা সঙ্গে সঙ্গে মনে পড়ে গেল এখন চারিদিকে চলছে গুম করার প্রক্রিয়া।আমি নিশ্চুপ হলাম-বিষণ্ণতায় মন ভরে উঠল।যদি গুমের রাজনীতি আমার মতো সাধারণ মানুষদেরও আক্রান্ত করে।কেননা এখন পর্যন্ত কোনো গুমেরই তো সুরাহা হয়নি।ভয়ে আঁতকে উঠলাম।ওরে বাবা!আমি কেমন করে হাসি!
দিন কেটে যায়।ভাবনা কি পিছু ছাড়ে।আমিও বেপরোয়া-একটু হাসি তো আমার জীবনে চাই।হাসবো কেমন করে এ নিয়ে আমার ভাবনার অন্ত নাই।নিজেকে বললাম-ধূর হাসলেই তো হয়-কিন্তু না,পারি না।রোজ রোজ রাজনৈতিক কোন্দলে মানুষ খুন,সড়ক দূর্ঘটনায় তাজা প্রাণ অকালে ঝরে যায়,ভাবনা এসে নাড়া দেয়-আমাদের কিছুই করার ক্ষমতা নাই।আমরা সবাই নীরব দর্শক।নেতা নেত্রীর আশ্বাস যেন শিশুদের কাছে রাজা-রানীর গল্প বলা।বুঝুন আমার অবস্থাটা,হাসতে কি আর পারি!
হাসি নিয়ে গণ্ডগোলে পড়ে গেলাম।যেই হাসতে চাই,অমনি মগজে টোকা মারে অচেনা ভাইরাস।ক্ষমতার দ্বন্ধে মানুষে মানুষে আজ কতো ভেদাভেদ।মানুষ নিশ্চিন্তে স্ব-জাতিকে খুন করে।আমি আঁতকে উঠি-ভয় পাই।বুকের ভেতর অজান্তেই জমে গেছে শত-সহস্র কান্না।হাসতে গেলেই আঁখি কোণ থেকে ঝরে অঝোর জলধারা।
একটু হাসির জন্য আজ কতো কান্না আমার।তবু দেখা মেলেনা সামান্যতম মুচকি হাসির।আমি হাসতে পারিনা আজ।ইরাক-ফিলিস্তিন-আফগানিস্তানের বুকে যে আগুন জ্বলে রোজ,তা যেন আমার বুকের ভেতরেও দাউ দাউ করে জ্বলে।নিরপরাধ আমজনতার খুন-আমরা নীরব দর্শক।বিশ্ব বিবেক,মানবতা,অন্ধ সবকিছু।নিজেকে অপরাধী মনে হয়-অপরাধীর প্রাণে কি আর হাসি থাকে।
আমার বাংলাদেশ।কতো স্বপ্নের সোনালী স্বদেশ;ভালোবাসা অফুরান বুকেতে জমা আমার দেশের তরে।কিন্তু কই-ভালোবাসতে পারলাম কই।দুঃখে বুক ফেটে যায়,আজ কত ভাগে বিভক্ত আমরা,শুধু নিজেদের স্বার্থের কারণে।অপরের খুনে অধিষ্ঠিত হতে চাই ক্ষমতায়,আমরা সবাই অদ্ভুত খেলায় মত্ত।হাসি কি আর আসে।আমরা খন্ড-বিখন্ড,আমাদের মাঝে একতা নাই।মগজে ভাবনার খেলাঘর,কতকিছু ভাবনা আসে নতুন-পুরানো।সবাই একমতে আসবে কবে? আমি কিন্তু হাসতে পারি না,বুকেতে কান্না।শুধু ভেবে যাচ্ছি,কেমন করে হাসি!
২৩.০৯.২০১৪
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মো শাকিল খান ০৩/১০/২০২৪অসাধারণ!
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ১৭/০৪/২০২৪বেস্ট
-
আলমগীর সরকার লিটন ১৬/০৪/২০২৪চমৎকার কবি দা
-
ফয়জুল মহী ১৫/০৪/২০২৪চমৎকার লিখেছেন