www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

নাসিকা গর্জন



আমরা বাঙ্গালী জাতি নাকি যতো গর্জাই ততোটা বর্ষাই না। যদিও গর্জনেই যদি কাজ হাসিল হয়ে যায়, তাহলে বর্ষানোরই বা দরকার কি তা আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে তেমন একটা বোধগম্য হয় না। এ নিয়ে অবশ্য খুব একটা মাথা ঘামাতেও আমি রাজি না। গুণীজনেরা যা বলেন তা বিনা বাক্যব্যায়ে মেনে নিতে পারাতেই তো পরমানন্দ! তাই বলে বর্ষনকেও আমি মোটেই হেলাফেলা করতে রাজী না। বাংলার গ্রামে বর্ষার রূপ যে না দেখেছেন তাকে কোন রকম তর্জন গর্জনেই সেই রূপ বুঝানো সম্ভব না। এছাড়া নারীর অশ্রু বর্ষনের কথাই ধরুন। যে কোন পুরুষের গুরুগর্জনকে ছাপিয়ে প্রবল বন্যায় ভাসিয়ে দিতে তাদের কয়েক ফোঁটা অশ্রু বর্ষনই যথেষ্ট। ভাগ্যিস আমরা যতো গর্জাই ততোটা বর্ষাই না। নইলে যে পরিণতি কি হতো তা একমাত্র উপরওয়ালাই জানেন।

যাকগে, বর্ষন না, আজ স্রেফ গর্জনের উপর দিয়েই কাহিনী শেষ করতে চাচ্ছি। আর গর্জনের পটভূমি হচ্ছে আমার লন্ডনের প্রবাস জীবন।

ছাত্র জীবন নাকি পরম সুখের জীবন। তো সেই হিসাবে লন্ডনে ছাত্র হিসাবে বেশ সুখেই দিন কাটাচ্ছিলাম। পড়ালেখার নাম করে মন চাইলে মাঝে মধ্যে ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পে পদচারণা, এবং এদিক সেদিক ছিটেফোঁটা পার্ট টাইম চাকরী। সেই চাকরীতে পড়ালেখার খরচ দূরে থাকুক, থাকা-খাওয়ার খরচ তুলতে তুলতেই জানের অবস্থা কাহিল। বাইরে সুধৈর্য ভিজে বিড়াল ভাব ধরে রাখলেও মনে তাই নিত্য আক্ষেপের তর্জন গর্জন। সেইসাথে নতুন কোন চাকরী অর্জনের চেষ্টায় দ্বারে দ্বারে অবিরত ধর্না। আর এই করতে করতেই একদিন খিটখিটে এক জার্মান বুড়োর দেখা পেয়ে গেলাম। অবসরপ্রাপ্ত মানুষ। কামকাজ তেমন নেই। সম্ভবতঃ কথা বলার কাউকে দরকার বলেই আমাকে ওয়েব ডেভেলপার হিসাবে নিয়োগ দিয়ে দিলেন। খুব একটা মনযোগী শ্রোতা না হলেও মুখে অমায়িক টাইপের হাসি ঝুলিয়ে কারো কথা শুনার ভান করাটা আবার অনেক আগেই মোটামুটি রপ্ত করা ছিলো। ফলে বুড়োর প্যানপ্যানানী এবং তর্জন গর্জন দু'টোই সাফল্যের সাথে সামাল দিয়ে চাকরীর নামে বুড়োর বাসায় আমার নিত্য যাতায়াতে তেমন সমস্যা হচ্ছিলো না। (বলতে ভুলে গেছি। বুড়োর অফিস নামক বস্তুটা তার বাসার লিভিং রুমেই অবস্থিত ছিলো।) এই চাকরী নিয়েও অনেক মজার কাহিনী আছে, তবে তা পরে কখনো হয়তো ব্লগাতে পারি।

এদিকে মোটামুটি সম্মানজনক এই চাকরীটা পেতে না পেতেই মাথায় বিনা গর্জনে বজ্রপাত হলো। এক বাঙ্গালী আংকেল-আন্টির বাসার দুই রুমে আমরা চার বাঙ্গালী ছাত্র আস্তানা গেড়েছিলাম। (আমার জীবনের বিশেষ কয়েকজন অতি শ্রদ্ধেয় আংকেল আন্টির মধ্যে ওঁনারা অন্যতম)। তো হঠাত করেই সেই বাসা ছাড়তে হলো। আমরা যেন দূরে সরে না যাই, আংকেল নিজে খুঁজে পেতে পাশের আরেক বাসায় আমাদের থাকার ব্যবস্থা করে দিলেন। আমাদের চারজনের মধ্যে তিনজন সেই নতুন বাসায় অধীষ্ট হলাম। অপরজন এলাকার মায়া ত্যাগ করে নিরুদ্দেশের পথে যাত্রা করলো। আগের বাসায় এক রুমে দু'জন করে থাকলেও এই নতুন বাসায় তিনজনের জন্যে একটাই মাত্র ইয়া বড় রুম। তাই রবিন নামক অতি বিনয়ী সুবোধ বালকও (!?!) এবার আমাদের সাথে একই রুমের সহম'রুমী'। মালপত্র বলতে প্রত্যেকেরই এক আধটা ইয়া বড় স্যুটকেস। তো নতুন বাসায় এসেই প্রথমে তিনজনের মধ্যে কিচিরমিচির শুরু হয়ে গেলো কে কোন বিছানা দখল করবো তা নিয়ে। তিনজনের মধ্যে আমি শুধু মুরুব্বীই না, বলা যায় বিশাল ব্যবধানে মুরুব্বী। তাই মুরুব্বীয়ানার বলে বলীয়ান হয়ে সবচেয়ে মনোরম অবস্থানের খাটে নিজের দাবী প্রতিষ্ঠিত করে সুখী সুখী চেহারায় তাতে আসন গেড়ে বসলাম। বাকী দু'জনও যে যার জায়গার দখল শেষে ধাতস্থ হলো।

সবকিছু গুছগাছ শেষে মনে অনাবিল প্রশান্তির সাথেই আমরা তিনজন ঘুমাতে গেলাম যে যার বিছানায়। একটা সময় ছিলো যখন নতুন জায়গায় গেলে মোটেই ঘুমাতে পারতাম না প্রথম কিছুদিন। তবে সেটা প্রাগৈতিহাসিক যুগের কথা। নিরলস অধ্যাবসায়ের ফল হিসাবে অনেকদিন যাবতই আমি শুধু যেখানে সেখানেই না, এমনকি বাস-ট্রেন-বিমান ভেদে যেকোন অবস্থাতেই নিদ্রাদেবীর আরাধণায় নিমগ্ন হয়ে যেতে পারি অনায়াসেই। (আবার দিনের পর দিন নির্ঘুম রাত পার করতে পারার ক্ষমতাটাও অধ্যাবসায়ের ফসল হিসাবেই অর্জন করেছি বলতে পারেন, কম্পিউটারের সামনে বসে চ্যাটিং করতে করতে)। তাই সেদিনও নতুন বাসায় ঘুমের ব্যঘাত ঘটার মতো কোন কারণ ছিলো না। প্রায় ঘুমিয়েও গেছিলাম বলা যায়। এমনই সময় হঠাত চমকে উঠলাম। এবং পরবর্তী সারাটা রাত যন্ত্রনা, বিরক্তি, ভীতি, অস্থিরতা, মাথার কিরিকিরি কাটকাট ভাব এবং আরও নানারকম জানা অজানা জটিল অনুভূতির মিশ্রপ্রতিক্রিয়ায় বিছানায় এপাশ ওপাশ করে কাটাতে বাধ্য হলাম।

স্বভাবতঃই পরদিন বুড়োর বাসায় যেতে যেতে অর্ধেক দিন খেয়ে ফেলেছি। তো যেই বুড়ো শুধুমাত্র আমাদের মতো কোমলমতি পরহিতৈষী যুবসম্প্রদায়ের জন্যেই খেয়ে না খেয়ে তার অমূল্য জীবনের বাকী দিনগুলো প্রতিদিন উত্‌সর্গ করে যাচ্ছেন, তিনিই বা এহেন অনাচার সহ্য করবেন কোন দুঃখে? আর দুঃখ সহ্য করতে না পেরে তিনি যদি রাগে-অভিমানে একটু তর্জন গর্জন এবং হালুম হুলুম করেই ফেলেন, তাতে আমার মতো বিনয়ী বিগলিত একজন অমায়িক মানুষের মাইন্ড করাও মোটেই শোভা পায় না। কি বলেন? আমিও তাই মাইন্ড করতে পারলাম না চেষ্টা করেও। বরং বুড়োর দুঃখে বিদগ্ধ হয়েই নিজের দুঃখের কথা বয়ান শুরু করলাম। বললাম, নতুন বাসা এবং বাসা চেঞ্জের হ্যাপা নাহয় তাও কোনমতে সামাল দেয়া যায়, কিন্তু সেইসাথে যদি সারা রাত কারও বেসুরো নাকের তর্জন গর্জন শুনে বিনিদ্র রজনী পার করতে হয়, তাহলে আমার মত নরাধমেরই বা আর কি করার আছে? তাও যদি সেই গর্জনের ন্যূনতম তাল-লয়-ছন্দ বোধ থাকতো তাহলেও হয়তো ছন্দের তালে তালে কোন এক সময় মনের ভুলে ঘুমিয়ে পড়তেও পারতাম। কিন্তু যদি "ঘর্‌র্‌র্‌র ফোস ফোস... ঘেঁয়াঊ... হুক... ক্রুউউ ফুস্‌স্‌স... হুক্‌ক ঘর্‌র্‌র..." এমনতরো বেতাল ব্যঞ্জনা চলতে থাকে, তাহলে আমি ক্যাবলাই বা কি করতে পারি?

"কি!?! নাসিকা গর্জন???" এতক্ষণে যেন বুড়ো আমার দুঃখটা হৃদয়ঙ্গম করতে পারলেন। সম্ভবতঃ এ নিয়ে নিজের অতীতের কিছু কাহিনীও তার বিস্মৃত (কিংবা বিস্মিত) স্মৃতিতে দোলা দিয়ে গেলো। চিন্তাক্লিষ্টভাবে পায়চারী করতে করতে তিনি বললেন, "না না, এ যে বড় সর্বনেশে কথা হে বাপু! এভাবে তো একটানা চলতে পারে না। শিঘ্রই একটা ব্যবস্থা করতে হবে"। বলে তিনি আরও গম্ভীরভাবে পায়চারীতে নিমগ্ন হয়ে গেলেন।

সারাদিন মনের সুখে অফিসে বসে বসে চিকেন গ্রেভী প্রোগ্রামিং করলাম। অতংপর বীর বিক্রম যুদ্ধাংদেহী মনোভাব নিয়ে মনের সুখে গুনগুন করতে করতে বাসায় ফিরে আসা। চোখে জ্বলজ্বলে উজ্জ্বল দৃষ্টি, মুখে "এবার দেখে নেবো" টাইপের মিটিমিটি হাসি। শত হলেও এখন খালি হাতে আর যুদ্ধের ময়দানে অবতীর্ন হতে হবে না। অতএব, "বিনা যুদ্ধে নাহি দেব বিনীদ্র রজনী" চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঘুমের প্রস্তুতি নিতে লাগলাম।

রাতের আড্ডা হৈচৈ শেষে যথা সময়ে যে যার বিছানায় অধীষ্ট হলাম। আমি বাকি দু'জনের দিকে মুচকি হাসি বর্ষন করতে করতে বিজয়ীর ভঙ্গিতে ব্যাগ থেকে বসের দেয়া প্যাকেটটা বের করলাম। অতংপর প্যাকেট থেকে কানে দেয়ার দু'টো ইয়ার প্লাক বের করে দুই কানে ঠেসে দু'জনের ফ্যালফ্যালে দৃষ্টির সামনে আয়েশী ভঙ্গিতে পাশ ফিরে চোখ বুজলাম। এবার যতো খুশী নাসিকা সঙ্গীত চর্চা করো সারা রাত। কুছ পরোয়া নেহি!

এই কাহিনীর পর বেশ অনেক দিন পার হয়ে গেছে। তদ্দিনে নাসিকা রন্ধ্রের বেতাল গর্জনের মধ্যেও আধুনিক স্টাইলের এক বিশেষ তাল-লয়-সুর আবিস্কার করে ফেলেছে আমার উর্বর মস্তিষ্ক। অতএব কানে তুলো না দিয়েই সেই আধুনিক ব্যঞ্জনার তালে তালে বেশ আয়েশে ঘুমানোয় অভ্যস্ত তখন আমি। বরং কোনদিন যথাসময়ে নাসিকা গর্জনে রুম মাতোয়ারা না হলেই যেন ঘুমের ব্যঘাত ঘটতো আমার।

তো সেই সময় বাংলাদেশ থেকে দু'জন মাঝবয়েসী মেহমান এসে হাজির হলেন আমাদের বাসায়। বাসার মালিক তাদের জন্য আগের থেকেই আলাদা এক রুম ঠিক করে রেখেছিলেন। কিন্তু মাঝরাতের দিকে একজন আমাদের রুমে এসে হাজির। বললেন আমরা যদি কিছু মনে না করি, তাহলে তিনি বাকী রাতটা আমাদের রুমের সোফায় ঘুমাতে চান। আমরা খুশী মনেই মেহমানকে সোফা ছেড়ে দিয়ে আবার নিদ্রাদেবীর আরাধনায় নিমগ্ন হয়ে গেলাম। তবে দেবী মনে হয় তখন আর ততোটা প্রসন্ন ছিলেন না। তাই একটু পরেই পিলে চমকানো ভঙ্গিতে আমার দেহ শুন্যে একটা লাফ দিয়ে বিছানায় ধপ্পাস করে পড়লো। অদ্ভুত অজানা এক আতঙ্ক নিয়ে ঘুম ভেঙ্গে বুঝার চেষ্টা করতে লাগলাম কি হচ্ছে রুমে। কিন্তু মস্তিষ্ক সচল হবার আগেই প্রকম্পমান ভয়াল গর্জনে আত্মারাম প্রায় খাঁচা ছাড়ি ছাড়ি করেও কোনমতে আবার দেহধামে ধাতস্থ হবার প্রয়াস পেলো। সুন্দরবনের বাঘের গর্জনকেও হার মানানো গর্জনে ততোক্ষণে আমাদের রুম বেশ মাতোয়ারা। ভয়াল সেই গর্জনের তালে তালে রুমের সব আসবাবপত্রও বেশ কেঁপে কেঁপে উঠছে। সেই সাথে থেকে থেকে কেঁপে উঠছে আমার প্রায় অবশ হয়ে আসা দেহখানি। খরখরে ঘরঘরে গর্জনে বারংবার শিরশিরে এক অনুভূতির ঢেউ খেলে যাচ্ছে ছেঁড়ে-দে-মা-কেঁদে-বাঁচি মনে। এবং এই আতঙ্ক নিয়েই এক সময় আবিস্কার করলাম যে নতুন জ্বালাময়ী বিপদটির উৎস আমাদের সোফায় ধরাশায়ী নধরকান্তি মেহমানপ্রতীমের উন্নত নাসিকাখানি।

আমার এতোদিনের অভিজ্ঞ নাসিকাগর্জন পরাস্তকারী কর্ণদ্বয়কেও হার মানাতে পারে, এমন নাসিকা গর্জনের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে করতে আমি আবেগে বেশ বিহবল হয়ে পড়লাম। বাঘের উপরেও তাহলে সত্যিই ঘোগ বলেও কিছু থাকে বটে! তবে শুধু আমিই না, কিছুক্ষনের মধ্যেই আবিস্কার করলাম যে ঘোগের গর্জনে স্বয়ং বাঘ পর্যন্ত পরাস্ত! পাশের বিছানা থেকে ফিসফিসে কাতর কন্ঠ আমাকে শুধালো, "পল্লব ভাই, আপনার কানে দেয়ার তুলো কি এখনও কিছু বাকি আছে?" আহারে, বেচারা! একই রকম কাতর কন্ঠে আমিও ফিসফিসিয়ে বললাম, "নেই। আপাতত আমার মতোই কানে দুই আঙ্গুল দিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করে দেখো।"

কবে কোন কবি যেন বলেছিলেন সুদীর্ঘ রজনীরও একসময় সমাপ্তি ঘটে। আমাদের বিনীদ্র রজনীরও তাই এক সময় সমাপ্তি হলো। ভোরের আলোর সাথে সাথে ঘোগের গর্জন বাঘের গর্জন হয়ে শেষে বেড়ালের মিউ মিউ হতে হতে এক সময় মিইয়ে গেলো। লাল লাল চোখ নিয়ে উসকু খুসকো চুল এবং দিশেহারা চেহারার আমরাও এক সময় হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। এতক্ষণের টর্চার সহ্য করে শরীরও এবার হাল ছেড়ে দিলো। অতএব আবারো বিছানায় ধপ্পাস্। আতঙ্কে নয়, এবার আরামে দু'চোখ বুঁজলাম।

বেশ বেলা করে বিছানা ছেড়ে কিচেনে গিয়ে হাজির হলাম পেটপূজা করতে। সেখানে আমাদের রাতের অতিথিও বিদ্যমান। ওঁনাকে রাতে আমাদের রুমে থাকতে দেয়ায় বারবার বিনয়ীভাবে ধন্যবাদ জানাতে লাগলেন। বললেন, "মাঝরাতে আপনাদের এভাবে ডেকে তুলার জন্য আমি খুবই দুঃখিত। কিন্তু কি করবো বলুন, আমার সঙ্গীটি এমন কঠিন নাক ডাকেন যে ঘুমাতে না পেরে বাধ্য হয়ে আপনাদের রুমে গিয়ে হাজির হয়েছি।"

আমি কিছুক্ষন হা করে মেহমানের দিকে তাকিয়ে থাকলাম। ঘোগের উপরেও তাহলে আরও কিছু থাকতে পারে! ভাগ্যিস ইনার বদলে দ্বিতীয় সেই মেহমানটি রাতে আমাদের রুমে এসে হাজির হননি!
বিষয়শ্রেণী: অভিজ্ঞতা
ব্লগটি ১৬১৩ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৭/০৯/২০১৩

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • পল্লব দা,খুঁজে খুঁজে এই লেখাটা পড়ে নিলাম।অসম্ভব ভালো বলতে যেটাকে বুঝায় গল্পটা ঠিক সেরকম।
    • পল্লব ২৭/১০/২০১৭
      হা হা হা... এটা কিন্তু গল্প না... বাস্তব কাহিনী... :)
      • তাই নাকি! অভিজ্ঞতাও এমনভাবে লেখা যায়।শুভেচ্ছা প্রিয়।
  • কবীর হুমায়ূন ০৪/০৮/২০১৭
    হাসতে হাসতে করুণ অবস্থা। সার্থক তোমার লেখা। আম খেতে খেতে পড়ছিলাম। হাসতে গিয়ে বিষম খাওয়ার অবস্থা। এরপর, পড়া বন্ধ করে আম খেয়ে আবার পড়তে শুরু করি।

    বাঘের ভয়ে কানে তুলো। ঘোগের ভয়ে বাঘও কাবু। আর যখন ঘোগ বলে, তার উপরেও আরেকজন আছেন, যার নাসিকাগর্জনের অত্যাচারে তিনি বাসা ত্যাগ করেছেন, তা' হলে বুঝতে হবে তিনি ড্রাম পিটান না; যুদ্ধের কাড়া-নাকাড়া বাজান।

    অনেক ভালো লাগলো। হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে যাবার অবস্থা। তুমি ভাই, গল্পের দিকে বেশি মনোযোগী হও। আমার বিশ্বাস ওখানে তুমি সাফল্য পাবে। শুভকামনা।
  • ওয়াহিদ ১৯/০৯/২০১৩
    নেট প্রব্লেম ,লোডিং ফেইল হয়ছে রিট্রাই দিছি তাই একটা কমেন্ট চারবার হয়ে গেছে ,কিছু মনে করবেন না ,বাকীগুলা ডিলেট করে দিয়েন :(
  • ওয়াহিদ ১৯/০৯/২০১৩
    পুরোটা পরিনি ,এত্তো এত্তো বড় ,পড়ে পড়ব ,অর্ধেক পড়ছি :P
  • মৌসুমি ১৭/০৯/২০১৩
    খুবেই মজার :))
    • পল্লব ১৮/০৯/২০১৩
      :) ধন্যবাদ...
  • ইব্রাহীম রাসেল ১৭/০৯/২০১৩
    --সত্যিই এ অভিজ্ঞতা শেয়ার করার মতো।--
  • সহিদুল হক ১৭/০৯/২০১৩
    সুন্দর রচনাশৈলী!শুভকামনা।
  • রোদের ছায়া ১৭/০৯/২০১৩
    অনেক বড় লেখা । আচ্ছা এটাকি সত্যি অভিজ্ঞতা নাকি গল্প ? তবে আজ সবটুকু পড়া হল না । পড়ে বাকিতা পড়ব।
    • পল্লব ১৭/০৯/২০১৩
      না, গল্প না। এটা সত্যি অভিজ্ঞতা। পুরোটা পড়া হলে জানাবেন কেমন লাগলো। :)
 
Quantcast