গোরস্তানের আতঙ্ক - শেষ পর্ব
সাইকেল নিয়ে আমরা চার বন্ধু গ্রামের বিভিন্ন পথ ধরে অনির্দিষ্ট লক্ষ্যে ঘুরতে লাগলাম। কোথাও থেমে হয়তো টিউবওয়েল থেকে পানি ভরে নিচ্ছি ক্যান্টিনে, আবার কোথাও হয়তো গাছের ছায়ায় বসে বিশ্রাম নিচ্ছি সবাই মিলে। অবশেষে একসময় আমরা নতুন রাস্তা খুঁজতে লাগলাম ফিরে যাওয়ার জন্যে। যার কাছেই জানতে চাই, সেই বলে যে অন্য আরও এক রাস্তা আছে শহরে ফিরে যাবার। কিন্তু তাদের দেখানো যে রাস্তা ধরেই যাই না কেন, তা আবার ফিরে এসে মূল রাস্তাতেই লাগে, যে রাস্তা ধরে গোরস্তানের পাশ দিয়ে এসেছিলাম আমরা।
এভাবেই ঘুরতে ঘুরতে যখন দেখি যে বেলা প্রায় শেষ হয়ে আসছে, বাধ্য হয়েই আমরা আগের রাস্তা ধরে ফিরতি পথে রওয়ানা হলাম। সারা দিনের সাইকেল চালানোয় প্রত্যেকেই বেশ ক্লান্ত ততোক্ষণে। এছাড়া আজ দেরী করে বাসায় ফিরতে হবে বলে বকা খাবার ভয়ে সবাই মনে মনে বেশ তটস্থ হয়ে আছি। ফলে খুব একটা কথা হচ্ছে না আমাদের মধ্যে। অবসন্ন দেহে ধীরে ধীরে সাইকেল চালাতে লাগলাম আমরা সবাই।
গোরস্তান থেকে আমরা তখনও আরও ৫-১০ মিনিটের মতো পথ দূরে। সামনে বিস্তীর্ণ ধান ক্ষেতের ওপাশে গোরস্তানের গাছপালার কুয়াশাচ্ছন্ন অবয়ব দেখা যাচ্ছে। আকাশ ইতিমধ্যেই অস্তরাগের লালিমায় ছেয়ে গেছে। ঠিক যেন গোরস্তানের উপরেই আকাশে রক্তের হোলি খেলায় মেতে উঠেছে অশরীরী ছায়ারা। দেখলেই গা ছমছম করে উঠে! সবার মনেই আবার চেপে বসলো গোরস্তানের আতংক।
ম্যাকগাইভার তো বিড়বিড় করে বলতেই লাগলো যে এমন জানলে সে কোনমতেই আজ আমাদের সাথে আসতো না। ভয় চাপা দেয়ার জন্যেই যেন সুমন তাকে ধমকে উঠলো। বললো যে ভূত বলে কিছু নেই। দরকার হলে আজই তার প্রমান হয়ে যাবে। ভূত আছে কি নেই এ নিয়ে বেধে গেলো তাদের দু'জনের মধ্যে বেশ জোরালো তর্ক। মাঝখান থেকে আমিও তর্কে জড়িয়ে গেলাম সুমনকে সাপোর্ট দিতে গিয়ে। এবার সবাই পেয়ে বসলো আমাকে। আমি নাকি যাবার সময় বুক ফুলিয়ে বলেছিলাম যে গোরস্তানে আমি যতোবার খুশি ঢুকতে এবং বের হতে পারি। এবার তার প্রমান দিতে হবে। রাস্তা ধরে না গিয়ে গোরস্তানের মাঝখান দিয়ে ঝোপঝাড় ভেঙ্গে আমাকে ওপাশের পাকা সড়কে গিয়ে উঠতে হবে। এতে অবশ্য কয়েকশো গজেই আমি জায়গাটা পেরিয়ে যেতে পারবো, যেখানে অন্যদের পুরো গোরস্তানটা ঘুরে আসতে দেড়-দুই কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে হবে। কিন্তু গোরস্তানের মধ্যে দিয়ে একা একা যাবো ভাবতেই আমার হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসতে লাগলো। তাই বলে আবার ভয় পাচ্ছি স্বীকার করে নিজের দামও কমানোর কোন ইচ্ছা নেই। এবং এভাবেই এ নিয়ে তর্কাতর্কি করতে করতে অবশেষে ঠিক হলো যে আমি এবং সুমন, এই দুই বাহাদুর একসাথে গোরস্তানের মধ্য দিয়ে পার হবো, আর বাকিরা রাস্তা ধরে যাবে।
গোরস্তানের কাছে যখন আমরা পৌছালাম, ততোক্ষণে চারপাশে বেশ অন্ধকার হয়ে গেছে। গোরস্তানের ভিতরে তো পুরো অমাবশ্যা। গাছপালাগুলো একেবারে স্থির হয়ে আছে। নিশাচর প্রাণীদের হালকা সাড়াশব্দ এবং এদিক সেদিক বিভিন্ন পোকার ডাক শুনা যাচ্ছে। কিন্তু অবাক হলেও কোন পাখির শব্দ নেই কোথাও। সবকিছু যেন নির্দিষ্ট কিছু একটা ঘটার অপেক্ষায় আছে। মনের মধ্যে প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করা এক পরিবেশ। এরই মাঝে রাস্তায় সবাই থেমে দাড়ালাম। আমাকে এবং সুমনকে রেখে বাকি দু'জন আবার সাইকেল চালানো শুরু করলো। একবারও পিছনে ফিরে তাকালো না তাদের কেউ। সাইকেল চালানোর তাড়া দেখে মনে হচ্ছে কে কার আগে এই এলাকা থেকে সরে যেতে পারবে তারই যেন কম্পিটিশন হচ্ছে দু'জনের মধ্যে।
সামনেই একপাশে গোরস্তানের অতি পুরানো শেওলা আবৃত দেয়াল অনেকটুকু ভেঙ্গে পড়ে আছে। আমরা সাইকেল থেকে নেমে সাইকেলের হাতল ধরে হেটে হেটে সেই ভাঙ্গা জায়গাটা দিয়ে ভিতরে ঢুকে পড়লাম। সাথে সাথে চারপাশের ছোটখাট শব্দগুলোও সব থেমে গেলো। যেন আমাদের এই অবৈধ প্রবেশে সেখানের অধিবাসীরা সবাই বেশ বিরক্ত হয়েছে। ততোক্ষণে অন্ধকারে চোখ অনেকটা সয়ে এসেছে। চারপাশের ঝোপঝাড়ের মধ্য দিয়ে একটু ফাঁকা জায়গা দেখে সেদিক দিয়ে আমি আর সুমন রওয়ানা দিলাম। আশেপাশে অন্ধকারের মধ্যে কোথাও হালকাভাবে কবরের অস্তিত্ত্ব টের পাওয়া যাচ্ছে উঁচু উঁচু মাটির ঢিবি দেখে, আর কোথাও বা কালো গহবর হয়ে আছে গর্ত হয়ে। হঠাৎ করে পাশেই কোথাও সরসর করে কি যেন একটা শব্দ হলো। সাঁই করে কিছু একটা মাথার উপর দিয়ে এক পাশ থেকে অন্য পাশে চলে গেলো। আমার তো ভয়ে সারা শরীরে কাঁটা দিয়ে উঠলো। ভারী কি যেন একটা দলা পাকিয়ে আছে গলার ভিতরে, ঠিক মতো ঢোক গিলতে পারছি না। পিছন থেকে সুমন ফিসফিস করে বললো জলদি এই এলাকা পার হতে। আমি ততোক্ষণে জোরেসোরে রওয়ানা দিয়ে দিয়েছি ঝোপঝাড়ের মধ্য দিয়েই। আমার হাটার খসখস শব্দ হচ্ছে। আশেপাশে আরও অনেক রকম খসখস সরসর শব্দ শুরু হলো, যেন চারপাশ থেকেই অনেকে আমাদের অনুসরণ করছে। ভাগ্যিস আমি একা না, সাথে সুমনও আছে। কিন্তু পিছনে তাকিয়ে সুমনকে কি যেন বলতে গিয়েই সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খেলাম। পিছনে কেউ নেই! কতোক্ষণ যাবৎ সুমন আমার সাথে নেই তাও বলতে পারবো না। আমি ভয় পেয়ে থেমে দাড়ালাম। পিছনে ফিরে যাবো, নাকি সামনে যাবো বুঝতে পারছিলাম না। চারপাশ থেকে সরসর শব্দগুল কাছে এগিয়ে আসছে। গাছের উপর হুম্ করে কিছু একটা ডেকে উঠলো। পিছন থেকে চোখ সরাতে গিয়েই একটা ঝোপের নিচে চোখ আটকে গেলো। কফিনের ছেড়া কাপড় দলা পাকিয়ে পড়ে আছে ঝোপের গোড়ায়। পাশেই মানুষের একটা হাতের কংকাল, আমার দিকে পাঞ্জা তাক করে পড়ে আছে। এবার আমি আর কোন দিকে না তাকিয়ে সাইকেলের হাতল ধরে সামনের দিকে দৌড় লাগালাম। পিছনে কি যেন একটা কর্কশ চিৎকার করে উঠলো। যেন শিকার হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে বলে রেগে গেছে। আমার পিছনে ঝোপঝাড় ভেঙ্গে আরও কিছু একটা দৌড়ে আসছে টের পাচ্ছি। হঠাৎ করে পিছন থেকে কে যেন সাইকেলটাকে টেনে ধরলো। কয়েকবার হ্যাচকা টান দিয়েও সাইকেল না ছুটাতে পেরে একবার পিছনে ফিরে তাকালাম মূহুর্তের জন্য। দেখি যে মাটির ভিতর থেকে কালো অক্টোপাসের শুরের মতো কিছু একটা বের হয়ে সাইকেলের চাকা পেচিয়ে ধরেছে। অতএব সাইকেল ছেড়েই জান হাতে নিয়ে দৌড় লাগালাম। একটু পরে যখন মনে হচ্ছে যে গোরস্তানের উলটো পাশে প্রায় এসে পড়েছি, দেখি যে সামনে নতুন এক কবরের পাশেই লম্বা কালো মতোন কি যেন একটা হারিকেন হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। পিছনের ঝোপঝাড় ভেঙ্গে বেশ কয়েকজনের দৌড়ের শব্দ শুনতে পাচ্ছি। কোন চিন্তা না করেই আমি একদিকে বাঁক নিয়ে দৌড় লাগালাম আবার। পিছন থেকে কাঁপা কাঁপা সুরে কে যেন বলে উঠলো "এঁই পঁল্লব থাঁম..."। কিন্তু আমার তখন আর কোন হুশ নেই। সামনের ঝোপ সরিয়ে উঁচু ঢিবি মতোন জায়গাটা পার হওয়ার জন্যে লাফ দিলাম একটা। কিন্তু লাফ দিয়ে মাটিতে পড়ার সাথে সাথেই যেন পায়ের নিচের মাটি দু'ফাঁক হয়ে গেলো। সরসর করে প্রায় বুক পর্যন্ত দেবে গেলাম আমি মাটির ভিতরে। পায়ের নিচে থিকথিকে কাঁদার মতো কিছু লাগলো।
আমার তখন জ্ঞান হারানোই কেবল বাকি ছিলো। সেই সময়ের কথা পুরো স্পষ্টভাবে কিছু মনে নেই। যেন একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম। যতটুকু মনে পড়ে আমি হাঁচড়ে পাঁচড়ে ওই কবরের ভিতর থেকে উঠার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু পারছিলাম না। কোমর থেকে নিয়ে নিচের অংশটুকু প্রায় অবশ হয়ে গেছিলো। মনে হচ্ছিলো যেন নিচ থেকে কিছু একটা আমাকে ধরে রেখেছে। চোখের সামনে অনেক ভূতুরে আকৃতি খেলা করছিলো। তার কোনটা বাস্তব ছিলো আর কোনটা আমার কল্পনা, তা এখন আর ঠিক করে কিছু বলতে পারবো না। ঝোপঝাড়ের ভিতরে অনেকগুলো হলদেটে চোখ জ্বলে উঠতে দেখেছি। মাথার খুলিও যেন দেখলাম কোথাও একটা, আমার দিকে তাকিয়ে যেন দাঁত বের করে হাসছিলো।
পিছনের ঝোপে আবার সরসর করে একটা শব্দ হলো। থ্যাপ থ্যাপ করে এক জোড়া কাঁদা মাখানো পা আমার সামনে এসে থামলো। তারপরে একজোড়া কাঁপা কাঁপা হাত আমার কাঁধ ধরে টেনে আমাকে উপরে তুলার চেষ্টা করতে লাগলো। কানের পাশে পরিচিত কাঁপা কন্ঠ শুনতে পেলাম, "পল্লব উঠ... উঠ..."। তাকিয়ে দেখে যখন টের পেলাম যে সুমন কোথা থেকে যেন এসে আমাকে ধরে টেনে তুলার চেষ্টা করছে, আবার যেন নতুন করে জোর ফিরে পেলাম। হাঁচড়ে পাঁচড়ে কবর থেকে কোনমতে উঠে দু'জন মিলে একসাথে দৌড় লাগালাম আবার টলতে টলতে। এভাবেই দৌড়াতে দৌড়াতে একসময় পাকা রাস্তায় উঠে এলাম কিভাবে যেন। এবং না থেমেই গোরস্তানের সীমানা পার হয়ে পুরানো ডাকবাংলো পার হয়ে একেবারে নতুন বাজার পর্যন্ত গিয়ে তারপরে থামলাম, ম্যাকগাইভারদের দেখা পেয়ে। তারা সেখানে আমাদের জন্যে অপেক্ষা করছিলো, আর ভাবছিলো ফিরে গিয়ে দেখে আসবে কিনা আমাদের কি হলো। কিন্তু আমাদের চেহারা দেখে, এবং সাইকেল ছাড়া দৌড়ে আসতে দেখে ওরা আর তেমন কিছু জিজ্ঞেস করার সাহস পেলো না। সকালে দেখা হবে বলে রিকশা নিয়ে আমরাও যে যার বাসায় ফিরে গেলাম।
বাসায় ফিরে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থেকে কতোক্ষণ মুরুব্বীদের বকা খেলাম এভাবে সারা গায়ে ময়লা মাখিয়ে রাত ৮-টার সময় বাসায় ফিরার জন্যে তা এখানে ব্যাখ্যা না করলেও চলবে। তবে তাদের কোন প্রশ্নেরই উত্তর না দিয়ে চুপচাপ বকা শুনে গেছি। ক্ষানিক বাদে গরম পানি দিয়ে গোসল করে পরিস্কার কাপড় চোপড় পরে যেন অনেকটা ধাতস্থ হলাম। রুচি না থাকলেও হালকা পাতলা কিছু খেতে হলো আরও বকা খাবার ভয়ে। রাতে ঠিকমতো ঘুম হলো না। সারা রাত বিছানায় এপাশ ওপাশ করলাম। কিন্তু কেন যেন যেমনটা ভেবেছিলাম তেমন কোন ভয় পেলাম না একা রুমে শুয়ে থাকতে।
সকালে গুটিগুটি পায়ে অনেকেই বাসায় এসে হাজির হলো। আমরা যারা গতকাল এই ভ্রমনে ছিলাম, তারা তো বটেই, অন্য আরও কিছু ফ্রেন্ড কিভাবে যেন একরাতেই খবর পেয়ে তাদের সাথে এসে হাজির। বারান্দার পাশে পেয়ারা গাছের নিচে আমাদের আড্ডা বসলো। সবাইকে খুলে বললাম আমাদের অভিজ্ঞতা। সুমন জানালো যে সেও হঠাৎ সামনে আমাকে দেখতে না পেয়ে ভয় পেয়ে গেছিলো। পরে আমাকে ছুটতে দেখে পিছনে পিছনে সেও দৌড়ে আসছিল এবং আমাকে থামতে বলছিলো বারবার। যাই হোক, আমাদের দু'জনের ফেলে আসা সাইকেল উদ্ধার করতে সবাই মিলে আবার গোরস্তানের দিকে রওয়ানা হলাম। মনে মনে ভয় ছিলো সেগুলো আবার চুরি হয়ে গেল কিনা। কিন্তু দুই সাইকেলই আমরা ঠিকমতো খুঁজে পেয়েছি গোরস্তানের ভিতরেই। আমার সাইকেল যেখানে পড়ে ছিলো সেখানে গাছের একটা শিঁকড় বের হয়ে ছিল মাটি থেকে। বুঝলাম যে এতেই কোনভাবে চাকা আটকে গেছিলো সাইকেলের। দিনের বেলায় গোরস্তানটাকে আর ততোটা ভয়ঙ্কর মনে হচ্ছিলো না। বরং রাতের অনেক কিছুই বেশ অবাস্তব আর কাল্পনিক মনে হচ্ছিলো। নতুন এক কবরের পাশে যেই হারিকেন দেখে ভয় পেয়েছিলাম সেটাও আবিষ্কার করলাম, একটা গাছের ডালে ঝুলছিলো। গাছটাকেই মনে হয় মানুষ ভেবেছিলাম আমি। আর যেই গর্তে আমি পড়ে গেছিলাম, সেটা আসলেই এক কবর। কয়েক মাসের পুরানো হবে মনে হয়। চারপাশে বেড়া না থাকাতেই বিপত্তিটা ঘটেছিলো।
যাকগে, সেদিন আর আমাদের অনেকেরই স্কুলে যাওয়া হলো না। তার পরেও বেশ কয়েকদিন স্কুল যাওয়া হয়নি জ্বরের প্রকোপে। শুধু আমার না, সুমন, এমনকি আরও অনেকেরই জ্বর এসেছিলো হঠাৎ করে। তবে সেটা গোরস্তানের বদৌলতে, নাকি ঋতুর পরিবর্তনে, তা ঠিক বলতে পারবো না। কিছুদিন পরে যখন স্কুলে গেলাম, দেখি যে আমরা কয়েকজন পুরো হিরো হয়ে গেছি ক্লাসে। সবার মুখেই আমাদের গোরস্তানের গল্প। সেই গল্পেরও আরও শাখা-প্রশাখা গজিয়ে বিশাল ভৌতিক এক উপাখ্যানে পরিণত হয়ে গেছে। কিন্তু এতো কিছুর পরেও কিন্তু ম্যাকগাইভারের সাথে ভূত বিষয়ক আমাদের তর্কের কোন সুরাহা হয়নি। আমরা কেউই প্রমান করতে পারিনি যে ভূত বলে আদৌ কিছু আছে, নাকি নেই। তবে একটা জিনিস এখন আমি মানি, "There are many things in the earth and heaven" । অতএব এখন প্রমান নেই বলেই হুট করে কোনকিছু অবিশ্বাস করে বসি না। বিশ্বাস করার জন্যে যেমন প্রমান দরকার, কিছু অবিশ্বাস করতে গেলেও সেজন্যে জোরালো প্রমান থাকা উচিত।
(ইতিপূর্বে ইয়াহু ৩৬০ ও বকলম সহ অন্যান্য ব্লগে প্রকাশিত)
আগের পর্বের লিঙ্ক
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
Înšigniã Āvî ২১/০৯/২০১৩খুব ভালো লিখেছেন
-
ইব্রাহীম রাসেল ২১/০৯/২০১৩--অাগের গুলো পড়া হয়নি তবে শেষাংশটুকু ভালো লাগলো--
-
দাদা মুহাইমিন চৌধূরী ২০/০৯/২০১৩সুন্দর গল্প ব্যাখ্যা থাকায় ভাল লাগল
-
সালমান মাহফুজ ২০/০৯/২০১৩চমৎকার ভৌতিক গল্প । আগের অংশটাও দারুণ হয়েছে ।