বিবর্তনবাদ বনাম ইসলাম ধর্ম
সারা বিশ্ব মনে করে বিবর্তনবাদের প্রথম আবিষ্কর্তা ডারউইন। আর আমরা মুসলিমেরা বিশ্বাস করি আমাদের ধর্ম বিবর্তনবাদ সাপোর্ট করে না। অথচ ডারউইনেরও জন্মের অনেক আগে ইসলামের স্বর্ণযুগে অনেক মুসলিম স্কলারও বিবর্তনবাদ সম্পর্কে বলে গেছে। এ সম্পর্কে নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম ড্রেপার তার বই 'দ্য হিস্টরি অফ দ্য কনফ্লিক্ট বিটুইন রিলিজিয়ন এন্ড সায়েন্স'-এ উল্লেখ করেছে যে মুসলিম স্কলারদের বিবর্তনবাদ তত্ত্ব অনুযায়ী মানুষ অনেক লম্বা সময় ধরে নিচু স্তর থেকে পর্যায়ক্রমে উন্নত হতে হতে তার বর্তমান অবস্থায় এসেছে। অর্থাৎ, আমাদের আধুনিক যুগের বিবর্তনবাদ তত্ত্ব ডারউইনেরও অনেক আগে ইসলামিক অনেক শিক্ষাঙ্গনে পড়ানো হতো। (পৃষ্ঠা ১১৮, ১৮৭-১৮৮)
কোরআনেরও অনেক আয়াত আছে যা প্রকারান্তরে বিবর্তনের কথা বলেছে। বিবর্তনবাদের তত্ত্ব মতে পৃথিবীর সব প্রাণী প্রাথমিকভাবে পানি থেকে তৈরি হয়েছে। কোরআনের একাধিক আয়াতে একই কথা বলা হয়েছে।
সুরা ২৪ (৪৫): আল্লাহ প্রতিটি প্রাণীকে পানি থেকে সৃষ্টি করেছেন... And Allah has created every animal from water.
সুরা ২১ (৩০): প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করেছি... We made from water every living thing.
বিবর্তনবাদ অনুযায়ী পানি থেকে প্রাণী মাটিতে আসে এবং পর্যায়ক্রমে বিবর্তিত হতে হতে অবশেষে মানুষে রূপান্তরিত হয়। অর্থাৎ মানুষের প্রাথমিক সূত্রপাত পানি থেকে, তারপর মাটি থেকে, এবং পুরো প্রক্রিয়া বিভিন্ন পর্যায়ে সম্পন্ন হয়েছে। কোরআনের বিভিন্ন আয়াতেও একথার উল্লেখ পাওয়া যায়।
সুরা ২৫ (৫৪): তিনিই পানি থেকে সৃষ্টি করেছেন মানবকে... It is He Who has created man from water...
সুরা ৬ (২): তিনিই তোমাদেরকে মাটির দ্বারা সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর নির্দিষ্ট-কাল নির্ধারণ করেছেন... He it is created you from clay, and then decreed a stated term (for you)...
সুরা ৭১ (১৪, ১৭): অথচ তিনি তোমাদেরকে বিভিন্ন পর্যায়ে সৃষ্টি করেছেন। Seeing that it is He that has created you in diverse stages? আল্লাহ তা'আলা তোমাদেরকে মৃত্তিকা থেকে (নির্দিষ্ট ধারাবাহিকতায়) উদগত করেছেন। And Allah has caused you to grow from the earth a (progressive) growth.
সুরা ৭৬ (১): মানুষের ওপর লম্বা সময় কি অতিবাহিত হয়নি যখন সে উল্লেখযোগ্য কিছুই ছিলো না? Has there not been over Man a long period of Time, when he was nothing - (not even) mentioned?
এছাড়াও কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে মানুষের আকৃতিকে পর্যায়ক্রমে উন্নত করার কথা বলা হয়েছে।
সুরা ৬৪ (৩): ...তিনিই তোমাদের আকৃতি দিয়েছেন, অতঃপর তাকে আরও সুন্দর করেছেন... He designed you, then made your design better...
সুরা ৪০ (৬৪): ...তিনি তোমাদের আকৃতি দান করেছেন, অতঃপর তোমাদের আকৃতি সুন্দর করেছেন... He formed you then made your forms better...
সুরা ৪২ (৭): ...যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর সুবিন্যস্ত করেছেন এবং সুষম করেছেন; Who created you, then proportioned you, and then balanced you;
অর্থাৎ কোরআনেও বিবর্তনের আভাস পাওয়া যায়, যদিও তা বর্তমানে প্রচলিত বিবর্তনবাদের তত্ত্বের সাথে হুবহু নাও মিলতে পারে। তবে বিজ্ঞান দিন দিন আরও সমৃদ্ধ হচ্ছে। বিবর্তনবাদের মাঝেও অনেক অমীমাংসিত প্রশ্ন রয়ে গেছে, যার উত্তর হয়তো ভবিষ্যতে পাওয়া যাবে। একজন মুসলিম হিসেবে আমি বিশ্বাস করি যে সৃষ্টিকর্তা যেভাবে চেয়েছেন সেভাবেই সব সৃষ্টি হয়েছে। আমরা মানুষ তথা বিজ্ঞান সেই সৃষ্টির প্রক্রিয়াটাই ধাপে ধাপে বোঝার চেষ্টা করছি। এবং এই চেষ্টা করাতেও কোরআনে উৎসাহ দেয়া হয়েছে।
সুরা ২৯ (২০): ...তোমরা পৃথিবী ভ্রমণ কর এবং দেখ, কিভাবে তিনি সৃষ্টিকর্ম শুরু করেছেন... Travel through the earth and see how Allah did originate creation...
অতএব গোঁড়ামি আঁকড়ে ধরে রেখে 'বিবর্তন মানি না' অথবা 'বিজ্ঞানই সত্য' এমন কথা না বলে দু'টো বিষয় নিয়েই গভীরভাবে আরও চিন্তাভাবনা করা প্রয়োজন আমাদের। কোরআনে যতোবার আমাদের চিন্তাভাবনা করতে বলা হয়েছে জগত ও সৃষ্টি নিয়ে, তেমনটা আর কোথাও দেখিনি আমি।
ভিন্ন ভিন্ন প্রায় সব প্রাণীই ভ্রুণাবস্থায় দেখতে প্রায় একই রকম।
কোরআনেরও অনেক আয়াত আছে যা প্রকারান্তরে বিবর্তনের কথা বলেছে। বিবর্তনবাদের তত্ত্ব মতে পৃথিবীর সব প্রাণী প্রাথমিকভাবে পানি থেকে তৈরি হয়েছে। কোরআনের একাধিক আয়াতে একই কথা বলা হয়েছে।
সুরা ২৪ (৪৫): আল্লাহ প্রতিটি প্রাণীকে পানি থেকে সৃষ্টি করেছেন... And Allah has created every animal from water.
সুরা ২১ (৩০): প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করেছি... We made from water every living thing.
বিবর্তনবাদ অনুযায়ী পানি থেকে প্রাণী মাটিতে আসে এবং পর্যায়ক্রমে বিবর্তিত হতে হতে অবশেষে মানুষে রূপান্তরিত হয়। অর্থাৎ মানুষের প্রাথমিক সূত্রপাত পানি থেকে, তারপর মাটি থেকে, এবং পুরো প্রক্রিয়া বিভিন্ন পর্যায়ে সম্পন্ন হয়েছে। কোরআনের বিভিন্ন আয়াতেও একথার উল্লেখ পাওয়া যায়।
সুরা ২৫ (৫৪): তিনিই পানি থেকে সৃষ্টি করেছেন মানবকে... It is He Who has created man from water...
সুরা ৬ (২): তিনিই তোমাদেরকে মাটির দ্বারা সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর নির্দিষ্ট-কাল নির্ধারণ করেছেন... He it is created you from clay, and then decreed a stated term (for you)...
সুরা ৭১ (১৪, ১৭): অথচ তিনি তোমাদেরকে বিভিন্ন পর্যায়ে সৃষ্টি করেছেন। Seeing that it is He that has created you in diverse stages? আল্লাহ তা'আলা তোমাদেরকে মৃত্তিকা থেকে (নির্দিষ্ট ধারাবাহিকতায়) উদগত করেছেন। And Allah has caused you to grow from the earth a (progressive) growth.
সুরা ৭৬ (১): মানুষের ওপর লম্বা সময় কি অতিবাহিত হয়নি যখন সে উল্লেখযোগ্য কিছুই ছিলো না? Has there not been over Man a long period of Time, when he was nothing - (not even) mentioned?
এছাড়াও কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে মানুষের আকৃতিকে পর্যায়ক্রমে উন্নত করার কথা বলা হয়েছে।
সুরা ৬৪ (৩): ...তিনিই তোমাদের আকৃতি দিয়েছেন, অতঃপর তাকে আরও সুন্দর করেছেন... He designed you, then made your design better...
সুরা ৪০ (৬৪): ...তিনি তোমাদের আকৃতি দান করেছেন, অতঃপর তোমাদের আকৃতি সুন্দর করেছেন... He formed you then made your forms better...
সুরা ৪২ (৭): ...যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর সুবিন্যস্ত করেছেন এবং সুষম করেছেন; Who created you, then proportioned you, and then balanced you;
অর্থাৎ কোরআনেও বিবর্তনের আভাস পাওয়া যায়, যদিও তা বর্তমানে প্রচলিত বিবর্তনবাদের তত্ত্বের সাথে হুবহু নাও মিলতে পারে। তবে বিজ্ঞান দিন দিন আরও সমৃদ্ধ হচ্ছে। বিবর্তনবাদের মাঝেও অনেক অমীমাংসিত প্রশ্ন রয়ে গেছে, যার উত্তর হয়তো ভবিষ্যতে পাওয়া যাবে। একজন মুসলিম হিসেবে আমি বিশ্বাস করি যে সৃষ্টিকর্তা যেভাবে চেয়েছেন সেভাবেই সব সৃষ্টি হয়েছে। আমরা মানুষ তথা বিজ্ঞান সেই সৃষ্টির প্রক্রিয়াটাই ধাপে ধাপে বোঝার চেষ্টা করছি। এবং এই চেষ্টা করাতেও কোরআনে উৎসাহ দেয়া হয়েছে।
সুরা ২৯ (২০): ...তোমরা পৃথিবী ভ্রমণ কর এবং দেখ, কিভাবে তিনি সৃষ্টিকর্ম শুরু করেছেন... Travel through the earth and see how Allah did originate creation...
অতএব গোঁড়ামি আঁকড়ে ধরে রেখে 'বিবর্তন মানি না' অথবা 'বিজ্ঞানই সত্য' এমন কথা না বলে দু'টো বিষয় নিয়েই গভীরভাবে আরও চিন্তাভাবনা করা প্রয়োজন আমাদের। কোরআনে যতোবার আমাদের চিন্তাভাবনা করতে বলা হয়েছে জগত ও সৃষ্টি নিয়ে, তেমনটা আর কোথাও দেখিনি আমি।
ভিন্ন ভিন্ন প্রায় সব প্রাণীই ভ্রুণাবস্থায় দেখতে প্রায় একই রকম।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাইফ রুদাদ ২২/১২/২০১৭বাহ্! তথ্যবহুল জানার কিছু
-
একনিষ্ঠ অনুগত ২২/১২/২০১৭ভালো প্রয়াস। চালিয়ে যান। নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে বিশ্লেষণ করতে থাকলে আরো তথ্য উদঘাটিত হবে।।
-
কামরুজ্জামান সাদ ২১/১২/২০১৭তথ্যবহুল লেখা।সকলের এটা জানা উচিত।
-
ফয়েজ উল্লাহ রবি ২১/১২/২০১৭অসাধারণ, খুব ভালো শিক্ষনীয় পোস্ট ।