লোভ
ভোরে খবর টা পেলাম, নবারুন সুইসাইড করেছে, নবারুন আমার ছোটবেলার বন্ধু, প্রাণ খোলা ছেলে , খুব ভালো ছাত্র ছিলো এবং চাকরী জীবনেও খুব ভালো রোজগার করতো| আমার সাথে ফোনে যোগাযোগ ছিলো, মাঝে মাঝে আমার বাড়ি আসতো| বিয়ে করেছিলো তাও বছর তিনেক আগে, এখনো কোনো বাচ্চা কাচ্ছা হয়নি। চাকরি করে ফ্ল্যাট, গাড়ি কিনেছিলো আর দেখে বা কথা শুনে তো বেশ সুখীই মনে হতো, সে যে এমন করবে সেটা ভাবতেই একটু কষ্ট হচ্ছে|
ফোন টা করেছিলো তাপস। তাপসের সাথে আমার আর নবারুনের বন্ধুত্ব হয় কলেজে পড়ার সময় থেকে, একসময়ে আমরা খুব কাছের বন্ধু ছিলাম, সিনেমা দেখা, আড্ডা মারা , ঘুরতে যাওয়া এসব নিয়ে আমরা কলেজ জীবনটা খুব উপভোগ করেছি, তারপর তাপস বাড়ির চাপে আর উচ্চ শিক্ষা করতে না পেরে একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে অ্যাকাউন্ট এর কাজ নিয়ে চাকরী জীবন শুরু করে দিলো। আর আমি সরকারী চাকরির জন্য বছর তিনেক চেষ্টা চরিত্র করে একটা কেরানির চাকরি জুটিয়ে ফেললাম। আর নবারুন এমবিএ পড়তে চলে গেলো , তারপর বছর দুয়েক আগে তাপসের কোম্পানিতে বেশ একটা উচু পোস্টে এসে জয়েন করলো|
তাপস বলেছিল - কাল রাতে ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে আজ ভোর তিনটের সময় মারা গেছে।
আমি ভাবতে লাগলাম- এতো ল্যাভিশ লাইফস্টাইল, এতো ভালো কেরিয়ার, কী কারণ হতে পারে? তাপসকে ফোন ব্যাক করলাম-
- কীরে এখন তোরা কোথায়?
-হাসপাতালে ,বডি ময়নাতদন্তে গেছে, বিকেলের আগে মনে হয় না দেবে|
- নবারুন এমন টা কেন করলো বলতো? .
তাপস আমাকে অবাক করে দিয়ে বলল, এটা খুনও হতে পারে, অন্তত পুলিশ তাই আনুমান।তবে ময়নাতদন্ত করার পর সব পরিস্কার হবে।
আমার মুখ থেকে বেরিয়ে গেল- খুন হয়েছে? কে ... কে করলো?
-সেটা ভাই পুলিশ বলবে। তুই পারলে এখানে চলে আয়।
-দেখছি বলে , ফোনটা আমি রেখে দিলাম।
আমি এখন কল্যানিতে থাকি , মেস ভাড়া করে, ওখানেই আমার অফিস আর নবারুনের বাড়ি হল দক্ষিণ কলকাতায়, গেলে আমার আজকের অফিস ডুব দিতে হবে। একবার ভাবলাম চলে যাই, আবার ভাবলাম যদি কোনও ঝামেলায় জড়িয়ে যাই।আমি একটু ভিতু ধরনের, ঝামেলা টামেলা খুব একটা পছন্দ করিনা, বেশি ভীর টীর দেখলে পাশ কাটিয়ে চলে আসি, এহেন খুন টুন কেসে যাবো, ঠিক হবে কিনা ভাবতে লাগলাম, যদি পুলিশ আমাকে জেরা করে , না যাবোনা ঠিক করে ফেললাম।
সকাল দশ টার মধ্যে অফিসে চলে এলাম।কিন্তু মাথার মধ্যে শুধু নবারুনি ঘুরতে লাগলো।খুন না আত্ম্যহত্যা? না এটা অন্তত জানতে হবে।
আবার তাপসের মবাইলে ফোন করলাম, তাপস ফোন ধরেই বলল-
কিরে কখন আসছিস?
আমি আমতা আমতা করে বললাম- অফিসে এখন খুব কাজ, দেখি সময় বার করতে পারি কিনা? তা এখন ওখানের কি খবর?
-খবর আর কি ? নবারুনের বউতো বলছে মার্ডার।মার্ডার কে করেছে তাও বলে দিয়েছে।
-বলিস কি? তা কে করেছে?
-সে টা ফোনে বলতে পারছি না, তুই পারলে চলে আয়, একটা কিছু রহস্য তো আছে এর মধ্যে।এখন রাখি বুঝলি , যদি আসিস তাহলে ফোনে জানাস।রাখলাম।
তাপস ফোন টা কেটে দেওার পর আবার ভাবলাম, যাওটা উচিৎ কিনা, না একবার ঘুরেই আসি , শত হোক বন্ধু বলে কথা, অন্তত তার শেষ কৃত্যে থাকাটা উচিৎ।
আমি অফিস থেকে হাফ ডে ছুটি নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম, কলকাতা যাবার ট্রেন ধরতে।
পর্ব-২
ট্রেন থেকে নেমে আমি একেবারে হাসপাতালে চলে গেলাম, গেটের কাছেই তাপস কে পেয়ে গেলাম। তাপসের মুখটা বেশ শুঁকনো, চোখ টা লাল, আমাকে দেখে বলল- রিপোর্ট পেতে পেতে সন্ধ্যে সাত টা বেজে যাবে , তারপর বডি ছাড়বে।
আমি বললাম – তা আমরা কি অপেক্ষা করব নাকি চলে যাবো?
তাপস আমার কথার উত্তর না দিয়ে বলল – শালা কাল পর্যন্ত নবার সাথে কথা বললাম, একবারেও মনে হয়নি মাল টা সুইসাইড করবে। আজ কাক ভোরে বউদির ফোন পেয়ে গিয়ে দেখি এই ঘটনা।
আমি একটু উস খুস করে বললাম- তুই যে বললি মার্ডার?
তাপস বলল- আমি না, পুলিশ বলছে ,ওদিকে আবার শুনলাম বউদি বলেছে ১০০% মার্ডার , আর সেটা কে করেছে তাও পুলিশকে বলে দিয়েছে। পুলিশ যদিও নাম টা আমাদের বলেনি।
আমি বেশ কৌতূহল হয়ে বললাম- তোর কি মনে হয়?
আমার তো ভাই সুইসাইড ই মনে হয়। ওকে মারবে কেন? কোন মটিভ তো দরকার?
আমি বেশ বোদ্ধার মত বললাম- আছে হয়তো, সেটা ওর বউ জানে , তুই নাও জানতে পারিস।
তাপস আনমনে বলল , হতে পারে।
আমি আগ বাড়িয়ে বললাম- তোদের অফিসে কোন ঝামেলা হয়নিতো?
না ভাই, এমন কোন ঝামেলা অন্ততঃ আমার মনে পড়ছে না যে তাতে নবারুন সুইসাইড করতে পারে বা মার্ডার হতে পারে।
এমন সময় তাপসের মবাইলে রিং হোল, তাপস কাউকে আসছি বলে ফোন কেটে আমায় বলল – এখানকার লোকাল থানা থেকে ফোন এসেছিলো, আমায় ডাকছে, তুই কি যাবি আমার সাথে?
আমি একটু মনে মনে ইতস্ততঃ করছিলাম, কিন্তু মুখে বললাম চ।
হাসপাতাল থেকে মিনিট চল্লিশের রাস্তা, একটা ট্যাক্সি নিয়ে বেড়িয়ে পড়লাম দুজনে।
ট্যাক্সিতে যেতে যেতে আমার একটু গোয়েন্দাগিরির শখ হোল, আমি তাপস কে জিজ্ঞেস করলাম- ওর বউটা কেমন? মানে ওদের মধ্যে কিরকম সম্পর্ক ছিল?
তাপস আমার দিকে না তাকিয়েই বলল – ভালো। সেরকম খারাপ কিছু তো কোনদিন আমার কানে আসেনি। ওরা রোজ উইকেন্ডে পার্টি করতো, বছরে দু-তিন বার ঘুরতে যেত, দেখেতো কোনদিন খারাপ মনে হয়নি।
আমার মুখ থেকে হটাত বেরিয়ে গেলো- তুই এত জানিস কি করে?
তাপস আমার দিকে তাকিয়ে বলল – নবারুন আমার সাথে সবকিছু শেয়ার করতো।
আমি ফিরতি জিজ্ঞেস করলাম- নবারুন তো তোর বস ছিল? তাই না?
তাপস বলল- ওটা অফিসে, বাইরে আমরা বন্ধু, ওর বাড়ীতেও আমি যেতাম, ওর পরিবারের সাথে আমার বেশ একটা ভালো বন্ধুত্ত হয়ে গেছিল।
ট্যাক্সি এসে থানার সামনে দাড়াতে , আমরা ভাড়া মিটিয়ে নেমে পড়লাম।
পুলিস অফিসার মিঃ সান্যাল নবারুনের কেস টা দেখছেন, আমরা তার ঘরে গিয়ে বসলাম।
মিঃ সান্যাল আমাকে দেখে বললেন – ইনি কে?
তাপস বলল , এ আমার আর নবারুনের কলেজ বন্ধু, খবর পেয়ে এসেছে।
মিঃ সান্যাল আমার প্রতি খুব একটা উৎসাহ না দেখিয়ে তাপস কে বললেন- নবারুনের স্ত্রী তো খুনির নাম বলে দিয়েছেন, জানেন উনি কার নাম করেছেন?
তাপস আর আমি বেশ উত্তেজিতও হয়ে মিঃ সান্যালের মুখের দিকের চাইলাম কোন প্রশ্ন না করে।
তাপস বাবু , উনি কিন্তু আপনার নাম টাই বলেছেন , আপনি নাকি খাবারে বিষ মিশিয়ে নবারুণকে মেরে ফেলেছেন।
কথাটা শুনে আমার গলাটা শুকিয়ে এলো, তাপস সুধু মিঃ সান্যালের মুখের দিকে তাকিয়ে বলল- আমি...আমি খুন করেছি?
---চলবে...
ফোন টা করেছিলো তাপস। তাপসের সাথে আমার আর নবারুনের বন্ধুত্ব হয় কলেজে পড়ার সময় থেকে, একসময়ে আমরা খুব কাছের বন্ধু ছিলাম, সিনেমা দেখা, আড্ডা মারা , ঘুরতে যাওয়া এসব নিয়ে আমরা কলেজ জীবনটা খুব উপভোগ করেছি, তারপর তাপস বাড়ির চাপে আর উচ্চ শিক্ষা করতে না পেরে একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে অ্যাকাউন্ট এর কাজ নিয়ে চাকরী জীবন শুরু করে দিলো। আর আমি সরকারী চাকরির জন্য বছর তিনেক চেষ্টা চরিত্র করে একটা কেরানির চাকরি জুটিয়ে ফেললাম। আর নবারুন এমবিএ পড়তে চলে গেলো , তারপর বছর দুয়েক আগে তাপসের কোম্পানিতে বেশ একটা উচু পোস্টে এসে জয়েন করলো|
তাপস বলেছিল - কাল রাতে ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে আজ ভোর তিনটের সময় মারা গেছে।
আমি ভাবতে লাগলাম- এতো ল্যাভিশ লাইফস্টাইল, এতো ভালো কেরিয়ার, কী কারণ হতে পারে? তাপসকে ফোন ব্যাক করলাম-
- কীরে এখন তোরা কোথায়?
-হাসপাতালে ,বডি ময়নাতদন্তে গেছে, বিকেলের আগে মনে হয় না দেবে|
- নবারুন এমন টা কেন করলো বলতো? .
তাপস আমাকে অবাক করে দিয়ে বলল, এটা খুনও হতে পারে, অন্তত পুলিশ তাই আনুমান।তবে ময়নাতদন্ত করার পর সব পরিস্কার হবে।
আমার মুখ থেকে বেরিয়ে গেল- খুন হয়েছে? কে ... কে করলো?
-সেটা ভাই পুলিশ বলবে। তুই পারলে এখানে চলে আয়।
-দেখছি বলে , ফোনটা আমি রেখে দিলাম।
আমি এখন কল্যানিতে থাকি , মেস ভাড়া করে, ওখানেই আমার অফিস আর নবারুনের বাড়ি হল দক্ষিণ কলকাতায়, গেলে আমার আজকের অফিস ডুব দিতে হবে। একবার ভাবলাম চলে যাই, আবার ভাবলাম যদি কোনও ঝামেলায় জড়িয়ে যাই।আমি একটু ভিতু ধরনের, ঝামেলা টামেলা খুব একটা পছন্দ করিনা, বেশি ভীর টীর দেখলে পাশ কাটিয়ে চলে আসি, এহেন খুন টুন কেসে যাবো, ঠিক হবে কিনা ভাবতে লাগলাম, যদি পুলিশ আমাকে জেরা করে , না যাবোনা ঠিক করে ফেললাম।
সকাল দশ টার মধ্যে অফিসে চলে এলাম।কিন্তু মাথার মধ্যে শুধু নবারুনি ঘুরতে লাগলো।খুন না আত্ম্যহত্যা? না এটা অন্তত জানতে হবে।
আবার তাপসের মবাইলে ফোন করলাম, তাপস ফোন ধরেই বলল-
কিরে কখন আসছিস?
আমি আমতা আমতা করে বললাম- অফিসে এখন খুব কাজ, দেখি সময় বার করতে পারি কিনা? তা এখন ওখানের কি খবর?
-খবর আর কি ? নবারুনের বউতো বলছে মার্ডার।মার্ডার কে করেছে তাও বলে দিয়েছে।
-বলিস কি? তা কে করেছে?
-সে টা ফোনে বলতে পারছি না, তুই পারলে চলে আয়, একটা কিছু রহস্য তো আছে এর মধ্যে।এখন রাখি বুঝলি , যদি আসিস তাহলে ফোনে জানাস।রাখলাম।
তাপস ফোন টা কেটে দেওার পর আবার ভাবলাম, যাওটা উচিৎ কিনা, না একবার ঘুরেই আসি , শত হোক বন্ধু বলে কথা, অন্তত তার শেষ কৃত্যে থাকাটা উচিৎ।
আমি অফিস থেকে হাফ ডে ছুটি নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম, কলকাতা যাবার ট্রেন ধরতে।
পর্ব-২
ট্রেন থেকে নেমে আমি একেবারে হাসপাতালে চলে গেলাম, গেটের কাছেই তাপস কে পেয়ে গেলাম। তাপসের মুখটা বেশ শুঁকনো, চোখ টা লাল, আমাকে দেখে বলল- রিপোর্ট পেতে পেতে সন্ধ্যে সাত টা বেজে যাবে , তারপর বডি ছাড়বে।
আমি বললাম – তা আমরা কি অপেক্ষা করব নাকি চলে যাবো?
তাপস আমার কথার উত্তর না দিয়ে বলল – শালা কাল পর্যন্ত নবার সাথে কথা বললাম, একবারেও মনে হয়নি মাল টা সুইসাইড করবে। আজ কাক ভোরে বউদির ফোন পেয়ে গিয়ে দেখি এই ঘটনা।
আমি একটু উস খুস করে বললাম- তুই যে বললি মার্ডার?
তাপস বলল- আমি না, পুলিশ বলছে ,ওদিকে আবার শুনলাম বউদি বলেছে ১০০% মার্ডার , আর সেটা কে করেছে তাও পুলিশকে বলে দিয়েছে। পুলিশ যদিও নাম টা আমাদের বলেনি।
আমি বেশ কৌতূহল হয়ে বললাম- তোর কি মনে হয়?
আমার তো ভাই সুইসাইড ই মনে হয়। ওকে মারবে কেন? কোন মটিভ তো দরকার?
আমি বেশ বোদ্ধার মত বললাম- আছে হয়তো, সেটা ওর বউ জানে , তুই নাও জানতে পারিস।
তাপস আনমনে বলল , হতে পারে।
আমি আগ বাড়িয়ে বললাম- তোদের অফিসে কোন ঝামেলা হয়নিতো?
না ভাই, এমন কোন ঝামেলা অন্ততঃ আমার মনে পড়ছে না যে তাতে নবারুন সুইসাইড করতে পারে বা মার্ডার হতে পারে।
এমন সময় তাপসের মবাইলে রিং হোল, তাপস কাউকে আসছি বলে ফোন কেটে আমায় বলল – এখানকার লোকাল থানা থেকে ফোন এসেছিলো, আমায় ডাকছে, তুই কি যাবি আমার সাথে?
আমি একটু মনে মনে ইতস্ততঃ করছিলাম, কিন্তু মুখে বললাম চ।
হাসপাতাল থেকে মিনিট চল্লিশের রাস্তা, একটা ট্যাক্সি নিয়ে বেড়িয়ে পড়লাম দুজনে।
ট্যাক্সিতে যেতে যেতে আমার একটু গোয়েন্দাগিরির শখ হোল, আমি তাপস কে জিজ্ঞেস করলাম- ওর বউটা কেমন? মানে ওদের মধ্যে কিরকম সম্পর্ক ছিল?
তাপস আমার দিকে না তাকিয়েই বলল – ভালো। সেরকম খারাপ কিছু তো কোনদিন আমার কানে আসেনি। ওরা রোজ উইকেন্ডে পার্টি করতো, বছরে দু-তিন বার ঘুরতে যেত, দেখেতো কোনদিন খারাপ মনে হয়নি।
আমার মুখ থেকে হটাত বেরিয়ে গেলো- তুই এত জানিস কি করে?
তাপস আমার দিকে তাকিয়ে বলল – নবারুন আমার সাথে সবকিছু শেয়ার করতো।
আমি ফিরতি জিজ্ঞেস করলাম- নবারুন তো তোর বস ছিল? তাই না?
তাপস বলল- ওটা অফিসে, বাইরে আমরা বন্ধু, ওর বাড়ীতেও আমি যেতাম, ওর পরিবারের সাথে আমার বেশ একটা ভালো বন্ধুত্ত হয়ে গেছিল।
ট্যাক্সি এসে থানার সামনে দাড়াতে , আমরা ভাড়া মিটিয়ে নেমে পড়লাম।
পুলিস অফিসার মিঃ সান্যাল নবারুনের কেস টা দেখছেন, আমরা তার ঘরে গিয়ে বসলাম।
মিঃ সান্যাল আমাকে দেখে বললেন – ইনি কে?
তাপস বলল , এ আমার আর নবারুনের কলেজ বন্ধু, খবর পেয়ে এসেছে।
মিঃ সান্যাল আমার প্রতি খুব একটা উৎসাহ না দেখিয়ে তাপস কে বললেন- নবারুনের স্ত্রী তো খুনির নাম বলে দিয়েছেন, জানেন উনি কার নাম করেছেন?
তাপস আর আমি বেশ উত্তেজিতও হয়ে মিঃ সান্যালের মুখের দিকের চাইলাম কোন প্রশ্ন না করে।
তাপস বাবু , উনি কিন্তু আপনার নাম টাই বলেছেন , আপনি নাকি খাবারে বিষ মিশিয়ে নবারুণকে মেরে ফেলেছেন।
কথাটা শুনে আমার গলাটা শুকিয়ে এলো, তাপস সুধু মিঃ সান্যালের মুখের দিকে তাকিয়ে বলল- আমি...আমি খুন করেছি?
---চলবে...
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
প্রসূন রায় ১৪/০৯/২০১৬অপেক্ষায় রইলাম
-
আজিজ আহমেদ ০৮/০৯/২০১৬চলতে থাক। পড়বো
-
সোলাইমান ০৪/০৯/২০১৬Very very nice poet
-
স্বপ্নময় স্বপন ২৮/০৮/২০১৬ভারী সুন্দর!
-
মনিরুজ্জামান শুভ্র ২৫/০৮/২০১৬পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।