পাগলা কাহিনী
আমি এক স্বঘোষিত পাগল। পাগল মানেই পাগলামি, আর পাগলামি মানেই মজার মজার নানা ঘটনা ও অভিজ্ঞতা। বৈচিত্র্যপূর্ণ জীবনের জন্য পাগল হওয়াটা খুবই জরুরী। আপনি যদি জীবনে একবার হলেও কোন কিছুর জন্য পাগল না হয়ে থাকেন, তবে আপনার জীবনই ব্যর্থ।
যাই হোক, আমি এখানে পাগলামির সুফল সম্পর্কে জ্ঞানদান করার জন্য লিখতে বসিনি। তাই মূল প্রসঙ্গে যাই।
তখন আমি এক নব্য পাগল। অর্থাৎ সমাজে ও বন্ধু মহলে তখনও পুরোপুরি পাগল হিসাবে স্বীকৃতি লাভে সক্ষম হইনি। তাই নানাভাবে নানা কাজে আমার চেষ্টা চলতে থাকে নিজেকে পাগল প্রমাণের। যেমন, দেশ ও জাতি উদ্ধারের গরুগম্ভীর কোন আলোচনায় হুট করে বিনা কারণে হা হা করে হেসে উঠে মাটিতে গড়াগড়ি খেতে থাকা, আশেপাশে বন্ধুবান্ধব থাকলে তাদের দেখিয়ে দেখিয়ে নিজের মনে নিজেই বিড়বিড় করে কথা বলতে থাকা, মাঝেমধ্যেই আশেপাশের লোকজনকে দাঁত খিঁচানো ইত্যাদি।
তো সময়টা ছিলো গরমকাল। গরমের তাপে ও চাপে অতিষ্ঠ হয়ে একদিন নাপিতের দোকানে গিয়ে মাথা পুরো ন্যাড়া করে এলাম। বাসায় এসে ফ্যানের নিচে মাথা পেতে বসে কি আরামই না পেয়েছিলাম সেদিন! কাজের ছেলেকে ডেকে বললাম মাথায় তিব্বতের কদুর তেল দিয়ে মালিশ করে দিতে। তেলের বিজ্ঞাপনে সবসময় দেখায় মেয়েদের মাথার লম্বা চুলের সৌন্দর্যের গোপন রহস্য হচ্ছে এসব তেল। কিন্তু কেশবিহীন মাথায় তৈলমর্দনের আরাম যে কি, তারা তা কিভাবে টের পাবে? টের পেয়েছিলাম আমি! আর সেজন্যেই সপ্তাহখানেক পর পর গিয়ে ন্যাড়া মাথা আবারও ন্যাড়া করে আসতাম নরসুন্দরের হাতে। এবং এভাবে ন্যাড়া থাকতে থাকতেই একদিন অনুভব করতে লাগলাম যে দাড়ি-গোঁফ ও কেশবিহীন মস্তকে ভুরুগুলো বড়ই বেখাপ্পা এক জিনিস। এগুলোও কামিয়ে ফেললে ল্যাঠা চুকে যায়। কিন্তু ফ্যামিলি ও আশেপাশের লোকজনের ক্রূর দৃষ্টির ভয়ে আর সে সাহস করলাম না। (কেননা জাতে পাগল হলেও তখনও তালে পুরো মাতাল হয়ে উঠতে পারিনি কিনা।) এমনিতেই তারা আমার ন্যাড়া মাথা নিয়ে বেশ বিব্রত থাকে আমাকে নিয়ে রাস্তায় বের হতে। এমনকি আমার গার্লফ্রেন্ড পর্যন্ত আমাকে সাফ মানা করে দিয়েছে যে ক'দিন পর্যন্ত না আগের মতো চুল গজায়, আমি যেন তার সাথে কোন রকম যোগাযোগ না করি।
যাক, ভুরু কামাতে না পারার দুঃখে কিছুদিন ধরে আমি দাড়ি-গোঁফ রাখা শুরু করেছি। প্রথমে পরিকল্পনা ছিলো ন্যাড়া মাথার রবীন্দ্রনাথ না হওয়া পর্যন্ত আমি আর দাড়ি কামাবো না। কিন্তু বেটে শ্যামলা রবীন্দ্রনাথের চেহারাটা বেশি যুতসই মনে না হওয়ায় আমি সেটাকে কেটেছেটে ফ্রেঞ্চকাট বানিয়ে ফেললাম। নিজেকে তখন বেশ ফ্রেঞ্চ ফ্রেঞ্চ মনে হতো। ফ্রেঞ্চ মানুষেরা নাকি খুব প্রেমিক টাইপের হয়ে থাকে। নিজের মধ্যেও হয়তোবা সেজন্যেই বেশ প্রেম প্রেম ভাব জেগে উঠতে লাগলো। (অবশ্য মাসখানেক প্রেমিকার সাথে দেখা না করে থাকাও এর কারণ হয়ে থাকতে পারে।) আমি তাই দিনরাত নিষ্ঠার সাথে আমার প্রেমিকাকে ফোন এবং এসএমএস দেয়া শুরু করলাম। বেশিরভাগ সময়ই অবশ্য কোন রিপ্লাই পেতাম না, বা সে খটাস করে আমার মুখের উপর ফোন রেখে দিতো। এভাবে কিছুদিন চলার পর একদিন আমি তাকে এসএমএস পাঠালাম যে এবার আমার ফোন না ধরলে আমি বেল (মানে আমার ন্যাড়া মাথা) ভেঙ্গে ভর্তা করে ফেলবো। ভয় না পেলেও বিরক্তি নিয়েই এবার সে ফোন ধরলো। বললো যে আমি আমার বেল ভেঙ্গে ভর্তা বা শরবত যা কিছু করতে পারি, সেটা নিয়ে তাকে যেন আর না জ্বালাই। যদ্দিন পর্যন্ত না বেলের উপর গাছ গজাবে, তদ্দিন আমার আর কোন চান্স নেই। আমি নিজেও অনেক দিন বেল বেল খেলে কিছুটা বিরক্ত। এবার নতুন কোন পাগলামি চাই। তাই তাকে বললাম যে ঠিক আছে, সে যদি আমার সাথে দেখা করে আমার বেলা মাথায় একটু হাত বুলিয়ে যায়, তাহলে আমি ন্যাড়া বেলতলায় যাওয়া বন্ধ করবো চিরতরে।
কি মনে করে বিরক্তি নিয়েই দেখা করায় রাজি হলো সে। দ্রুত ঝামেলা মিটানোর জন্য পরেরদিনই দেখা করতে বললো আমাকে। এই খুশিতে আমিও একটু পর পর আয়নার সামনে গিয়ে দাড়াই আর নানা কসরত করে নিজেই নিজের মাথাটা মুগ্ধ চোখে দেখি। এতোদিন পর প্রেমিকার সাথে দেখা করতে যাবো, তাকে ভালবাসা প্রকাশের অভিনব এক পন্থা হঠাৎ মাথায় খেলে গেলো। তাই আয়নায় দেখতে দেখতেই কায়দা করে লিখে ফেললাম "I Love U"।
ন্যাড়া মাথা ক্যাপে ঢেকে পরদিন যথাসময়ে দেখা করতে গেলাম প্রেমিকার সাথে। তাকে নিয়ে চটপটি-ফুচকা খাওয়া শেষে লেকের পার দিয়ে হাটতে লাগলাম। এক পর্যায়ে গিয়ে বসলাম লেকের পারে। আশেপাশে আরও কয়েক জুটি ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে আছে। সবাই নিজেদের নিয়ে মগ্ন। এই ফাঁকে আমি প্রেমিকাকে বললাম আমার ন্যাড়া মাথায় এইবার হাত বুলিয়ে দিতে পারে। তাহলেই আমার বেল প্রকল্পের সমাপ্তি হবে। এই বলে আমি মাথার ক্যাপ সরাতেই সেদিকে তাকিয়ে একটা ধাক্কার মতো খেলো যেন সে। তার পাশাপাশি আশেপাশের আরও কয়েকজনের চোখেও ধরা পড়ে গেলো আমার টাকের উপর লেখা "I Love U" লেখাটি। চারপাশের হাসির হুল্লোড়ের মাঝেই তেলেবেগুনে রেগে আমার মাথায় এক চাটি মেরে সেই যে আমার প্রেমিকা উঠে চলে গেলো, সেটাই ছিলো তার সাথে আমার শেষ দেখা।
প্রেমিকা নেই। তবে সেই দুঃখে পাগলামি বন্ধ করিনি। বরং দুনিয়ার চরম ধ্রুব সত্য উপলব্ধি করলাম যে, কারো কেউ নইকো আমি, কেউ আমার নয়। যতোদিন অন্যের চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারবো, শুধু ততোদিনই তারা পাশে থাকবে। সবাই যে যার খোলসের মাঝে থাকি আমরা। কেউ খোলস থেকে বের হলেই বিপত্তি।
যাই হোক, আমি এখানে পাগলামির সুফল সম্পর্কে জ্ঞানদান করার জন্য লিখতে বসিনি। তাই মূল প্রসঙ্গে যাই।
তখন আমি এক নব্য পাগল। অর্থাৎ সমাজে ও বন্ধু মহলে তখনও পুরোপুরি পাগল হিসাবে স্বীকৃতি লাভে সক্ষম হইনি। তাই নানাভাবে নানা কাজে আমার চেষ্টা চলতে থাকে নিজেকে পাগল প্রমাণের। যেমন, দেশ ও জাতি উদ্ধারের গরুগম্ভীর কোন আলোচনায় হুট করে বিনা কারণে হা হা করে হেসে উঠে মাটিতে গড়াগড়ি খেতে থাকা, আশেপাশে বন্ধুবান্ধব থাকলে তাদের দেখিয়ে দেখিয়ে নিজের মনে নিজেই বিড়বিড় করে কথা বলতে থাকা, মাঝেমধ্যেই আশেপাশের লোকজনকে দাঁত খিঁচানো ইত্যাদি।
তো সময়টা ছিলো গরমকাল। গরমের তাপে ও চাপে অতিষ্ঠ হয়ে একদিন নাপিতের দোকানে গিয়ে মাথা পুরো ন্যাড়া করে এলাম। বাসায় এসে ফ্যানের নিচে মাথা পেতে বসে কি আরামই না পেয়েছিলাম সেদিন! কাজের ছেলেকে ডেকে বললাম মাথায় তিব্বতের কদুর তেল দিয়ে মালিশ করে দিতে। তেলের বিজ্ঞাপনে সবসময় দেখায় মেয়েদের মাথার লম্বা চুলের সৌন্দর্যের গোপন রহস্য হচ্ছে এসব তেল। কিন্তু কেশবিহীন মাথায় তৈলমর্দনের আরাম যে কি, তারা তা কিভাবে টের পাবে? টের পেয়েছিলাম আমি! আর সেজন্যেই সপ্তাহখানেক পর পর গিয়ে ন্যাড়া মাথা আবারও ন্যাড়া করে আসতাম নরসুন্দরের হাতে। এবং এভাবে ন্যাড়া থাকতে থাকতেই একদিন অনুভব করতে লাগলাম যে দাড়ি-গোঁফ ও কেশবিহীন মস্তকে ভুরুগুলো বড়ই বেখাপ্পা এক জিনিস। এগুলোও কামিয়ে ফেললে ল্যাঠা চুকে যায়। কিন্তু ফ্যামিলি ও আশেপাশের লোকজনের ক্রূর দৃষ্টির ভয়ে আর সে সাহস করলাম না। (কেননা জাতে পাগল হলেও তখনও তালে পুরো মাতাল হয়ে উঠতে পারিনি কিনা।) এমনিতেই তারা আমার ন্যাড়া মাথা নিয়ে বেশ বিব্রত থাকে আমাকে নিয়ে রাস্তায় বের হতে। এমনকি আমার গার্লফ্রেন্ড পর্যন্ত আমাকে সাফ মানা করে দিয়েছে যে ক'দিন পর্যন্ত না আগের মতো চুল গজায়, আমি যেন তার সাথে কোন রকম যোগাযোগ না করি।
যাক, ভুরু কামাতে না পারার দুঃখে কিছুদিন ধরে আমি দাড়ি-গোঁফ রাখা শুরু করেছি। প্রথমে পরিকল্পনা ছিলো ন্যাড়া মাথার রবীন্দ্রনাথ না হওয়া পর্যন্ত আমি আর দাড়ি কামাবো না। কিন্তু বেটে শ্যামলা রবীন্দ্রনাথের চেহারাটা বেশি যুতসই মনে না হওয়ায় আমি সেটাকে কেটেছেটে ফ্রেঞ্চকাট বানিয়ে ফেললাম। নিজেকে তখন বেশ ফ্রেঞ্চ ফ্রেঞ্চ মনে হতো। ফ্রেঞ্চ মানুষেরা নাকি খুব প্রেমিক টাইপের হয়ে থাকে। নিজের মধ্যেও হয়তোবা সেজন্যেই বেশ প্রেম প্রেম ভাব জেগে উঠতে লাগলো। (অবশ্য মাসখানেক প্রেমিকার সাথে দেখা না করে থাকাও এর কারণ হয়ে থাকতে পারে।) আমি তাই দিনরাত নিষ্ঠার সাথে আমার প্রেমিকাকে ফোন এবং এসএমএস দেয়া শুরু করলাম। বেশিরভাগ সময়ই অবশ্য কোন রিপ্লাই পেতাম না, বা সে খটাস করে আমার মুখের উপর ফোন রেখে দিতো। এভাবে কিছুদিন চলার পর একদিন আমি তাকে এসএমএস পাঠালাম যে এবার আমার ফোন না ধরলে আমি বেল (মানে আমার ন্যাড়া মাথা) ভেঙ্গে ভর্তা করে ফেলবো। ভয় না পেলেও বিরক্তি নিয়েই এবার সে ফোন ধরলো। বললো যে আমি আমার বেল ভেঙ্গে ভর্তা বা শরবত যা কিছু করতে পারি, সেটা নিয়ে তাকে যেন আর না জ্বালাই। যদ্দিন পর্যন্ত না বেলের উপর গাছ গজাবে, তদ্দিন আমার আর কোন চান্স নেই। আমি নিজেও অনেক দিন বেল বেল খেলে কিছুটা বিরক্ত। এবার নতুন কোন পাগলামি চাই। তাই তাকে বললাম যে ঠিক আছে, সে যদি আমার সাথে দেখা করে আমার বেলা মাথায় একটু হাত বুলিয়ে যায়, তাহলে আমি ন্যাড়া বেলতলায় যাওয়া বন্ধ করবো চিরতরে।
কি মনে করে বিরক্তি নিয়েই দেখা করায় রাজি হলো সে। দ্রুত ঝামেলা মিটানোর জন্য পরেরদিনই দেখা করতে বললো আমাকে। এই খুশিতে আমিও একটু পর পর আয়নার সামনে গিয়ে দাড়াই আর নানা কসরত করে নিজেই নিজের মাথাটা মুগ্ধ চোখে দেখি। এতোদিন পর প্রেমিকার সাথে দেখা করতে যাবো, তাকে ভালবাসা প্রকাশের অভিনব এক পন্থা হঠাৎ মাথায় খেলে গেলো। তাই আয়নায় দেখতে দেখতেই কায়দা করে লিখে ফেললাম "I Love U"।
ন্যাড়া মাথা ক্যাপে ঢেকে পরদিন যথাসময়ে দেখা করতে গেলাম প্রেমিকার সাথে। তাকে নিয়ে চটপটি-ফুচকা খাওয়া শেষে লেকের পার দিয়ে হাটতে লাগলাম। এক পর্যায়ে গিয়ে বসলাম লেকের পারে। আশেপাশে আরও কয়েক জুটি ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে আছে। সবাই নিজেদের নিয়ে মগ্ন। এই ফাঁকে আমি প্রেমিকাকে বললাম আমার ন্যাড়া মাথায় এইবার হাত বুলিয়ে দিতে পারে। তাহলেই আমার বেল প্রকল্পের সমাপ্তি হবে। এই বলে আমি মাথার ক্যাপ সরাতেই সেদিকে তাকিয়ে একটা ধাক্কার মতো খেলো যেন সে। তার পাশাপাশি আশেপাশের আরও কয়েকজনের চোখেও ধরা পড়ে গেলো আমার টাকের উপর লেখা "I Love U" লেখাটি। চারপাশের হাসির হুল্লোড়ের মাঝেই তেলেবেগুনে রেগে আমার মাথায় এক চাটি মেরে সেই যে আমার প্রেমিকা উঠে চলে গেলো, সেটাই ছিলো তার সাথে আমার শেষ দেখা।
প্রেমিকা নেই। তবে সেই দুঃখে পাগলামি বন্ধ করিনি। বরং দুনিয়ার চরম ধ্রুব সত্য উপলব্ধি করলাম যে, কারো কেউ নইকো আমি, কেউ আমার নয়। যতোদিন অন্যের চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারবো, শুধু ততোদিনই তারা পাশে থাকবে। সবাই যে যার খোলসের মাঝে থাকি আমরা। কেউ খোলস থেকে বের হলেই বিপত্তি।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আরণ্যক আরাধ্য ২৪/০৬/২০১৮
-
শমসের শেখ ২৪/১২/২০১৬সত্যি অনেক মজার পাগলামি ।
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ২০/০৯/২০১৪ভালো একটা অভিজ্ঞতা। বেশ মজা পেয়েছি। গার্লফ্রন্ড চাইলে রেগে না গিয়ে এনজয় করতে পারেতা।
-
আবু সঈদ আহমেদ ০৯/০৭/২০১৪হাসি থামানো যায়না,
-
কবি মোঃ ইকবাল ০৬/০৫/২০১৪মজার কাহিনী।
-
রেজাউর রাতুল ২৯/০৪/২০১৪ভাই আপনার মতো এখন আমিও বেল মাথায় অবস্থান করতেছি । কিন্তু দুর্ভাগ্য আমার প্রেমিকা নাই । থাকলে আপনার I Love U প্রকল্পটা হাতে নিতাম ।
-
সহিদুল হক ২৭/০৪/২০১৪অভিজ্ঞতা না গল্প জানি না। তবে 'চমৎকার লেখা' এটা বলা যেতেই পারে।
---অভিনন্দন।
I Love U কি Horizontally লিখেছিলেন নাকি Vertically?