চলুন সব দলকেই বয়কট করি
বাংলাদেশের ক্ষমতার লড়াইয়ে দুই বড় রাজনৈতিক দল এবং জামায়াতের অত্যাচারে আমরা দেশবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠছি। কিন্তু সামনে সমস্যা সমাধানের কোন সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি না। আমাদের জনগণের সেবার নামে মুখে ফেনা তুলে ফেললেও কার্যত কোন রাজনৈতিক দলই দেশ কিংবা জনগণের ভালর কথা চিন্তা করে কিছু করছে না। অথচ তাদের ক্ষমতার এই কামড়াকামড়িতে মূল্য দিচ্ছি আমরা সাধারণ জনগণ। একটানা এসব হরতাল অবরোধে কোন রাজনৈতিক নেতা বা তাদের ছেলেমেয়ে মারা গেছে? না। মারা যাচ্ছি সাধারণ জনগণ, এবং আমাদের সন্তানেরা। হরতালের জন্য এসব নেতা নেত্রীরা কেউ না খেয়ে আছে? না। না খেয়ে আছে দেশের গরীব জনগণ। অথচ গনতান্ত্রিক দেশে আমরা এই জনগণই নাকি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী!
আর কতোদিন বলুন আমরা মুখ বুঁজে এসব অত্যাচার সহ্য করবো? একসময় বৃটিশরা আমাদের অত্যাচার করেছে। পাকিস্তানীরা অত্যাচার করেছে। এখন করছে আমাদের নিজেদের দেশের নেতা নেত্রীরা। আমরা কি আজীবন শুধু মারই খেয়ে যাবো? চলুন আরেকবার সবাই জেগে উঠি। সবাই একসাথে চলুন বয়কট করি সব ক'টি রাজনৈতিক দলকে। জনগণের নাম নিয়ে জনগণকে মেরে খাওয়া এসব দলগুলোকে একবার চলুন দেখাই জনগণের শক্তি কোথায়, আর তাদের অবস্থান কোথায়। না, ধর-মার-কাট টাইপের কিছু করতে বলছি না। শুধুমাত্র দলমত নির্বিশেষে সব রাজনৈতিক দলগুলোকে বয়কট করতে বলছি। যেকোন দলকে যেকোন রকম সহযোগীতা করা বন্ধ করতে বলছি।
বিএনপি হরতাল দিয়েছে? তাদের বয়কট করুন।
- যেকোন হরতালকারীকে যেকোন রকম সহায়তা করা বন্ধু করুন।
- তাদের বক্তব্য শুনা থেকে বিরত থাকুন।
- হরতালের বিরুদ্ধে জোর কন্ঠে প্রতিবাদ করুন।
- হরতাল আহবানকারী যেকোন দলের যেকোন নেতানেত্রীর যেকোন রকম সভা-সমাবেশে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন।
- টিভি-তে তাদের কারও কোন বক্তব্য দেখালে টিভি বন্ধ করে দিন।
- তারা আমাদের ভুলে গেছে, চলুন আমরাও আমাদের প্রাত্যহিক জীবন থেকে তাদের ভুলে যাই।
আওয়ামীলীগ জনগণের ভোট ছাড়াই বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় জয়ী হয়ে নতুন সরকার গঠন করছে? চলুন আওয়ামীলীগ ও এই সরকারকে বয়কট করি।
- আওয়ামীলীগের ও সরকারের যেকোন সভা-সমাবেশ ও টেলিভিশন সম্প্রচার বয়কট করুন।
- আওয়ামীলীগ কিংবা সরকারএর যে কাউকে যেকোন ধরণের সহযোগীতা করা বন্ধ করুন।
- সরকারী অফিস ও অফিসারদের বয়কট করুন।
- যারা সরকারী অফিসারদের গাড়ি চালান, তারা গাড়ি চালানো বন্ধ করে দিন। যারা পিয়ন কিংবা দাড়োয়ান, তারাও কাজ বন্ধ করে দিন।
- যারা সরকারী অফিসার, তারা উপরওয়ালার নির্দেশ মানা বন্ধ করে দিন। অফিস আদালত সব বন্ধ করে দিন।
- বিনা ভোটে জয়ী হওয়া নির্বাচনের বিপক্ষে জোর কন্ঠে প্রতিবাদ করুন।
জামায়াতী কিংবা অন্য যেকোন সন্ত্রাসী যে কাউকে রাস্তাঘাটে বোমা মারতে দেখলে, আগুন জ্বালাতে দেখলে, কিংবা যেকোন রকম সন্ত্রাসী কান্ড করতে দেখলেই তাদের ধরে মার দেই চলুন।
কি ভাবছেন? যেসব করতে বলেছি তা করতে গেলে পুরো দেশ অচল হয়ে যাবে? হ্যাঁ, তবে সেতো এমনিতেও হতে যাচ্ছে। এবার যদি আমরা তীব্রভাবে প্রতিবাদ না করি সব দলকে, তাহলে হয়তো কয়েক মাসের মধ্যে বর্তমান পরিস্থিতি অনেকটা ঠান্ডা হতেও পারে। তবে দেশে সত্যিকারের গনতন্ত্র কিংবা সাধারণ জনগণের শান্তি কখনোই আসবে না। প্রতিবার নির্বাচনে ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে, এবং প্রতিবার সরকার ও বিরোধী দল আগের বারের চেয়ে আরও বেশি অত্যাচার করেছে জনগণকে। এবং সময়ের সাথে সাথে এভাবেই চলতে থাকবে, যদি না আমরা সাধারণ জনগণ তীব্র প্রতিবাদ করে ওদের বুঝিয়ে না দেই ওদের অবস্থান কোথায়।
তাই চলুন, দলমত নির্বিশেষে বাংলাদেশের যেকোন রাজনৈতিক দল এবং তাদের যেকোন কার্যকলাপকে বয়কট করি, যতোদিন পর্যন্ত না তারা কেউ জনগণের স্বার্থের জন্য নিজেদের স্বার্থ ত্যাগ করতে না পারে। এবং এটা চলুন আজ থেকেই শুরু করি।
আর কতোদিন বলুন আমরা মুখ বুঁজে এসব অত্যাচার সহ্য করবো? একসময় বৃটিশরা আমাদের অত্যাচার করেছে। পাকিস্তানীরা অত্যাচার করেছে। এখন করছে আমাদের নিজেদের দেশের নেতা নেত্রীরা। আমরা কি আজীবন শুধু মারই খেয়ে যাবো? চলুন আরেকবার সবাই জেগে উঠি। সবাই একসাথে চলুন বয়কট করি সব ক'টি রাজনৈতিক দলকে। জনগণের নাম নিয়ে জনগণকে মেরে খাওয়া এসব দলগুলোকে একবার চলুন দেখাই জনগণের শক্তি কোথায়, আর তাদের অবস্থান কোথায়। না, ধর-মার-কাট টাইপের কিছু করতে বলছি না। শুধুমাত্র দলমত নির্বিশেষে সব রাজনৈতিক দলগুলোকে বয়কট করতে বলছি। যেকোন দলকে যেকোন রকম সহযোগীতা করা বন্ধ করতে বলছি।
বিএনপি হরতাল দিয়েছে? তাদের বয়কট করুন।
- যেকোন হরতালকারীকে যেকোন রকম সহায়তা করা বন্ধু করুন।
- তাদের বক্তব্য শুনা থেকে বিরত থাকুন।
- হরতালের বিরুদ্ধে জোর কন্ঠে প্রতিবাদ করুন।
- হরতাল আহবানকারী যেকোন দলের যেকোন নেতানেত্রীর যেকোন রকম সভা-সমাবেশে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন।
- টিভি-তে তাদের কারও কোন বক্তব্য দেখালে টিভি বন্ধ করে দিন।
- তারা আমাদের ভুলে গেছে, চলুন আমরাও আমাদের প্রাত্যহিক জীবন থেকে তাদের ভুলে যাই।
আওয়ামীলীগ জনগণের ভোট ছাড়াই বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় জয়ী হয়ে নতুন সরকার গঠন করছে? চলুন আওয়ামীলীগ ও এই সরকারকে বয়কট করি।
- আওয়ামীলীগের ও সরকারের যেকোন সভা-সমাবেশ ও টেলিভিশন সম্প্রচার বয়কট করুন।
- আওয়ামীলীগ কিংবা সরকারএর যে কাউকে যেকোন ধরণের সহযোগীতা করা বন্ধ করুন।
- সরকারী অফিস ও অফিসারদের বয়কট করুন।
- যারা সরকারী অফিসারদের গাড়ি চালান, তারা গাড়ি চালানো বন্ধ করে দিন। যারা পিয়ন কিংবা দাড়োয়ান, তারাও কাজ বন্ধ করে দিন।
- যারা সরকারী অফিসার, তারা উপরওয়ালার নির্দেশ মানা বন্ধ করে দিন। অফিস আদালত সব বন্ধ করে দিন।
- বিনা ভোটে জয়ী হওয়া নির্বাচনের বিপক্ষে জোর কন্ঠে প্রতিবাদ করুন।
জামায়াতী কিংবা অন্য যেকোন সন্ত্রাসী যে কাউকে রাস্তাঘাটে বোমা মারতে দেখলে, আগুন জ্বালাতে দেখলে, কিংবা যেকোন রকম সন্ত্রাসী কান্ড করতে দেখলেই তাদের ধরে মার দেই চলুন।
কি ভাবছেন? যেসব করতে বলেছি তা করতে গেলে পুরো দেশ অচল হয়ে যাবে? হ্যাঁ, তবে সেতো এমনিতেও হতে যাচ্ছে। এবার যদি আমরা তীব্রভাবে প্রতিবাদ না করি সব দলকে, তাহলে হয়তো কয়েক মাসের মধ্যে বর্তমান পরিস্থিতি অনেকটা ঠান্ডা হতেও পারে। তবে দেশে সত্যিকারের গনতন্ত্র কিংবা সাধারণ জনগণের শান্তি কখনোই আসবে না। প্রতিবার নির্বাচনে ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে, এবং প্রতিবার সরকার ও বিরোধী দল আগের বারের চেয়ে আরও বেশি অত্যাচার করেছে জনগণকে। এবং সময়ের সাথে সাথে এভাবেই চলতে থাকবে, যদি না আমরা সাধারণ জনগণ তীব্র প্রতিবাদ করে ওদের বুঝিয়ে না দেই ওদের অবস্থান কোথায়।
তাই চলুন, দলমত নির্বিশেষে বাংলাদেশের যেকোন রাজনৈতিক দল এবং তাদের যেকোন কার্যকলাপকে বয়কট করি, যতোদিন পর্যন্ত না তারা কেউ জনগণের স্বার্থের জন্য নিজেদের স্বার্থ ত্যাগ করতে না পারে। এবং এটা চলুন আজ থেকেই শুরু করি।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
এফ সাকি ২১/১২/২০১৩এগুলো কি মুখে মুখেই না কাজের মাধ্যমে। আপনি কি পরিবর্তন হয়েছেন? না হলে কে শুনবে আপনার কথা।
-
প্রবাসী পাঠক ২০/১২/২০১৩হাসিনা আর খালেদার মত নেত্রীর হাতে যে জাতির জনসেবার ভার থাকে , সে জাতির দুর্ভোগ ছাড়া আর কিছুই জুটবে না।