www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

হাসি কান্না আর ভালবাসা-৪

কবি কবিতা ছেড়ে উপন্যাস লেখতে গিয়ে ঝামেলা পড়ে গেছে। কবিতায় কিছু লেখলে কেউ পাত্তা দিত না। উপন্যাসের প্রতিটা শব্দের বিশ্লেষণ শুরু হয়ে গেছে। এটা কেন লেখল? এটা মুছতে হবে। আমি জানিয়ে দিব, অমুক নিয়ে তুই এটা লেখেছিস, তাকে জানিয়ে দিব। কেউ কেউ তো না পড়েই মন্তব্য শুরু করে দিয়েছে।
এতে কবির কচু এসে যায়। প্রথমে একটু ভঁয় পেলে এখন আর কোন কিছুতে পাত্তা দিবে না। সবাই তোরা স্বর্গে যা। কবিরা নরকেই যায়।
মিঃ মন্টু আজকাল খুব রাগের উপর আছে। একি কাজ প্রতিদিন করতে হয়। সকালে কতগুলো মানুষকে অফিসে ঢুকায়। তাদের জন্য রান্না করে। তাদের জন্য টেবিলে খাবার সাজায়। তাদের খাবার জন্য ডাকে। তিন বেলা চা দেয়। কিন্তু তার রাগ লাগে যখন এই মানুষগুলো মধ্যে কেউ কেউ অমানুষের মতো আচরণ করে।
মনির ছোট ফুপু আর ফুপুর ছেলে মলিন এসেছে। মনি আজ অনেক রান্না করে, টেবিল সাজিয়ে রেখেছে। তবে ফুপু আর তার ছেলের জন্য নয়। মনির খালাতো ভাই আর বউয়ের জন্য। বিরক্ত লাগছে মনির ছোট ফুপুকে দেখে। কেন এরা বারবার আসে? লজ্জা শরম কিছু নাই। কিছুক্ষণ থেকে না খেয়ে ফুপু আর তার ছেলে চলে গেল। এদিকে মনির খালাতো ভাই আর তা বউ এল না। খাবার গুলো নষ্ট হল।
মেরিন তার ছেলে নিয়ে আমেরিকায় চলে যাচ্ছে। শুভ পরে আসবে। দেশ ছাড়তে মেরিনে অনেক কষ্ট হচ্ছে। ছেলেকে সেই দেশে পড়াতে হবে বলে যাচ্ছে। নিজের দেশটা অনেক খারাপ হয়ে গেছে। মানুষগুলো আরও খারাপ হয়ে গেছে। এদেশ মেরিন আর চিনতে পারে না। এদেশ কি তার সেই সুন্দর বাংলাদেশ? যার জন্য ৩০ লক্ষ প্রাণ দিয়েছিল।
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ৯৫৫ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৩/০৭/২০১৬

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast