চন্দ্রীমা
সেদিন হঠাৎই এসেছিাল বরষা...
শূণ্য কুটিরের ফুটো চালা বেয়ে
হৃদয়ে বিরহ গাঁথার সুর তুলে, সব ভুলে ....!!!
মাঝে মাঝে তার বুক থেকে যেন আগুনের ফুলকি ঝরে পড়ছিল। বিকট আর্তনাদে বুকের ভেতরটা মোঁচড় দিয়ে ওঠে। মনে পড়ে অতীতের হেলায় ফেলে আসা আনন্দঘন স্মৃতি।
সারারাত অবিশ্রান্ত বর্ষণের পর শেষরাত্রীর দিকে দেখতে পেয়েছিনু তার মলিন মুখখানা। শুকনো, তখনও ভয় কাটেনি। বেচারী খুব ক্লান্ত।
কালো অভ্রের সাথে তার দ্বন্দ্ব সারাটি জীবনের। কোনো সময় দু'জন এক হতে পারে না। একজনের উপস্হিতিতে অন্যজন বিদায় নেয়। আর গগন-ই বা কি করবে! তার হৃদয়টা যে বিশাল, উদার। সাধ্যমতো চেষ্টা করে সে দু'জনকে স্বীয় রাজ্যের দুই মেরুতে রাখতে। কিন্তু চলার পথে যখন দেখা হয়েই যায় তখন আর কি-ই-বা করার থাকে! শুরু হয় তর্জন - গর্জন, সাথে তীব্র বিদ্যুতের ঝলকানি।
এইতো সেদিনের কথাঃ আমি, চন্দ্রীমা ও অদৃশ্য পাশাপাশি হাটছিলুম। সেই রাত্রীতে অন্ধকারটা তেমন জ্বালাতন করতে পারেনি। চন্দ্রীমার মায়াবী মুখখানা দেখছিলুম আর পথ চলছিলুম। সকলেই নীরব। চন্দ্রীমাও অবাক দৃষ্টিতে আমাকে দেখছিল, কিন্তু কোন কথা বলছিলনা। শুধু মাঝে মাঝে তার সলাজ হাসিটা আমার বুকের মাঝের তানপুরাটায় ঢেউ তুলছিল।
চোঁখের ভাষায় ওকে জানালুম, "প্রেয়সী, আমি যে তোমাকে চাই! তুমি কি আমার হবে?"
অদৃশ্য বিকট শব্দে হা হা করে হেসে উঠল! বলল,"তাকে তো তুমি পাবে না! সে যে ছায়া! শুধুশুধু ছায়ার মায়ায় নিজেকে জড়িয়ো না!"
আঁড়চোঁখে চন্দ্রীমার পানে চাইতেই দেখলুম, সে আঁচল দিয়ে মুখখানা ঢাকলো। দেখলুম তার মায়াবী নয়নজোড়া হতে অশ্রুর ফোয়ারা বইছে।
আমি রেগে গিয়ে অদৃশ্যকে শাসাতে লাগলুম। বললুমঃ না হোক সে বাস্তব, তাতে কি! তবুও সে আমার, আর আমি তার!"
এরপর পাশে চাইতেই দেখি চন্দ্রীমা নেই! একদল কালো মেঘ তাকে আড়াল করে রেখেছে। বন দশ্যুর মত এসে আমার কাছ থেকে তাকে ওরা কেড়ে নিল! আমি কিছুই বলতে পারলুম না!
কিয়ৎক্ষন আকাশপানে চেয়ে রইলুম। তারপর ব্যর্থ মনটাকে লাঠিতে ভর করিয়ে খুব কষ্টে আমার জীর্ণ কুটিরে ফিরে এলুম।
মাটিতে খর বিছিয়ে তার উপর চাদর পাতানো বিছানায় শরীর এলিয়ে দিলুম। শুয়ে শুয়ে ভাবছিলুম, আমার চন্দ্রীমার কি হবে? আর কি তার দেখা পাব?
হঠাৎ খরের চালায় টুপ-টাপ শব্দ। বনের মাঝে শূণ্য কুটিরে এমন শব্দ শুনতে ঠিক সাথীহারা প্রিয়ার কান্নার মতো মনে হচ্ছিল। পরক্ষণেই বুঝতে পারলুম, আরে! এ যে আমারই চন্দ্রীমা! ও কাঁদছে! ওর চোঁখের জল আমার ঘরের ফুটো চালা বেয়ে গড়িয়ে এসে পড়ছে আমারই বুকে!
বুকফাটা চাপা কান্নারা সব মনের গভীর হতে বেরিয়ে এলো, অবিশ্রান্ত অশ্রধারা হয়ে ... আহ্ ... !!!
হাতে তুলে নিলাম ধুলো জমে থাকা বীণা ...
আজ এ বিরহ ব্যথা ঝরে পরুক রাতের শেষ প্রহরের রাগ হয়ে... মিশে যাক শিশিরের সাথে তৃণলতায়... ঘাসে ... !!
*ওগো কাঙাল, আমায় কাঙাল করেছ
আরো কি তোমার চাই?
ওগো ভিখারী, আমার ভিখারী
পলকে সকলি সঁপেছি চরণে, আর ত কিছু নাই
আরো কি তোমার চাই?
(বিঃ দঃ * চিহ্নিত কবিতাংশটুকু অন্যের লিখা হতে ধার করা)
# এ লিখাটি লিখেছিলাম SSC পরীক্ষার কিছু আগে বা পরে, ২০০৩ সালের দিকে। তখন বয়স কম, আবেগ ছিল বেশি । কাঁচা হাতের লিখা। তাই ভুল মার্জনীয়। আর অবশ্যই গঠনমূলক সমালোচনা - appreciable ... ভালো থাকবেন।
শূণ্য কুটিরের ফুটো চালা বেয়ে
হৃদয়ে বিরহ গাঁথার সুর তুলে, সব ভুলে ....!!!
মাঝে মাঝে তার বুক থেকে যেন আগুনের ফুলকি ঝরে পড়ছিল। বিকট আর্তনাদে বুকের ভেতরটা মোঁচড় দিয়ে ওঠে। মনে পড়ে অতীতের হেলায় ফেলে আসা আনন্দঘন স্মৃতি।
সারারাত অবিশ্রান্ত বর্ষণের পর শেষরাত্রীর দিকে দেখতে পেয়েছিনু তার মলিন মুখখানা। শুকনো, তখনও ভয় কাটেনি। বেচারী খুব ক্লান্ত।
কালো অভ্রের সাথে তার দ্বন্দ্ব সারাটি জীবনের। কোনো সময় দু'জন এক হতে পারে না। একজনের উপস্হিতিতে অন্যজন বিদায় নেয়। আর গগন-ই বা কি করবে! তার হৃদয়টা যে বিশাল, উদার। সাধ্যমতো চেষ্টা করে সে দু'জনকে স্বীয় রাজ্যের দুই মেরুতে রাখতে। কিন্তু চলার পথে যখন দেখা হয়েই যায় তখন আর কি-ই-বা করার থাকে! শুরু হয় তর্জন - গর্জন, সাথে তীব্র বিদ্যুতের ঝলকানি।
এইতো সেদিনের কথাঃ আমি, চন্দ্রীমা ও অদৃশ্য পাশাপাশি হাটছিলুম। সেই রাত্রীতে অন্ধকারটা তেমন জ্বালাতন করতে পারেনি। চন্দ্রীমার মায়াবী মুখখানা দেখছিলুম আর পথ চলছিলুম। সকলেই নীরব। চন্দ্রীমাও অবাক দৃষ্টিতে আমাকে দেখছিল, কিন্তু কোন কথা বলছিলনা। শুধু মাঝে মাঝে তার সলাজ হাসিটা আমার বুকের মাঝের তানপুরাটায় ঢেউ তুলছিল।
চোঁখের ভাষায় ওকে জানালুম, "প্রেয়সী, আমি যে তোমাকে চাই! তুমি কি আমার হবে?"
অদৃশ্য বিকট শব্দে হা হা করে হেসে উঠল! বলল,"তাকে তো তুমি পাবে না! সে যে ছায়া! শুধুশুধু ছায়ার মায়ায় নিজেকে জড়িয়ো না!"
আঁড়চোঁখে চন্দ্রীমার পানে চাইতেই দেখলুম, সে আঁচল দিয়ে মুখখানা ঢাকলো। দেখলুম তার মায়াবী নয়নজোড়া হতে অশ্রুর ফোয়ারা বইছে।
আমি রেগে গিয়ে অদৃশ্যকে শাসাতে লাগলুম। বললুমঃ না হোক সে বাস্তব, তাতে কি! তবুও সে আমার, আর আমি তার!"
এরপর পাশে চাইতেই দেখি চন্দ্রীমা নেই! একদল কালো মেঘ তাকে আড়াল করে রেখেছে। বন দশ্যুর মত এসে আমার কাছ থেকে তাকে ওরা কেড়ে নিল! আমি কিছুই বলতে পারলুম না!
কিয়ৎক্ষন আকাশপানে চেয়ে রইলুম। তারপর ব্যর্থ মনটাকে লাঠিতে ভর করিয়ে খুব কষ্টে আমার জীর্ণ কুটিরে ফিরে এলুম।
মাটিতে খর বিছিয়ে তার উপর চাদর পাতানো বিছানায় শরীর এলিয়ে দিলুম। শুয়ে শুয়ে ভাবছিলুম, আমার চন্দ্রীমার কি হবে? আর কি তার দেখা পাব?
হঠাৎ খরের চালায় টুপ-টাপ শব্দ। বনের মাঝে শূণ্য কুটিরে এমন শব্দ শুনতে ঠিক সাথীহারা প্রিয়ার কান্নার মতো মনে হচ্ছিল। পরক্ষণেই বুঝতে পারলুম, আরে! এ যে আমারই চন্দ্রীমা! ও কাঁদছে! ওর চোঁখের জল আমার ঘরের ফুটো চালা বেয়ে গড়িয়ে এসে পড়ছে আমারই বুকে!
বুকফাটা চাপা কান্নারা সব মনের গভীর হতে বেরিয়ে এলো, অবিশ্রান্ত অশ্রধারা হয়ে ... আহ্ ... !!!
হাতে তুলে নিলাম ধুলো জমে থাকা বীণা ...
আজ এ বিরহ ব্যথা ঝরে পরুক রাতের শেষ প্রহরের রাগ হয়ে... মিশে যাক শিশিরের সাথে তৃণলতায়... ঘাসে ... !!
*ওগো কাঙাল, আমায় কাঙাল করেছ
আরো কি তোমার চাই?
ওগো ভিখারী, আমার ভিখারী
পলকে সকলি সঁপেছি চরণে, আর ত কিছু নাই
আরো কি তোমার চাই?
(বিঃ দঃ * চিহ্নিত কবিতাংশটুকু অন্যের লিখা হতে ধার করা)
# এ লিখাটি লিখেছিলাম SSC পরীক্ষার কিছু আগে বা পরে, ২০০৩ সালের দিকে। তখন বয়স কম, আবেগ ছিল বেশি । কাঁচা হাতের লিখা। তাই ভুল মার্জনীয়। আর অবশ্যই গঠনমূলক সমালোচনা - appreciable ... ভালো থাকবেন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
গোলাম মুস্তাফা ০১/০১/২০১৮সুন্দর
-
তরীকুল ইসলাম সৈকত ১২/১২/২০১৭সুন্দর!!!
-
কামরুজ্জামান সাদ ০৭/১২/২০১৭ভালই তো লাগল।
-
সাঁঝের তারা ০৫/১২/২০১৭ভাল