বরফ নদী
মায়ামৃগ বরফ হলে আমি নদী হ’ব
তার চোখের জল নিয়ে সাগরে মিলাব
আষাঢ়ের মেঘ ডাকে গুড়ু-গুড়ু-গুড়ুম
এক হাঁটু জল ধরি চোখের পাতায়
এ কেমন হা-পিত্তেস গো মেঘলা বাতাস?
চোখ দু’টি জেগে থাকে কার প্রতীক্ষায়
বৃষ্টির পাপড়ি ঝুলে ঘন মেঘের ছায়ায়
বেদনার বেদিতে প্রোথিত যে ভিত্তি
অবুঝ ভালবাসার হিয়ামূলে গাঁথা নিরালায়
স্মৃতির অলখে কোন বাস্প ছড়ায়?
চৌফলা জোনাকীর আলোয় ভরসা অনেক,
তাই তো দীপ্তির অর্ধেক ঢেলেছি হৃদয়ে তোমার
লাভ-ক্ষতির হিসাব করি নি অঙ্ক কষে।
দু’টি নুড়ি একটি চোখ; অপলক দৃষ্টি -
শূন্য মন্দির, অলিন্দ ঘিরে এ কোন বজ্র নিনাদ!
রাতের তামাশা দেখি সময়ের জাগরণে –
আলো-আঁধারীর সখীরা ধুয়ো তোলে,
খর্জুর বাগান থেকে ছিনিয়ে আনে মৌতাত
অচিন্তকুমারী নাচে গায় কিশোরী ঘাগড়া তুলে
নিথর বাতাসের গায় এ কোন শয্যা দোলে!
পূর্ণ চাঁদের প্রহর এলে হৃদয়ের কোণে ফুটে
অমল ধবল হাসনোহানার শেফালিকা হাসি
অতিথি পাখিরা নাচে গায়, করে কেলি
তখন আমি বরফ নদী হয়ে সাগরে মিলাই -
শূন্য হৃদয় হাতে করে সমুদ্র সকাশে যাত্রী!
তার চোখের জল নিয়ে সাগরে মিলাব
আষাঢ়ের মেঘ ডাকে গুড়ু-গুড়ু-গুড়ুম
এক হাঁটু জল ধরি চোখের পাতায়
এ কেমন হা-পিত্তেস গো মেঘলা বাতাস?
চোখ দু’টি জেগে থাকে কার প্রতীক্ষায়
বৃষ্টির পাপড়ি ঝুলে ঘন মেঘের ছায়ায়
বেদনার বেদিতে প্রোথিত যে ভিত্তি
অবুঝ ভালবাসার হিয়ামূলে গাঁথা নিরালায়
স্মৃতির অলখে কোন বাস্প ছড়ায়?
চৌফলা জোনাকীর আলোয় ভরসা অনেক,
তাই তো দীপ্তির অর্ধেক ঢেলেছি হৃদয়ে তোমার
লাভ-ক্ষতির হিসাব করি নি অঙ্ক কষে।
দু’টি নুড়ি একটি চোখ; অপলক দৃষ্টি -
শূন্য মন্দির, অলিন্দ ঘিরে এ কোন বজ্র নিনাদ!
রাতের তামাশা দেখি সময়ের জাগরণে –
আলো-আঁধারীর সখীরা ধুয়ো তোলে,
খর্জুর বাগান থেকে ছিনিয়ে আনে মৌতাত
অচিন্তকুমারী নাচে গায় কিশোরী ঘাগড়া তুলে
নিথর বাতাসের গায় এ কোন শয্যা দোলে!
পূর্ণ চাঁদের প্রহর এলে হৃদয়ের কোণে ফুটে
অমল ধবল হাসনোহানার শেফালিকা হাসি
অতিথি পাখিরা নাচে গায়, করে কেলি
তখন আমি বরফ নদী হয়ে সাগরে মিলাই -
শূন্য হৃদয় হাতে করে সমুদ্র সকাশে যাত্রী!
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
জমাতুল ইসলাম পরাগ ২১/১১/২০১৪
-
সাইদুর রহমান ১৯/১১/২০১৪চমৎকার লাগলো।
শুভেচ্ছা নিবেন বুলবুল ভাই। -
রেনেসাঁ সাহা ১৯/১১/২০১৪আমার মতে কিন্তু বেশ ভালও বলা যায় না। আপনার কাছ থেকে পড়া কবিতাগুলির তুলনায় এ কবিতা পছন্দ হল না।
এর আগের একটি লেখা "স্বাধীনতার অধীনতা চাই"-বুঝতে পারিনি। এটা কিন্তু তেমন নয়, বুঝেছি এই কবিতাটি। তবুও ভাল লাগেনি। কেমন যেন শ্লোক শ্লোক লাগছে। আর ভাবেরও তেমন বিন্যাস নেই বলে মনে হল। আপনারকাছ থেকে অনেক সুন্দর কবিতার আশা রাখি। আমার যা মতামত ছিল, দিলাম। অন্যায় নেবেন না, প্লিজ্ । :-( -
একনিষ্ঠ অনুগত ১৯/১১/২০১৪সাবলীল কবিতা...... ভালো লাগলো অনেক।।
-
মঞ্জুর হোসেন মৃদুল ১৮/১১/২০১৪খুব ভাল লাগল।
-
মোহাম্মদ তারেক ১৮/১১/২০১৪'মায়ামৃগ বরফ হলে আমি নদী হব, তার চোখের জল নিয়ে সাগরে মিলাবো'.... অনেক সুন্দর অভিব্যক্তি। চোখের জল তো তপ্ত হয় কবি, বরফ গলা শুরু করবে নাতো!
চৌফলা জোনাকির আলোয় ভরসা অনেক...সুতরাং... -
সুলতান মাহমুদ ১৮/১১/২০১৪ভালো লাগল।
-
মোঃ আবদুল করিম ১৮/১১/২০১৪এক কথায় খুবই ভালো হয়েছে ।
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ১৮/১১/২০১৪এই শীতে বরফ নদী আই কান্ট। অনেক নাইস শব্দ চয়ন এবং অর্থ গুলো অনেক সুন্দর। ভালো লাগলো।
শব্দ উৎকর্ষতায় কবির কাব্য আরও অলংকৃত হয়ে ওঠুক। শুভ কামনা।