মেয়ে নিজেকে নিজে ছোট করো না
পিছিয়ে পরা মানুষ নিয়ে কাজ করছি বেশ কিছুদিন। এর জন্য নানা রকম মানুষের সাথে কথা বলতে হয় প্রতিদিন। অনেক রকম কথাও শুনতে হয় অবশ্য এর জন্য। ছেলেদের ব্যাকা টাইপ কথা শুনলে তেমন একটা কানে লাগে না। কিন্তু যখন কোন খোদ মেয়েই এই সব জিনিস নিয়ে নোংরা রকমের কথা বলে অবাক হই।
কয়েকদিন যাবৎ স্যানিটারি ন্যাপকিন নিয়ে কাজ করছে একটি গ্রুপ পেলাম ফেইসবুকে যাদের মূল কাজ হচ্ছে গ্রামের প্রত্যেকটা স্কুলে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিনামূল্যে পৌঁছে দেওয়া, সবার থেকে অর্থ সংগ্রহ করে। যাতে সারভাইকাল ক্যান্সার টাইপের রোগের হাত থেকে মেয়েরা রক্ষা পায়। যাতে বিনামূল্যে ন্যাপকিন ব্যবহারের পর এর সুবিধা বুঝতে পারার পর নিজেরা কিনে ব্যবহার করতে পারে। আর পিরিয়ডের সময়ে যেন তাদের জীবনযাত্রা অন্য সময় দিনের মতোন স্বাভাবিক হয় কোন জড়তা ছাড়া।
এই গ্রুপের কাজ দেখে আমার খুব ভাল লাগলো তাই পোস্টটা শেয়ার না দিয়ে পারলাম না। আমার ছেলে আর মেয়ে বন্ধুদের বললাম তারা তাদের সাধ্য অনুযায়ী যেন এগিয়ে আসে। অবাক ব্যাপার হচ্ছে আমারই ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা একটি মেয়ে এই পোস্টটা দেখে বলে উঠে এ কেমন মেয়ে আমি যে ছেলেদের সাথে পিরিয়ড নিয়ে কথা বলি। এটা ওভার স্মার্টনেস। এসব নোংরামী ভালো না। কথা শুনে হাসিই আসলো। মনে হল পিরিয়ড ব্যাপারটা খুব নোংরা একটা ব্যাপার। যা লোকচক্ষুর আড়ালে রাখার বিষয়। এ নিয়ে কারো সাথে কথা বলা ভয়ংকর খারাপ বিষয়।
যেখানে একদল মানুষ প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে মানুষকে এগিয়ে নিতে সেখানে কিছু মানুষ আটকে আছে সেই স্টার প্লাসের সিরিয়ালের মধ্যে, যাদের জীবনে শ্বশুর বাড়ির মানুষের বদনাম আর কোন মানুষের খারাপ দিক নিয়ে কথা বলা ছাড়া কোন কাজ নেই। এরাই আবার অপেক্ষা করে ছেলেরা এদের হাত ধরে সামনে এগুতে সাহায্য করবে। নাহলে তারা যে এগুতে পারবে না।
কেন রে ভাই আশায় থাকেন কোন ছেলের সাহায্য নিয়েই আপনাকে এগুতে হবে। কেন বার বার অভিযোগ করেন তারা সুযোগ দেয়না আপনার এগুনোর। আপনার পথে বাঁধা তারা।
নিজে বদলান। কেউ কারো জায়গা ছেড়ে দেয়না জীবনের পথে আগানোর জন্য। নিজের অধিকার নিজেকেই নিতে হয়।
আপনার কাছে যা লজ্জাজনক কাজ (স্যানিটারি ন্যাপকিন পৌঁছানো) তা যদি কেউ করে লজ্জা পেয়ে চুপ করে থাকেন কথা। এসব দেখেন না। চোখ বন্ধ করে রাখেন। দেখলে খারাপ হয়ে যাবেন। আমার মতোন খারাপ মেয়েদের খারাপই থাকতে দেন।
শুধু মনে রাখবেন, নিজে যদি না বদলান কোন কিছু বদলানোর আশা করবেন না। নিজে থেমে থেকে নিজের পথে ছেলেদের উপর গতানুগতিক দোষ চাপাবেন না।
কয়েকদিন যাবৎ স্যানিটারি ন্যাপকিন নিয়ে কাজ করছে একটি গ্রুপ পেলাম ফেইসবুকে যাদের মূল কাজ হচ্ছে গ্রামের প্রত্যেকটা স্কুলে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিনামূল্যে পৌঁছে দেওয়া, সবার থেকে অর্থ সংগ্রহ করে। যাতে সারভাইকাল ক্যান্সার টাইপের রোগের হাত থেকে মেয়েরা রক্ষা পায়। যাতে বিনামূল্যে ন্যাপকিন ব্যবহারের পর এর সুবিধা বুঝতে পারার পর নিজেরা কিনে ব্যবহার করতে পারে। আর পিরিয়ডের সময়ে যেন তাদের জীবনযাত্রা অন্য সময় দিনের মতোন স্বাভাবিক হয় কোন জড়তা ছাড়া।
এই গ্রুপের কাজ দেখে আমার খুব ভাল লাগলো তাই পোস্টটা শেয়ার না দিয়ে পারলাম না। আমার ছেলে আর মেয়ে বন্ধুদের বললাম তারা তাদের সাধ্য অনুযায়ী যেন এগিয়ে আসে। অবাক ব্যাপার হচ্ছে আমারই ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা একটি মেয়ে এই পোস্টটা দেখে বলে উঠে এ কেমন মেয়ে আমি যে ছেলেদের সাথে পিরিয়ড নিয়ে কথা বলি। এটা ওভার স্মার্টনেস। এসব নোংরামী ভালো না। কথা শুনে হাসিই আসলো। মনে হল পিরিয়ড ব্যাপারটা খুব নোংরা একটা ব্যাপার। যা লোকচক্ষুর আড়ালে রাখার বিষয়। এ নিয়ে কারো সাথে কথা বলা ভয়ংকর খারাপ বিষয়।
যেখানে একদল মানুষ প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে মানুষকে এগিয়ে নিতে সেখানে কিছু মানুষ আটকে আছে সেই স্টার প্লাসের সিরিয়ালের মধ্যে, যাদের জীবনে শ্বশুর বাড়ির মানুষের বদনাম আর কোন মানুষের খারাপ দিক নিয়ে কথা বলা ছাড়া কোন কাজ নেই। এরাই আবার অপেক্ষা করে ছেলেরা এদের হাত ধরে সামনে এগুতে সাহায্য করবে। নাহলে তারা যে এগুতে পারবে না।
কেন রে ভাই আশায় থাকেন কোন ছেলের সাহায্য নিয়েই আপনাকে এগুতে হবে। কেন বার বার অভিযোগ করেন তারা সুযোগ দেয়না আপনার এগুনোর। আপনার পথে বাঁধা তারা।
নিজে বদলান। কেউ কারো জায়গা ছেড়ে দেয়না জীবনের পথে আগানোর জন্য। নিজের অধিকার নিজেকেই নিতে হয়।
আপনার কাছে যা লজ্জাজনক কাজ (স্যানিটারি ন্যাপকিন পৌঁছানো) তা যদি কেউ করে লজ্জা পেয়ে চুপ করে থাকেন কথা। এসব দেখেন না। চোখ বন্ধ করে রাখেন। দেখলে খারাপ হয়ে যাবেন। আমার মতোন খারাপ মেয়েদের খারাপই থাকতে দেন।
শুধু মনে রাখবেন, নিজে যদি না বদলান কোন কিছু বদলানোর আশা করবেন না। নিজে থেমে থেকে নিজের পথে ছেলেদের উপর গতানুগতিক দোষ চাপাবেন না।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আবু সঈদ আহমেদ ০৪/১১/২০১৬কিছু কিছু নারীবাদী বড় বড় কথা না বলে যদি এরকম ছোট ছোট উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসেন, তাহলে নারী পুরুষ সকলেরই ভালো।
-
এম এস সজীব ০১/১১/২০১৬খুব ভাল
-
পরশ ২৭/১০/২০১৬সুন্দর
-
রাবেয়া মৌসুমী ২৬/১০/২০১৬একটা স্বাভািবক প্রক্রিয়াকে সুন্দরকরে উপস্থাপন,িকংবা সহেযািগতা করা দোসের কিছু নয়।যারা বোঝেনা তাদের বোঝানো যায়না..।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২৫/১০/২০১৬মেয়েদের একান্ত কিছু বিষয় নিজেদেরই রাখা উচিত।