পরীক্ষা ও এন্থরিয়াম ফুল
তখন দুপুর ২:২০। আর ১০ মিনিট পর পরীক্ষা। আমি চ্যাপ্টার ২ এ এখনও ঘোরাফেরা করছি। চ্যাপ্টার ৩ ও ৪ অধরা। রিভিউ ছাড়া উত্তর দিতে পারব না। এখন কি করি টেনশনে চ্যাপ্টার ১ ও ২ ভুলে গেছি। এক্সট্রিমলি ফারস্ট্রেটেড হলে মানুষ অলৌকিক সাহায্য চায়। আমিও চাচ্ছি, “ আল্লাহ্ প্লিইজ!!!
গতকাল রাত থেকে পড়ার পাশাপাশি অলৌকিক সাহায্য চাচ্ছি, “আল্লাহ্ স্নো দাও” স্নো পড়ে ভরে যাক। “আইস রেইন দাও।” আইস রেইন হলে তো অল্পক্ষণে ইমার্জেন্সি অবস্থা হয়। AccuWeather এ গেলে ‘Today’s weather’ এ সবুজ বর্ডারে সাদা দিয়ে ‘Very Good’ লেখা ☹ ☹ ☹ ঈশ! যদি লাল বর্ডারে ‘Very Poor!’ লেখা থাকত তখন আরও Poor হওয়ার দোয়া করাটা স্বাভাবিক হতো। অসম্ভবকে সম্ভব কর মুহুর্তে তুমি। তুমি কি এক্ষুনি আবহাওয়া বদলে দিতে পারো না?
রাত ৩টায় চেক করতে গেলাম জানালায় আইস রেই্ন শুরু হয়েছে নাকি! উহ!!! চাঁদ হাসছে। পাশে শুকতারাও ভেটকি দিচ্ছে। ব্যাকগ্রাউন্ডে আরও অনেক তারা। চাঁদকে এত নিষ্ঠুর লাগেনি কোনদিন। এক টুকরা মেঘও নেই জোস্নার আদিখ্যেতায় বাগড়া দিতে। তাতে কি! মেঘ পাঠাতে কয় মিনিট লাগে তোমার?
অশ্রু বানে ডাকছি তাঁকে আর EDTR 120 পড়ছি। দিনের বেলা পড়েছি EDTR 107. একদিনে দুটো পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়া কত কঠিন ৩ বাচ্চার মায়ের জন্য, বিদেশ বিভুঁয়ে তা ভুক্ত ভুগি ছাড়া কেউ বুঝবে না। মনে মনে কত বার ড্রপ করছি সব সাবজেক্ট! আর পড়বো না। পড়াশোনা কুইট করে মন হালকা হলে সেই হালকা মন আবার ঢুকিয়ে দিচ্ছি পড়ায়। এভাবে রাত সাড়ে চারটায় ঘুমালাম। সাড়ে ছয়টায় উঠে নামাজ পড়ে আবার ঘুমালাম। আটটায় ঘুম ভেঙ্গে বুক ভেঙ্গে দোয়া করছি। বৃষ্টি হোক, স্নো হোক, কলেজ বন্ধ হোক।
না। কলেজ বন্ধ হয়নি।
কলেজে যাওয়ার পথে গাড়িতে বসে আধা ঘণ্টা পড়লাম। প্রথম পরীক্ষা শেষে দ্বিতীয় পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য ম্যাথ ক্লাস মিস দিয়ে লাইব্রেরিতে গেলাম। স্টাডি এরিয়ার একপাশে জানালার সামনে এক বিশাল Anthurium এর টব। টুকটুকে, তেলতেলে ফুলের গতরে আরো ঘি ঢেলেছে কি ফেরেশতারা আজ? সেই আহ্লাদে ভেটকিও ব্যাপক ওদের। টবের ঠিক পাশের ডেস্কটা খালি, কিন্তু আজকে ফুলবানুদের কাছে বসতে ইচ্ছে হলো না। অথচ, কাছে কুলে খালি ডেস্কও দেখছি না।
পড়তে পড়তে বুঝলাম সব গুলিয়ে গেছে। দুটো চ্যাপ্টার রিভিউ হয়নি। ক্যামনে সাইত্রিশটা মাল্টিপল এবং দুটো essay কোশ্চেনের আনসার দিব? পরীক্ষার সময় হয়ে গেছে। লাইব্রেরির এ পাশটা ফাঁকা হয়ে গেছে। অন্যান্য ডেস্কগুলোর লাইট অফ। বাহিরটাও মেঘলা। হালকা আলোতে এন্থরিয়াম ফুলগুলোকে অপার্থিব লাগছে! অপার্থিব সাহায্যের আশায় উপায়ন্তরহীন আমি জি মেইলে গেলাম। দেখি টিচারের ইমেইল, “... join the class from 2:30 to 3PM for Simulation”. Simulation কেন? পরীক্ষা হবে না? তখন কলেজের ইমার্জেন্সি ওয়েদার এলার্টের ইমেইলটা চোখে পড়লো, “Due to inclement weather all classes have canceled from 3 PM.”
Subhanallah!
বই, খাতা, ল্যাপি ব্যাগে তুলছি। ফুলগুলোকে মনে হচ্ছে স্রষ্টার চুম ৮৬ বিলিয়ন নিউরন শীতল করা।
-সাবিনার ডায়রি-১
গতকাল রাত থেকে পড়ার পাশাপাশি অলৌকিক সাহায্য চাচ্ছি, “আল্লাহ্ স্নো দাও” স্নো পড়ে ভরে যাক। “আইস রেইন দাও।” আইস রেইন হলে তো অল্পক্ষণে ইমার্জেন্সি অবস্থা হয়। AccuWeather এ গেলে ‘Today’s weather’ এ সবুজ বর্ডারে সাদা দিয়ে ‘Very Good’ লেখা ☹ ☹ ☹ ঈশ! যদি লাল বর্ডারে ‘Very Poor!’ লেখা থাকত তখন আরও Poor হওয়ার দোয়া করাটা স্বাভাবিক হতো। অসম্ভবকে সম্ভব কর মুহুর্তে তুমি। তুমি কি এক্ষুনি আবহাওয়া বদলে দিতে পারো না?
রাত ৩টায় চেক করতে গেলাম জানালায় আইস রেই্ন শুরু হয়েছে নাকি! উহ!!! চাঁদ হাসছে। পাশে শুকতারাও ভেটকি দিচ্ছে। ব্যাকগ্রাউন্ডে আরও অনেক তারা। চাঁদকে এত নিষ্ঠুর লাগেনি কোনদিন। এক টুকরা মেঘও নেই জোস্নার আদিখ্যেতায় বাগড়া দিতে। তাতে কি! মেঘ পাঠাতে কয় মিনিট লাগে তোমার?
অশ্রু বানে ডাকছি তাঁকে আর EDTR 120 পড়ছি। দিনের বেলা পড়েছি EDTR 107. একদিনে দুটো পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়া কত কঠিন ৩ বাচ্চার মায়ের জন্য, বিদেশ বিভুঁয়ে তা ভুক্ত ভুগি ছাড়া কেউ বুঝবে না। মনে মনে কত বার ড্রপ করছি সব সাবজেক্ট! আর পড়বো না। পড়াশোনা কুইট করে মন হালকা হলে সেই হালকা মন আবার ঢুকিয়ে দিচ্ছি পড়ায়। এভাবে রাত সাড়ে চারটায় ঘুমালাম। সাড়ে ছয়টায় উঠে নামাজ পড়ে আবার ঘুমালাম। আটটায় ঘুম ভেঙ্গে বুক ভেঙ্গে দোয়া করছি। বৃষ্টি হোক, স্নো হোক, কলেজ বন্ধ হোক।
না। কলেজ বন্ধ হয়নি।
কলেজে যাওয়ার পথে গাড়িতে বসে আধা ঘণ্টা পড়লাম। প্রথম পরীক্ষা শেষে দ্বিতীয় পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য ম্যাথ ক্লাস মিস দিয়ে লাইব্রেরিতে গেলাম। স্টাডি এরিয়ার একপাশে জানালার সামনে এক বিশাল Anthurium এর টব। টুকটুকে, তেলতেলে ফুলের গতরে আরো ঘি ঢেলেছে কি ফেরেশতারা আজ? সেই আহ্লাদে ভেটকিও ব্যাপক ওদের। টবের ঠিক পাশের ডেস্কটা খালি, কিন্তু আজকে ফুলবানুদের কাছে বসতে ইচ্ছে হলো না। অথচ, কাছে কুলে খালি ডেস্কও দেখছি না।
পড়তে পড়তে বুঝলাম সব গুলিয়ে গেছে। দুটো চ্যাপ্টার রিভিউ হয়নি। ক্যামনে সাইত্রিশটা মাল্টিপল এবং দুটো essay কোশ্চেনের আনসার দিব? পরীক্ষার সময় হয়ে গেছে। লাইব্রেরির এ পাশটা ফাঁকা হয়ে গেছে। অন্যান্য ডেস্কগুলোর লাইট অফ। বাহিরটাও মেঘলা। হালকা আলোতে এন্থরিয়াম ফুলগুলোকে অপার্থিব লাগছে! অপার্থিব সাহায্যের আশায় উপায়ন্তরহীন আমি জি মেইলে গেলাম। দেখি টিচারের ইমেইল, “... join the class from 2:30 to 3PM for Simulation”. Simulation কেন? পরীক্ষা হবে না? তখন কলেজের ইমার্জেন্সি ওয়েদার এলার্টের ইমেইলটা চোখে পড়লো, “Due to inclement weather all classes have canceled from 3 PM.”
Subhanallah!
বই, খাতা, ল্যাপি ব্যাগে তুলছি। ফুলগুলোকে মনে হচ্ছে স্রষ্টার চুম ৮৬ বিলিয়ন নিউরন শীতল করা।
-সাবিনার ডায়রি-১
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আব্দুর রহমান আনসারী ১৮/১০/২০২০সুন্দর অভিজ্ঞতা