ভালোবাসার আয়তন
গভীর রাত। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম ঘন্টার কাটা বারো ছুঁই ছুঁই। কিন্তু তখনও আমার ঘুম আসছিল না। বাইরে বের হলাম। বাড়ির বাইরের উঠানে জামরুল গাছের নিচে একটা বাঁশের টং পাতানো আছে। সেখানে বসলাম। শিরশির করে হিমশীতল বাতাস বইছে। কয়েক মিনিট পর প্রচুর ঠান্ডা অনুভূত হলো। অযথা বাইরে ঠান্ডা লাগানো ঠিক নয়। শরীর খারাপ হতে পারে। আবার ঘরে চলে আসলাম। এখন কম্বল পেঁচিয়ে শুয়ে থাকতে হবে। বিরক্তিকর একটা অবস্থা। তাই ভাবতে শুরু করলাম। ভাবনায় খুব সুন্দর ভাবে সময় কাটানো যায়। ভাবতে ভাবতে রাত পেড়িয়ে ভোর এলেও কোনো আফসোস নাই।
এটা ইংরেজি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস। এ মাস নিয়ে দিনের বেলায় দুই স্থানে দুরকম উক্তি শুনেছিলাম। দুই'ই ছিলেন বাঙালি। তবে বয়সের তারতম্য অনেক ছিল। একজনের মুখে শুনেছি এটা ভাষার মাস। আমাদের মায়ের মুখের ভাষার মান রক্ষা করতে গিয়ে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি প্রাণ দিয়েছিলেন রফিক, জব্বার, সালাম, বরকত, শফিউর সহ আরো অনেকে। তাদের এই আত্মত্যাগ ভুলবার মতো নয়। আরেক খানে শুনলাম এটা ভালোবাসার মাস। এ মাসের প্রথম পক্ষের দিনগুলোতে প্রেম ভালোবাসার একেকটি ধাপ পার হয়। প্রত্যেকটি ধাপ অনেক সতর্কতার সাথে পার করতে হয়। কোনোটাই মিস্ করা যাবে না।
ঘটনা দুইটি আবার নতুন করে আমাকে ভাবাতে শুরু করেছে। সামান্য কোন ব্যাপারেও ভাবনা চিন্তা করাটা আমার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। মানুষের মাথায় একই বিষয় নিয়ে দুরকম উক্তি এলো। এমনিতেই জানি সবার ভাবনা এক নয়। তাই অনেক রকমের কথা আসতে পারে। তবে আমার জানতে ইচ্ছে হয় যে, কখন কিরকম ভাবনা আসে। তখনি মনে পড়ে গেল আলোচিত আবেগ-বিবেকের ভিডিওর কথা। বিবেক কাজ করলে তখন হয় ভাষার মাস। আর আবেগ হলে হয় ভালোবাসার মাস। এই মিথ্যা আবেগ থেকে বেরিয়ে এসে কবে যে আমাদের বিবেক জাগ্রত হবে!
আবার মনে পড়ে গেল কেউ একজন আমাকে বলেছিল ভালোবাসি। সত্যি ভালোবাসি। এমন বচন তো সচরাচর শুনতে পাই না। এটা শুনেও অনেক চিন্তায় পড়ে গেছিলাম। ভালোবাসার ব্যাস, ব্যাসার্ধ, পরিধি, আয়তন ঠিকই থাকে নাকি কম বেশি হয়। ধরেন ব্রিটিশ শাসনামলে কোন একজন ব্যক্তি তার দেশকে অনেক ভালোবাসতো। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভক্তের পর ব্যক্তি পাকিস্তানের নাগরিক। তখনও তিনি তার দেশকে অনেক ভালোবাসেন। ৭১ সালে এসে পাকিস্তান ভেঙ্গে তিনি বাংলার মানুষ। এখনো তিনি তার নিজ মাতৃভূমিকে ভালোবাসেন। এখন হিসেব করলে দেখা যায় ভালবাসাটা ঠিক থাকলেও ব্যাস, ব্যাসার্ধ, পরিধি, আয়তন কমে গেছে। তখন বুঝতে পারলাম মানুষের ভালোবাসা গুলো এমনই হয়। দিনশেষে ভালোবাসার আয়তন কমে।
#nurnobifulkuri
08 February 2024
এটা ইংরেজি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস। এ মাস নিয়ে দিনের বেলায় দুই স্থানে দুরকম উক্তি শুনেছিলাম। দুই'ই ছিলেন বাঙালি। তবে বয়সের তারতম্য অনেক ছিল। একজনের মুখে শুনেছি এটা ভাষার মাস। আমাদের মায়ের মুখের ভাষার মান রক্ষা করতে গিয়ে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি প্রাণ দিয়েছিলেন রফিক, জব্বার, সালাম, বরকত, শফিউর সহ আরো অনেকে। তাদের এই আত্মত্যাগ ভুলবার মতো নয়। আরেক খানে শুনলাম এটা ভালোবাসার মাস। এ মাসের প্রথম পক্ষের দিনগুলোতে প্রেম ভালোবাসার একেকটি ধাপ পার হয়। প্রত্যেকটি ধাপ অনেক সতর্কতার সাথে পার করতে হয়। কোনোটাই মিস্ করা যাবে না।
ঘটনা দুইটি আবার নতুন করে আমাকে ভাবাতে শুরু করেছে। সামান্য কোন ব্যাপারেও ভাবনা চিন্তা করাটা আমার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। মানুষের মাথায় একই বিষয় নিয়ে দুরকম উক্তি এলো। এমনিতেই জানি সবার ভাবনা এক নয়। তাই অনেক রকমের কথা আসতে পারে। তবে আমার জানতে ইচ্ছে হয় যে, কখন কিরকম ভাবনা আসে। তখনি মনে পড়ে গেল আলোচিত আবেগ-বিবেকের ভিডিওর কথা। বিবেক কাজ করলে তখন হয় ভাষার মাস। আর আবেগ হলে হয় ভালোবাসার মাস। এই মিথ্যা আবেগ থেকে বেরিয়ে এসে কবে যে আমাদের বিবেক জাগ্রত হবে!
আবার মনে পড়ে গেল কেউ একজন আমাকে বলেছিল ভালোবাসি। সত্যি ভালোবাসি। এমন বচন তো সচরাচর শুনতে পাই না। এটা শুনেও অনেক চিন্তায় পড়ে গেছিলাম। ভালোবাসার ব্যাস, ব্যাসার্ধ, পরিধি, আয়তন ঠিকই থাকে নাকি কম বেশি হয়। ধরেন ব্রিটিশ শাসনামলে কোন একজন ব্যক্তি তার দেশকে অনেক ভালোবাসতো। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভক্তের পর ব্যক্তি পাকিস্তানের নাগরিক। তখনও তিনি তার দেশকে অনেক ভালোবাসেন। ৭১ সালে এসে পাকিস্তান ভেঙ্গে তিনি বাংলার মানুষ। এখনো তিনি তার নিজ মাতৃভূমিকে ভালোবাসেন। এখন হিসেব করলে দেখা যায় ভালবাসাটা ঠিক থাকলেও ব্যাস, ব্যাসার্ধ, পরিধি, আয়তন কমে গেছে। তখন বুঝতে পারলাম মানুষের ভালোবাসা গুলো এমনই হয়। দিনশেষে ভালোবাসার আয়তন কমে।
#nurnobifulkuri
08 February 2024
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আলমগীর সরকার লিটন ১২/০২/২০২৫ভালবাসার আয়তন মাপা যায় না
-
নবাব শাহজাদা ১১/০২/২০২৫দারুণ।
-
ফয়জুল মহী ০৮/০২/২০২৫ভীষণ সুন্দর লিখেছেন