www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

রাসেল ভাইপার এখন আর ভয় নয় ভবিষ্যত

বাঙ্গালি বড় রশিক জাত। এই যে এত সমস্যা তারপরও তারা যেকোন অবস্থায়, যেকোন বিষয়ে স্বপ্ন দেখতে পারে। যেমন ধরেন রাসেল ভাইপার বিষাক্ত সাপ। প্রথমে এর ভয়ে সবাই ভীত হয়ে মাঠে যাওয়াই বন্ধ করে দেয়ার মত অবস্থা। কারন গরিবের প্রাণটাই চালান। যতক্ষণ প্রাণ, ততক্ষনই গান। ফলে ভয় পাওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু একটা ঘোষনায় সেই ভয়ঙ্কর জিনিস ভবিষ্যতের স্বপ্ন হয়ে উঠেছে। ফরিদপুরে এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ঘোষনা করলেন রাসেল ভাইপার মারতে পারলে পুরষ্কার দেয়া হবে এবং সেটা যেনতেন পুরষ্কার নয় প্রতি সাপের লাশপ্রতি পঞ্চাশ হাজার টাকা (নেতা নাকি জানতেন না সাপ মারা আইনত জায়েজ নয়)। অর্থাৎ দুইটা সাপ মারালেই একলাখ। প্রান্তিক শ্রেনীর মানুষের জন্য এটা অনেক লোভনীয় অফার। সেই ঘোষনার পর সাম্প্রতিক তথ্য হল রেজাউল খান নামের এক কৃষক নেতার ঘোষিত পুরস্কারের আশায় জীবিত একটি রাসেলস ভাইপার ধরে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে নিয়ে এসেছেন। সাপ ধরার বিষয়টি নেতার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি সাপটি বন বিভাগে জমা দিয়ে প্রাপ্তিস্বীকারপত্র নিয়ে তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে যেতে বলেছেন।
কিন্তু বিপত্তিটা বেধেছে এখানেই। ওই সাপ জমা দিয়ে প্রাপ্তিস্বীকারপত্র নেওয়ার জন্য বন বিভাগে নেওয়া হলে বন বিভাগ পত্র দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে। বনবিভাগ জানিয়েছে সরীসৃপজাতীয় প্রাণী ধরার কোনো বিধান নেই। ধরাটাই অপরাধ। কারও জালে আটকে গেলে সে অন্য কথা। ফলে তারা প্রাপ্তি স্বীকারপত্রদিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে।
এদিকে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অন্তত তিনজন পুরস্কারের আশায় বন বিভাগে এক হাত লম্বা দৈর্ঘ্যের বাচ্চা রাসেলস ভাইপার জমা দেওয়া চেষ্টা করছে। বনবিভাগ জানিয়েছে এ নিয়ে তারা বিপদে আছে। বনবিভাগে চাকরি করলেও জীবনের ভয়ত সবারই আছে তাইনা।
চিন্তা করে দেখলাম বাংলাদেশের মানুষ এতটা নিপিড়িত, নির্যাতিত, নিষ্পেষিত হওয়ার পরেও কতভাবে স্বপ্ন দেখে একটুখানি ভালোভাবে বাঁচার আশায়। আহা!
বিষয়শ্রেণী: সমসাময়িক
ব্লগটি ৩০১ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২৪/০৬/২০২৪

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast