কবর
এইখানে মোর বউএর কবর,খকশা গাছের তলে
ত্রিশ বছরে বেঁচে গেছি ভাই,বউ মরেছে বলে।
বুড়ি বয়সে ঘরে এনেছিনু,ঠাটা পড়া তার মুখ
তাহাকে দেখে সারাটা ক্ষণ কাঁপিত আমার বুক।
এখানে ওখানে ঘুরে বেড়াত কখনও যেতনা ধরা
সন্ধ্যা হলে ঘরে ফিরিত নয়নে আগুন ভরা।
তাহাকে দেখে ছুটে পালাতাম গায়ের ও পথ ধরি
ভয়ে থাকিতাম কখন যে আমি বউএর গুতায় মরি।
একথা লইয়া গায়ের লোকেরা তামাশা করিত কত
কাঁদিতাম বসে ভাবিতাম শুধু কপালের দুঃখ শত।
বাপের বাড়িতে যাইবার কালে কহিতাম ধরে পা
পারলে একটু দেরি করে ফির ভাটিয়া তলির গাঁ।
শাপলার হাটে তরমুজ বেচি সব পয়সা করি দেরী
তারপরও ভাই মাজা ভাঙত যদি হত কিছু দেরি।
ঝাঁটা নেড়ে নেড়ে কহিত আসিয়া এতদিন পর এলি
এই ঝাঁটা তোর পিঠে ভাঙব তাড়াতাড়ি তুই গেলি।
আমারে দেখিয়া এত রাগ যার কেমন করিয়া হায়
খোদার গুতায় সোজা হয়েছে আমি এখন নিরালায়।
হাত জোর করে দোয়া মাঙ্গ সবে আয় খোদা দয়াময়
আমার কপালে আবার একটা ভাল বউ যেন হয়।
তারপর এই শুন্য জীবনে যাহারে করেছি সাথী
কিছুদিন পর তারা সকলেই চলেগেছে মেরে লাথি।
শত লাথির শত গুতার অঙ্ক পিঠেতে আঁকি
গনিয়া গনিয়া ভুল করে গুনি সারা দিনরাত জাগি।
এই মোর পিঠে মলম লাগায়ে কত ছলনার ছলে
সহিয়া গিয়াছি কত লাথি গুতা নাওয়ে চোখের জলে।
এইখানে মোর ছোট বউ ঘুমায় এইখানে তার মা
কাঁদছি ভাই কি করব পরান যে মানে না।
এক সন্ধায় মা তার আসি কহিল আমাকে ডাকি
তাহার মেয়েরে বিয়ে দেবে যদি আমি রাজি থাকি।
ছেঁড়া একটা কাঁথা আর ছ পয়সা দিয়ে
এক সন্ধায় তাহার সাথে হয়ে গেল মোর বিয়ে।
ঘরের মেঝেতে বাসর সাজায়ে কহিলাম সোনা বউ
তুমিত দেখতে মায়ের মত তাহা জানে না কেউ।
ঝাকি মারিয়া ছোট বউ মোর ঘোমটা খুলিয়া দিয়া
বলিল আমারে মা বানাবিত কেন করিছিলি বিয়া।
তাহার কথার উত্তর দিতে কথা থেমে গেল মুখে
সারাদুনিয়ার যত ভাষা কেঁদে ফিরে গেল দুঃখে।
ওই দূর গাঁয়ে বিয়ে হচ্ছে ঘন আবিরের রাগে
অমন করিয়া বিয়া করিতে বর সাধ আজ জাগে।
মাইক হতে গান ভাসছে বড় সুমধুর সুর
মোর জীবনের আরেকটা বিয়ে ভাবিতেছি কত দূর।
হাত জোর করে দোয়া মাঙ্গ সবে আয় খোদা দয়াময়
আমার কপালে আবার একটা ভাল বউ যেন হয়।
(জসীমুদ্দিন এর কবর কবিতা অবলম্বনে প্যারডি )
ত্রিশ বছরে বেঁচে গেছি ভাই,বউ মরেছে বলে।
বুড়ি বয়সে ঘরে এনেছিনু,ঠাটা পড়া তার মুখ
তাহাকে দেখে সারাটা ক্ষণ কাঁপিত আমার বুক।
এখানে ওখানে ঘুরে বেড়াত কখনও যেতনা ধরা
সন্ধ্যা হলে ঘরে ফিরিত নয়নে আগুন ভরা।
তাহাকে দেখে ছুটে পালাতাম গায়ের ও পথ ধরি
ভয়ে থাকিতাম কখন যে আমি বউএর গুতায় মরি।
একথা লইয়া গায়ের লোকেরা তামাশা করিত কত
কাঁদিতাম বসে ভাবিতাম শুধু কপালের দুঃখ শত।
বাপের বাড়িতে যাইবার কালে কহিতাম ধরে পা
পারলে একটু দেরি করে ফির ভাটিয়া তলির গাঁ।
শাপলার হাটে তরমুজ বেচি সব পয়সা করি দেরী
তারপরও ভাই মাজা ভাঙত যদি হত কিছু দেরি।
ঝাঁটা নেড়ে নেড়ে কহিত আসিয়া এতদিন পর এলি
এই ঝাঁটা তোর পিঠে ভাঙব তাড়াতাড়ি তুই গেলি।
আমারে দেখিয়া এত রাগ যার কেমন করিয়া হায়
খোদার গুতায় সোজা হয়েছে আমি এখন নিরালায়।
হাত জোর করে দোয়া মাঙ্গ সবে আয় খোদা দয়াময়
আমার কপালে আবার একটা ভাল বউ যেন হয়।
তারপর এই শুন্য জীবনে যাহারে করেছি সাথী
কিছুদিন পর তারা সকলেই চলেগেছে মেরে লাথি।
শত লাথির শত গুতার অঙ্ক পিঠেতে আঁকি
গনিয়া গনিয়া ভুল করে গুনি সারা দিনরাত জাগি।
এই মোর পিঠে মলম লাগায়ে কত ছলনার ছলে
সহিয়া গিয়াছি কত লাথি গুতা নাওয়ে চোখের জলে।
এইখানে মোর ছোট বউ ঘুমায় এইখানে তার মা
কাঁদছি ভাই কি করব পরান যে মানে না।
এক সন্ধায় মা তার আসি কহিল আমাকে ডাকি
তাহার মেয়েরে বিয়ে দেবে যদি আমি রাজি থাকি।
ছেঁড়া একটা কাঁথা আর ছ পয়সা দিয়ে
এক সন্ধায় তাহার সাথে হয়ে গেল মোর বিয়ে।
ঘরের মেঝেতে বাসর সাজায়ে কহিলাম সোনা বউ
তুমিত দেখতে মায়ের মত তাহা জানে না কেউ।
ঝাকি মারিয়া ছোট বউ মোর ঘোমটা খুলিয়া দিয়া
বলিল আমারে মা বানাবিত কেন করিছিলি বিয়া।
তাহার কথার উত্তর দিতে কথা থেমে গেল মুখে
সারাদুনিয়ার যত ভাষা কেঁদে ফিরে গেল দুঃখে।
ওই দূর গাঁয়ে বিয়ে হচ্ছে ঘন আবিরের রাগে
অমন করিয়া বিয়া করিতে বর সাধ আজ জাগে।
মাইক হতে গান ভাসছে বড় সুমধুর সুর
মোর জীবনের আরেকটা বিয়ে ভাবিতেছি কত দূর।
হাত জোর করে দোয়া মাঙ্গ সবে আয় খোদা দয়াময়
আমার কপালে আবার একটা ভাল বউ যেন হয়।
(জসীমুদ্দিন এর কবর কবিতা অবলম্বনে প্যারডি )
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
তরীকুল ইসলাম সৈকত ১৭/০৪/২০১৫দারুন লাগলো...
-
স্বপন রোজারিও(১) ১৬/০৪/২০১৫দারুণ