ডাইরির পাতা থেকে
কিছু কিছু সময় মানুষের জীবনের ক্রান্তিকাল চলে । দুঃসময় চলে । সেই দুঃসময়টা সবার কাছে দুঃসময় নাও মনে হতে পারে । খুলেই বলি । আমার কবিতা লেখার এখন দুঃসময় চলছে । বেশ কিছুদিন তাও প্রায় দুইমাস কবিতা লিখিনা । আসলে লিখতে পারছি না । এখন মনে হচ্ছে জীবনে আর কবিতাই লিখতে পারব না । বেশ কিছুদিন সকালে উঠে লেখার চেষ্টা করলাম পারলাম না । দুএক লাইন যদিও জোর করে লিখি, তারপর জোর করে চালাতে গেলে মনে হয়, সব জায়গায় জোচ্চুরি চলে কিন্তু কবিতার ব্যাপারে একদমই চলে না ।
তাই আজ অনেকটা বাধ্য হয়েই ডাইরি লিখতে বসেছি । বাধ্য হয়ে বলতে কেউ জোরাজুরি করে নি। কিছু লিখি না তাই ভাবলাম ডাইরিটা যদি লিখি তাও একটা কাজের কাজ হয় । অনেকটা দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো । কিংবা আপেলের স্বাদ টমেটোতে । বুঝলেন না তাই না । তাইলে খুলেই বলি । ছোটবেলায় বাবার যখন চাকরি ছিল কিন্তু বেতন ছিল না, অনেকটা ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ হাঁটিয়া চলিল গোছের অবস্থা তখন বাবা মাঝে মাঝে টমেটো নিয়ে আসতেন । খাবার সময় মাকে আয়েস করে বলতেন টমেটোর ছালাদ করে দিতে । আমার কাছে টমেটো খুব বিচ্ছিরি লাগত । খেতে চাইতাম না । বাবা তখন বলতেন, আরে ব্যাটা খা । কিছু তো বুঝিস না, দশটা আপেল সমান একটা টমেটোর গুন । আমাদের পাশের প্রতিবেশীরা বেশ ধনী ছিল । প্রায়ই আপেল টাপেল খেত । আমি মাঝে মাঝে ভাবতাম, যাই ওদেরকে একটা টমেটো দিয়ে দশটা আপেল নিয়ে আসি । ওরা হয়ত জানে না দশটা আপেল সমান একটা টমেটো । তখন বুঝিনি, কিন্তু এখন বুঝি আসলে আপেলে গুন কিছুমাত্র কম নেই, কম বাবার সাধ্যে । বাবা আসলে ওই কথাটা বলে তার আপেল কিনতে না পারার ব্যর্থতা ঢাকতে চাইতেন ।
লিখতে বসেছি ডাইরি, জুড়ে দিলাম টমেটোর কেচ্ছা । ঐ যে দুঃসময় হলে যা হয় । কিছুই আসে না । আসলেও লেখা যায় না । একদম লেজেগোবরে অবস্থা ।
তাই আজ অনেকটা বাধ্য হয়েই ডাইরি লিখতে বসেছি । বাধ্য হয়ে বলতে কেউ জোরাজুরি করে নি। কিছু লিখি না তাই ভাবলাম ডাইরিটা যদি লিখি তাও একটা কাজের কাজ হয় । অনেকটা দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো । কিংবা আপেলের স্বাদ টমেটোতে । বুঝলেন না তাই না । তাইলে খুলেই বলি । ছোটবেলায় বাবার যখন চাকরি ছিল কিন্তু বেতন ছিল না, অনেকটা ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ হাঁটিয়া চলিল গোছের অবস্থা তখন বাবা মাঝে মাঝে টমেটো নিয়ে আসতেন । খাবার সময় মাকে আয়েস করে বলতেন টমেটোর ছালাদ করে দিতে । আমার কাছে টমেটো খুব বিচ্ছিরি লাগত । খেতে চাইতাম না । বাবা তখন বলতেন, আরে ব্যাটা খা । কিছু তো বুঝিস না, দশটা আপেল সমান একটা টমেটোর গুন । আমাদের পাশের প্রতিবেশীরা বেশ ধনী ছিল । প্রায়ই আপেল টাপেল খেত । আমি মাঝে মাঝে ভাবতাম, যাই ওদেরকে একটা টমেটো দিয়ে দশটা আপেল নিয়ে আসি । ওরা হয়ত জানে না দশটা আপেল সমান একটা টমেটো । তখন বুঝিনি, কিন্তু এখন বুঝি আসলে আপেলে গুন কিছুমাত্র কম নেই, কম বাবার সাধ্যে । বাবা আসলে ওই কথাটা বলে তার আপেল কিনতে না পারার ব্যর্থতা ঢাকতে চাইতেন ।
লিখতে বসেছি ডাইরি, জুড়ে দিলাম টমেটোর কেচ্ছা । ঐ যে দুঃসময় হলে যা হয় । কিছুই আসে না । আসলেও লেখা যায় না । একদম লেজেগোবরে অবস্থা ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
প্রিয় ২৭/০৯/২০১৭ভালো লাগলো
-
অ ২৭/০৩/২০১৫আর যাই বলুন বেশ ভালো লিখেছেন । টমেটোর কাহিনী হোক আর যাই হোক বেশ মজা পেলাম মজা করে লেখার ধরনে ।
-
সবুজ আহমেদ কক্স ২৬/০৩/২০১৫ভাল লাগলো
-
Asaduzzaman ২৬/০৩/২০১৫So nice .