বিদায় সংবর্ধনা
শতবর্ষ প্রাচীন বিদ্যালয়। আলী সাহেব সেই তেইশ বছর বয়সে এই বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসাবে চাকুরীতে যোগ দেন। আজ তাঁর অবসর। স্বাভাবিক ভাবেই ভারাক্রান্ত মন। কত স্মৃতি তাঁর মনে উদয় হচ্ছে। চলছে তাঁর বিদায় সংবর্ধনার অনুষ্ঠান। প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীরা তাঁর সুমিষ্ট ব্যবহার আর ছাত্রদরদী গুণাবলীর কথা স্মরণ করে সমগ্র বিদ্যালয় প্রাঙ্গণকে করে তুলছে বিষাদময়। সহকারী শিক্ষকগণ তাঁর বিদ্যালয়ের পাঠানপাঠনে অবদান ও অগ্রণী ভূমিকার কথা শ্রদ্ধায় স্বীকার করছেন। আলী সাহেবের বেশ মনে পড়ে গত দুবছর আগে এক বৃষ্টি স্নাত দিনে বিদ্যালয় হতে বাড়ি ফেরার পথে পথ দুর্ঘটনার অশ্রুসিক্ত ঘটনা। সেদিন তাঁর প্রানপ্রিয় ছাত্র-ছাত্রী আর যথার্থ সুহৃদ সহশিক্ষকগণ তাঁর প্রাণ বাঁচিয়ে ছিলেন। কিন্তু আজীবনের মতো তাঁর একটা পায়ের চলার শক্তি হারিয়ে খুঁড়িয়ে চলেন।
বিদায় অনুষ্ঠান শেষ। এবার তাঁর বাড়ি ফেরার পালা। দীর্ঘ জীবনের কর্মতীর্থকে বিদায় দিয়ে অবসরের জীবন। ভাবতেই অশ্রুর বন্যা দুচোখ বেয়ে নেমে আসে। সহশিক্ষকগণ চোখের জলে বুক ভাসিয়ে তাঁকে বিদায় দিলেন। বিদ্যালয়ের গেট পার হয়ে আবারও ফিরে আসতে হয় তাঁকে। ভুলে গেছেন একটা গুরুত্বপূর্ণ ফাইল নিতে যা তাঁর অবসরের সঙ্গী। বিদ্যালয়ে ঢুকতেই নিজের চোখকেই যেন বিশ্বাস করতে পারছেননা। যে শিক্ষকরা এই মাত্র তাঁকে চোখের জলে বিদায় দিলেন সেই তাঁদেরই একজন তাঁর খুঁড়িয়ে চলা অবিকল নকল করে দেখাচ্ছে আর অন্যরা আনন্দে আত্মহারা। সহাস্য স্ফূর্তিতে মেতে উঠেছেন। মেলাতে পারছেননা। দীর্ঘ সাঁইত্রিশ বছর তিনি যে বিদ্যালয়ের জন্য প্রণিপাত করলেন এই তাঁর মূল্য ! এই চোখের জল , স্তুতিবাক্য , মানপত্র সবই নিছকই উপহার ! নাটকের নিখুঁত অভিনয়! না। আর ভাবতে পারলেন না। মাথাটা শূন্য হয়ে পড়ছে। অন্ধকার দেখছেন। কিছু একটা অবলম্বন খুঁজছেন। পরে গেলেন। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। কর্ম জীবন নয় পার্থিব জীবন থেকেই তাঁর বিদায় হল। আর কারও নিখুঁত অভিনয় তাঁকে আর দেখতে হবেনা। চিরকালীন অব্সর নিলেন আলী সাহেব
বিদায় অনুষ্ঠান শেষ। এবার তাঁর বাড়ি ফেরার পালা। দীর্ঘ জীবনের কর্মতীর্থকে বিদায় দিয়ে অবসরের জীবন। ভাবতেই অশ্রুর বন্যা দুচোখ বেয়ে নেমে আসে। সহশিক্ষকগণ চোখের জলে বুক ভাসিয়ে তাঁকে বিদায় দিলেন। বিদ্যালয়ের গেট পার হয়ে আবারও ফিরে আসতে হয় তাঁকে। ভুলে গেছেন একটা গুরুত্বপূর্ণ ফাইল নিতে যা তাঁর অবসরের সঙ্গী। বিদ্যালয়ে ঢুকতেই নিজের চোখকেই যেন বিশ্বাস করতে পারছেননা। যে শিক্ষকরা এই মাত্র তাঁকে চোখের জলে বিদায় দিলেন সেই তাঁদেরই একজন তাঁর খুঁড়িয়ে চলা অবিকল নকল করে দেখাচ্ছে আর অন্যরা আনন্দে আত্মহারা। সহাস্য স্ফূর্তিতে মেতে উঠেছেন। মেলাতে পারছেননা। দীর্ঘ সাঁইত্রিশ বছর তিনি যে বিদ্যালয়ের জন্য প্রণিপাত করলেন এই তাঁর মূল্য ! এই চোখের জল , স্তুতিবাক্য , মানপত্র সবই নিছকই উপহার ! নাটকের নিখুঁত অভিনয়! না। আর ভাবতে পারলেন না। মাথাটা শূন্য হয়ে পড়ছে। অন্ধকার দেখছেন। কিছু একটা অবলম্বন খুঁজছেন। পরে গেলেন। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। কর্ম জীবন নয় পার্থিব জীবন থেকেই তাঁর বিদায় হল। আর কারও নিখুঁত অভিনয় তাঁকে আর দেখতে হবেনা। চিরকালীন অব্সর নিলেন আলী সাহেব
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শরিফুল ইসলাম (1990) ১৫/০৯/২০২০ট্রাজেডি
-
অধীতি ০৪/০৯/২০২০বিদায়😥
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ০৩/০৯/২০২০nice
-
ফয়জুল মহী ০২/০৯/২০২০Very sad
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ০২/০৯/২০২০সুন্দর অথচ মরমান্তিক।