বোধ
পলাশপুর। হালফিলের গঞ্জ। প্রোমটার কল্যানে জমাজমি ভরাট করে গড়ে উঠেছে বহুতল বাড়ী। প্রাসাদোপম অট্টালিকার জৌলুসে গরীবগুব্বো মানুষরা জমিহারা। বাস্তুহারা। নির্বাসিত। চাষের জমি কমে আসায় আনাজপাতির দাম আগুন। এহেন গঞ্জে সকালে হাট বসে। অফিসবাবুরা কেনাকটা করেন। গাঁয়ের মানুষরা "বাজারে পোকাকাটা জিনিষের কেনাকাটা করে। ইতর শ্রেনীর মানুষত এরা সব।"
পাকা সড়কের উপর বাসস্টপ। সারাদিনে ত্রিশ-চল্লিশটা বাস যাতায়াত করে। মোড়েই মঙ্গলশাহীর চা'য়ের দোকান। খবরের কাগজ আসে। অফিসবাবুরা নিত্য খরিদ্দার। খবরের কাগজ পড়ে। চা খায়। চায়ের গ্লাসে চুমুক দিয়ে দেশ-বিদেশের খবর আলোচনা করে। বিশ্লেষন করে। উর্বর জ্ঞানের পরিচয় দেয়। অমূল্য ভূষণ রোজকার খদ্দের। সকাল সন্ধ্যা নিত্য আসেন।ঝড়-বাদলাতেও বিরাম নেই। চারকাপ চা খান। তিনটে পান। খরচ কমানোর জন্য বাড়ীতে কাগজ রাখেন না। কিন্তু চা-পানের খরচও কম নয়। সেদিন আলোচনায় তুমুল বেগ। অমূল্যবাবুর অমূল্য ক্ষুরধার বাক্যবাণে স্থির প্রস্তাবিত ন্যানো গাড়ী কেউ কিনবেনা।
শুক্রবার বিকালে গরীবগুব্বোদের হাট বসে। এই হাটেই সেদিন জন অধিকার রক্ষা কমিটির মিটিং। শিল্পায়নের ভেল্কীবাজীর বিরুদ্ধে তরুন বক্তা জোরালো আলোচনা করছে। অমূল্য ভূষণ তাদের উন্নয়ন ও প্রগতি বিরোধী বলে বিষোদগার করলেন।
মঙ্গলশাহীর দোকানে ফাইফরমাশ খাটা ফাজিল ছোকরা গাবলু। সে চুপচাপ কথা শুনছিল। সে হঠাৎই বলে, " সিদিন আপনারাই বুললেন ঐ গারহী কেহু কিনবেক লা। কেহু লা কিনলে উ কারখানা বনধো হোয়্যা যাবেক লা। ছমিরুদ্দী চাচার কাপুড়ের দুকানের মুতন অ ও তো উঠ্যা যাবহে। আমাধের জমিতে ধান গম সুবজীর আবাদ হয় লা। তাই দাম আগুন। আবাদের জমিতে কারখানা হলেতো দাম আরো চড়হা হবেক। বানঝা মাঠে কারখানা করলিতো কুনু খুতি হবেক লা। না কি বুলেন।
অমূল্য ভূষণ রোজকার নিয়মমত শেষ চায়ে চুমুক দিয়ে, শেষ পানটি মুখে দিলেন। কিছু একটা বলতে যাচ্ছিলেন গাড়ীর হর্ণ আর মিটিংয়ের দীপ্ত স্লোগানের সুতীব্র আওয়াজে তা' শোনা গেলনা।
পাকা সড়কের উপর বাসস্টপ। সারাদিনে ত্রিশ-চল্লিশটা বাস যাতায়াত করে। মোড়েই মঙ্গলশাহীর চা'য়ের দোকান। খবরের কাগজ আসে। অফিসবাবুরা নিত্য খরিদ্দার। খবরের কাগজ পড়ে। চা খায়। চায়ের গ্লাসে চুমুক দিয়ে দেশ-বিদেশের খবর আলোচনা করে। বিশ্লেষন করে। উর্বর জ্ঞানের পরিচয় দেয়। অমূল্য ভূষণ রোজকার খদ্দের। সকাল সন্ধ্যা নিত্য আসেন।ঝড়-বাদলাতেও বিরাম নেই। চারকাপ চা খান। তিনটে পান। খরচ কমানোর জন্য বাড়ীতে কাগজ রাখেন না। কিন্তু চা-পানের খরচও কম নয়। সেদিন আলোচনায় তুমুল বেগ। অমূল্যবাবুর অমূল্য ক্ষুরধার বাক্যবাণে স্থির প্রস্তাবিত ন্যানো গাড়ী কেউ কিনবেনা।
শুক্রবার বিকালে গরীবগুব্বোদের হাট বসে। এই হাটেই সেদিন জন অধিকার রক্ষা কমিটির মিটিং। শিল্পায়নের ভেল্কীবাজীর বিরুদ্ধে তরুন বক্তা জোরালো আলোচনা করছে। অমূল্য ভূষণ তাদের উন্নয়ন ও প্রগতি বিরোধী বলে বিষোদগার করলেন।
মঙ্গলশাহীর দোকানে ফাইফরমাশ খাটা ফাজিল ছোকরা গাবলু। সে চুপচাপ কথা শুনছিল। সে হঠাৎই বলে, " সিদিন আপনারাই বুললেন ঐ গারহী কেহু কিনবেক লা। কেহু লা কিনলে উ কারখানা বনধো হোয়্যা যাবেক লা। ছমিরুদ্দী চাচার কাপুড়ের দুকানের মুতন অ ও তো উঠ্যা যাবহে। আমাধের জমিতে ধান গম সুবজীর আবাদ হয় লা। তাই দাম আগুন। আবাদের জমিতে কারখানা হলেতো দাম আরো চড়হা হবেক। বানঝা মাঠে কারখানা করলিতো কুনু খুতি হবেক লা। না কি বুলেন।
অমূল্য ভূষণ রোজকার নিয়মমত শেষ চায়ে চুমুক দিয়ে, শেষ পানটি মুখে দিলেন। কিছু একটা বলতে যাচ্ছিলেন গাড়ীর হর্ণ আর মিটিংয়ের দীপ্ত স্লোগানের সুতীব্র আওয়াজে তা' শোনা গেলনা।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ৩০/০৭/২০২৩অপূর্ব লেখা
-
মীর মামুন হোসেন ৩০/০৭/২০২০ভালো লাগলো
-
ফয়জুল মহী ২৭/০৭/২০২০ভালো লেখা