যে সকল মেয়েদের থেকে সাবধান হতে হবে আমাদের
রবি ঠাকুরের সেই কালজয়ী উক্তিটি দিয়েই লেখাটি শুরু করতে চাই। রবি ঠাকুর বলেছিলেন, যাহা কিছু সুন্দর চির কল্যাণকর। অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, বাকি অর্ধেক নর। হ্যা রবি ঠাকুরের সেই অমোঘ বাণীই সত্যি। পৃথিবী সৃষ্টির শুরু থেকেই নারীরা মা, বোন, স্ত্রী, কন্যার সম্পর্কের বাইরেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখে চলেছেন। যা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। তবে একদল মনোবিজ্ঞানীরা গবেষণা করে ভিন্ন স্বভাবের কিছু নারীদের চিহ্নিত করেছেন এবং যাদের কাছ থেকে ছেলেদের সতর্ক থাকতে বলেছেন। আসুন জেনে নেই মনোবিজ্ঞানীদের সেই নারীদের সম্পর্কে।
একের অধিক ছেলেতে আসক্ত:
এই সমস্যাটি সমাজে প্রকট আকার ধারণ করেছে। একই ব্যক্তিকে দেখা যায় সকালে একজনের সাথে পার্কে ঘুরে বেড়াচ্ছে, দুপুরে অন্য আরেকজনের সাথে সিনেমা দেখছে, সন্ধ্যায় অন্য আরেকজনের সাথে মার্কেটিং করছে এবং রাতে অন্যজনের সাথে ফোনে কথা বলছে। এরা সাধারণের চাইতে অনেকটা চালাক-চতুর হয়। ধরা পড়ার পর যেকোনো অজুহাতে নিজেকে গুছিয়ে নিতে এরা বিশেষভাবে সক্ষম। তাই আপনার মনের মানুষের মধ্যে এ ধরনের কোনো লক্ষণ উপলব্ধি করা মাত্রই নিজের মনটাকে গুছিয়ে নিয়ে তার কাছ থেকে ফিরে আসাটাই ভালো। এ ধরনের মেয়েরা তাদের নিজের প্রয়োজনে ছেলেদের ব্যবহার করে, এর বাইরে অন্য কিছু নয়।
আপনাকে নয় আপনার পকেটকে ভালোবাসে:
নিজের ইচ্ছায় প্রেমিকাকে কিছু গিফট দেওয়া, তার বিপদে সাহায্য করা, তাকে নিয়ে ঘুরতে বের হওয়া এসব বিষয়ে ছেলেদের কিছু টাকা খরচ হতেই পারে। কিন্তু এক ধরনের মেয়ে আছে যারা প্রতিনিয়তই প্রেমিকের কাছে বিভিন্ন জিনিস আবদার করে বসে। অনেক সময় প্রেমিক পুরুষরা প্রেমিকার সেই সকল আবদার রক্ষা করার জন্য নানা ধরনের অপরাধও করে থাকে। শেষমেষ দেখা যায় প্রেমিক পুরুষটি যখন প্রেমিকার আবদার গুলো রক্ষা করতে অসমর্থ হন, তখন প্রেমিকা নারীটি ধীরে ধীরে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে তার কাছ থেকে নোঙ্গর তুলে অন্য কোথাও নোঙ্গর ফেলে। অনেকে ভাবতে পারেন আমার অনেক আছে, ও আর কত খাবে। তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, এ ধরনের মেয়েদের সাত রাজার ধন এনে দিলেও এদের মন ভরবে না। অতএব এ ধরনের কোনো বিষয় লক্ষ্য করলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিজেকে সামলে নেওয়াই ভালো।
তার মনে আপনি নেই:
কিছু কিছু মেয়ে আছে যারা ছেলেদের সাথে ভাব জমিয়ে তাদেরকে দিয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ করিয়ে নেয়। তার বিপদে আপদে আপনি তাকে সাহায্য করতেই পারেন। তাই বলে আপনি তার বাড়ির কাজের ছেলে নন। ভাবতে পারেন তাকে পাওয়ার জন্য আপনি যা খুশি করতে পারেন। কিন্তু তার কাজ শেষ হয়ে গেলে সেও আপনাকে ছেড়ে যেতে যা খুশি করতে পারে। কাজ শেষ হয়ে গেলে সে আর আপনাকে চিনবে না। তাই ছেলেদের কখনই উচিত নয় মেয়েদের ইচ্ছাই তার কর্ম হওয়া।
প্রেমিকা যখন আকাশের তারা:
কিছু কিছু প্রেমিক জুটি রয়েছে যাদের মধ্যে দেখা হয় সপ্তাহে একবার বা মাসে একবার। এজন্য অবশ্য মেয়ের বাড়ি থেকে বেরা হওয়ার সমস্যাই প্রধান হয়ে দেখা দেয়। আবার অনেক সময় দেখা যায় সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সে বের হচ্ছে না, বের হলেও সে আপনাকে জানাচ্ছে না। অতএব আপনার প্রতি তার সেরকম টান নেই। এরকম বিষয়গুলো আপনাকেই উপলব্ধি করতে হবে এবং আপনি কি করবেন সেটা আপনার বুদ্ধিমান মস্তিষ্কই আপনাকে বলে দিবে।
নদীর পানি ঘোলা ভালো:
আপনি হয়তোবা ভাবছেন আপনার এলাকা, স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে সুন্দর মেয়েটির সাথে ভাব জমিয়ে হিরো হয়ে গেছেন। অনেকক্ষেত্রে এটাই সবচেয়ে ভুল হয়ে দাঁড়ায় যদি না সেই মেয়েটি আপনাকে প্রকৃত ভালোবাসে। আপনার ভালোবাসার মানুষটির প্রতি অন্য ছেলেদেরও আগ্রহ রয়েছে। যদি সে তা উপলব্ধি করতে পারে তবে আপনি তার কাছে হয়ে যাবেন অনেকের মধ্যে একজনমাত্র।
তুলনাময়ী:
ওর বয়ফ্রেন্ড কত স্মার্ট, ওর বয়ফ্রেন্ড ওকে কত কিছু কিনে দেয়, ওর বয়ফ্রেন্ড ওকে কতো সময় দেয় এরকম তুলনাময়ীর সাথে সম্পর্ক এগিয়ে না নেওয়াই ভালো। সে যখন সেরকম কোনো বয়ফ্রেন্ড খুঁজে পাবে তখন আপনার জায়গাটি তাকে দিয়ে দিতে দ্বিতীয়বার ভাববে না। যদি তার মনের মতো হয়ে উঠতে পারেন তাহলে ভালো, নয়তো গভীরে যাওয়ার আগেই ফিরে আসা উচিত।
খবরদারী:
আপনি কখন কোথায় যান, কার কার সাথে মোবাইলে কথা বলেন, আপনার সাথে কার কার বন্ধুত্ব রয়েছে এসকল বিষয়ে খবরদারী করা স্বভাবের কিছু মেয়ে রয়েছে। সে নিজে সারাদিন কি করে বেড়ায় তার কোনো হিসাব আপনাকে দিবে না অথচ আপনার সারাদিনের হিসাব পাইপাই করে বুঝে নিবে। আপনি হয়তোবা প্রেম পর্বটা কোনোরকমে মানিয়ে নিলেন। কিন্তু সারাজীবনের প্রশ্নে কিন্তু তা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
আবেগী:
আজকাল প্রায়শই শোনা যায় অনেক প্রেমিক-প্রেমিকা বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করে ফেলছে। কিছুদিন পর মেয়েটি তার বাবা-মায়ের চাপে পড়ে ছেলেটির সাথে বিয়ে তো দূরের কথা তার সাথে কোনো সম্পর্ক ছিল না কিনা তাও অস্বীকার করছে। তাই আবেগে সিদ্ধান্ত না নিয়ে একটু গভীরভাবে যাচাই করে দেখুন মেয়েটি সত্যিই আপনাকে ভালোবাসে কিনা। যদি দেখেন মেয়েটি সত্যিই আপনাকে ভালোবাসে তাহলে একদিন না একদিন আপনি তাকে পাবেনই। আর যদি তা না করে তার মতো আবেগী হয়ে যান তাহলে আমও হারাবেন, ছালাও হারাবেন।
উল্লেখ্য, এই লেখাটি মেয়েদের হেয় প্রতিপন্ন বা ছোট করে লেখা হয় নি। এখানে মেয়েদের যে রূপগুলো ফুটে উঠেছে এরকম প্রতিরূপ ছেলেদের ক্ষেত্রেও দেখা যায়।
-:সংগৃহীত
একের অধিক ছেলেতে আসক্ত:
এই সমস্যাটি সমাজে প্রকট আকার ধারণ করেছে। একই ব্যক্তিকে দেখা যায় সকালে একজনের সাথে পার্কে ঘুরে বেড়াচ্ছে, দুপুরে অন্য আরেকজনের সাথে সিনেমা দেখছে, সন্ধ্যায় অন্য আরেকজনের সাথে মার্কেটিং করছে এবং রাতে অন্যজনের সাথে ফোনে কথা বলছে। এরা সাধারণের চাইতে অনেকটা চালাক-চতুর হয়। ধরা পড়ার পর যেকোনো অজুহাতে নিজেকে গুছিয়ে নিতে এরা বিশেষভাবে সক্ষম। তাই আপনার মনের মানুষের মধ্যে এ ধরনের কোনো লক্ষণ উপলব্ধি করা মাত্রই নিজের মনটাকে গুছিয়ে নিয়ে তার কাছ থেকে ফিরে আসাটাই ভালো। এ ধরনের মেয়েরা তাদের নিজের প্রয়োজনে ছেলেদের ব্যবহার করে, এর বাইরে অন্য কিছু নয়।
আপনাকে নয় আপনার পকেটকে ভালোবাসে:
নিজের ইচ্ছায় প্রেমিকাকে কিছু গিফট দেওয়া, তার বিপদে সাহায্য করা, তাকে নিয়ে ঘুরতে বের হওয়া এসব বিষয়ে ছেলেদের কিছু টাকা খরচ হতেই পারে। কিন্তু এক ধরনের মেয়ে আছে যারা প্রতিনিয়তই প্রেমিকের কাছে বিভিন্ন জিনিস আবদার করে বসে। অনেক সময় প্রেমিক পুরুষরা প্রেমিকার সেই সকল আবদার রক্ষা করার জন্য নানা ধরনের অপরাধও করে থাকে। শেষমেষ দেখা যায় প্রেমিক পুরুষটি যখন প্রেমিকার আবদার গুলো রক্ষা করতে অসমর্থ হন, তখন প্রেমিকা নারীটি ধীরে ধীরে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে তার কাছ থেকে নোঙ্গর তুলে অন্য কোথাও নোঙ্গর ফেলে। অনেকে ভাবতে পারেন আমার অনেক আছে, ও আর কত খাবে। তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, এ ধরনের মেয়েদের সাত রাজার ধন এনে দিলেও এদের মন ভরবে না। অতএব এ ধরনের কোনো বিষয় লক্ষ্য করলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিজেকে সামলে নেওয়াই ভালো।
তার মনে আপনি নেই:
কিছু কিছু মেয়ে আছে যারা ছেলেদের সাথে ভাব জমিয়ে তাদেরকে দিয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ করিয়ে নেয়। তার বিপদে আপদে আপনি তাকে সাহায্য করতেই পারেন। তাই বলে আপনি তার বাড়ির কাজের ছেলে নন। ভাবতে পারেন তাকে পাওয়ার জন্য আপনি যা খুশি করতে পারেন। কিন্তু তার কাজ শেষ হয়ে গেলে সেও আপনাকে ছেড়ে যেতে যা খুশি করতে পারে। কাজ শেষ হয়ে গেলে সে আর আপনাকে চিনবে না। তাই ছেলেদের কখনই উচিত নয় মেয়েদের ইচ্ছাই তার কর্ম হওয়া।
প্রেমিকা যখন আকাশের তারা:
কিছু কিছু প্রেমিক জুটি রয়েছে যাদের মধ্যে দেখা হয় সপ্তাহে একবার বা মাসে একবার। এজন্য অবশ্য মেয়ের বাড়ি থেকে বেরা হওয়ার সমস্যাই প্রধান হয়ে দেখা দেয়। আবার অনেক সময় দেখা যায় সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সে বের হচ্ছে না, বের হলেও সে আপনাকে জানাচ্ছে না। অতএব আপনার প্রতি তার সেরকম টান নেই। এরকম বিষয়গুলো আপনাকেই উপলব্ধি করতে হবে এবং আপনি কি করবেন সেটা আপনার বুদ্ধিমান মস্তিষ্কই আপনাকে বলে দিবে।
নদীর পানি ঘোলা ভালো:
আপনি হয়তোবা ভাবছেন আপনার এলাকা, স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে সুন্দর মেয়েটির সাথে ভাব জমিয়ে হিরো হয়ে গেছেন। অনেকক্ষেত্রে এটাই সবচেয়ে ভুল হয়ে দাঁড়ায় যদি না সেই মেয়েটি আপনাকে প্রকৃত ভালোবাসে। আপনার ভালোবাসার মানুষটির প্রতি অন্য ছেলেদেরও আগ্রহ রয়েছে। যদি সে তা উপলব্ধি করতে পারে তবে আপনি তার কাছে হয়ে যাবেন অনেকের মধ্যে একজনমাত্র।
তুলনাময়ী:
ওর বয়ফ্রেন্ড কত স্মার্ট, ওর বয়ফ্রেন্ড ওকে কত কিছু কিনে দেয়, ওর বয়ফ্রেন্ড ওকে কতো সময় দেয় এরকম তুলনাময়ীর সাথে সম্পর্ক এগিয়ে না নেওয়াই ভালো। সে যখন সেরকম কোনো বয়ফ্রেন্ড খুঁজে পাবে তখন আপনার জায়গাটি তাকে দিয়ে দিতে দ্বিতীয়বার ভাববে না। যদি তার মনের মতো হয়ে উঠতে পারেন তাহলে ভালো, নয়তো গভীরে যাওয়ার আগেই ফিরে আসা উচিত।
খবরদারী:
আপনি কখন কোথায় যান, কার কার সাথে মোবাইলে কথা বলেন, আপনার সাথে কার কার বন্ধুত্ব রয়েছে এসকল বিষয়ে খবরদারী করা স্বভাবের কিছু মেয়ে রয়েছে। সে নিজে সারাদিন কি করে বেড়ায় তার কোনো হিসাব আপনাকে দিবে না অথচ আপনার সারাদিনের হিসাব পাইপাই করে বুঝে নিবে। আপনি হয়তোবা প্রেম পর্বটা কোনোরকমে মানিয়ে নিলেন। কিন্তু সারাজীবনের প্রশ্নে কিন্তু তা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
আবেগী:
আজকাল প্রায়শই শোনা যায় অনেক প্রেমিক-প্রেমিকা বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করে ফেলছে। কিছুদিন পর মেয়েটি তার বাবা-মায়ের চাপে পড়ে ছেলেটির সাথে বিয়ে তো দূরের কথা তার সাথে কোনো সম্পর্ক ছিল না কিনা তাও অস্বীকার করছে। তাই আবেগে সিদ্ধান্ত না নিয়ে একটু গভীরভাবে যাচাই করে দেখুন মেয়েটি সত্যিই আপনাকে ভালোবাসে কিনা। যদি দেখেন মেয়েটি সত্যিই আপনাকে ভালোবাসে তাহলে একদিন না একদিন আপনি তাকে পাবেনই। আর যদি তা না করে তার মতো আবেগী হয়ে যান তাহলে আমও হারাবেন, ছালাও হারাবেন।
উল্লেখ্য, এই লেখাটি মেয়েদের হেয় প্রতিপন্ন বা ছোট করে লেখা হয় নি। এখানে মেয়েদের যে রূপগুলো ফুটে উঠেছে এরকম প্রতিরূপ ছেলেদের ক্ষেত্রেও দেখা যায়।
-:সংগৃহীত
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
প্রবাসী পাঠক ১৩/০১/২০১৪
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।
এই লাইনগুলো আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছিলেন তাঁর বিখ্যাত কবিতা " নারী " তে।আমার জানা মতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই লাইনগুলো সম্ভবত লিখেন নি।