একজন মাহবুব
মাহবুব আজ বৃষ্টিতে ভিজেছে । অনেকক্ষন ভিজেছে । সারাদিনের ক্লান্তিতে খানিকটা প্রশান্তি পেয়েছে হয়তো । বুকের ভিতর চাপা কষ্টের হিংস্রতা তবুও কমেনি ।
মাহবুবের আর বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করেনা । বেঁচে থাকাটাই যেন তার কাছে অভিশাপ এখন ।
আজ ৩ মাস ১৮ দিন
হলো । সার্টিফিকেট ভরতি একটা ফাইল নিয়ে এ-অফিস সে-অফিস ঘুরছে হন্য হয়ে । কোথায়ও একটি চাকরি মেলেনি ।
ইন্টারভিউতে অযথা ফাউ প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে সে হাফিয়ে পড়েছে ।
পড়াশুনা শেষ করে এখন একটি টিউশনি দিয়ে যা পায় তা কোনমতে মেস ভাড়া আর খাওয়া দাওয়ায় চলে যায় ।
বাড়িতে তার একটি ছোট বোন আর মা আছে । কিছু একটা নিয়ে যেতে হবে এই ভয়ে সে বাড়িতেও যায় না ।
বাড়িতে গেলেই তার বোন বায়না ধরবে ভাইয়া আমার জন্য নতুন জামা এনেছো?
একটি মাত্র শার্ট মাহবুবের । সন্ধ্যায় মেসে এসেই তা খুব যত্ন করে তুলে রাখে । এক শার্ট পড়ে টিউশনি তে যেতে মাহবুবের খুব
লজ্জা হয় । তাই মাঝে মাঝে বন্ধুর শার্ট দার নেয় । এক জোড়া কালো জুতো তাও অনেক সিলাইয়ে ভরতি ।
নিষ্ঠুর যান্ত্রিক কোলাহলের এ শহরে কেউ বুঝে না মাহবুবের কষ্ট । সে এখন রাতে দেরি করে ঘুমায় । সকালে ঘুম ভেঙে গেলেও বিছানা ছেড়ে উঠতে ইচ্ছে করেনা তার । কারণ উঠলেই তার বন্ধুদের সাথে নাস্তার দোকানে যেতে হবে ।সে দোকানে তার বাকির খাতা খুব ভারি । একটু দুপুর হলেই উঠে একেবারেই ভাত খায় ।
কাল মাহবুব কে তার ছোট বোন ফোন করেছিলো । বলেছে ভাইয়া 'আজ আমার জন্ম দিন তুমি আসবেনা?'
মাহবুব বলেছে
'আজ না কাল আসবো খুকি ।'
আজ দুপুরে বন্ধু রাসেদ কে ফোন করেছে মাহবুব । রাসেদ মাহবুবের কাছে আগে থেকেই ৫০০ টাকা পায় । অনেক চেষ্টা করেও মাহবুব বলতে পারেনি,
'৫০০ টা টাকা দার দিবি?
তোকে এক সাথে দিয়ে দিবো'
যদি আজ মাহবুব ৫০০ টাকা পেতো তবে তার ছোট বোনের জন্য একটা জামা নিয়ে যেত । খালি হাতে গেলে তার ছোট বোন খুব কান্না করবে ।
সন্ধ্যা গলির মোড়ে টলির চা দোকানে একটা চা খেয়ে হাঁটছে মাহ ।
হঠাত্ বৃষ্টি !
মাহবুব ভাবে এই বুঝি একটু কাঁদার সুযোগ পেলাম ।
মাহবুব বৃষ্টিতে ভিজে আর কাঁদে....
মাহবুবের আর বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করেনা । বেঁচে থাকাটাই যেন তার কাছে অভিশাপ এখন ।
আজ ৩ মাস ১৮ দিন
হলো । সার্টিফিকেট ভরতি একটা ফাইল নিয়ে এ-অফিস সে-অফিস ঘুরছে হন্য হয়ে । কোথায়ও একটি চাকরি মেলেনি ।
ইন্টারভিউতে অযথা ফাউ প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে সে হাফিয়ে পড়েছে ।
পড়াশুনা শেষ করে এখন একটি টিউশনি দিয়ে যা পায় তা কোনমতে মেস ভাড়া আর খাওয়া দাওয়ায় চলে যায় ।
বাড়িতে তার একটি ছোট বোন আর মা আছে । কিছু একটা নিয়ে যেতে হবে এই ভয়ে সে বাড়িতেও যায় না ।
বাড়িতে গেলেই তার বোন বায়না ধরবে ভাইয়া আমার জন্য নতুন জামা এনেছো?
একটি মাত্র শার্ট মাহবুবের । সন্ধ্যায় মেসে এসেই তা খুব যত্ন করে তুলে রাখে । এক শার্ট পড়ে টিউশনি তে যেতে মাহবুবের খুব
লজ্জা হয় । তাই মাঝে মাঝে বন্ধুর শার্ট দার নেয় । এক জোড়া কালো জুতো তাও অনেক সিলাইয়ে ভরতি ।
নিষ্ঠুর যান্ত্রিক কোলাহলের এ শহরে কেউ বুঝে না মাহবুবের কষ্ট । সে এখন রাতে দেরি করে ঘুমায় । সকালে ঘুম ভেঙে গেলেও বিছানা ছেড়ে উঠতে ইচ্ছে করেনা তার । কারণ উঠলেই তার বন্ধুদের সাথে নাস্তার দোকানে যেতে হবে ।সে দোকানে তার বাকির খাতা খুব ভারি । একটু দুপুর হলেই উঠে একেবারেই ভাত খায় ।
কাল মাহবুব কে তার ছোট বোন ফোন করেছিলো । বলেছে ভাইয়া 'আজ আমার জন্ম দিন তুমি আসবেনা?'
মাহবুব বলেছে
'আজ না কাল আসবো খুকি ।'
আজ দুপুরে বন্ধু রাসেদ কে ফোন করেছে মাহবুব । রাসেদ মাহবুবের কাছে আগে থেকেই ৫০০ টাকা পায় । অনেক চেষ্টা করেও মাহবুব বলতে পারেনি,
'৫০০ টা টাকা দার দিবি?
তোকে এক সাথে দিয়ে দিবো'
যদি আজ মাহবুব ৫০০ টাকা পেতো তবে তার ছোট বোনের জন্য একটা জামা নিয়ে যেত । খালি হাতে গেলে তার ছোট বোন খুব কান্না করবে ।
সন্ধ্যা গলির মোড়ে টলির চা দোকানে একটা চা খেয়ে হাঁটছে মাহ ।
হঠাত্ বৃষ্টি !
মাহবুব ভাবে এই বুঝি একটু কাঁদার সুযোগ পেলাম ।
মাহবুব বৃষ্টিতে ভিজে আর কাঁদে....
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সহিদুল হক ৩০/০৯/২০১৩বহু বেকার ছেলের অসহায়তা ও বুকভাঙা আর্তনাদ গল্পটিতে ফুটে উঠেছে মাহবুবের রূপ ধরে।
-
Înšigniã Āvî ৩০/০৯/২০১৩জীবনের বাস্তবতায় সময়ের নির্মমতার চিত্র তুলে ধরেছেন ।