ফাঁদ
নাম : পুবিল
ইউনিভার্সিটি : স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি
ব্যাচ নং : ৪৬
সেকশন : এ
ভালো গুনাবলী : নাই
মন্দ গুনাবলী : অভাব নাই ।
সেকশনে মেয়েরা মাত্র ৬ জন। এর মধ্যে ৫ জনের সাথেই পুবিলের প্রেমকার্য সমাধা হয়েছে। ছ্যাকের পরিমাণটা হয়তো খুব বেশি ছিলনা। যার কারণে এখনও পঞ্চ ছ্যাকাকারিদের সাথে কথপকথন হয়। ৬ষ্ঠ মেয়েটা এখনও মনে হয় বদ্ধ পরিকর যে, কারো সাথেই সে প্রেম করবে না। পুবিলের মত বখাটে ছেলের তো পাত্তাই নেই। কিন্তু পুবিলের দিকে তাকালে মনে হয়, ক্লাশে ৬ষ্ঠ নাম্বার মেয়েটার কোন অস্তিত্তই নাই।
এই মেয়েটাই আমাদের গল্পের দ্বিতীয় চরিত্র।
নাম: অর্পিতা সেন মিশু। এই মেয়েকে শুধু সুন্দরী বললে অপমান করা হয়। অসাধারন সুন্দরী একটা মেয়ে। সেকশনের সবচাইতে ভালো ছাত্রী এবং ভালো ব্যবহার।
ছ্যাকা খাওয়ার ১বছর পর পঞ্চ কন্যাদের মাথায় সুবুদ্ধি উদয় হল। যেভাবেই হোক মিশুর দিকে পুবিলকে ঝোঁকাতে হবে এবং কড়া ডোজের একটা ছ্যাকা দিতে হবে।পঞ্চ কন্যাদের ইচ্ছা শুনে একলা কন্যা রাজি হয়ে গেল। মিশু পুবিলের সাথে অযথাই এমন কিছু আচারন করতে শুরু করলো যা একটা ছেলেকে ফাঁদে ফেলার জন্য যথেষ্ট। পুবিল পড়েও গেলো ফাঁদে। খুব দ্রুতগতীতে চলে আসলো লক্ষ্যের সেই অশুভ দিন।
আজ পুবিল প্রোপজ করবে মিশুকে।সেকশনের ছেলেরাও জানতো সব কথা।মিশুর দিকে আকর্ষন এবং আজকের প্রপোজ করার দিনক্ষন সৃষ্টি করার পিছনে ছেলে বন্ধুদের অনেক অবদান আছে।তারা অবদান রেখেছে, পুবিলের উপর হিংসা থেকে।
আজ মিশু হলুদ শাড়ি পড়ে মেয়ে হিমু সেঁজে এসেছে। খালি পা হয়েছে ক্যাম্পাসে ঢোকার পর।
অন্য মেয়েরা সাদা শাড়ী পরে এসেছে আর ছেলেরা সাদা পাঞ্জাবি পরে এসেছে। শান্তির চিহ্ন শরীরে জড়ালেও ওরা যে, আজকে পুবিলকে অশান্তির জোঁয়ারে ভাসিয়ে দেবে তা ওদের মুখের দিকে তাকালেই বোঝা যায়।
পুবিল কালো পাঞ্জাবি পড়ে এসেছে। শোকের প্রতিক।
ক্লাশ রুমে পুবিল ঢোকার সাথে সাথে সবাই বেরিয়ে আসলো এবং দরজা লাগিয়ে দিয়ে দরজায় কান লাগাতে সবাই প্রতিযোগিতা শুরু করে দিলো।
পুবিল মিশুর সামনে দাঁড়ালো।মিশু পুবিলকে কড়া কড়া কথা বলার জন্য প্রস্তুত হয়ে গেলো। কিন্তু, পুবিল মিশুকে পুরোপুরি চমকিয়ে দিয়ে কথা বলতে লাগলো।
“মিশু তুমি তো একেবারে হিমু সেঁজে এসেছো। কিন্তু, হিমুরা তো কোন বাঁধনে নিজেদের জড়ায় না। তোমার উচিৎ ছিলো হিমু না সাঁজা। আজকে তোমাকে আমার প্রোপজ করার কথা ছিলো কিন্তু, আমি তা করবো না।কারন, আমি ছেলে হিসাবে অনেক ফালতু। ফালতু ছেলের সাথে প্রেম করলে তোমাকে অনেক কষ্ট পেতে হবে। আর আমি তোমাকে কোন কষ্ট দিতে পারবো না।আমাকে পছন্দ করার কু-বুদ্ধিটা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলো।আমি চাই না প্রেম করে কষ্ট পেয়ে তোমার চিন্তাধারা নষ্ট হয়ে যাক।একটা সমাজে ৯জন খারাপ লোকের মাঝে ১ জন ভালো লোকের প্রয়োজন আছে। আমি চাই তুমি ভালো হয়েই থাকো কিন্তু, মেয়ে হিমু হয়ে না।ক্লাশ করো। আমি বাসায় চলে যাবো”।
মিশুকে কোন কথার সুযোগ না দিয়েই রুম থেকে বেরিয়ে আসলো এবং সবার অপ্রস্তুত মুখের মুখোমুখি হলো।পুবিলের সাথে সাথে ওর একমাত্র বন্ধু মিরান নিচে আসলো।মিরান বললো, “তুই এটা কী করলি, এতবড় সুযোগ কেউ হাত ছাড়া করে”।
পুবিল বিজয়ের হাসি দিয়ে বললো, “আমার ষষ্ঠ ইন্দ্রীয় বলছিল এটা কোন প্ল্যান ছিল।তাই অভিনয় করলাম।ভাবিস না, অপেক্ষা কর”।
কিছুক্ষন পর মিরান অবাক হয়ে দেখলো, মিশু এইদিকেই আসছে এবং সরাসরি পুবিলের সামনে এসে দাঁড়ালো।কিছুক্ষন কঠিন দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে অতি আত্নবিশ্বাসের সাথে বলতে লাগলো, “সমাজে ৯টা খারাপ মানুষের মাঝে ১ টা ভালো মানুষের কাজ হলো, খারাপ মানুষ গুলোকে ভালো করা।একজনকে ভালো করতে যদি এক জীবন শেষ হয়ে যায় তাতেও অপরিসীম সুখ আছে”।
এবার মিরান বললো, “ভালো হওয়ার পরে চলে গেলে কিন্তু আবার বেশি খারাপ হওয়ার সম্ভবনা থেকে যায়”।
মিশু বললো, “একজীবনে একজনকে ভালো করাই কী যথেষ্ট নয়”?
মিরান কোন জবাব দিলো না, শুধু একটু হাসলো। মিশু পুবিলকে বললো, “চলো”।
পুবিল বললো, “কোথায়”?
মিশু বললো, “মার্কেটে”।
পুবিল বললো, “কেন”?
_ পাঞ্জাবি কিনবো।
_ কার জন্যে?
_ তোমার জন্যে।
_ আমার জন্যে!! কেন?
_ তোমার জন্য হলুদ পাঞ্জাবি কিনবো। আজ দুজনই হিমু হয়ে যাবো। হিমু হয়ে রিক্সায় বেড়াবো।
পুবিল আর মিশু হাত ধরে ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে গেলো। বেরিয়ে যাওয়ার আগে পুবিল একবার মাথা পিছনে ঘুড়িয়ে তাকালো।
মিরানের কেন যেন মনে হলো, ওর মুখে একটুখানি শয়তানিমাখা হাসি লেগে ছিল।
যার অর্থ কখনই শুভ হতে পারে না।
------------------------
ইউনিভার্সিটি : স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি
ব্যাচ নং : ৪৬
সেকশন : এ
ভালো গুনাবলী : নাই
মন্দ গুনাবলী : অভাব নাই ।
সেকশনে মেয়েরা মাত্র ৬ জন। এর মধ্যে ৫ জনের সাথেই পুবিলের প্রেমকার্য সমাধা হয়েছে। ছ্যাকের পরিমাণটা হয়তো খুব বেশি ছিলনা। যার কারণে এখনও পঞ্চ ছ্যাকাকারিদের সাথে কথপকথন হয়। ৬ষ্ঠ মেয়েটা এখনও মনে হয় বদ্ধ পরিকর যে, কারো সাথেই সে প্রেম করবে না। পুবিলের মত বখাটে ছেলের তো পাত্তাই নেই। কিন্তু পুবিলের দিকে তাকালে মনে হয়, ক্লাশে ৬ষ্ঠ নাম্বার মেয়েটার কোন অস্তিত্তই নাই।
এই মেয়েটাই আমাদের গল্পের দ্বিতীয় চরিত্র।
নাম: অর্পিতা সেন মিশু। এই মেয়েকে শুধু সুন্দরী বললে অপমান করা হয়। অসাধারন সুন্দরী একটা মেয়ে। সেকশনের সবচাইতে ভালো ছাত্রী এবং ভালো ব্যবহার।
ছ্যাকা খাওয়ার ১বছর পর পঞ্চ কন্যাদের মাথায় সুবুদ্ধি উদয় হল। যেভাবেই হোক মিশুর দিকে পুবিলকে ঝোঁকাতে হবে এবং কড়া ডোজের একটা ছ্যাকা দিতে হবে।পঞ্চ কন্যাদের ইচ্ছা শুনে একলা কন্যা রাজি হয়ে গেল। মিশু পুবিলের সাথে অযথাই এমন কিছু আচারন করতে শুরু করলো যা একটা ছেলেকে ফাঁদে ফেলার জন্য যথেষ্ট। পুবিল পড়েও গেলো ফাঁদে। খুব দ্রুতগতীতে চলে আসলো লক্ষ্যের সেই অশুভ দিন।
আজ পুবিল প্রোপজ করবে মিশুকে।সেকশনের ছেলেরাও জানতো সব কথা।মিশুর দিকে আকর্ষন এবং আজকের প্রপোজ করার দিনক্ষন সৃষ্টি করার পিছনে ছেলে বন্ধুদের অনেক অবদান আছে।তারা অবদান রেখেছে, পুবিলের উপর হিংসা থেকে।
আজ মিশু হলুদ শাড়ি পড়ে মেয়ে হিমু সেঁজে এসেছে। খালি পা হয়েছে ক্যাম্পাসে ঢোকার পর।
অন্য মেয়েরা সাদা শাড়ী পরে এসেছে আর ছেলেরা সাদা পাঞ্জাবি পরে এসেছে। শান্তির চিহ্ন শরীরে জড়ালেও ওরা যে, আজকে পুবিলকে অশান্তির জোঁয়ারে ভাসিয়ে দেবে তা ওদের মুখের দিকে তাকালেই বোঝা যায়।
পুবিল কালো পাঞ্জাবি পড়ে এসেছে। শোকের প্রতিক।
ক্লাশ রুমে পুবিল ঢোকার সাথে সাথে সবাই বেরিয়ে আসলো এবং দরজা লাগিয়ে দিয়ে দরজায় কান লাগাতে সবাই প্রতিযোগিতা শুরু করে দিলো।
পুবিল মিশুর সামনে দাঁড়ালো।মিশু পুবিলকে কড়া কড়া কথা বলার জন্য প্রস্তুত হয়ে গেলো। কিন্তু, পুবিল মিশুকে পুরোপুরি চমকিয়ে দিয়ে কথা বলতে লাগলো।
“মিশু তুমি তো একেবারে হিমু সেঁজে এসেছো। কিন্তু, হিমুরা তো কোন বাঁধনে নিজেদের জড়ায় না। তোমার উচিৎ ছিলো হিমু না সাঁজা। আজকে তোমাকে আমার প্রোপজ করার কথা ছিলো কিন্তু, আমি তা করবো না।কারন, আমি ছেলে হিসাবে অনেক ফালতু। ফালতু ছেলের সাথে প্রেম করলে তোমাকে অনেক কষ্ট পেতে হবে। আর আমি তোমাকে কোন কষ্ট দিতে পারবো না।আমাকে পছন্দ করার কু-বুদ্ধিটা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলো।আমি চাই না প্রেম করে কষ্ট পেয়ে তোমার চিন্তাধারা নষ্ট হয়ে যাক।একটা সমাজে ৯জন খারাপ লোকের মাঝে ১ জন ভালো লোকের প্রয়োজন আছে। আমি চাই তুমি ভালো হয়েই থাকো কিন্তু, মেয়ে হিমু হয়ে না।ক্লাশ করো। আমি বাসায় চলে যাবো”।
মিশুকে কোন কথার সুযোগ না দিয়েই রুম থেকে বেরিয়ে আসলো এবং সবার অপ্রস্তুত মুখের মুখোমুখি হলো।পুবিলের সাথে সাথে ওর একমাত্র বন্ধু মিরান নিচে আসলো।মিরান বললো, “তুই এটা কী করলি, এতবড় সুযোগ কেউ হাত ছাড়া করে”।
পুবিল বিজয়ের হাসি দিয়ে বললো, “আমার ষষ্ঠ ইন্দ্রীয় বলছিল এটা কোন প্ল্যান ছিল।তাই অভিনয় করলাম।ভাবিস না, অপেক্ষা কর”।
কিছুক্ষন পর মিরান অবাক হয়ে দেখলো, মিশু এইদিকেই আসছে এবং সরাসরি পুবিলের সামনে এসে দাঁড়ালো।কিছুক্ষন কঠিন দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে অতি আত্নবিশ্বাসের সাথে বলতে লাগলো, “সমাজে ৯টা খারাপ মানুষের মাঝে ১ টা ভালো মানুষের কাজ হলো, খারাপ মানুষ গুলোকে ভালো করা।একজনকে ভালো করতে যদি এক জীবন শেষ হয়ে যায় তাতেও অপরিসীম সুখ আছে”।
এবার মিরান বললো, “ভালো হওয়ার পরে চলে গেলে কিন্তু আবার বেশি খারাপ হওয়ার সম্ভবনা থেকে যায়”।
মিশু বললো, “একজীবনে একজনকে ভালো করাই কী যথেষ্ট নয়”?
মিরান কোন জবাব দিলো না, শুধু একটু হাসলো। মিশু পুবিলকে বললো, “চলো”।
পুবিল বললো, “কোথায়”?
মিশু বললো, “মার্কেটে”।
পুবিল বললো, “কেন”?
_ পাঞ্জাবি কিনবো।
_ কার জন্যে?
_ তোমার জন্যে।
_ আমার জন্যে!! কেন?
_ তোমার জন্য হলুদ পাঞ্জাবি কিনবো। আজ দুজনই হিমু হয়ে যাবো। হিমু হয়ে রিক্সায় বেড়াবো।
পুবিল আর মিশু হাত ধরে ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে গেলো। বেরিয়ে যাওয়ার আগে পুবিল একবার মাথা পিছনে ঘুড়িয়ে তাকালো।
মিরানের কেন যেন মনে হলো, ওর মুখে একটুখানি শয়তানিমাখা হাসি লেগে ছিল।
যার অর্থ কখনই শুভ হতে পারে না।
------------------------
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
কামরুজ্জামান সাদ ১৭/০৯/২০১৭বিদখুটে রহস্যের আভাস!
-
কবি মোঃ ইকবাল ২১/০৭/২০১৪বেশ ভালো লাগলো গল্পটি।।।
-
মঞ্জুর হোসেন মৃদুল ২১/০৭/২০১৪বাহ দারুন লাগল। চমৎকার উপস্থাপনা। বেশ ভাল লেগেছে।
-
আবু সঈদ আহমেদ ২১/০৭/২০১৪আজকাল শয়তান হিমুও পাওয়া যাচ্ছে?
-
Mahfuza Sultana ২১/০৭/২০১৪গল্পটা ভাল ।এর পরের কাহিনীটি ও জানতে চাই ।মানে
গল্পটার শেষ টা না জেনে মন যে সইছে না ।