জীবনের গল্প
কোন মানুষের জীবনের মধ্যে অসংখ্য “জীবনের গল্প” থাকতে পারে না। কারন, মানুষের জীবন একটাই। আর, একজন মানুষের জীবনে গল্পও একটাই রচিত হয় যার, শেষ বর্ণনা করা ঐ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়।
শুরুটা অনুমান, বোঝার বয়স থেকে অতীতটার স্মৃতি বর্ণনা, বর্তমানটা অনুভব আর, ভবিষ্যত কি এটাই তো আমি জানি না। হতে পারে, ভবিষ্যত বলে কিছুই নেই। মৃত্যুও বর্তমানেই হয়। আর, মৃত্যুর সাথে সাথে জীবনের গল্পও শেষ হয়ে যায়।
এই মৃত্যুর কারনেই কোন ব্যাক্তি তার নিজের জীবনের পূর্ন গল্প ব্যাক্ত করতে পারে না। তার বেঁচে থাকা পর্যন্ত জীবনের গল্প অপূর্ন অথবা, অসম্পুর্নই থেকে যায়। একজন স্বাভাবিক অথবা, একজন অস্বাভাবিক চিন্তার মানুষ জীবনের গল্প নিয়ে এইভাবে চিন্তা করে না।
একজন স্বাভাবিক চিন্তার মানুষ তার জীবনে ঘটতে থাকা গল্পের কিছু কিছু প্রিয় এবং অপ্রিয় অংশ বা অধ্যায়গুলো এক একটা জীবনের গল্প বলে মনে করতে থাকে আর, অস্বাভাবিক চিন্তার মানুষদের জীবন নিয়ে একেক জনের একেক রকম চিন্তাধারা।
অস্বাভাবিক চিন্তার উদাহারন হিসাবে আমি আমার পরিচিত একজনের কিছু কথা বলছি। আমার পরিচিত জনের নাম হল, তনু। তনু প্রায় সব-সময়ই চুপ-চাপ থাকে। একদিন ও আমাকে একটা অদ্ভুত প্রশ্ন করলো, “আচ্ছা শূন্য, জীবন সম্পর্কে তোমার ধারনা কি বলতো”?
আমি বললাম, “আমার কোন ধারনা নেই।”
তনু বললো, “হ্যাঁ, তুমি সত্যি বলেছ। জীবন সম্বন্ধে তোমার কোন ধারনা থাকার কথা না। কারন, তুমি কেউ না। জীবন সম্বন্ধে আমার ধারনা আছে কারন, আমি কেউ। আমি ব্যাতিত পৃ্থিবীর তোমরা সবাই-ই কেউ না। Just শূন্য অথবা, বিভ্রান্তি। তোমাদের কোন অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যত নেই। তোমরা শুধু এখানেই না, আরো অনেক জায়গাতেই আছো। আমি হলাম বিশেষ একজন এবং আমাকে প্রেয়ন করেছেন একজন অসীম ক্ষমতার অধিকারী কেউ। আমার মতো হয়তো অনেকেই আরো অনেক গ্রহে আছে। হয়তো, আমাদেরকে তৈরি করা হয়েছে বিশ্বাসের পরীক্ষার জন্য আর তোমাদেরকে তৈরি করা হয়েছে আমাদের বাইরে এবং মনের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্য পরিবেশ তৈরি করার জন্যে। আসলে, আমিই আমার আপনজন। আর কেউ-ই আমার আপনজন না।”
আমি বললাম, “হতে পারে তনু। তোমার কথাই ঠিক হতে পারে কারন, জীবন নিয়ে তেমন কোন অনুভূতি আমার মধ্যে কাজ করে না। তবে এটাও ঠিক হতে পারে যে, Frustration থেকে তুমি এই কথাগুলো বলছ।”
তনু বললো, “উুহু। আমি Frustration-এ ভুগছি না। আমার চিন্তাধারা অনেক যুক্তি সম্পন্ন। এ ব্যাপারে আমি তোমাকে হাজারটা যুক্তি দেখাতে পারি। কিন্তু, তোমাকে দেখিয়ে কি হবে। তুমি তো কেউ না।”
তনুর মত এইরকম অনেক অস্বাভাবিক চিন্তার মানুষ আছে যাদের, জীবন সম্বন্ধে ধারনা অন্য রকম। তাই তাদের ‘জীবনের গল্পের’ সংজ্ঞাও হয়তো অন্যরকম।
জীবনের গল্প সম্বন্ধে আমার চিন্তাও অন্যরকম। কারন, আমি জীবন এবং জীবনের গল্প নিয়ে স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিক কোন ভাবেই চিন্তা করি না। আমি হলাম মাঝা-মাঝি গোত্রের চিন্তার অধিকারী।
আমি যদি আমার জীবনের গল্প শুরু করি তাহলে, আমার জীবনের গল্পটা অপূর্নই থেকে যাবে। শুরু এবং শেষের অনুভূতি আমি বলতে পারবো না। কারন, জন্ম এবং মৃত্যুর অনুভূতি কাউকে বলা যায় না।
কি, বলা যায়?
আসলেই বলা যায় না!!
শুরুটা অনুমান, বোঝার বয়স থেকে অতীতটার স্মৃতি বর্ণনা, বর্তমানটা অনুভব আর, ভবিষ্যত কি এটাই তো আমি জানি না। হতে পারে, ভবিষ্যত বলে কিছুই নেই। মৃত্যুও বর্তমানেই হয়। আর, মৃত্যুর সাথে সাথে জীবনের গল্পও শেষ হয়ে যায়।
এই মৃত্যুর কারনেই কোন ব্যাক্তি তার নিজের জীবনের পূর্ন গল্প ব্যাক্ত করতে পারে না। তার বেঁচে থাকা পর্যন্ত জীবনের গল্প অপূর্ন অথবা, অসম্পুর্নই থেকে যায়। একজন স্বাভাবিক অথবা, একজন অস্বাভাবিক চিন্তার মানুষ জীবনের গল্প নিয়ে এইভাবে চিন্তা করে না।
একজন স্বাভাবিক চিন্তার মানুষ তার জীবনে ঘটতে থাকা গল্পের কিছু কিছু প্রিয় এবং অপ্রিয় অংশ বা অধ্যায়গুলো এক একটা জীবনের গল্প বলে মনে করতে থাকে আর, অস্বাভাবিক চিন্তার মানুষদের জীবন নিয়ে একেক জনের একেক রকম চিন্তাধারা।
অস্বাভাবিক চিন্তার উদাহারন হিসাবে আমি আমার পরিচিত একজনের কিছু কথা বলছি। আমার পরিচিত জনের নাম হল, তনু। তনু প্রায় সব-সময়ই চুপ-চাপ থাকে। একদিন ও আমাকে একটা অদ্ভুত প্রশ্ন করলো, “আচ্ছা শূন্য, জীবন সম্পর্কে তোমার ধারনা কি বলতো”?
আমি বললাম, “আমার কোন ধারনা নেই।”
তনু বললো, “হ্যাঁ, তুমি সত্যি বলেছ। জীবন সম্বন্ধে তোমার কোন ধারনা থাকার কথা না। কারন, তুমি কেউ না। জীবন সম্বন্ধে আমার ধারনা আছে কারন, আমি কেউ। আমি ব্যাতিত পৃ্থিবীর তোমরা সবাই-ই কেউ না। Just শূন্য অথবা, বিভ্রান্তি। তোমাদের কোন অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যত নেই। তোমরা শুধু এখানেই না, আরো অনেক জায়গাতেই আছো। আমি হলাম বিশেষ একজন এবং আমাকে প্রেয়ন করেছেন একজন অসীম ক্ষমতার অধিকারী কেউ। আমার মতো হয়তো অনেকেই আরো অনেক গ্রহে আছে। হয়তো, আমাদেরকে তৈরি করা হয়েছে বিশ্বাসের পরীক্ষার জন্য আর তোমাদেরকে তৈরি করা হয়েছে আমাদের বাইরে এবং মনের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্য পরিবেশ তৈরি করার জন্যে। আসলে, আমিই আমার আপনজন। আর কেউ-ই আমার আপনজন না।”
আমি বললাম, “হতে পারে তনু। তোমার কথাই ঠিক হতে পারে কারন, জীবন নিয়ে তেমন কোন অনুভূতি আমার মধ্যে কাজ করে না। তবে এটাও ঠিক হতে পারে যে, Frustration থেকে তুমি এই কথাগুলো বলছ।”
তনু বললো, “উুহু। আমি Frustration-এ ভুগছি না। আমার চিন্তাধারা অনেক যুক্তি সম্পন্ন। এ ব্যাপারে আমি তোমাকে হাজারটা যুক্তি দেখাতে পারি। কিন্তু, তোমাকে দেখিয়ে কি হবে। তুমি তো কেউ না।”
তনুর মত এইরকম অনেক অস্বাভাবিক চিন্তার মানুষ আছে যাদের, জীবন সম্বন্ধে ধারনা অন্য রকম। তাই তাদের ‘জীবনের গল্পের’ সংজ্ঞাও হয়তো অন্যরকম।
জীবনের গল্প সম্বন্ধে আমার চিন্তাও অন্যরকম। কারন, আমি জীবন এবং জীবনের গল্প নিয়ে স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিক কোন ভাবেই চিন্তা করি না। আমি হলাম মাঝা-মাঝি গোত্রের চিন্তার অধিকারী।
আমি যদি আমার জীবনের গল্প শুরু করি তাহলে, আমার জীবনের গল্পটা অপূর্নই থেকে যাবে। শুরু এবং শেষের অনুভূতি আমি বলতে পারবো না। কারন, জন্ম এবং মৃত্যুর অনুভূতি কাউকে বলা যায় না।
কি, বলা যায়?
আসলেই বলা যায় না!!
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সালমান সিয়াদ পরাগ ১০/০৬/২০১৪মোটেও শূন্য নয়... তবে যে শব্দগুলো প্রচ্লিত ভাবেই বাংলায় আছে সেগুলোর ইংরেজি না ব্যবহারের অনুরোধ রইল...
-
টি আই রাজন ০৮/০৬/২০১৪আপনার ভেতরে এত কিছু। কিন্ত শূন্য নামটা কেন দিলেন?
ভাল থাকুন। -
কবি মোঃ ইকবাল ০৮/০৬/২০১৪সবার জীবনের গল্প যদিও এক নয়, কষ্টগুলো কিন্তু অনেক সময় অনেকটাই মিলে যায়।