পাগলামি ভাবনা
"সে আমার বন্ধু নয়,আবার শত্রুও নয় । কখনো কথা হয়েছে বলে মনে হয় না ।
আমার সতেজ হৃদয়ে যতটুকু মনে পড়ে ক্যাম্পাসে কোন দিন তার সাথে কথা বিনিময় হয়নি,এমন কি কথা বিনিময়ের কল্পরাজ্য ফেসবুকেও না ।
তবুও তার সাথে কোন ছেলে ঘুরবে, তার সাথে বসে ফুচকা খাবে সেটা মানতে পারিনা ।
ঠিক যেন বেড়ে বেড়ে উঠা লকলকে ভেন্যা গাছের মত । এত প্রাণবন্ত ! সদ্য বৃষ্টিস্নাত কদমফুলের মতই স্নিগ্ধ মেয়ে
পৃথিবীতে আর একজনও আছে কিনা সন্দেহ ।"
এসব ভাবতে ভাবতে হুস আসে রঞ্জনের। ততক্ষনে তার সিগারেট প্রায় শেষ হয়ে তার অগ্নিকুণ্ড আঙুল ছুই ছুই করছে
সিগারেট টা লেকের পানিতে ফেলে সে পুনরায় হাটা শুরু করলো গেটের উদ্দেশ্যে ।
অগোচরে ভাবনার ঘাড়ে যেন চড়ে বসেছে সেই মেয়েটি । ক্ষুধার্ত পেটে অন্নবাবার চিৎকারও আজ হার মেনেছে মেয়েটির অহেতুক ভাবনায় ।
যাকে ঘিরে রঞ্জনের বীণায় আজ অকস্মাৎ সুরের মূর্ছনা সেই মেয়েটির নাম মিতা ।
হটাত রঞ্জনের কাধে কে যেন হাত রাখলো । রঞ্জন তার হাঠা স্থির করে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে অজানা লোকটির দিকে ।
-কে আপনি ?
- আমি রঞ্জন ।
- রঞ্জন ! রঞ্জন তো আমার নাম । আপনাকে তো এর আগে ক্যাম্পাসে দেখিনি । আপনি কি আমাকে চেনেন ?
- দেখো ... এত কথা বলার মত সময় আমার নেই । তোমাকে একটা কথা বলার জন্য আমি এসেছি ।
- কি কথা ?
- তুমি মিতাকে ভালোবাসো । আর এই কথাটা বলার জন্যই আমাকে আসতে হলো ।
- কিন্তু ... তুমি কি করে জানো ?
- হা হা হা ... আরো অনেক কিছুই জানি যা তুমি জানো না ।
- কি ... কি জানো !!!!
- যেমন মিতার প্রতি তোমার এই ভালোবাসা একটু পরেই ভেসে যাবে পরিবর্তনের স্রোতের টানে ।
মানব মন বড়ই অদ্ভুত আর কৌতুকময় ।।
হা হা হা হা...
হঠাত রঞ্জন যেন ঘুম থেকে জেগে উঠলো । সামনে রিকশা । সে দাঁড়িয়ে আছে এক কিলোর মাঝখানে ।
সে বুঝতে পাড়লো কল্পনার জাল তাকে আকড়ে ধরেছে । অবস্থা বেগতিক দেখে সে বলে উঠলো,"সরি মামা "
পরক্ষনেই চোখে পড়লো এক জোড়া ক্রুব্ধ চোখ তার দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে । নীল শাড়িতে জড়ানো এলোকেশের মেয়েটি
রিকশাতে বসে শব্দহীন ভঙ্গিমায় তার রাগের বিচ্ছুরন ঘটাচ্ছে । রঞ্জন ভাবলো,"এই বুঝি ভয়ঙ্কর সুন্দর ।"
নিজেকে হারিয়ে ফেলতে আজ বড়ই ইচ্ছে করছে তার । মুহুর্তের মধ্যে মিতার সব ভাবনার উপর আছড়ে পরলো ভিন্ন ভাবনার সুবিশাল দরিয়ার ঢেউ ।
এই অচেনা হলদে মেয়েটি বুঝি সাত জনমের সমস্ত সৌন্দর্য্য একসাথে পেয়েছে ।
মেয়েটির সাথে মিতা কেন, ধরনীর অন্য কোন ললনার তুলনা করলে অপরাধ করা হবে । নিজের অজান্তেও সেই অপরাধে লিপ্ত হতে
রাজি নয় রঞ্জন ।
দুপুরের খাওয়া শেষ করে রঞ্জন এবার রওনা দিলো ভার্সিটিতে আসার জন্য । লাঞ্চের সময় প্রায় শেষের দিকে ।
রঞ্জন ভাবে পড়ালেখাটা যদি কোন ভাবে দুনিয়া থেকে উধাও করা যেত ।
যা হোক ভাবনা বাদ দিয়ে এবার সে দ্রুত হাঠা শুরু করলো । এক কিলোর মাঝামাঝি আশা মাত্রই ঝুম বৃষ্টি ।
সিলেটের আবহাওয়া বিশ্বাসযোগ্য নয় আর বৃষ্টি তার সুযোগ্য কন্যা ।
ভিজতে ভিজতে রঞ্জন এবার আসলো তার ডিপার্টমেন্টে । তার নিজের ডিপার্টমেন্ট তার কাছে ভিন্ন গ্রহের মত ।
বিভাগের প্রত্যেকটা মানুষ, শিক্ষক,স্টাফ,ছাত্র-ছাত্রী সবাই যেন এলিয়েন ।
দুটি ভিন্ন জগতের মানুষ একেই বৃত্তের অন্তরালে অবস্থান তার নিশ্বাস-প্রশ্বাস ধীর করে দেয় ।
ক্লাসে ঢুকেই মাথায় যেন বাজ পড়লো তার । বিভাগীয় টিচার নতুন কোর্স টিচার কে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন ।
পেছনের কোন একটা বেঞ্চে জায়গা করে নিল রঞ্জন ।
অকস্মাৎ চোখ পড়লো শিক্ষকের দিকে ।
একি !!! এ তো সেই মেয়েটি !!
নীল শাড়ি পড়ে দাঁড়িয়ে আছে তার সামনেই । নিজেকে কোন ভাবেই বিশ্বাস করাতে পারছে না রঞ্জন ।
এই প্রথম রঞ্জনের মনে হলো এখন থেকে নিয়মিত ক্লাস করতে হবে ।
বৃষ্টি কেন , প্রলয়ঙ্কারী ঝড়ও রঞ্জনকে রুখতে পারবেনা ............।।
আমার সতেজ হৃদয়ে যতটুকু মনে পড়ে ক্যাম্পাসে কোন দিন তার সাথে কথা বিনিময় হয়নি,এমন কি কথা বিনিময়ের কল্পরাজ্য ফেসবুকেও না ।
তবুও তার সাথে কোন ছেলে ঘুরবে, তার সাথে বসে ফুচকা খাবে সেটা মানতে পারিনা ।
ঠিক যেন বেড়ে বেড়ে উঠা লকলকে ভেন্যা গাছের মত । এত প্রাণবন্ত ! সদ্য বৃষ্টিস্নাত কদমফুলের মতই স্নিগ্ধ মেয়ে
পৃথিবীতে আর একজনও আছে কিনা সন্দেহ ।"
এসব ভাবতে ভাবতে হুস আসে রঞ্জনের। ততক্ষনে তার সিগারেট প্রায় শেষ হয়ে তার অগ্নিকুণ্ড আঙুল ছুই ছুই করছে
সিগারেট টা লেকের পানিতে ফেলে সে পুনরায় হাটা শুরু করলো গেটের উদ্দেশ্যে ।
অগোচরে ভাবনার ঘাড়ে যেন চড়ে বসেছে সেই মেয়েটি । ক্ষুধার্ত পেটে অন্নবাবার চিৎকারও আজ হার মেনেছে মেয়েটির অহেতুক ভাবনায় ।
যাকে ঘিরে রঞ্জনের বীণায় আজ অকস্মাৎ সুরের মূর্ছনা সেই মেয়েটির নাম মিতা ।
হটাত রঞ্জনের কাধে কে যেন হাত রাখলো । রঞ্জন তার হাঠা স্থির করে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে অজানা লোকটির দিকে ।
-কে আপনি ?
- আমি রঞ্জন ।
- রঞ্জন ! রঞ্জন তো আমার নাম । আপনাকে তো এর আগে ক্যাম্পাসে দেখিনি । আপনি কি আমাকে চেনেন ?
- দেখো ... এত কথা বলার মত সময় আমার নেই । তোমাকে একটা কথা বলার জন্য আমি এসেছি ।
- কি কথা ?
- তুমি মিতাকে ভালোবাসো । আর এই কথাটা বলার জন্যই আমাকে আসতে হলো ।
- কিন্তু ... তুমি কি করে জানো ?
- হা হা হা ... আরো অনেক কিছুই জানি যা তুমি জানো না ।
- কি ... কি জানো !!!!
- যেমন মিতার প্রতি তোমার এই ভালোবাসা একটু পরেই ভেসে যাবে পরিবর্তনের স্রোতের টানে ।
মানব মন বড়ই অদ্ভুত আর কৌতুকময় ।।
হা হা হা হা...
হঠাত রঞ্জন যেন ঘুম থেকে জেগে উঠলো । সামনে রিকশা । সে দাঁড়িয়ে আছে এক কিলোর মাঝখানে ।
সে বুঝতে পাড়লো কল্পনার জাল তাকে আকড়ে ধরেছে । অবস্থা বেগতিক দেখে সে বলে উঠলো,"সরি মামা "
পরক্ষনেই চোখে পড়লো এক জোড়া ক্রুব্ধ চোখ তার দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে । নীল শাড়িতে জড়ানো এলোকেশের মেয়েটি
রিকশাতে বসে শব্দহীন ভঙ্গিমায় তার রাগের বিচ্ছুরন ঘটাচ্ছে । রঞ্জন ভাবলো,"এই বুঝি ভয়ঙ্কর সুন্দর ।"
নিজেকে হারিয়ে ফেলতে আজ বড়ই ইচ্ছে করছে তার । মুহুর্তের মধ্যে মিতার সব ভাবনার উপর আছড়ে পরলো ভিন্ন ভাবনার সুবিশাল দরিয়ার ঢেউ ।
এই অচেনা হলদে মেয়েটি বুঝি সাত জনমের সমস্ত সৌন্দর্য্য একসাথে পেয়েছে ।
মেয়েটির সাথে মিতা কেন, ধরনীর অন্য কোন ললনার তুলনা করলে অপরাধ করা হবে । নিজের অজান্তেও সেই অপরাধে লিপ্ত হতে
রাজি নয় রঞ্জন ।
দুপুরের খাওয়া শেষ করে রঞ্জন এবার রওনা দিলো ভার্সিটিতে আসার জন্য । লাঞ্চের সময় প্রায় শেষের দিকে ।
রঞ্জন ভাবে পড়ালেখাটা যদি কোন ভাবে দুনিয়া থেকে উধাও করা যেত ।
যা হোক ভাবনা বাদ দিয়ে এবার সে দ্রুত হাঠা শুরু করলো । এক কিলোর মাঝামাঝি আশা মাত্রই ঝুম বৃষ্টি ।
সিলেটের আবহাওয়া বিশ্বাসযোগ্য নয় আর বৃষ্টি তার সুযোগ্য কন্যা ।
ভিজতে ভিজতে রঞ্জন এবার আসলো তার ডিপার্টমেন্টে । তার নিজের ডিপার্টমেন্ট তার কাছে ভিন্ন গ্রহের মত ।
বিভাগের প্রত্যেকটা মানুষ, শিক্ষক,স্টাফ,ছাত্র-ছাত্রী সবাই যেন এলিয়েন ।
দুটি ভিন্ন জগতের মানুষ একেই বৃত্তের অন্তরালে অবস্থান তার নিশ্বাস-প্রশ্বাস ধীর করে দেয় ।
ক্লাসে ঢুকেই মাথায় যেন বাজ পড়লো তার । বিভাগীয় টিচার নতুন কোর্স টিচার কে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন ।
পেছনের কোন একটা বেঞ্চে জায়গা করে নিল রঞ্জন ।
অকস্মাৎ চোখ পড়লো শিক্ষকের দিকে ।
একি !!! এ তো সেই মেয়েটি !!
নীল শাড়ি পড়ে দাঁড়িয়ে আছে তার সামনেই । নিজেকে কোন ভাবেই বিশ্বাস করাতে পারছে না রঞ্জন ।
এই প্রথম রঞ্জনের মনে হলো এখন থেকে নিয়মিত ক্লাস করতে হবে ।
বৃষ্টি কেন , প্রলয়ঙ্কারী ঝড়ও রঞ্জনকে রুখতে পারবেনা ............।।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ইমরান কবির রুপম ০২/০৯/২০১৫নিজেও কল্পনায় চলে গিয়েছিলাম
-
সমরেশ সুবোধ পড়্যা ০১/০৯/২০১৫খুব ভালো লাগলো।
-
কিশোর কারুণিক ০১/০৯/২০১৫ভাল লাগল