।।। সরি।।।
।।। সরি ।।।
----------------
ছোট দুটো অক্ষরের শব্দ
কতটা নির্মম কতটা বিভৎস হতে পারে,
কতটা হৃদয়বিদারক কতটা নিষ্ঠুর তারা,
কখনও কতটা ভয়ংকর, কতটা লোভী,
কতটা স্বার্থপর, কতটা হীন আর নীচমনা ।
সরি!
সহজ উচ্চারন, সহজ শব্দগঠন,
কিন্ত মানব হৃদয়কে ভেঙে চুরে
দুমড়ে মুচড়ে, ধ্বংসাবশেষে পরিনত করে মুহুর্তে।
তা হচ্ছে সরি!
দীর্ঘদিনের ভালবাসার সর্ম্পককে
হঠাৎ বৃদ্ধা আঙুল দেখিয়ে,
যখন প্রেয়সী অন্য পুরুষের হয়ে যায়,
ঘাড় ঘুরিয়ে বলে যায় সরি।
তোমাকে ভালবেসে
যখন তোমার সাথে অন্য জাতের
ছেলেটা রিক্সা শেয়ার করে,
তোমার দামি স্যাম্পু করা
খোলা চুলেরা বাতাসের ঝাপটায
তার বিবর্ণ মুখটাকে
বারে বারে খাঁমচে ধরে আদর দিয়ে যায়,
সেই ছেলেটা যখন তোমাকে প্রেম
নিবেদন করে,তুমিই তখন বক্র হাসি
হেসে বলবে সরি।
অফিসের বড় কর্তা নিজের উন্নতির জন্য,
অধিনস্তদের কাঁধ ব্যবহার করে,
নিজের টা বুঝে নিয়ে অধিনস্তদের
মুখের দিকে অপলক চোখে চেয়ে বলে সরি,
কিছু করতে পারিনি আপনাদের জন্য।
যখন দারিদ্র্যতার ক্রমাগত কষাঘাতে
একজন স্ত্রী তার ভালবাসার মানুষটির
চোখে চোখ রেখে বলে সরি,
আর নয় এ সংসারে।
পতির ক্রমাগত লাঞ্চনায় লাঞ্চিত হতে হতে ,
যখন দীর্ঘ নিঃশ্চুপতার খোলস থেকে বের হয়ে
নারী যখন বলে ওঠে সরি,
আর নয় তোমার সাথে এক মুহুর্ত ।
যখন সন্তানের হাজারও বায়নার একটাও
মিটাতে পারে না তাদের অসহায় বাবা ,
দিন শেষে রাতের বেলা সন্তানের সামনে এসে
মাথা নিচু করে বলতে হয় সরি।
যখন উঁচু তলার সাথে নিচু তলার
ভালবাসা অনাকাক্খিত বলে প্রতীয়মান,
উচুতলা থেকে জোরে হেঁকে বলে সরি।
হাজারও অসত্য , হাজারও না প্রাপ্তি,
হাজারও কষ্টের লেলিহান শিখা,
আর স্বার্থপরতা, হিংস্রতা,
আর আত্ম অহমিকার
অনবদ্য নাম ফলকের নাম “ সরি”
সরি! সরি!
........................
নিরব নির্বাসন।
ঢাকা – ০৮/০২/২০২০।
----------------
ছোট দুটো অক্ষরের শব্দ
কতটা নির্মম কতটা বিভৎস হতে পারে,
কতটা হৃদয়বিদারক কতটা নিষ্ঠুর তারা,
কখনও কতটা ভয়ংকর, কতটা লোভী,
কতটা স্বার্থপর, কতটা হীন আর নীচমনা ।
সরি!
সহজ উচ্চারন, সহজ শব্দগঠন,
কিন্ত মানব হৃদয়কে ভেঙে চুরে
দুমড়ে মুচড়ে, ধ্বংসাবশেষে পরিনত করে মুহুর্তে।
তা হচ্ছে সরি!
দীর্ঘদিনের ভালবাসার সর্ম্পককে
হঠাৎ বৃদ্ধা আঙুল দেখিয়ে,
যখন প্রেয়সী অন্য পুরুষের হয়ে যায়,
ঘাড় ঘুরিয়ে বলে যায় সরি।
তোমাকে ভালবেসে
যখন তোমার সাথে অন্য জাতের
ছেলেটা রিক্সা শেয়ার করে,
তোমার দামি স্যাম্পু করা
খোলা চুলেরা বাতাসের ঝাপটায
তার বিবর্ণ মুখটাকে
বারে বারে খাঁমচে ধরে আদর দিয়ে যায়,
সেই ছেলেটা যখন তোমাকে প্রেম
নিবেদন করে,তুমিই তখন বক্র হাসি
হেসে বলবে সরি।
অফিসের বড় কর্তা নিজের উন্নতির জন্য,
অধিনস্তদের কাঁধ ব্যবহার করে,
নিজের টা বুঝে নিয়ে অধিনস্তদের
মুখের দিকে অপলক চোখে চেয়ে বলে সরি,
কিছু করতে পারিনি আপনাদের জন্য।
যখন দারিদ্র্যতার ক্রমাগত কষাঘাতে
একজন স্ত্রী তার ভালবাসার মানুষটির
চোখে চোখ রেখে বলে সরি,
আর নয় এ সংসারে।
পতির ক্রমাগত লাঞ্চনায় লাঞ্চিত হতে হতে ,
যখন দীর্ঘ নিঃশ্চুপতার খোলস থেকে বের হয়ে
নারী যখন বলে ওঠে সরি,
আর নয় তোমার সাথে এক মুহুর্ত ।
যখন সন্তানের হাজারও বায়নার একটাও
মিটাতে পারে না তাদের অসহায় বাবা ,
দিন শেষে রাতের বেলা সন্তানের সামনে এসে
মাথা নিচু করে বলতে হয় সরি।
যখন উঁচু তলার সাথে নিচু তলার
ভালবাসা অনাকাক্খিত বলে প্রতীয়মান,
উচুতলা থেকে জোরে হেঁকে বলে সরি।
হাজারও অসত্য , হাজারও না প্রাপ্তি,
হাজারও কষ্টের লেলিহান শিখা,
আর স্বার্থপরতা, হিংস্রতা,
আর আত্ম অহমিকার
অনবদ্য নাম ফলকের নাম “ সরি”
সরি! সরি!
........................
নিরব নির্বাসন।
ঢাকা – ০৮/০২/২০২০।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
চন্দ্রকান্ত চক্রবর্তী ১০/০২/২০২০কঠিন বাস্তবতা।
-
ফয়জুল মহী ০৯/০২/২০২০সাবলীল উপস্থাপন
-
পি পি আলী আকবর ০৯/০২/২০২০সত্যি
-
মোহন দাস (বিষাক্ত কবি) ০৯/০২/২০২০সত্যি তাই ।
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ০৯/০২/২০২০nicely depicted