।।। রাতের নিস্তব্ধতা।।।
।।। রাতের নিস্তব্ধতা।।।
----------------------------.
নিস্তব্ধতা মানে, নিরিবিলি নয়কো মোটেও,
কান পাতো, শুনতে পাবে নিস্তব্ধতার মাঝে কান্না,
নিস্তব্ধতায় খুঁজে পাবে,
অনেক বিয়োগ ব্যাথা আর যন্ত্রনার উপমা ।।
রাতের নিস্তব্ধ আকাশ থেকে,
সহ্যহীন যন্ত্রনা নিয়ে তাঁরা খসে পড়লে,
কে তার খবর রাখে বলো ?
আকাশ দেখে রাত কাটাতে গিয়ে,
আমিই হয়তো নিস্তব্ধ প্রহরের স্বাক্ষী হলাম ।
কখনও গভীর নিস্তব্ধ নিশীথে,
মানবীয় চিৎকারে ঘুম ভাঙ্গে না
শহুরে মানুষের,
জানে কি তারা, পতিতার দেহ ভোগ করে,
বিনা পারিশ্রমিকে খোদ্দেরের প্রস্থান।
রাতের নীরবতা নষ্ট করে
আ্যামবুলেন্স ছুটে চলেছে হসপিটালে,
তার উদরের ভিতর চলে যম আর মানুষের যুদ্ধ
বেঁচে থাকার লড়াইয়ের প্রশ্নে।
রাতের তীব্র হাড় কাঁপানো শীতে ,
ফুটপাতের জরাজীর্ণ মশারীর ভিতরে,
দুগ্ধপোষ্য শিশু মায়ের শুষ্ক স্তনে
দুধ না পাবার কান্নার ধ্বনি
কখনও পৌঁছে না ইট কাঠ আর কংক্রিটের
দেয়াল ভেদ করে ভিতরে,।।
রাতের নিস্তব্ধ প্রহরে,
সঙ্গীর আদর বঞ্চিত
কোন এক রমনী বারান্দার গ্রীল ধরে
তাকিয়ে আছে হয়তো অসীম শূন্যতার পানে,
খবর কি রাখে কেউ, কখন সবার অলক্ষ্যে
দুফোঁটা নোনা জল দামী টাইলসকে
ভিজিয়ে দিয়ে যায়,
খবর কি রাখে কেউ এ নিস্তব্ধ নিশীথে,
ভাঙ্গা মন নিয়ে, তানপুরায় হাত রেখে
কেউ সৃষ্টি করতে চায় এক বিষাদের গীত।
কত হাহাকারের প্রতিধ্বনি বাজে নিস্তব্ধতার মাঝে,
কাছে দূরে কিংবা অসীম দূরত্বে ,
কে তার খবর রাখে বলো।
সুবেহ-সাদিকে সময় হলো,
একটু পরেই সূর্য উঠবে আকাশে,
আলোকিত হবে চারপাশ,
কোলাহলে মুখরিত ভোর,
কেউ জানলো না রাতের নিস্তব্ধতার কান্না,
শুধু থেকে যাবো আমি একাকী রাজ
স্বাক্ষী হয়ে।।
---------------------.
নিরব নির্বাসন।
ঢাকা – ২৬/০২/২০২০।
----------------------------.
নিস্তব্ধতা মানে, নিরিবিলি নয়কো মোটেও,
কান পাতো, শুনতে পাবে নিস্তব্ধতার মাঝে কান্না,
নিস্তব্ধতায় খুঁজে পাবে,
অনেক বিয়োগ ব্যাথা আর যন্ত্রনার উপমা ।।
রাতের নিস্তব্ধ আকাশ থেকে,
সহ্যহীন যন্ত্রনা নিয়ে তাঁরা খসে পড়লে,
কে তার খবর রাখে বলো ?
আকাশ দেখে রাত কাটাতে গিয়ে,
আমিই হয়তো নিস্তব্ধ প্রহরের স্বাক্ষী হলাম ।
কখনও গভীর নিস্তব্ধ নিশীথে,
মানবীয় চিৎকারে ঘুম ভাঙ্গে না
শহুরে মানুষের,
জানে কি তারা, পতিতার দেহ ভোগ করে,
বিনা পারিশ্রমিকে খোদ্দেরের প্রস্থান।
রাতের নীরবতা নষ্ট করে
আ্যামবুলেন্স ছুটে চলেছে হসপিটালে,
তার উদরের ভিতর চলে যম আর মানুষের যুদ্ধ
বেঁচে থাকার লড়াইয়ের প্রশ্নে।
রাতের তীব্র হাড় কাঁপানো শীতে ,
ফুটপাতের জরাজীর্ণ মশারীর ভিতরে,
দুগ্ধপোষ্য শিশু মায়ের শুষ্ক স্তনে
দুধ না পাবার কান্নার ধ্বনি
কখনও পৌঁছে না ইট কাঠ আর কংক্রিটের
দেয়াল ভেদ করে ভিতরে,।।
রাতের নিস্তব্ধ প্রহরে,
সঙ্গীর আদর বঞ্চিত
কোন এক রমনী বারান্দার গ্রীল ধরে
তাকিয়ে আছে হয়তো অসীম শূন্যতার পানে,
খবর কি রাখে কেউ, কখন সবার অলক্ষ্যে
দুফোঁটা নোনা জল দামী টাইলসকে
ভিজিয়ে দিয়ে যায়,
খবর কি রাখে কেউ এ নিস্তব্ধ নিশীথে,
ভাঙ্গা মন নিয়ে, তানপুরায় হাত রেখে
কেউ সৃষ্টি করতে চায় এক বিষাদের গীত।
কত হাহাকারের প্রতিধ্বনি বাজে নিস্তব্ধতার মাঝে,
কাছে দূরে কিংবা অসীম দূরত্বে ,
কে তার খবর রাখে বলো।
সুবেহ-সাদিকে সময় হলো,
একটু পরেই সূর্য উঠবে আকাশে,
আলোকিত হবে চারপাশ,
কোলাহলে মুখরিত ভোর,
কেউ জানলো না রাতের নিস্তব্ধতার কান্না,
শুধু থেকে যাবো আমি একাকী রাজ
স্বাক্ষী হয়ে।।
---------------------.
নিরব নির্বাসন।
ঢাকা – ২৬/০২/২০২০।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২৬/০১/২০২০বিক্ষুব্ধ ভাবনা।
-
মোহন দাস (বিষাক্ত কবি) ২৬/০১/২০২০অনন্য
-
এস এম আলমগীর হোসেন ২৬/০১/২০২০Good
-
মুহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন ২৬/০১/২০২০উপমাসমৃদ্ধ গভীর ভাবনা। শুভেচ্ছা অনন্ত
-
ফয়জুল মহী ২৬/০১/২০২০মনোহর লেখা।