রাজলক্ষ্মী তোমাকে চাইব না
যদি আজ কাব্যের আকাশে ঘনায় কালমেঘ
বৃষ্টি নামে ঝরঝরিয়ে
বজ্রপাতে ঘটে আমার মৃত্যু আর
আমার লাশ ভেসে যায় শব্দ-বন্যার মহাবেগে
কালের সীমানা ছাড়িয়ে
তবে তোমাকে চাইব না জানি ।
যদি আজ বেশ্যা মেয়ের বাঁকা ঠোঁটের মিথ্যে
হাসি পরিণত হয় সত্যিতে
যদি তার দুধের ন্যাংটো শিশু জানতে পারে পিতৃ পরিচয়
তবে তোমাকে চাইব না জানি।
যদি আজ কয়লা খনির গর্ভে আর সংযোজন না হয়
কোন কালিমাখা মানুষের হাড়
সমুদ্রের জলে না বাড়ে নোনতার পরিমাণ
তবে তোমাকে চাইব না জানি ।
যদি আজ গদ্য পৃথিবীর ঊষর মরুবুকে ঘটে যায় অগ্ন্যুৎপাত
আর উঠে আসে আসে আমার দেশের শত পুরুষের ক্ষুধার্ত মস্তিষ্ক
যারা খাবার চেয়ে পেয়েছিল বিষ
তবে তোমাকে চাইব না জানি ।
যদি আজ জোছনা ভরা রাতে ধূমকেতু আঘাত হানে
আমার বক্ষ মাঝে; নেমে আসে অন্ধকার
পালাবার ফন্দি আঁটে এ পাড়ার মেয়ে ছেলে ওপাড়ার
তবে তোমাকে চাইব না জানি ।
যদি আজ চৌরাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা পাগলী নারী
খুঁজে পায় তার হারিয়ে যাওয়া ছেলে-স্বামী
পেঁচা না কাঁদে ভর সন্ধ্যায় বুড়ো কদম গাছে বসে
তবে তোমাকে চাইব না জানি ।
যদি আজ বস্তির ছেলেমেয়েরা সব কুড়ানো কাগজের গায়ে
অন্ধের মত হাত বুলাতে বুলাতে
জেনে যায় শব্দের মহিমা
তবে তোমাকে চাইব না জানি ।
যদি আজ ঘরহারা মানুষের লাশ বয়ে বয়ে
গঙ্গার জীবনীশক্তি কমে না যায়
দু' মাসের শিশু বিক্রি না হয় সভ্যতার চোরাপথে
তবে তোমাকে চাইব না জানি।
যদি আজ ফাগুণের রাতে শঙ্কার ধ্বনি এ গাছে ও গাছে
অনুরণিত না হয়; আর আমার মৃত্যুর পরে
অর্ধাহারে অনাহারে থাকা শকুন শেয়াল সন্দেহ না করে
আমার মৃত্যু হয়েছে তোমার অনুপস্থিতে
তবে তোমাকে চাইব না জানি।
বৃষ্টি নামে ঝরঝরিয়ে
বজ্রপাতে ঘটে আমার মৃত্যু আর
আমার লাশ ভেসে যায় শব্দ-বন্যার মহাবেগে
কালের সীমানা ছাড়িয়ে
তবে তোমাকে চাইব না জানি ।
যদি আজ বেশ্যা মেয়ের বাঁকা ঠোঁটের মিথ্যে
হাসি পরিণত হয় সত্যিতে
যদি তার দুধের ন্যাংটো শিশু জানতে পারে পিতৃ পরিচয়
তবে তোমাকে চাইব না জানি।
যদি আজ কয়লা খনির গর্ভে আর সংযোজন না হয়
কোন কালিমাখা মানুষের হাড়
সমুদ্রের জলে না বাড়ে নোনতার পরিমাণ
তবে তোমাকে চাইব না জানি ।
যদি আজ গদ্য পৃথিবীর ঊষর মরুবুকে ঘটে যায় অগ্ন্যুৎপাত
আর উঠে আসে আসে আমার দেশের শত পুরুষের ক্ষুধার্ত মস্তিষ্ক
যারা খাবার চেয়ে পেয়েছিল বিষ
তবে তোমাকে চাইব না জানি ।
যদি আজ জোছনা ভরা রাতে ধূমকেতু আঘাত হানে
আমার বক্ষ মাঝে; নেমে আসে অন্ধকার
পালাবার ফন্দি আঁটে এ পাড়ার মেয়ে ছেলে ওপাড়ার
তবে তোমাকে চাইব না জানি ।
যদি আজ চৌরাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা পাগলী নারী
খুঁজে পায় তার হারিয়ে যাওয়া ছেলে-স্বামী
পেঁচা না কাঁদে ভর সন্ধ্যায় বুড়ো কদম গাছে বসে
তবে তোমাকে চাইব না জানি ।
যদি আজ বস্তির ছেলেমেয়েরা সব কুড়ানো কাগজের গায়ে
অন্ধের মত হাত বুলাতে বুলাতে
জেনে যায় শব্দের মহিমা
তবে তোমাকে চাইব না জানি ।
যদি আজ ঘরহারা মানুষের লাশ বয়ে বয়ে
গঙ্গার জীবনীশক্তি কমে না যায়
দু' মাসের শিশু বিক্রি না হয় সভ্যতার চোরাপথে
তবে তোমাকে চাইব না জানি।
যদি আজ ফাগুণের রাতে শঙ্কার ধ্বনি এ গাছে ও গাছে
অনুরণিত না হয়; আর আমার মৃত্যুর পরে
অর্ধাহারে অনাহারে থাকা শকুন শেয়াল সন্দেহ না করে
আমার মৃত্যু হয়েছে তোমার অনুপস্থিতে
তবে তোমাকে চাইব না জানি।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
Înšigniã Āvî ০৮/১০/২০১৩প্রথমেই স্বাগতম জানাই........
-
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. ০৮/১০/২০১৩অসম্ভব ভালো হয়েছে।খুবই গভীর থেকে কথা গুলো তুলে এনেছেন।আপনার ভাবনা সত্যিই প্রসংশনীয়।প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকুক।সেই সাথে আমার পাতায় আমন্ত্রণ।