একাকি
শীতটা বেশ পড়েছে। হিমেল হাওয়াটা বেশ করে কাঁপিয়ে দিচ্ছে ভিতর পর্যন্ত। বাজে সবে আটটা। হাতটা নামিয়ে ফের হাঁটা শুরু করে স্নিগ্ধা। অনেকদিন পর আজ অফিস থেকে ঠিক সময়েই বেরিয়েছে সে। কাজের চাপটা আগের কয়েকটা দিন বেশি থাকায় অফিস থেকে বেরোতে বেরোতে নয়টা বেজে যেত। আজ অনেকটা হালকা। আর একটু এগোলেই ট্যাক্সি স্ট্যান্ড। ওখান থেকেই রোজ ট্যাক্সি করে বাড়ি ফেরে স্নিগ্ধা। কাজের চাপে আশেপাশে তাকানোর ফুরসত-ই হয় না তার। আজ রাস্তার পাশে শনিদেবের মন্দিরটার ভেতর টিম টিম করে জ্বলতে থাকা আলোটা খেয়াল করল। একটু এগিয়ে গিয়ে ডানদিকে ধর্মশালাটাও চোখে পড়ল। এই ধর্মশালার সাথে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে তার। কথাতে বলে - 'স্মৃতি বড়ো বেদনাদায়ক'। তাই যতটা সম্ভব পা চালিয়ে পেরিয়ে গেল। মনের মধ্যে যেন একটা কাঠঠোকরা ঠুকে চলছে অবিরাম। ভেতর থেকে গুঁড়িয়ে বাইরে বের করে আনার তার অবাধ্য প্রয়াস।
আর একটু এগিয়ে আসতেই পড়ল ল্যাম্পপোস্টটা। থমকে দাঁড়াল স্নিগ্ধা। তিন বছর আগে ল্যাম্পপোস্টটা যেমন দাঁড়িয়েছিল একপায়ে রাতপাহারায়, আজও ঠিক তাই। তবে ল্যাম্পপোস্টের নীচে বসা ফুচকা স্টলটা আজ আর নেই।
পামেলের সাথে স্নিগ্ধার প্রথম দেখা ধর্মশালার ভেতরে বিষ্ণু মন্দিরে। তারপর, ফুচকা স্টলটাতে স্নিগ্ধা ও তার বান্ধবীর ফুচকা খাওয়ার সময় স্নিগ্ধার প্রাণোচ্ছ্বলতা পামেলকে আকর্ষিত করে। পামেলেই আলাপে আগ্রহী হয়ে এগিয়ে যায় স্নিগ্ধার কাছে। তারপর হয় বন্ধুত্ব। আর তা পরবর্তী সময়ে পরিণতি পায় ভালোবাসায়। স্নিগ্ধা, পামেলকে ভালোবাসতো পাগলের মতো। আর পামেল? হয়তো বা ভালোবাসতো স্নিগ্ধাকে।
না, আজ আর পামেল নেই স্নিগ্ধার সাথে। একাকিত্বের একতারা মনে গেঁথে পৃথিবীর বুকে যেমন জোছনার স্বরলিপি ছড়িয়ে দেয় নিঃসঙ্গ চাঁদ
ঠিক তেমনই স্নিগ্ধার বেহালায় নিঃস্বার্থ নিঃসঙ্গতার টান - জোয়ারের মতো, সংসারত্যাগী সন্ন্যাসীর মতো। অবিশ্বাস্য জলোচ্ছ্বাসের বুকে জেগে ওঠা রাতপ্রহরের জোনাকির ফসফরাসে একটা স্বার্থপরতার সমুদ্র। স্নিগ্ধা যেন তলিয়ে যাচ্ছে। এক পা - দু'পা করে কখন যে স্নিগ্ধা পৌঁছে গেছে স্মৃতির গর্ভে, খেয়ালই করেনি সে। আজ আবার অনুভব করছে জন্মযন্ত্রনার টান! মা, তোর স্নেহের মতো আর কোনো সাগর নেই জেগে। গুমরে গোঙানো স্নিগ্ধা ফিরে যেতে চায় সেই শান্তির দেশে। ফিরে পেতে চায় নিষ্ফলতার আনন্দ।
আর একটু এগিয়ে আসতেই পড়ল ল্যাম্পপোস্টটা। থমকে দাঁড়াল স্নিগ্ধা। তিন বছর আগে ল্যাম্পপোস্টটা যেমন দাঁড়িয়েছিল একপায়ে রাতপাহারায়, আজও ঠিক তাই। তবে ল্যাম্পপোস্টের নীচে বসা ফুচকা স্টলটা আজ আর নেই।
পামেলের সাথে স্নিগ্ধার প্রথম দেখা ধর্মশালার ভেতরে বিষ্ণু মন্দিরে। তারপর, ফুচকা স্টলটাতে স্নিগ্ধা ও তার বান্ধবীর ফুচকা খাওয়ার সময় স্নিগ্ধার প্রাণোচ্ছ্বলতা পামেলকে আকর্ষিত করে। পামেলেই আলাপে আগ্রহী হয়ে এগিয়ে যায় স্নিগ্ধার কাছে। তারপর হয় বন্ধুত্ব। আর তা পরবর্তী সময়ে পরিণতি পায় ভালোবাসায়। স্নিগ্ধা, পামেলকে ভালোবাসতো পাগলের মতো। আর পামেল? হয়তো বা ভালোবাসতো স্নিগ্ধাকে।
না, আজ আর পামেল নেই স্নিগ্ধার সাথে। একাকিত্বের একতারা মনে গেঁথে পৃথিবীর বুকে যেমন জোছনার স্বরলিপি ছড়িয়ে দেয় নিঃসঙ্গ চাঁদ
ঠিক তেমনই স্নিগ্ধার বেহালায় নিঃস্বার্থ নিঃসঙ্গতার টান - জোয়ারের মতো, সংসারত্যাগী সন্ন্যাসীর মতো। অবিশ্বাস্য জলোচ্ছ্বাসের বুকে জেগে ওঠা রাতপ্রহরের জোনাকির ফসফরাসে একটা স্বার্থপরতার সমুদ্র। স্নিগ্ধা যেন তলিয়ে যাচ্ছে। এক পা - দু'পা করে কখন যে স্নিগ্ধা পৌঁছে গেছে স্মৃতির গর্ভে, খেয়ালই করেনি সে। আজ আবার অনুভব করছে জন্মযন্ত্রনার টান! মা, তোর স্নেহের মতো আর কোনো সাগর নেই জেগে। গুমরে গোঙানো স্নিগ্ধা ফিরে যেতে চায় সেই শান্তির দেশে। ফিরে পেতে চায় নিষ্ফলতার আনন্দ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
অধীতি ২৪/০২/২০১৯বেশ মুগ্ধতা পেলাম
-
মোঃ মুসা খান ০৮/০২/২০১৯একাকি গল্প ভালো লিখেছেন
-
দীপঙ্কর বেরা ২৫/০১/২০১৯ভাল হয়েছে।
-
সৈয়দ রাকিব ১০/০১/২০১৯বেশ।
-
হুসাইন দিলাওয়ার ০৬/০১/২০১৯সুন্দর
-
দ্বিতীয়া প্রামাণিক ২৯/১২/২০১৮সুন্দর গল্প
-
ন্যান্সি দেওয়ান ২৮/১২/২০১৮Nice.
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২৮/১২/২০১৮একাকি থাকাই ভালো।