সন্ত্রাসবাদ বনাম ভ্রাতৃত্ববাদ
প্রথমেই বলে রাখি প্রকৃত ধার্মিক ও প্রকৃত ধর্ম সংশ্লিষ্ট মানুষের সাথে সন্ত্রাসবাদের চেতনা কখনো সংযুক্ত হতে পারে না।
তবে বাস্তবে কি আমরা তাই দেখতে পাচ্ছি? আজ লন্ডন সভ্যতার অত্যাধুনিক নগরী যখন একের পর এক সন্ত্রাস বাদের অভিনব পন্থায় আক্রান্ত হচ্ছে, তখন আমি ভাবছি যে দেশগুলো এখনো অত্যাধুনিক নয় সে দেশগুলোর নিরীহ সাধারন মানুষের কী অবস্থা?
যে দেশগুলো ধর্মীয় রীতিনীতি আচারবোধের আত্ম অহংকারে নিজেকে সর্বশ্রেষ্ট বলে দাবী করে ভিন্নরীতি নীতিকে গ্রহণ দূরে থাক বরং তাকে সর্বদা এক ভয় ভীতি ও সন্ত্রাসবাদের ছুবলের সম্মুখে রাখে সেই দেশগুলোর প্রকৃত অর্থেই নিরীহ মানুষ গুলো মরে মরেই বেঁচে আছে কি?
হ্যা তারা মরে মরেই বেঁচে আছে। সন্ত্রাসবাদের যে বৈশ্বিক রূপটা আমরা লন্ডন ফ্রান্স বেলজিয়াম এ দেখি, তার কিন্তু একটা পারিবারিক ও সামাজিক রূপও আছে। যে রূপের চরম শিকার অনুন্নত বা উন্নয়ন শীল দেশগুলো।উদাহরন স্বরুপ গত পরশু বাংলাদেশের লংগদুরে উপজাতি হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর যে গণআক্রমণ চালানু হয়েছে তার সাথে লন্ডনের গতকালের ঘটনার কি আদৌ কোন পার্থক্য আছে? লন্ডনে যে ঘটনা টা তিনজনে ঘটিয়েছে পর্দার সামনে এসে , সেই একই ঘটনা বরং তার চেয়েও ভয়ংকর ঘটনা বাংলাদেশে পর্দাবিহীন ভাবেই তিন হাজার ত্রিশ হাজার লোক একসাথে মিলে ঘটাচ্ছে।
একটি বিশেষ ধর্মীয় গোষ্টিকে সেই ঘটনার দায়ভার বার বার নিতে হচ্ছে যৌক্তিক ও বাস্তব কারনে। কেন? কেন এমন সন্ত্রাস বাদের সাথে এমন একটি বৃহত্তর ধর্মীয় গোষ্টির নাম আসবে বার বার?
আমরা কি তা ভাবতে পারছি? না ভাবা যাবে না বলে এমন কোন পূর্ব সিদ্ধান্ত আগেই কোন পবিত্র পুস্তকে নাজিল হয়ে গেছে? যার কারনে সন্ত্রাসবাদ. আলোচনা না করে আমরা সন্ত্রাসী ও তার অস্ত্র ধ্বংস নিয়ে বেশ মুখর হয়ে আছি।
কিন্তু দুখের বিষয় হল ফ্যাক্টরি বন্ধ না হলে প্রোডাক্টস বন্ধ হবে না। আজ বিশ্ববাসীকে খোঁজে বের করতে হবে , সার্চ করতে হবে প্রতিটা মনে মনে আসলে সন্ত্রাসবাদ নামের এই ফ্যাক্টরী টা কোথায়?
আর তা জানার জন্যে খুব বেশি কী জ্ঞানী হতে হবে? তা বুঝার জন্যে খুব বেশি কি চালাক চতুর হতে হবে? সিনেমার ফিতার মত লন্ডন বা লংগদুরের ঘটনাগুলো টেনে একটু পেছনে গেলে খুব সহজেই জানা যাবে সন্ত্রাসবাদ ও তার আবাসভুমির রূপ।
একটা সন্ত্রাসী যে ধাপগুলো অতিক্রম করে ধীরে ধীরে সন্ত্রাসী হয়ে উঠে সেই ধাপগুলোর প্রতি ওই আবাসভুমির জনগোষ্টির পরিপূর্ণ উৎসাহ ও সমর্থন থাকে।সেই সমর্থন এতটাই ভয়ংকর যে ওই সন্ত্রাসী মানুষের রক্ত পান না করা পর্যন্ত যা চায় ওই জনগোস্টি তাদের তাই দেয় বা দিতে ইচ্ছুক। বরং প্রায় ক্ষেত্রেই ওই জনগোষ্টি সন্ত্রাসী হতে যাওয়া লোকটিকে ধর্মীয় লোক বলে শুধু পুজাই করে না বরং তার হয়ে সমাজের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ভাবে দাড়িয়ে যায় ধর্মীয় অভিন্নতায়।কেন?
কেন একটা আদর্শিক সমাজ , রক্ত ও খুন না দেখার আগ পর্যন্ত চিহ্নিত করতে পারবে না আসলে কে সন্ত্রাসী আর কে ধার্মিক? কেন সন্ত্রাসী হবার ধাপ গুলোতেই বলে দিতে পারবে না আসলে তুমি সন্ত্রাসী।জীবনের পূর্নাঙ্গ বিধান যাদের মুখস্থ তাদের কাছে সন্ত্রাসী চিহ্নিত করার বিধান নেই , কথাটা কি মানতে হবে না প্রশ্নাকারে তুলতে হবে?
একটা ধর্মীয় পদ্ধতি বা প্রথা সন্ত্রাসবাদের আশে পাশে নেই, সেটা বিশ্বাস করি , কিন্তু একটা ধর্মীয় সমাজ বা দেশ সন্ত্রাসবাদ চিনতে পারবে না, রোগী চেনার জন্যে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে তা কি সভ্য সমাজকে বিশ্বাস করতে হবে? জানি নিত্য ডিম পাড়া হাসের পেট কাটলে ডিম পাওয়া যাবে না, কিন্তু এটাতো সত্য ডিমটা যখন হাসে পাড়ে তখন বলতেই হয় ডিমটা হাসেরই, যা হাসের অন্দরের কলকারখানায় সৃষ্ট হয়।
সেই কলকারখানায় যারা উৎসাহ উদ্দিপনায় কাজ করে, ডিম পাড়াতে কখনো হাতে আবার কখনো ভাতে কিবা মাথা দিয়ে সহযোগিতা করে ভ্রাতৃত্ববোধে আবদ্ধ হয় তাদের সাথেই সন্ত্রাসবাদের ভূমি অঙ্গাঅঙ্গি ভাবে জড়িত হয়। যাকে নিম্নোক্ত ভাবে লিখা যায় এক বাস্তব সত্যে
ধর্মীয় ভ্রাতৃত্ব বোধ + অতিরিক্ত ধর্মীয়বোধ= সন্ত্রাসবাদ।
তবে বাস্তবে কি আমরা তাই দেখতে পাচ্ছি? আজ লন্ডন সভ্যতার অত্যাধুনিক নগরী যখন একের পর এক সন্ত্রাস বাদের অভিনব পন্থায় আক্রান্ত হচ্ছে, তখন আমি ভাবছি যে দেশগুলো এখনো অত্যাধুনিক নয় সে দেশগুলোর নিরীহ সাধারন মানুষের কী অবস্থা?
যে দেশগুলো ধর্মীয় রীতিনীতি আচারবোধের আত্ম অহংকারে নিজেকে সর্বশ্রেষ্ট বলে দাবী করে ভিন্নরীতি নীতিকে গ্রহণ দূরে থাক বরং তাকে সর্বদা এক ভয় ভীতি ও সন্ত্রাসবাদের ছুবলের সম্মুখে রাখে সেই দেশগুলোর প্রকৃত অর্থেই নিরীহ মানুষ গুলো মরে মরেই বেঁচে আছে কি?
হ্যা তারা মরে মরেই বেঁচে আছে। সন্ত্রাসবাদের যে বৈশ্বিক রূপটা আমরা লন্ডন ফ্রান্স বেলজিয়াম এ দেখি, তার কিন্তু একটা পারিবারিক ও সামাজিক রূপও আছে। যে রূপের চরম শিকার অনুন্নত বা উন্নয়ন শীল দেশগুলো।উদাহরন স্বরুপ গত পরশু বাংলাদেশের লংগদুরে উপজাতি হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর যে গণআক্রমণ চালানু হয়েছে তার সাথে লন্ডনের গতকালের ঘটনার কি আদৌ কোন পার্থক্য আছে? লন্ডনে যে ঘটনা টা তিনজনে ঘটিয়েছে পর্দার সামনে এসে , সেই একই ঘটনা বরং তার চেয়েও ভয়ংকর ঘটনা বাংলাদেশে পর্দাবিহীন ভাবেই তিন হাজার ত্রিশ হাজার লোক একসাথে মিলে ঘটাচ্ছে।
একটি বিশেষ ধর্মীয় গোষ্টিকে সেই ঘটনার দায়ভার বার বার নিতে হচ্ছে যৌক্তিক ও বাস্তব কারনে। কেন? কেন এমন সন্ত্রাস বাদের সাথে এমন একটি বৃহত্তর ধর্মীয় গোষ্টির নাম আসবে বার বার?
আমরা কি তা ভাবতে পারছি? না ভাবা যাবে না বলে এমন কোন পূর্ব সিদ্ধান্ত আগেই কোন পবিত্র পুস্তকে নাজিল হয়ে গেছে? যার কারনে সন্ত্রাসবাদ. আলোচনা না করে আমরা সন্ত্রাসী ও তার অস্ত্র ধ্বংস নিয়ে বেশ মুখর হয়ে আছি।
কিন্তু দুখের বিষয় হল ফ্যাক্টরি বন্ধ না হলে প্রোডাক্টস বন্ধ হবে না। আজ বিশ্ববাসীকে খোঁজে বের করতে হবে , সার্চ করতে হবে প্রতিটা মনে মনে আসলে সন্ত্রাসবাদ নামের এই ফ্যাক্টরী টা কোথায়?
আর তা জানার জন্যে খুব বেশি কী জ্ঞানী হতে হবে? তা বুঝার জন্যে খুব বেশি কি চালাক চতুর হতে হবে? সিনেমার ফিতার মত লন্ডন বা লংগদুরের ঘটনাগুলো টেনে একটু পেছনে গেলে খুব সহজেই জানা যাবে সন্ত্রাসবাদ ও তার আবাসভুমির রূপ।
একটা সন্ত্রাসী যে ধাপগুলো অতিক্রম করে ধীরে ধীরে সন্ত্রাসী হয়ে উঠে সেই ধাপগুলোর প্রতি ওই আবাসভুমির জনগোষ্টির পরিপূর্ণ উৎসাহ ও সমর্থন থাকে।সেই সমর্থন এতটাই ভয়ংকর যে ওই সন্ত্রাসী মানুষের রক্ত পান না করা পর্যন্ত যা চায় ওই জনগোস্টি তাদের তাই দেয় বা দিতে ইচ্ছুক। বরং প্রায় ক্ষেত্রেই ওই জনগোষ্টি সন্ত্রাসী হতে যাওয়া লোকটিকে ধর্মীয় লোক বলে শুধু পুজাই করে না বরং তার হয়ে সমাজের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ভাবে দাড়িয়ে যায় ধর্মীয় অভিন্নতায়।কেন?
কেন একটা আদর্শিক সমাজ , রক্ত ও খুন না দেখার আগ পর্যন্ত চিহ্নিত করতে পারবে না আসলে কে সন্ত্রাসী আর কে ধার্মিক? কেন সন্ত্রাসী হবার ধাপ গুলোতেই বলে দিতে পারবে না আসলে তুমি সন্ত্রাসী।জীবনের পূর্নাঙ্গ বিধান যাদের মুখস্থ তাদের কাছে সন্ত্রাসী চিহ্নিত করার বিধান নেই , কথাটা কি মানতে হবে না প্রশ্নাকারে তুলতে হবে?
একটা ধর্মীয় পদ্ধতি বা প্রথা সন্ত্রাসবাদের আশে পাশে নেই, সেটা বিশ্বাস করি , কিন্তু একটা ধর্মীয় সমাজ বা দেশ সন্ত্রাসবাদ চিনতে পারবে না, রোগী চেনার জন্যে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে তা কি সভ্য সমাজকে বিশ্বাস করতে হবে? জানি নিত্য ডিম পাড়া হাসের পেট কাটলে ডিম পাওয়া যাবে না, কিন্তু এটাতো সত্য ডিমটা যখন হাসে পাড়ে তখন বলতেই হয় ডিমটা হাসেরই, যা হাসের অন্দরের কলকারখানায় সৃষ্ট হয়।
সেই কলকারখানায় যারা উৎসাহ উদ্দিপনায় কাজ করে, ডিম পাড়াতে কখনো হাতে আবার কখনো ভাতে কিবা মাথা দিয়ে সহযোগিতা করে ভ্রাতৃত্ববোধে আবদ্ধ হয় তাদের সাথেই সন্ত্রাসবাদের ভূমি অঙ্গাঅঙ্গি ভাবে জড়িত হয়। যাকে নিম্নোক্ত ভাবে লিখা যায় এক বাস্তব সত্যে
ধর্মীয় ভ্রাতৃত্ব বোধ + অতিরিক্ত ধর্মীয়বোধ= সন্ত্রাসবাদ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
দীপঙ্কর বেরা ০৫/০৬/২০১৭ভাল লেখা । ভাবনার
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ০৫/০৬/২০১৭সন্ত্রাসবাদ নিপাত যাক।
-
মোনালিসা ০৫/০৬/২০১৭ভাল