www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

রুকু কথণ

আমি রুকু।বাবা মায়ের
একমাত্র
সন্তান না হলেও বড়
আদরের
ছিলাম।হ্যা, ছিলাম।
হয়তো আজও
আছি জনি না।
আজ তেইশ বছর
বয়সে দুই
বছরের এক সন্তান
কোলে নিয়ে আমি
ভাবি এই
জীবনই
কি আমি চেয়েছিলাম।
হ্যা আমিতো এটাই
চেয়েছিলাম |
রিহান, আমার স্বামী।
না সে আমায় অনেক
ভালবাসে।
রিহানের সাথে পরিচয়
কোনো কাকতালিয়
ঘটনা কিংবা love at
first sight নয়।
আমরা একি স্কুলে
পড়তাম। স্কুল
থেকে কলেজ
গড়িয়ে আজ
আমরা সংসার করছি।
ভাবতে ভালই লাগে।
কজনেরই
বা এমন ভগ্য হয় বল?
প্রেমের টানে দ্বাদশের
শ্রেনিকক্ষ
কে সালাম
করে সমুদ্রের
জলে চখের
পানি বিসর্জন
দিয়ে বৈদ্যের
বাজারে উপস্থিত
হয়েছিলাম
দুজন।
পরিবেশ প্রতিকুল
ছিল আর
থাকাটাই স্বাভাবিক।
নতুন
জায়গা নতুন লোক,
পরিচিত
বলতে শুধু রিহানের.
পাতান ভাই। তবুও
বিয়ে হল ব্যাবস্থা হল
থাকারও।শুরু হল
আমাদের
কাঙ্খিত জীবন।
আন্ডার এইচ এস
সি বলে চকুরী পায়নি
রহান।
কিছু দিন এদিক
অদিক ঘোরর পর
একটা কোচিং সেন্টারে
পড়ানর
চকুরী পায় ও।আর
আমি তখন
রিহানের লক্ষি বউ
হয়ে ওঠায়
ব্যাস্ত।
আজ 10
ফেব্রুয়ারী 2014 ,
তেইশ বছর
বয়সে দু বছরের এক
সন্তানের মা।
জীবন আমাদের
অনেকাংশেই
থিতু হয়েছে।
কোচিং প্রাইভেট
করেই
রিহানের দিন পার হয়।
খুব
একটা ভাল না থাকলেও
খুব
খারাপ নেই আমি। বড়
কথা আমি সুখে আছি।
বাবাকে চিতকার
করে বলতে ইচ্ছা হয়
আমি ভাল
আছি খুব খুব ভাল
আছি। কিন্তু
পরক্ষনে মনে হয়
আসলেই কি তাই?
ওর ছাত্ররা যখন
ওকে না পেয়ে ফোন
কেটে দেয় তোখন খুব
খারাপ
লাগে।আমিও তো খারাপ
ছাত্রী ছিলাম না,
বরং ভাল
ছাত্রী ছিলাম।
নির্জনে ভাবি সংসার
করা সন্তান পালন
আর দিন
পোহালে রিহানের
মাঝে নিজেকে সমর্পন
করা ছাড়া আমার
কি কিছুই
করার নেই? আমার
পরিচয় কি শুধুই
মিসেস রিহান রহমান ,
মি.
রিহানের স্ত্রী? সেই
রুকুর
অস্তিত কি আছে এই
পৃথীবিতে?
না নেই।আজ সেই রুকু
মৃত
এবং তাকে মেরেছি
আমি
নিজেই।আর হয়ত তাই
আমি সুখে আছি
কিন্তু ভাল নেই।
আজ মনে হয়
বাবা বুঝি জানতেন
আর তাই বাধা দিতেন।
আজ
আমি রুকু হতে চাই
কিন্তু মিসেস
রিহানের মাঝে রুকু
আর
থাকেনা।
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ১০১২ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০৭/০২/২০১৫

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast