ঝালমুড়ি আর শার্মিনের গল্প
আজ যার
কথা লিখছি তার নাম
শার্মিন| বয়স কত
আর হবে চৌদ্দ
কি পনেরো |
না, সে বড়লোক বাড়ির
কাজের
মেয়ে না কিংবা কোন
শিশু শ্রমিকও না |
শার্মিন গ্রামের মেয়ে|
বাপ কাচা বাজারের
ব্যবসা করে|
মোটামুটি স্বচ্ছল
পরিবার বলা যায় | আর
দশটা মেয়ের মত তারও
দিন শুরু হয় সকালে
স্কুল দিয়ে আর শেষ
হয় বিকালে মায়ের
বকুনি আর বাবার
আদোর দিয়ে |
তবে কেন তার
কথা লিখছি??
আজ প্রায় দুবছর পর
গ্রামের
বাড়ি গিয়েছে শাহেদ | এ দুবছরে বেশ পরিবর্তন এসেছে সেখানে ।
ছোট ভাই গুল যেন বন্ধু
হতে চাচ্ছে আজ ।
না তাদের বাধা দেয়না শাহেদ
তাদের
সঙ্গে মিশে যায় |
দিনের বেশিরভাগ
সময় কাটে মামুনের
সাথে ।চলে দিনভর আড্ডা আর নানা বিষয়ে আলাপ । ছেলেদের
তুলনায় মেয়েদের
নিয়েই আলাপ হয়
বেশি | একদিন বাড়ির
আঙ্গিনায় মিতা আর
শার্মিনকে খেলতে
দেখে সে |
মিতা মামুনের বোন |
হঠাৎ মামুন ঘর
থেকে চানাচুর
এনে শার্মিনের
সামনে ধরে|
মুখটা চুপসে যায়
মেয়েটার, এরপর
অজানা আতংকে
পালিয়ে যায় সে |
শাহেদ অবাক হয়, প্রশ্ন করার আগেই মামুন
বলে ব্যরাম,
মিরকি ব্যরাম |
শাহেদ বোঝে চানাচুর দেখে ভয় পায়
মেয়েটা | প্রচন্ড ভয়, তাই
ওকে নিয়ে কুটুম
বাড়ি যায়না কেউ|
ব্যপারটায় খুব অবাক
করে শাহেদ কে | কেন এত
ভয় তার চানাচুরে??
বিকালে শার্মিন
কে হাতের
কাছে পেয়ে ওকে ডাকে
শাহেদ |
ভয়ে ভয়ে কাছে আসে
মেয়েটা , কেমন যেন
অস্বাভাবিক আচরণ তার, মনে হয়
যেন যম তাকে ডেকেছে |
কিরে চানাচুর এত ভয়
পাস কেন?
কথাটা বলে নিজেই
ভয় পেল শাহেদ |
মুখটা কেমন যেন
ফ্যাকাশে হয়ে গেছে
মেয়েটার! থাক
বলতে হবেনা যা|
মেয়েটা দৌড়ে পালিয়ে
যায় |
এই কয়দিনে প্রায়
সকলের
সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ
সম্পর্ক
তৈরি হয়েছে শাহেদের
| কম নয় সাত দিন কাটাল সে ।এর
মাঝে আরো একবার
চেষ্টা করেছিল
চানাচুরের রহস্য ভেদ
করার, পারেনি প্রতিবারই মেয়েটার চোখে দেখেছে অজানা আতঙ্ক |
আজ
ফিরে যাচ্ছে শাহেদ |
বিদায় বেলা তাই
সবাইকে শেষ উপহার হিসেবে
চকলেট দিচ্ছে সে|
শার্মিনকে সে দেখেছে
কারো দেওয়া জিনিস
নেয়না |
এমনকি বাবা মা নিতে
বললেও না, তবু আজ
তাকে দিতে ইচ্ছা
করছে শাহেদের |
মেয়েটার
দিকে চকলেট
এগিয়ে দিতে মেয়েটা
বলল "আড়ায়
নিয়ে যাবেন নাতো? " | এত দিনের চেষ্টায়ও যে চানাচুরের রহস্য সে ভেদ করতে পারেনি , আজ সে রহস্যের ভেদনে খুশি খওয়ার পরিবর্তে তার চোখে জল ।
মেয়েটার করুন
চাহনি হয়তো কোনদিন
ভুলবেনা শাহেদ | ভুলবেনা এ অভিজ্ঞতা ।
কথা লিখছি তার নাম
শার্মিন| বয়স কত
আর হবে চৌদ্দ
কি পনেরো |
না, সে বড়লোক বাড়ির
কাজের
মেয়ে না কিংবা কোন
শিশু শ্রমিকও না |
শার্মিন গ্রামের মেয়ে|
বাপ কাচা বাজারের
ব্যবসা করে|
মোটামুটি স্বচ্ছল
পরিবার বলা যায় | আর
দশটা মেয়ের মত তারও
দিন শুরু হয় সকালে
স্কুল দিয়ে আর শেষ
হয় বিকালে মায়ের
বকুনি আর বাবার
আদোর দিয়ে |
তবে কেন তার
কথা লিখছি??
আজ প্রায় দুবছর পর
গ্রামের
বাড়ি গিয়েছে শাহেদ | এ দুবছরে বেশ পরিবর্তন এসেছে সেখানে ।
ছোট ভাই গুল যেন বন্ধু
হতে চাচ্ছে আজ ।
না তাদের বাধা দেয়না শাহেদ
তাদের
সঙ্গে মিশে যায় |
দিনের বেশিরভাগ
সময় কাটে মামুনের
সাথে ।চলে দিনভর আড্ডা আর নানা বিষয়ে আলাপ । ছেলেদের
তুলনায় মেয়েদের
নিয়েই আলাপ হয়
বেশি | একদিন বাড়ির
আঙ্গিনায় মিতা আর
শার্মিনকে খেলতে
দেখে সে |
মিতা মামুনের বোন |
হঠাৎ মামুন ঘর
থেকে চানাচুর
এনে শার্মিনের
সামনে ধরে|
মুখটা চুপসে যায়
মেয়েটার, এরপর
অজানা আতংকে
পালিয়ে যায় সে |
শাহেদ অবাক হয়, প্রশ্ন করার আগেই মামুন
বলে ব্যরাম,
মিরকি ব্যরাম |
শাহেদ বোঝে চানাচুর দেখে ভয় পায়
মেয়েটা | প্রচন্ড ভয়, তাই
ওকে নিয়ে কুটুম
বাড়ি যায়না কেউ|
ব্যপারটায় খুব অবাক
করে শাহেদ কে | কেন এত
ভয় তার চানাচুরে??
বিকালে শার্মিন
কে হাতের
কাছে পেয়ে ওকে ডাকে
শাহেদ |
ভয়ে ভয়ে কাছে আসে
মেয়েটা , কেমন যেন
অস্বাভাবিক আচরণ তার, মনে হয়
যেন যম তাকে ডেকেছে |
কিরে চানাচুর এত ভয়
পাস কেন?
কথাটা বলে নিজেই
ভয় পেল শাহেদ |
মুখটা কেমন যেন
ফ্যাকাশে হয়ে গেছে
মেয়েটার! থাক
বলতে হবেনা যা|
মেয়েটা দৌড়ে পালিয়ে
যায় |
এই কয়দিনে প্রায়
সকলের
সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ
সম্পর্ক
তৈরি হয়েছে শাহেদের
| কম নয় সাত দিন কাটাল সে ।এর
মাঝে আরো একবার
চেষ্টা করেছিল
চানাচুরের রহস্য ভেদ
করার, পারেনি প্রতিবারই মেয়েটার চোখে দেখেছে অজানা আতঙ্ক |
আজ
ফিরে যাচ্ছে শাহেদ |
বিদায় বেলা তাই
সবাইকে শেষ উপহার হিসেবে
চকলেট দিচ্ছে সে|
শার্মিনকে সে দেখেছে
কারো দেওয়া জিনিস
নেয়না |
এমনকি বাবা মা নিতে
বললেও না, তবু আজ
তাকে দিতে ইচ্ছা
করছে শাহেদের |
মেয়েটার
দিকে চকলেট
এগিয়ে দিতে মেয়েটা
বলল "আড়ায়
নিয়ে যাবেন নাতো? " | এত দিনের চেষ্টায়ও যে চানাচুরের রহস্য সে ভেদ করতে পারেনি , আজ সে রহস্যের ভেদনে খুশি খওয়ার পরিবর্তে তার চোখে জল ।
মেয়েটার করুন
চাহনি হয়তো কোনদিন
ভুলবেনা শাহেদ | ভুলবেনা এ অভিজ্ঞতা ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
জাহিদুর রহমান ১১/০২/২০১৫
-
নিহাল নাফিস ১১/০২/২০১৫mobile a lakha jayna matro 1000 letter dhore tai golpo agey fb er notes a likhi. kano bhia?
-
জহির রহমান ১১/০২/২০১৫লেখাটি গল্প বিভাগে না গিয়ে ‘অভিজ্ঞতা’ শ্রেণিতে গেলে ভালো করতো। কারণ এখানে একটি মেয়ের করুণ সত্য কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে যা নিচের কমেন্টগুলো পড়ে বুঝলাম। এজন্য আপনি আসলে কাকে দায়ী করবেন? যেখানে সমাজকে নষ্ট করার জন্য, সমাজের উঠতি বয়সী যুবক-যুবতীদের ধ্বংস করার মত উপকরণগুলো খুব সহজে তাদের পকেটে পৌঁছে যাচ্ছে- সেখানে এই অসহায় মেয়েটির এমন অসহায়ত্ব ভাব হওয়াটা বা অসহায়ের মত আচরণ করাটা দোষের নয়।
সমাজ নিয়ে কাজ করতে গিয়ে এরকম অভিজ্ঞতা প্রতিনিয়ত হচ্ছে।
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া আর কি বলার আছে!!!
ধন্যবাদ অভিজ্ঞতাটি শেয়ার করার জন্য। শুভ কামনা শাহেদ তথা লেখকের জন্য। ...আর মেয়েটির জন্য সমবেদনা জানানোর মত ভাষাও আমার নেই। -
ফিরোজ মানিক ১১/০২/২০১৫ভাল হয়েছে, তবে কবিতা যত সুন্দর হয় গল্পটাও অতোটা সুন্দর হলে আরো বেশি ভাল হতো।
-
নিহাল নাফিস ০৭/০২/২০১৫আমি দুঃখিত ।আসলে মায়াবি তে লিখেছিলাম তো তাই ত ট এই গুলায় একটু সমস্যা ছিল । এখন আর একবার পড়ুন দয়া করে ।
-
হাসান ইমতি ০৭/০২/২০১৫লেখাটি কোন পরিণতিতে এলো না বলে মনে হল আর অসংখ্য বানান ভুল বলেও মনে হল যদি না এরকম কোন আঞ্চলিক ভাষায় লেখা না হয়ে থাকে !
-
সবুজ আহমেদ কক্স ০৭/০২/২০১৫aro valo hole porte aro valo lagtu
-
মোঃ আলমগীর হোসেন ০৭/০২/২০১৫correct your spelling
-
Shunno ০৭/০২/২০১৫Valo.
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ০৭/০২/২০১৫বানান গুলো শুধরে নিন। আরেকটু স্পষ্ট হলে বেশী ভালো লাগতো।
-
আতিক রহমান ০৬/০২/২০১৫লেখা তো গল্প, কিন্তু কবিতার ফরম্যাট এ এলো কেন?...... লেখা চমৎকার হয়েছে।
শুভেচ্ছা লেখককে।