আয়না অথবা রূপসী
সুচতুরা নৃত্যপটিয়সি নায়িকা যখন বেঁধে নিয়েছে ঘুঙুর তার পায়ে ধরেই নেয়া হয়েছিল সে নৃত্যকলায় পারদর্শী বলেই ঐরকম একটা সাহস সে দেখিয়েছে । চোখ তার অসম্ভব সুন্দর ।
মেকাপ শিল্পীর হাতের ছোঁয়ায় তার চোখকে করেছে আরো সুন্দর । আজ সে নিজেই আরো চোখ ভরে কাজল দিয়েছে ।দেহবল্লরীতে জড়িয়ে নিয়েছে রেশমের বুননের শাড়ী । সালঙ্কারে নায়িকা যখন সবার সামনে এসে দাঁড়াল তখন প্রায় বৃদ্ধ পরিচালক বিমোহিত হলেন । মানুষের শরীর বৃদ্ধ হলেও মন তো আর বুড়িয়ে যায় না । আর রূপের সুধা তো সকলেই আকন্ঠে পান করতে চায় ।
তবু তিনি তাকে মা বলে সম্বোধন করেন । স্ক্রিপ্ট হাতে ধরিয়ে দিলেন তার । আর আড়চোখে বার বার ঐ মনোহরিনীর দিকে তাকিয়ে নিজের হৃত যৌবনের জন্য আফসোসে মরে গেলেন । কেন যে মানুষ বুড়িয়ে যায় , কেন যে সারাজীবন তারুণ্য ধরে রাখা যায় না ! এই বোধে আক্রান্ত হতে হতে তিনি কিছুটা ম্রিয়মান হলেন ।
নায়িকা তার অংশের অভিনয় টুকু সেরে নিজের রুমে ফিরলে প্রথমেই চোখ পড়ে আয়নায় । নিজের রূপে নিজেই মুগ্ধ সালঙ্কারা । ইস আমি এত সুন্দর কেন ? আমার চোখ কি অসম্ভব সুন্দর ঘন কালো ! ওরকম বাঁকা ভ্রূ , সুন্দর ঠোঁট , মসৃণ চিবুক । ইচ্ছে করে সকলকে এই রূপ প্রদর্শন করি । ‘ প্রদর্শনই তো করছি ‘ সে নিজেকে নিজেই বলল । আবার আয়নায় চোখ পড়লো তার । সে নিজেই আয়না থেকে চোখ সরাতে পারছে না ।
কোন একটা বইয়ে পড়েছিল মেয়েরা জীবনের অনেকটা সময় আয়না দেখেই কাটায় । আসলেও কথাটা সত্যি । ভীষণ রকম সত্যি । আয়না সে না দেখে থাকতে পারে না । চোখটা চলেই যায় তার বার বার আয়নার দিকে । ছেলেরা কি আয়না দেখে না ? নিজেকে নিজেই সে বলল আর হাসল । আয়নার সামনে কয়েকটা তাল ঠুকল সে ,ওরকম নিক্কনের ধ্বনির সাথে তার নিজের রূপের মিলনে সে কিছুক্ষন অভিভূত হল । একসময় নিজেকে বিচ্ছিন্ন করল আয়না থেকে । ধুর মনটাই খারাপ হয়ে গেল । কেউ নাই তার’ , কেউ নাই , ভালবাসার কেউ নাই , এই বোধে অভিভূত হতে হতে আবিষ্কার করল আসলে তার কোন আর্থিক নিরাপত্তা নেই , আসলে তার কেউ নেই । এই বোধটা তার ভেতরে এত আলোড়ন তুলল যে ঐ অবস্থায় সে বিছানায় শুয়ে ঘুমিয়ে পড়ল । স্বপ্নে তার সকল সময় থাকে ভয়ংকর ভয়ংকর মৃত্যু আর লাশের মিছিল । ঘুম ভেঙ্গে গেল তার । সে প্রায়ই ভাবে আসলে সে যতটা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে আসলেও তো সে ততটা অনিরাপদ না । তবে কি বাল্যকালের অসুখী শৈশব তাকে সকল সময় অসুখী করে ? নিরাপত্তাহীনতায় ভোগায় ? শুধুই একা একা লাগে ? অস্থির লাগে ? ভীষণভাবে কাউকে পেতে ইচ্ছে করে ?
এরকম একটা অনুভুতিতে আচ্ছন্ন হতে হতে তার চোখে পানি চলে এল । ধুস,আমি যে কেন এরকম ? নিজেকে নিজেই তিরস্কার করে বিছানা থেকে উঠে বসল। নাহ আর এই ভারী কাপড় চোপড় পরে থাকা যায় না । সমস্ত গহনা কাপড় চোপড় খুলে সে খুব সুন্দর একটা রাতের পোশাক পড়ল । হাত মুখ ধুতে ধুতে আবারো আয়নার মুখোমুখি – যতবার পানি ছিটিয়ে দেয় ততবারই আয়নার ভেতর অন্য মেয়েটা তাকে দেখে হেসে ওঠে । “আরে আরে একি আমি নাকি ? বলে সে আয়নার মেয়েটার চোখে ঠোঁটে হাত বুলিয়ে দেয় । এক অন্যরকম আত্ততৃপ্তিতে তার বুক ভরে আসে …… ।
মেকাপ শিল্পীর হাতের ছোঁয়ায় তার চোখকে করেছে আরো সুন্দর । আজ সে নিজেই আরো চোখ ভরে কাজল দিয়েছে ।দেহবল্লরীতে জড়িয়ে নিয়েছে রেশমের বুননের শাড়ী । সালঙ্কারে নায়িকা যখন সবার সামনে এসে দাঁড়াল তখন প্রায় বৃদ্ধ পরিচালক বিমোহিত হলেন । মানুষের শরীর বৃদ্ধ হলেও মন তো আর বুড়িয়ে যায় না । আর রূপের সুধা তো সকলেই আকন্ঠে পান করতে চায় ।
তবু তিনি তাকে মা বলে সম্বোধন করেন । স্ক্রিপ্ট হাতে ধরিয়ে দিলেন তার । আর আড়চোখে বার বার ঐ মনোহরিনীর দিকে তাকিয়ে নিজের হৃত যৌবনের জন্য আফসোসে মরে গেলেন । কেন যে মানুষ বুড়িয়ে যায় , কেন যে সারাজীবন তারুণ্য ধরে রাখা যায় না ! এই বোধে আক্রান্ত হতে হতে তিনি কিছুটা ম্রিয়মান হলেন ।
নায়িকা তার অংশের অভিনয় টুকু সেরে নিজের রুমে ফিরলে প্রথমেই চোখ পড়ে আয়নায় । নিজের রূপে নিজেই মুগ্ধ সালঙ্কারা । ইস আমি এত সুন্দর কেন ? আমার চোখ কি অসম্ভব সুন্দর ঘন কালো ! ওরকম বাঁকা ভ্রূ , সুন্দর ঠোঁট , মসৃণ চিবুক । ইচ্ছে করে সকলকে এই রূপ প্রদর্শন করি । ‘ প্রদর্শনই তো করছি ‘ সে নিজেকে নিজেই বলল । আবার আয়নায় চোখ পড়লো তার । সে নিজেই আয়না থেকে চোখ সরাতে পারছে না ।
কোন একটা বইয়ে পড়েছিল মেয়েরা জীবনের অনেকটা সময় আয়না দেখেই কাটায় । আসলেও কথাটা সত্যি । ভীষণ রকম সত্যি । আয়না সে না দেখে থাকতে পারে না । চোখটা চলেই যায় তার বার বার আয়নার দিকে । ছেলেরা কি আয়না দেখে না ? নিজেকে নিজেই সে বলল আর হাসল । আয়নার সামনে কয়েকটা তাল ঠুকল সে ,ওরকম নিক্কনের ধ্বনির সাথে তার নিজের রূপের মিলনে সে কিছুক্ষন অভিভূত হল । একসময় নিজেকে বিচ্ছিন্ন করল আয়না থেকে । ধুর মনটাই খারাপ হয়ে গেল । কেউ নাই তার’ , কেউ নাই , ভালবাসার কেউ নাই , এই বোধে অভিভূত হতে হতে আবিষ্কার করল আসলে তার কোন আর্থিক নিরাপত্তা নেই , আসলে তার কেউ নেই । এই বোধটা তার ভেতরে এত আলোড়ন তুলল যে ঐ অবস্থায় সে বিছানায় শুয়ে ঘুমিয়ে পড়ল । স্বপ্নে তার সকল সময় থাকে ভয়ংকর ভয়ংকর মৃত্যু আর লাশের মিছিল । ঘুম ভেঙ্গে গেল তার । সে প্রায়ই ভাবে আসলে সে যতটা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে আসলেও তো সে ততটা অনিরাপদ না । তবে কি বাল্যকালের অসুখী শৈশব তাকে সকল সময় অসুখী করে ? নিরাপত্তাহীনতায় ভোগায় ? শুধুই একা একা লাগে ? অস্থির লাগে ? ভীষণভাবে কাউকে পেতে ইচ্ছে করে ?
এরকম একটা অনুভুতিতে আচ্ছন্ন হতে হতে তার চোখে পানি চলে এল । ধুস,আমি যে কেন এরকম ? নিজেকে নিজেই তিরস্কার করে বিছানা থেকে উঠে বসল। নাহ আর এই ভারী কাপড় চোপড় পরে থাকা যায় না । সমস্ত গহনা কাপড় চোপড় খুলে সে খুব সুন্দর একটা রাতের পোশাক পড়ল । হাত মুখ ধুতে ধুতে আবারো আয়নার মুখোমুখি – যতবার পানি ছিটিয়ে দেয় ততবারই আয়নার ভেতর অন্য মেয়েটা তাকে দেখে হেসে ওঠে । “আরে আরে একি আমি নাকি ? বলে সে আয়নার মেয়েটার চোখে ঠোঁটে হাত বুলিয়ে দেয় । এক অন্যরকম আত্ততৃপ্তিতে তার বুক ভরে আসে …… ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
suman ১৩/১০/২০১৩গল্প বলার ধরনে আমি পাঠক হিসাবে মুগ্ধ ...
-
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. ১১/১০/২০১৩চমৎকার।
-
Înšigniã Āvî ১০/১০/২০১৩অদ্ভুত সুন্দর.....
-
রোদের ছায়া ১০/১০/২০১৩বেশ ঝরঝরে গল্পের বুনন, কাহিনি বেশ ভিন্নতর।
-
সুবীর কাস্মীর পেরেরা ০৯/১০/২০১৩অনেক ভালো লেগেছে নাহার আপা
-
אולי כולנו טועים ০৯/১০/২০১৩খুবই সুন্দর লাগলো ......
যদিও গল্প তারপরও প্রশ্ন করি নায়িকা এবং পরিচালকের বয়সটি কত ? আপনার ভাবনাতে তাদের বয়স ছিল নিশ্চয় ? তাই জানতে চাওয়া l
গল্প হিসাবে অসম্ভব ভালো লাগলো ll