অসম প্রেম
- মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে আতিকের। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে উঠছে সে। আর ফারিয়া ওদিকে তার নতুন সংসারটা প্রায় গুছিয়ে নিয়েছে। স্বামী সংসার নিয়ে বেশ আছে সে।
.
- একটু পিছনে ফিরে দেখা যাক। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ থেকে প্রেম আতিক আর ফারিয়ার। দুজনেই একই বিভাগ এবং একই ব্যাচের ছাত্র। তুখোড় মেধাবী দুজনেই। বিভাগে বন্ধু এবং সিনয়র-জুনিয়রদের কাছে পরিচিত "বেস্ট কাপল অফ সুপার গ্লু" হিসাবে। প্রায় সাড়ে পাঁচ বছরের সম্পর্কটাকে তারা পরিনয়ও দিয়েছে অনেকটা গোপনে। কারন ফারিয়া এবং আতিক দুজনেই জানতো ফারিয়ার পরিবার তাদের এই সম্পর্কটা মেনে নেবে না। ফারিয়া যেখানে বড়ো হয়েছে এক উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারে, সেখানে আতিকের উঠে আসা এক কৃষক পরিবার থেকে। তাই এ ছাড়া তাদের আর কোন উপায়ও যে ছিলো না।
.
- ভাগ্যের খেলা বোঝা দায়। বিয়ের ছয় মাসও পেরোলো না; ছয় বছরের সম্পর্কটা বালুর বাধের মতো ধসে পড়লো। ফারিয়া আতিককে ডিভোর্স দিয়ে বাবার বাড়ি ফিরে গেলো। এমনটাতো হওয়ারই ছিলো। যে ফারিয়া বড়ো হয়েছে লাগামহীন বিত্ত বৈভবে; সংসারের কঠিন বাস্তবতা সামনে এসে দাড়িয়ে যেন তার গলা চিপে ধরলো। অভাবের রুদ্র রুপে ভালোবাসা জানলা দিয়ে পালালো। ভালোবাসা ছাড়াও জীবনটা পার করে দেওয়া যায়, কিন্তু টাকা ছাড়া যে জীবনে এক পাও নড়া যায় না। এক পেটি স্কুল শিক্ষকের সাথে কেন সংসার করবে ফারিয়া?
.
- মেয়ের ভুলকে ক্ষমা করে বুকে টেনে নিলেন ফারিয়ার বাবা-মা। দেখে শুনে মেয়েকে আবার বিয়ে দিলেন। এবার ডাক্তার জামাই পেলো সুন্দরী ফারিয়া।
.
- আর ওদিকে আতিকের জীবনের গল্পটা ট্রাজেডিক উপন্যাসের এক জীবন্ত পাতা হয়ে উঠলো। অনেকটা মানসিক ভারসম্য হারিয়ে ফেললো আতিক। পুত্রের এই চরম দুর্দশার খবর জেনে নিজেদের সবটুকু দিয়ে সন্তানের পাশে দাড়ালেন আতিকের জনম দুঃখী বাবা-মা।
.
- বাবা-মায়ের অকৃত্তিম ভালোবাসা আর ডাক্তারদের চেষ্টায় এখন অনেকটা সুস্থ আতিক। জীবনে ঘটে যাওয়া চরম সত্যটাকে মেনে নিতে শুরু করেছে সে। আতিক আজ উপলব্ধি করে "নারীর কাছে প্রেম মানে বিলাসীতা; যেখানে পুরুষের কাছে প্রেম হলো জীবনের কঠিন বাস্তবতা।"
.
- একটু পিছনে ফিরে দেখা যাক। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ থেকে প্রেম আতিক আর ফারিয়ার। দুজনেই একই বিভাগ এবং একই ব্যাচের ছাত্র। তুখোড় মেধাবী দুজনেই। বিভাগে বন্ধু এবং সিনয়র-জুনিয়রদের কাছে পরিচিত "বেস্ট কাপল অফ সুপার গ্লু" হিসাবে। প্রায় সাড়ে পাঁচ বছরের সম্পর্কটাকে তারা পরিনয়ও দিয়েছে অনেকটা গোপনে। কারন ফারিয়া এবং আতিক দুজনেই জানতো ফারিয়ার পরিবার তাদের এই সম্পর্কটা মেনে নেবে না। ফারিয়া যেখানে বড়ো হয়েছে এক উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারে, সেখানে আতিকের উঠে আসা এক কৃষক পরিবার থেকে। তাই এ ছাড়া তাদের আর কোন উপায়ও যে ছিলো না।
.
- ভাগ্যের খেলা বোঝা দায়। বিয়ের ছয় মাসও পেরোলো না; ছয় বছরের সম্পর্কটা বালুর বাধের মতো ধসে পড়লো। ফারিয়া আতিককে ডিভোর্স দিয়ে বাবার বাড়ি ফিরে গেলো। এমনটাতো হওয়ারই ছিলো। যে ফারিয়া বড়ো হয়েছে লাগামহীন বিত্ত বৈভবে; সংসারের কঠিন বাস্তবতা সামনে এসে দাড়িয়ে যেন তার গলা চিপে ধরলো। অভাবের রুদ্র রুপে ভালোবাসা জানলা দিয়ে পালালো। ভালোবাসা ছাড়াও জীবনটা পার করে দেওয়া যায়, কিন্তু টাকা ছাড়া যে জীবনে এক পাও নড়া যায় না। এক পেটি স্কুল শিক্ষকের সাথে কেন সংসার করবে ফারিয়া?
.
- মেয়ের ভুলকে ক্ষমা করে বুকে টেনে নিলেন ফারিয়ার বাবা-মা। দেখে শুনে মেয়েকে আবার বিয়ে দিলেন। এবার ডাক্তার জামাই পেলো সুন্দরী ফারিয়া।
.
- আর ওদিকে আতিকের জীবনের গল্পটা ট্রাজেডিক উপন্যাসের এক জীবন্ত পাতা হয়ে উঠলো। অনেকটা মানসিক ভারসম্য হারিয়ে ফেললো আতিক। পুত্রের এই চরম দুর্দশার খবর জেনে নিজেদের সবটুকু দিয়ে সন্তানের পাশে দাড়ালেন আতিকের জনম দুঃখী বাবা-মা।
.
- বাবা-মায়ের অকৃত্তিম ভালোবাসা আর ডাক্তারদের চেষ্টায় এখন অনেকটা সুস্থ আতিক। জীবনে ঘটে যাওয়া চরম সত্যটাকে মেনে নিতে শুরু করেছে সে। আতিক আজ উপলব্ধি করে "নারীর কাছে প্রেম মানে বিলাসীতা; যেখানে পুরুষের কাছে প্রেম হলো জীবনের কঠিন বাস্তবতা।"
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ফয়েজ উল্লাহ রবি ০৭/০৮/২০১৭সুন্দর লিখেছেন শুভেচ্ছা রইল।
-
মোনালিসা ০৭/০৮/২০১৭দারুন
-
আব্দুল হক ০৭/০৮/২০১৭সুন্দর লিখেছেন¬¬